Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ০৭ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ০৭ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

    উগ্র হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণের ধারণাটি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে: আরএসএস প্রধান ভাগবত


    এখন আর কোন জল্পনা নয়, হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা এখন ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর এজেন্ডা প্রকাশ্যে ও গুরুত্ব সহকারে বাস্তবায়ন করছে। উগ্র হিন্দু রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে কর্মীদের প্রস্তুত হতে ও প্রশিক্ষণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে আরএসএস প্রধান উগ্র মোহন ভাগবত।

    গত ৫ অক্টোবর বুধবার নাগপুরে দশেরার সমাবেশে আরএসএস প্রধান বলেছে, “হিন্দু রাষ্ট্র” ধারণাটি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে। কারণ হিসেবে সে বলেছে, সংঘ এখন হিন্দুদের স্নেহ এবং আস্থা পাচ্ছে এবং শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তাই হিন্দু রাষ্ট্রের ধারণাটি আগেও চেয়েও গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে।

    গত ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার কলকাতায় গিয়েও রাজ্যের আরএসএস নেতৃত্বকে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করার দায়িত্ব দিয়েছিল উগ্রবাদী এই সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত। সে বলেছে, ভারতকে গোটা বিশ্বের কাছের আদর্শ হিসাবে গড়ে তুলতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে দায়িত্ব নিতে হবে। সেভাবেই স্বয়ংসেবকদের তৈরি করতে হবে।

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে মোহন ভাগবত তার একটি বক্তৃতায় বলেছিল, ‘আমাদের ( হিন্দু রাষ্ট্র বিনির্মাণের) গাড়ি যাত্রা শুরু করেছে। এটি একটি ব্রেকহীন গাড়ি। এই গাড়িতে শুধু একটি এক্সিলারেটর আছে। যারা থামানোর চেষ্টা করবে, তারাই ধ্বংস হয়ে যাবে। যারা আমাদের সাথে আসতে চায়, তারা যেন চলে আসে। গাড়ি কারো জন্য থামবে না। যদি আমরা এই গতিতে চলতে থাকি, তাহলে আগামী ২০-২৫ বছরে অখন্ড ভারত বাস্তবে পরিণত হবে। আর যদি আমরা আরেকটু পরিশ্রম করি—যেটা আমরা অবশ্যই করব—তাহলে এ সময়কাল অর্ধেক হয়ে যাবে এবং ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে অখণ্ড ভারত অর্থাৎ পূর্ণ একটি হিন্দু রাষ্ট্র দেখতে পাব।’

    মোহন ভগবতের মতো প্রধান প্রধান হিন্দু নেতাদের এমন উগ্রবাদী বক্তব্যের পর সারা ভারতেই তাদের অনুসারীরা মুসলিমদের উপর হামলে পড়ছে। মুসলিম নারী-শিশুদের হত্যা নির্যাতন সহ আলেমদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। হিন্দুরা এমনকি এখন মসজিদ মাদ্রাসার পবিত্রতা নষ্ট করছে নানান জায়গায়। পাশাপাশি আবার নানান জায়গায় মসজিদ-মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং বুলডোজার দিয়ে মুসলিমদের বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজও চলছে সমানতালে।

    সব মিলিয়ে গোটা হিন্দুস্তান তথা উপমহাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দ্রুততার সাথে অবনতির দিকে যাচ্ছে। ভারতে হিন্দুত্ববাদী আন্দোলন সল্প সময়েই এমন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে, যেখানে একটি মাত্র স্ফুলিঙ্গ গণহত্যার এমন অগ্নি প্রজ্বলিত করবে, যা অকল্পনীয় মাত্রায় বরবাদি ও ধ্বংসযজ্ঞ ছড়াবে। এবং জুলুম-সহিংসতা তথা গণহত্যার এক অপ্রতিরোধ্য সূত্র জন্ম দিবে।

    দুর্ভাগ্যবশত, এই অঞ্চলের মুসলিমরা বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের মুসলিমরা এখনও তাদের দিকে দ্রুত ধেয়ে এই ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির ভয়াবহতা ও গুরুত্ব উপলব্ধি করতে অক্ষম।



    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. Hindu Rashtra concept being taken seriously, there is no risk to minorities: RSS chief Mohan Bhagwat ( Muslim Mirror )
    https://tinyurl.com/5n8ufczp
    2. Hindu Rashtra concept being taken seriously, there is no risk to minorities: RSS chief Mohan Bhagwat
    https://tinyurl.com/3wkes3fu

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে প্রাচীন মাদরাসায় হিন্দুদের অনুপ্রবেশ, হিন্দুত্ববাদী স্লোগান


    ভারতের কর্ণাটকের বিদারে অবস্থিত মাহমুদ গাওয়ান মাদরাসাতে হিন্দুদের দশমী অনুষ্ঠানের দিন অনুপ্রবেশ করেছে মুশরিক হিন্দুরা। এসময় তারা বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী স্লোগান দেয় এবং পূজা করে। তাদের নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

    এনডিটিভির সূত্রে জানা যায়, ইসলামি সংগঠনগুলো বলেছে যদি আগামীকালের (৭ই অক্টোবর) মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করা না হয়, তবে তারা শুক্রবার জুমুআর নামাজের পর বিক্ষোভ করবেন।

    পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার রাতে হিন্দুরা মাদরাসার তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর মাদরাসার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে তারা ‘জয় শ্রী রাম’, ‘হিন্দু ধর্ম জয় হোক’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।






    ভারতের একটি প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন এবং ইসলামি জ্ঞানকেন্দ্র এই মাহমুদ গাওয়ান মাদরাসা। ৫৫০ বছর আগে ১৪৭২ সালে নির্মিত হয়েছিল মাদরাসাটি। ইউনেস্কো ২০১৪ সালে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

    বিভিন্ন সময় দেখা যায়, ইহুদিরা ফিলিস্তিনে মুসলিমদের মসজিদগুলোতে প্রবেশ করে গান-বাজনা, স্লোগান দিয়ে থাকে। এখন ভারতে মুশরিক হিন্দুরা ইহুদিদের মতো একই নীতি অবলম্বন করছে। গত আগস্টেও মুসলিমদের হুবালির ঈদগাহ মাঠে গণেশ চতুর্থি অনুষ্ঠান করেছে মুশরিক হিন্দুরা।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X