ফিলিস্তিনি মুসলিম পরিবারকে গুহায়ও থাকতে দিচ্ছে না সন্ত্রাসী ইসরাইল
ফিলিস্তিনি মুসলিম আহমেদ আমারনাহ, বয়স ৩০। পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। বহুদিন ধরেই নিজের পরিবারের সঙ্গে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের ফারাসিন গ্রামে একটি পাহাড়ি গুহায় বাস করেন তিনি। কিন্তু ইসরাইল এখন বলছে, তাদের এই ঘর অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে। তাই এটা ভেঙে দেয়া হবে। বাড়ি ভেঙে দিতে ইতিমধ্যে একটি নোটিশও জারি করেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। তবে ইসরাইলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আহমেদ।
শুধু আহমেদ আমারনাহের বাড়িই নয়। দখলকৃত পশ্চিম তীরের বহু পরিবারের ঘরবাড়িই ভেঙে দেয়া হয়েছে। আবার অনেককেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার বলছে, এখন থেকে এই অঞ্চলে নতুন কোনো বাড়ি নির্মাণ করতে অবশ্যই ইসরাইলের অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া ইাতমধ্যে যেসব বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোও গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ ও নিষিদ্ধ হলেও ইহুদি বসতি স্থাপনের জন্য পুরো এলাকা জবরদখলের চেষ্টা করছে ইসরাইল।
ইসরাইলের এই দখল দারিত্বের কারণে আহমেদ ও তার মতো অনেকেই ধরেই নিয়েছেন, এরিয়া-সি এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অনুমতি তারা কখনই পাবে না। আর তাই ফারাসিন গ্রামের একপ্রান্তে পাহাড়ি এলাকার একটি প্রাকৃতিক গুহায় পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন আহমেদ। তিনি মনে করেছিলেন, গুহা যেহেতু প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে। তাই ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে না যে, এটা অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া ওই গুহাটি তার নামেই রেজিস্ট্রি করে দিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানেও জোর-জবরদস্তি করে উচ্ছেদ করতে চাইছে ইসরাইলিরা।
আহমেদ তার গুহাবাড়ির মুখ একটি পাথর দিয়ে আটকে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে একটি কাঠের দরজা সেট করেছেন। এরপর গুহাটিকে সুন্দর করে সাজিয়েছেন। একটি রান্নাঘর, পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য একটি থাকার ঘর আর নিজের ও স্ত্রীর জন্য একটি আলাদা ঘর বানিয়ে নিয়েছেন। অতিথির জন্য একটি বসার জায়গাও রয়েছে গুহার মধ্যে।
মা-বাবা আর স্ত্রী-ছেলেমেয়ে নিয়ে গত দেড় বছর ভালোই চলছিল তার সংসার। কিন্তু জুলাই মাসেই তার এই সাজানো-গোছানো গুহাবাড়ি ভেঙে দেয়ার জন্য ইসরাইলের পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করা হয়। আহমেদ একা নন, ফারাসিন গ্রামের অন্তত ২০টি পরিবারকে একই নোটিশ দেয়া হয়েছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের দায়িত্বে থাকা ইসরাইলি সামরিক শাখা সিওজিএটি বলেছে, ফারাসিন গ্রামের কয়েকটি বাড়িকে ভেঙে ফেলার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কারণ ওই অবকাঠামোগুলো ‘যথার্থ কর্তৃপক্ষে অনুমতি ও অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।’
নোটিশের ব্যাপারে আহমেদ বলেছেন, ‘অবৈধভাবে নির্মাণের কথা শুনে তিনি বেশ অবাক হন। তার ভাষায়, ‘ওই গুহা আমি নিজে তৈরি করিনি। সেই প্রাচীনকাল থেকেই এটা এখানেই ছিল।
আহমেদ আরও বলেন, ‘আমার ঠিক বোধগম্য নয়, তারা (ইসরাইল) কিভাবে আমাকে এই গুহায় বসবাস করা বাধা দিতে পারে। প্রাণীরাও গুহায় বাস করে আর তাদেরকে কেউই বের করে দিতে পারে না। তাহলে তারাও আমার সঙ্গে প্রাণীর মতোই আচরণ করুক। আমি এই গুহাতেই থাকবো।’
