Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ১০ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ১০ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

    তাদের হাত কাটো, শিরশ্ছেদ করো’: মুসলিমদের উদ্দেশ্যে উগ্র হিন্দু নেতা



    ভারতের রাজধানী দিল্লীতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) আয়োজিত এক র‌্যালিতে সন্ত্রাসবাদী বক্তব্য দিয়েছে হিন্দু গুরু জুগেশ্বর আচার্য। সে হিন্দুদেরকে উসকানি দিয়েছে যেন তারা তাদের বিরোধীদের (মুসলিমদের) শিরশ্ছেদ করে এবং হাত কেটে দেয়।

    আচার্য বলেছে, ‘প্রয়োজনে তাদের হাত কেটে ফেলতে হবে, তাদের শিরশ্ছেদ করতে হবে। সর্বোচ্চ আপনি জেলে যাবেন। তবে এই বিষয়গুলো শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে। এই লোকদের বেছে বেছে মারো।’

    ঐ র‌্যালিতে অংশ নেওয়া আরেক সন্ত্রাসী হিন্দু নেতা মহন্ত নাওয়াল কিশোর দাস লোকদেরকে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বলেছে। হোক সেই অস্ত্র বৈধ কিংবা অবৈধ। এই হিন্দু নেতা মাইকে গর্জন করে হিন্দুদের উদ্দেশ্যে বলে, ‘অস্ত্র তুলে নিন। লাইসেন্স করে নিন। যদি লাইসেন্স করতে না পারেন, তবে চিন্তার কিছু নেই। যারা আপনাদেরকে হত্যা করতে আসে, তাদের কি লাইসেন্স আছে? তবে আপনাদের কেন লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে?’

    সে আরও বলে, ‘যদি আমরা সবাই এক হয়ে আসি, তবে দিল্লীর পুলিশ কমিশনারও আমাদেরকে চা খাওয়াবে, আর আমরা যা করতে চাই তাই করতে দেবে।’
    এই উগ্র বক্তব্যের পক্ষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বংশালও সাফাই গায় এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে উসকানি দেয়।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই র‌্যালির আয়োজন করেছে ২৫ বছর বয়সী এক হিন্দুর হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে। তাদের অভিযোগ, মুসলিমরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু দিল্লী পুলিশ তাদের এমন অভিযোগের সত্যতা পায়নি।
    পুলিশ বলছে, নিহত মানিশের মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়েছিল গত বছর। ঐ ঘটনায় করা মামলা উঠিয়ে নিতে চাপ প্রয়োগ করেছিল দুই ব্যক্তি। কিন্তু মানিশ মামলা উঠিয়ে নিতে অস্বীকার করায় তাকে হামলা করা হয়। পুলিশ মনে করে, হামলাকারীরা মানিশের বন্ধু ছিল।

    এই ঘটনাতেই মুসলিম সম্প্রদায়কে জড়িয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নামের সন্ত্রাসী হিন্দু সংগঠনটি র‌্যালি করে। এর মাধ্যমে তারা আবারও প্রমাণ করলো যে, যেকোনো উপায়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ সৃষ্টি করে ভারতীয় মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালানোর পরিস্থিতি তৈরি করাই তাদের লক্ষ্য।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Cut their hands, behead them: Hate speech at VHP’s Delhi rally, Oct 9, 2022, India Today
    https://tinyurl.com/34rksx6x

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বোরকা পরে চুরি করে ধরা পড়লো তিন হিন্দু নারী



    ভারতজুড়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে এক মহা লড়াই যেন শুরু হয়ে গেছে। কখনও সরাসরি হত্যা করে, কখনও বাড়ি গুড়িয়ে দিয়ে, আবার কখনও গণ-বয়কটের ডাক দিয়ে এই যুদ্ধ শুরু করেছে হিন্দুরা। সেই সাথে তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা চর্চা অব্যাহত রেখেছে।
    সম্প্রতি তিনজন বোরকাবৃত মহিলাকে চুরির দায়ে গ্রেফতার করে ভারতীয় পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা যায় যে, তারা আসলে হিন্দু। হিন্দু হয়েও মুসলিম নারীর বেশ ধরে চুরি করছে এরা। তাদেরকে মুসলিম নারীদের পোশাক পরে চুরি করার কারণ কী জিজ্ঞাসা করলেও কোনো সদুত্তর দেয়নি তারা।





    কলামিস্ট ও লেখক ড. আব্দুল্লাহ আল-আমাদি উল্লিখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেন, এই ধরনের ঘটনা কি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংঘটিত হচ্ছে নাকি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হচ্ছে তা অবশ্যই বের করতে হবে।
    উল্লেখ্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, হিন্দু পুরুষরা বোরকা পরে নাচ-গান করছে। এভাবে মুশরিক হিন্দুরা মুসলিম মহিলাদের পর্দার পোশাককে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে যাচ্ছে।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গণহত্যার প্রস্তুতি || মুসলিমদের সম্পূর্ণ বয়কট ও গণহত্যার আহ্বান




      পশ্চিম দিল্লীর বিজেপি সাংসদ উগ্রবাদী পারভেশ ভার্মা গতকাল ৯ অক্টোবর এক সমাবেশে মুসলিম বিদ্বেষী ঘৃণাত্মক বক্তৃতা দিয়েছে। সে হিন্দুদেরকে মুসলমানদের সম্পূর্ণ বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে৷

      ৯ অক্টোবর রবিবার সোস্যাল প্রকাশিত ভিটিওতে দেখা গেছে, ভারতের জাতীয় রাজধানী দিল্লীর ‘বিরাট হিন্দু সভায়’ ভাষণের সময় সে বলছে, মুসলিমদের সম্পূর্ণ বয়কট করতে হবে। পরে সে উপস্থিত হিন্দুদের দু হাত উপরে তুলে মুসলিমদের বয়কট করার প্রতিশ্রুতি নেয়।

