Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভারতে সম্মানিত একজন আলেমকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা : মুসলিম গণহত্যার চূড়ান্ত পর্ব কি তবে শুরু?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভারতে সম্মানিত একজন আলেমকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা : মুসলিম গণহত্যার চূড়ান্ত পর্ব কি তবে শুরু?

    ভারতে সম্মানিত একজন আলেমকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা : মুসলিম গণহত্যার চূড়ান্ত পর্ব কি তবে শুরু?




    উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরংদলের সন্ত্রাসীরা সম্মানিত একজন আলেমকে আগুনে পুড়িয়ে খুন করেছে। গতকাল ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের বাসিন্দা মাওলানা আতাউল্লাহ কাসেমী নামক সম্মানিত ঐ আলেমকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরংদলের সন্ত্রাসীরা আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। পরে আগুনে পোড়া দেহকে জঙ্গলে নিক্ষেপ করে।

    হিন্দুত্ববাদী উগ্র কর্মী-জনতা এখন এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে, কি আলেম কি আওয়াম- কাউকেই তারা ছাড় দিচ্ছে না। কেউই তাদের হাত থেকে নিরাপদ নয়। তারা জানে মুসলিমদের উপর যতই অত্যাচার করুক, তাদের কোন বিচার হবে না। গত মাসেও বিলকিস বানু ধর্ষণ ও ১৪ মুসলিম হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আত্মস্বীকৃত ১১ খুনিকে মুক্তি দিয়েছে হিন্দুত্ববাদীদের প্রহসনের আদালত। মুসলিম হত্যায় এমন দায়মুক্তির ঘটনা রয়েছে আরও শত শত। তাই নিশ্চিত মনেই উগ্র হিন্দুরা এখন পুড়িয়ে হত্যার মতো বর্বর কাজ করছে, এবং এর মাধ্যমে মুসলিম গণহত্যার মাঠ প্রস্তুতের চূড়ান্ত স্তরে প্রবেশ করেছে তারা।



    একজন সম্মানিত আলেমকে আগুনে পুড়িয়ে খুন করার পরও হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন অপরাধীদের আটক করেনি। হিন্দুত্ববাদীদের দালাল মিডিয়াগুলো এনিয়ে কোন কথা বলেনি। কথিত কোন মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকেও কোন প্রতিবাদ আসেনি। এটা এখন ওপেন সিক্রেট যে, এতদিন ধরে মুসলিমদের পিটিয়ে মারার ঘটনায় দায়িত্বশীল সব পক্ষ নীরব থেকে আর অপরাধিদের দায়মুক্তি দিয়ে সেটাকে সাধারণ গ্রহণযোগ্য ঘটনা বানিয়ে ফেলেছে। আর এখন মুসলিম আলেমদের পর্যন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এর কোন বিচার হচ্ছে না; সুতরাং এই ঘটনাও এখন সহজ স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়াবে। আর এভাবে এখন তারা মুসলিম গণহত্যা শুরুর চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ পুড়িয়ে মারার ঘটনায় কাউকে আটক বা বিচার না করায় সারা ভারতেই উগ্র হিন্দুরা এখন একই কাজ করতে উৎসাহিত বোধ করবে অহরহ।

    বেশ কিছু বছর ধরে চলমান উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসী অত্যাচার এবং কথিত দায়িত্বশীল-প্রশাসনের নীরব ভূমিকা গোটা উপমহাদেশে হিন্দুত্ববাদের উগ্র অভ্যুত্থানকে ত্বরান্বিত করেছে; যা ক্রমেই এখন চূড়ান্ত মুসলিম গণহত্যায় রপ লাভ করছে। এটাও স্পষ্ট যে, প্রচলিত কোন আইন-আদালত বা পশ্চিমা গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা কেউই মুসলিমদের রক্ষায় এগিয়ে আসবেনা।

    কথিত সুপার পাওয়াররা আসলে এসব ক্ষেত্রে একে অপরকে চাপে ফেলে সুবিধা আদায় করতে মুসলিমদের প্রতি সুর নরম করার সাময়িক অভিনয় করে থাকে; যেমনটা করা হয়েছে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ক্ষেত্রে আর উইঘুর মুসলিমদের ক্ষেত্রে। কিংবা তারা বড়জোর একেকটি পক্ষকে উস্কে দিয়ে অস্ত্র বাণিজ্য করতে পারে; তবে মুসলিমদের জীবন-মরন বা নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কিছুই যায়-আসে না।

    উপমহাদেশের মুসলিমদের ক্ষেত্রেও কথিত বিশ্বমোড়লদের অবস্থান এর থেকে ভিন্ন হবেনা বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। হক্কপন্থী উলামাগণও তাই বরাবরই মুসলিমদেরকে পরিস্থিতির নাজুকতা উপলব্ধি করতে এবং সেই অনুযায়ী নিজ ও পরিবারের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর হেফাজতের প্রস্তুতি নিতে বলে আসছেন নববী মানহাজ অনুযায়ী।


    লেখক : উসামা মাহমুদ

    তথ্যসূত্র :
    1. Maulana Ataullah Qasmi, a resident of Jharkhand, was burnt by a Bajrang Dal Worker, and the body was thrown in the forest.
    https://tinyurl.com/48cvnp6t
    https://tinyurl.com/yse4k75y













    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইন্না লিল্লাহ...খুবই বেদনাদায়ক সংবাদ। আল্লাহ মুহতারাম ভাইকে শাহাদাতের সুউচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমীন
    আমাদের শহীদ ভাইয়ের বদলা নেওয়ার জিম্মাদারি আমাদের উপর বর্তেছে। প্রস্তুত হোন হে সিংহ সার্দুলেরা!
    হে আল্লাহ, আপনি আমাদের তাওফিক দান করুন। যে মালাউনদের থেকে উপযুক্ত বদলা নিতে পারি।
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      আগুণ দিয়ে জীবন্ত পুরিয়ে হত্যা করার মর্মান্তিকতা কল্পনা করলেও গা শিওরে উঠে! ভাই তো ইনশাআল্লাহ শাহাদাতের মাকাম পাবেন। - قُلْ هَلْ تَرَبَّصُونَ بِنَا إِلَّا إِحْدَى الْحُسْنَيَيْنِ -বলে দিন, তোমরা কি আমাদের জন্য দু’টি কল্যাণের একটি ছাড়া (অর্থাত বিজয় বা শাহাদত ছাড়া) অন্য কিছু প্রত্যাশা কর? আর...وَنَحْنُ نَتَرَبَّصُ بِكُمْ أَن يُصِيبَكُمُ اللّهُ بِعَذَابٍ مِّنْ عِندِهِ أَوْ بِأَيْدِينَا فَتَرَبَّصُواْ إِنَّا مَعَكُم مُّتَرَبِّصُونَ -আর আমরা প্রত্যাশায় আছি তোমাদের জন্যে যে, আল্লাহ তোমাদের আযাব দান করুন নিজের পক্ষ থেকে অথবা আমাদের হস্তে। সুতরাং তোমরা অপেক্ষা কর, আমরাও তোমাদের সাথে অপেক্ষমাণ। [সুরা তাওবা - ৯:৫২]

      Comment

      Working...
      X