ফিলিস্তিনি মুসলিম আহমেদ আমারনাহ, বয়স ৩০। পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। বহুদিন ধরেই নিজের পরিবারের সঙ্গে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের ফারাসিন গ্রামে একটি পাহাড়ি গুহায় বাস করেন তিনি। কিন্তু ইসরাইল এখন বলছে, তাদের এই ঘর অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে। তাই এটা ভেঙে দেয়া হবে। বাড়ি ভেঙে দিতে ইতিমধ্যে একটি নোটিশও জারি করেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। তবে ইসরাইলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আহমেদ।
শুধু আহমেদ আমারনাহের বাড়িই নয়। দখলকৃত পশ্চিম তীরের বহু পরিবারের ঘরবাড়িই ভেঙে দেয়া হয়েছে। আবার অনেককেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার বলছে, এখন থেকে এই অঞ্চলে নতুন কোনো বাড়ি নির্মাণ করতে অবশ্যই ইসরাইলের অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া ইাতমধ্যে যেসব বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোও গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ ও নিষিদ্ধ হলেও ইহুদি বসতি স্থাপনের জন্য পুরো এলাকা জবরদখলের চেষ্টা করছে ইসরাইল।
ইসরাইলের এই দখল দারিত্বের কারণে আহমেদ ও তার মতো অনেকেই ধরেই নিয়েছেন, এরিয়া-সি এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অনুমতি তারা কখনই পাবে না। আর তাই ফারাসিন গ্রামের একপ্রান্তে পাহাড়ি এলাকার একটি প্রাকৃতিক গুহায় পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন আহমেদ। তিনি মনে করেছিলেন, গুহা যেহেতু প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে। তাই ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে না যে, এটা অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া ওই গুহাটি তার নামেই রেজিস্ট্রি করে দিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানেও জোর-জবরদস্তি করে উচ্ছেদ করতে চাইছে ইসরাইলিরা।
আহমেদ তার গুহাবাড়ির মুখ একটি পাথর দিয়ে আটকে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে একটি কাঠের দরজা সেট করেছেন। এরপর গুহাটিকে সুন্দর করে সাজিয়েছেন। একটি রান্নাঘর, পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য একটি থাকার ঘর আর নিজের ও স্ত্রীর জন্য একটি আলাদা ঘর বানিয়ে নিয়েছেন। অতিথির জন্য একটি বসার জায়গাও রয়েছে গুহার মধ্যে।
মা-বাবা আর স্ত্রী-ছেলেমেয়ে নিয়ে গত দেড় বছর ভালোই চলছিল তার সংসার। কিন্তু জুলাই মাসেই তার এই সাজানো-গোছানো গুহাবাড়ি ভেঙে দেয়ার জন্য ইসরাইলের পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করা হয়। আহমেদ একা নন, ফারাসিন গ্রামের অন্তত ২০টি পরিবারকে একই নোটিশ দেয়া হয়েছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের দায়িত্বে থাকা ইসরাইলি সামরিক শাখা সিওজিএটি বলেছে, ফারাসিন গ্রামের কয়েকটি বাড়িকে ভেঙে ফেলার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কারণ ওই অবকাঠামোগুলো ‘যথার্থ কর্তৃপক্ষে অনুমতি ও অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।’
নোটিশের ব্যাপারে আহমেদ বলেছেন, ‘অবৈধভাবে নির্মাণের কথা শুনে তিনি বেশ অবাক হন। তার ভাষায়, ‘ওই গুহা আমি নিজে তৈরি করিনি। সেই প্রাচীনকাল থেকেই এটা এখানেই ছিল।
আহমেদ আরও বলেন, ‘আমার ঠিক বোধগম্য নয়, তারা (ইসরাইল) কিভাবে আমাকে এই গুহায় বসবাস করা বাধা দিতে পারে। প্রাণীরাও গুহায় বাস করে আর তাদেরকে কেউই বের করে দিতে পারে না। তাহলে তারাও আমার সঙ্গে প্রাণীর মতোই আচরণ করুক। আমি এই গুহাতেই থাকবো।’
Comment