      একই সমাবেশে আরেক হিন্দুত্ববাদী নেতা বলেছে, “শোন, ভারতে একটা মসজিদ-মাদ্রাসাও থাকতে দেব না। মুসলিমদের ঘাড় উড়িয়ে দেওয়ার সাহস আছে আমাদের।”

      ৯ অক্টোবর প্রকাশিত আরেকটি ভিটিওতে দেখা গেছে, বিজেপি বিধায়ক উগ্র নন্দ কিশোর গুজ্জর প্রকাশ্যে দিল্লীর গণহত্যায় নিজের অংশগ্রহণের কথা স্বীকার করেছে। এবং মুসলিম গণহত্যায় অন্যদেকে উৎসাহিত করছে।



      ভারতের কথিত বিচার ব্যাবস্থা যদি তাদের বিরুদ্ধে সঠিক কোনো ব্যবস্থা নিত, তাহলে কখনোই তারা অন্যদের গণহত্যা চালাতে উৎসাহ দিতে সাহস করতো না বলেই মনে করেন বিশ্লেষকগণ। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী বিচার ব্যাবস্থা কখনোই তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মুসলিমদের পক্ষে কথা বলেনি, বলবেও না। এটাই ভারতীয় উপমহাদেশের বাস্তবতা।

      হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের শীর্ষ নেতারা প্রকাশ্য দিবালোকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এমন অর্থনৈতিক বয়কটও গণহত্যার আহ্বান করলেও, দালাল মিডিয়াগুলো এব্যাপারে কথা বলেনি। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দাবিদার হিন্দুত্বববাদীরা প্রকাশ্যে মুসলমানদের বয়কটের আহ্বান জানানোর পরও মানবতার ফেরিওয়ালা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নীরব হয়ে আছে।

      উল্লেখ্য, ২০২০ সালের দিল্লি গণহত্যার আগে হিন্দুদের উসকে দেওয়ার জন্য উগ্র ভার্মা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছিল। যে পগরমে অর্ধশতাধিক মুসলিম খুন হয়েছেন। আহত ও ভিটেবাড়ি হারিয়েছেন অগণিত মুসলিম।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. Parvesh Verma, BJP Member of parliament from West Delhi delivers hate speech, calls for complete boycott of Muslims.
      https://tinyurl.com/2s48hxj9
      2. VIDEO LINK:
      https://tinyurl.com/mpb2fd9z
      3. BJP MLA Nand Kishore Gujjar openly admits his participation in Delhi mass violence! Would BJP dare to take any action on him? 👇
      https://tinyurl.com/2a6yk4u3
      4. सुनिए : एक भी मस्जिद-मदरसे नहीं रहने दूंगा, गर्दन उड़ाने की हिम्मत रखता हूं
      https://tinyurl.com/23ycx377
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি কর্তৃক শিক্ষিত রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা



        আরকানে এক শিক্ষিত রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে। গত৮ অক্টোবর সকালে বুথিডং এলাকার গুদাম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যাক্তির নাম শফিকুল ইসলাম (৫৫)। রোহিঙ্গা গ্রামবাসী নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে, সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির সৈন্যরা তাঁকে কোন কারণ ছাড়াই গুলি করে হত্যা করে।

        আরাকানের বৌদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরকান আর্মি এখন নতুন করে রোহিঙ্গাদের জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। মুসলিমদের থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, নারীদের ধর্ষণ ও হত্যাকান্ড এখন তাদের জন্য নিয়মিত ঘটনা। গত ১ অক্টোবর দু’জন রোহিঙ্গা নারীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গণধর্ষণ করে আরাকান আর্মি। আর এখন জানা যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের টার্গেটকৃত হত্যাকান্ডের খবর।



        এছাড়াও সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সামরিক জান্তা উভয়ই বিস্তীর্ণ খালি ভূমি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র রোহিঙ্গা এলাকাকেন্দ্রিক লড়াই করছে। ফলে রোহিঙ্গারা পড়েছেন চরম ঝুঁকিতে; আবার বাধ্য হয়ে এলাকা ছাড়তে চেষ্টা করলেও উভয় সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক হত্যা বা গ্রেফতারের শিকার হচ্ছেন রোহিঙ্গা মুসলিমরা।

        ইসলামি চিন্তাবিদগণের অনেকেই বিষয়টিকে উভয় বাহিনীর ষড়যন্ত্ররের অংশ মনে করছেন। তাছাড়া আরকান আর্মি ও সামরিক জান্তা দু’পক্ষই যেহেতু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, তাই তাদের নিজেদের মধ্যে লড়াই থাকলেও ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের ক্ষেত্রে মনমানসিকতা এক বলেই মনে করা হচ্ছে।

        দালাল মিডিয়া খুব জোরেশোরেই প্রচার করছিলো যে, সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি নাকি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রোহিঙ্গাদের নিপিড়ণ করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে, শিক্ষিত পুরুষদের টার্গেট করে হত্যা করছে। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে আরাকান আর্মি কিংবা সামরিক জান্তা কারো কাছেই নিরাপদ নয় রোহিঙ্গারা।



        তথ্যসূত্র:
        ——–
        1. This morning, a Rohingya, Saya U Shafikul Islam, 55, was shot dead in Guda Pyin (Gudam Fara) village, Buthidaung Township. Many villagers said the Arakan Army troops shot him to death
        https://tinyurl.com/52w3n4cj

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X