Announcement

Collapse
No announcement yet.

ঘানি সরকার কর্তৃক বিশেষ বিমানে বাগরামে পাঠানোর স্বীকারোক্তি আইএস সদস্যের : পেছনে তবে কে?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ঘানি সরকার কর্তৃক বিশেষ বিমানে বাগরামে পাঠানোর স্বীকারোক্তি আইএস সদস্যের : পেছনে তবে কে?

    ঘানি সরকার কর্তৃক বিশেষ বিমানে বাগরামে পাঠানোর স্বীকারোক্তি আইএস সদস্যের : পেছনে তবে কে?



    সম্প্রতি কুন্দুজ প্রদেশ থেকে খারেজি গোষ্ঠী আইএস’এর এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ। তার কাছ থেকে আইএস কর্তৃক কুন্দুজে হামলার কিছু পরিকল্পনা প্রকাশ করে সেগুলো রুখজে দিতে সক্ষম হয়েছেন ইমারতের চৌকস গোয়েন্দারা। পূর্বতন সরকারের সাথে তাদের সম্পর্কের কিছু গোপন দিকও উন্মচিত হয়েছে ঐ আইএস সদস্যের স্বীকারোক্তিতে।

    জেনারেল ডিরেক্টরেট অফ ইন্টেলিজেন্সের আধিকারিকরা ফয়জুল্লাহ বিন রুস্তম নামের ঐ আইএস সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। সে ‘আব্দুল রহমান’ ছদ্মনামে আইএস-এর একটি সামাজিক নেটওয়ার্কে সক্রিয় ছিল। সম্প্রতি খাওয়ারিজ গোষ্ঠীতে পুনরায় সম্পৃক্ত হয়েছিল সে। কুন্দুজ প্রদেশে এই গোষ্ঠীর পক্ষ্র বড় ধরণের হামলার চক্রান্তে সম্প্রিক্ত ছিল এই ফয়জুল্লাহ বা আব্দুল রহিম। আইএস’এর পরিকল্পনামাফিক নৃশংস কর্মকাণ্ড চালানোর আগেই বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করলেন জিডিআই কর্মকর্তাগণ।

    অভিযুক্ত ফয়জুল্লাহ স্বীকার করেছে যে, পূর্ববর্তী আশরাফ ঘানি সরকারের আমলে তারা তালিবানের বিরুদ্ধে সরকারি সাহায্য পেয়েছে। সে বলে, “জাওজান প্রদেশের দারজাব জেলায় ইসলামিক আমিরাতের সামরিক চাপ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে পূর্ববর্তী সরকার আমাদের অতিথি ও বন্দী হিসেবে বিশেষ বিমানে করে সেখান থেকে বাগরাম কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছিল। পরে তালিবান মুজাহিদিন বাগরাম কারাগারে প্রবেশের আগেই তৎকালীন কর্মকর্তারা আমাদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিলেন। তখন আমরা নিরাপদে কারাগার থেকে বের হয়ে যাই।”

    এখানে যৌক্তিক প্রশ্ন এসে যাচ্ছে, খারেজি আইএস সন্ত্রাসীদেরকে তালিবানের বিরুদ্ধে সহায়তা দেওয়া, তাদেরকে বিশেষ বিমানে স্থানান্তরিত করা কিংবা তালিবানরা দখল করে নেওয়ার ঠিক আগে আগে তাদেরকে বাগরাম কারাগারের ‘মেহমানখানা’ থেকে ছেড়ে দেওয়া – এর কোনটিই কি অ্যামেরিকার অনুমতি বা নির্দেশনা ছাড়া ঘানির পুতুল সরকারের পক্ষে সম্ভব ছিল?

    আশা করা যায়, এই প্রশ্নের উত্তর এখন পাঠকের কাছে অনেকটাই স্পষ্ট।

    এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আরেকটি বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা এখন সঙ্গত কারণে জরুরী।

    তালিবান মুজাহিদিনের কাবুল বিজয় পরবর্তী সময়ে অ্যামেরিকা যখন কাবুল বিমানবন্দরে লোক দেখানো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছিল, তখন কথিত এই আইএস’এর বোমা হামলায় এবং ‘আতঙ্কিত’ মার্কিন সৈনিকদের গুলিতে প্রায় ২০০ জন আফগান নাগরিক প্রাণ হারায়।

    আশ্চর্যের ব্যাপার হল, যে ‘চৌকস’ অ্যামেরিকান গোয়েন্দারা তালিবান মুজাহিদিনের এক সপ্তাহে আফগানিস্তান বিজয়ের ব্যাপারে কোন খবরই দিতে পারেনি, তারাই কিনা আইএস’এর ঐ হামলার ১-২ দিন আগেই তার সংবাদ আগাম জানিয়ে দিতে পেরেছিল!

    এই হিসেবটা মেলানোর ভারও নাহয় পাঠকের উপরেই ন্যাস্ত থাকল।


    লিখেছেন : আব্দুল্লাহ বিন নজর



    তথ্যসূত্র :

    1. Khawarij’s Key Member Arrested in Kunduz
    https://tinyurl.com/4xvt4nrx

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আল্লাহ তা'য়ালা এভাবেই জালিমদের জুলুম প্রকাশ করেদিন.. নৃশংস জালিমদের দুনিয়া ও আখিরাতে লাঞ্ছিত করুন, আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।

    Comment

    Working...
    X