Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ১২ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ১২ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

    মুসলিমদের মাটিতে পুতে বাড়িঘরে বুলডোজার চালানোর ঘোষণা দিলো হিন্দুত্ববাদী পুলিশ


    কথিত নিরপেক্ষতা রক্ষার আড়ালে থাকা ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের ভয়ঙ্কর চেহারা আবারো প্রকাশ পেয়েছে। একটি উগ্র হিন্দু সমাবেশে উপস্থিত ইউপি সন্ত্রাসী পুলিশ ঘোষণা দিয়েছে যে, মুসলিমদের মাটিতে পুতে দেওয়া হবে এবং তাদের বাড়িঘরে বুলডোজার চালানো হবে।

    সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, উত্তরপ্রদেশের এক উগ্র পুলিশ অফিসার হিন্দু জনতার সমাবেশে ঘোষণা দিয়েছে, দুর্গা পূজার সমাবেশে যাদের ব্যাপারে ব্যাঘাত ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে, সে সব মুসলিমদের মেরে মাটিতে পুতে দিবে এবং তাদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দিবে।

    উত্তর প্রদেশের সুলতানপুরের বলদিরাই এলাকায় গত সোমবার ১০ অক্টোবর হিন্দুরা মুসলিমদের উপর হামলা চালানোর পরে, হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নিয়ে উল্টো মুসলিমদেরকেই হুমকি দিয়েছে সেই উগ্র পুলিশ কর্মকর্তা।

    ঘটনার সূত্রপাত হয় হিন্দুরা দুর্গাপূজা বিসর্জন দেওয়ার নামে একটি মসজিদের কাছে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে মুসলিমদের উসকানি দিতে থাকলে। শত শত উগ্র হিন্দু মাথায় জাফরান ক্যাপ পরে এবং হাতে নাঙ্গা তলোয়ার নিয়ে ডিজে মিউজিকের সাথে নাচতে থাকে। মসজিদে আজান ও নামাজের সময় গানের সাউন্ড কমিয়ে দিতে বলায় উগ্র হিন্দুরা হিন্দুত্ববাদী পুলিশের উপস্থিতিতে মসজিদে ভাঙ্গচুর চালায়। অনেক মুসল্লি গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে মসজিদে আগুন পর্যন্ত লাগিয়ে দেয় তারা।

    মুসলিমদের উপর হামলার পরে একটি হিন্দুত্ববাদী সমাবেশে এ উগ্র পুলিশ অফিসার আবার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে- যারা পূজায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে, সে সব মুসলিমদের মেরে মাটিতে পুতে দিবে এবং তাদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দিবে। ইতিমধ্যে ইউপি পুলিশ সুলতানপুর থানায় নথিভুক্ত একটি এফআইআর করেছে। সেই তালিকা ৫১ জন মুসললিমের নাম রয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

    মাত্র কয়েকদিন আগে গুজরাটে হিন্দু উৎসবে বাধা দেওয়ার অভিযোগে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ কর্তৃক প্রকাশ্যে মুসলিমদের বেত্রাঘাতের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশেও একই ধরণের মিথ্যা অভিযোগে ৩ মুসলিমের বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এখন আবার এলো পুলিশের এমন বক্তৃতা, মুসলিম গণহত্যা শুরু করতে এরা মুখিয়ে আছে বলেই মনে হচ্ছে।

    যদিও হিন্দুদের পক্ষপাতিত্ব করা হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের নতুন কিছু নয়।
    ইতিপূর্বেও যতবার মুসলিমদের উপর হামলা হয়েছে সবগুলোতেই পুলিশের নীরব, কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক সরব ভূমিকা ছিল। হিন্দুত্ববাদী ভারতের পরিবেশ যে মুসলিম নিধনযজ্ঞ বাস্তবায়নে কতটা ‘উপযুক্ত’ হয়ে উঠেছে, হিন্দু উগ্র সমাবেশে পুলিশের এমন হুমকি তারই প্রমাণ বহন করে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. “Send to graves, bulldoze houses”: UP cop swears action against people who disrupted puja rally
    https://tinyurl.com/2addm9u3
    2. Location : Sultanpur, Uttar Pradesh.A cop promised to Hindu crowd to punish those who disrupted the religious rally by “bury them in the soil” & “bulldozing their houses
    https://tinyurl.com/3rw7vrr7
    3. UP cop swears action against people who disrupted puja rally-video link:
    https://tinyurl.com/ycket942
    4. speakers. But the crowd refused. This sparked stone pelting and clashes.According to eyewitnesses from the Muslim community. The Hindu crowd brandishing swords and sticks baged inside, vandalised the mosque and set it to the fire .video link:
    https://tinyurl.com/48tcedvm

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা: সেক্যুলার শিক্ষা ও সমাজ ব্যবস্থার বলি আরও এক শিক্ষার্থী



    বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ‘প্রেমিকার’ ১৫ দিন পর আত্মহত্যা করেছে আবিদ হাসান নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। গতকাল মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সে বিষপান করে আত্মহত্যা করে।

    জানা যায়, সে স্থানীয় জোড়গাছা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। স্কুলে সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থায় ছেলেমেয়ে একত্রে পড়াশোনা করার সুযোগে একই স্কুলের ছাত্রী মোহনা আক্তারের সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। কিছুদিন আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক টানাপোড়নে গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রেমিকা মোহনা আক্তার (১৪) একইভাবে আত্মহত্যা করে। আর গতকাল এলো প্রেমিক আবিদের আত্মহত্যার খবর।

    এরকম ঘটনা শুধু এটিই নয়। স্কুল কলেজে মহামারি আকার ধারণ করেছে অবৈধ প্রেম ও প্রেমঘটিত আত্মহত্যা। এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৯ মাসে আত্মহত্যা করেছে ৪০৪ জন শিক্ষার্থী। যা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে শিক্ষার্থীদের চরিত্রের চরম অধপতনের বার্তাই বহন করছে। আর এসবের পিছনে রয়েছে সেক্যুলার শাসন ব্যবস্থা। যারা উম্মাহর ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত করছে।

    এ ঘটনাগুলো যদি মাদ্রাসায় ঘটোতো, তাহলে এতোক্ষণে দালাল বুদ্ধিজীবী ও হলুদ মিডিয়া এ ঘটনাকে ফলাও করে প্রচার করতো। আর বলা হতো , ‘এই আধুনিক যুগে এসেও মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী চৌদ্দশ বছরের পিছিয়ে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থা আঁকড়ে ধরে আছে। মৌলবাদী গোষ্ঠী দেশের কোমল মতি শিশুদেরট মেধাকে পশ্চাদপদ ও ধ্বংস করে ফেলেছে। তারা জ্ঞান-বিজ্ঞানহীন বর্বর বিধায় মাদ্রাসায় আত্মহত্যা ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। সুতরাং সরকারের উচিত অবিলম্বে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া।’

    কিন্তু এখন যেহেতু স্কুল-কলেজে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, এবং সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থায় এর জন্য দায়ী, পশ্চিমা ও হিন্দুত্ববাদের দালাল বুদ্ধিজীবীরা এখন আর কোন কথা বলবে না। দালাল মিডিও আর প্রচার করবেনা এসব ঘটনা।

    ইসলামি চিন্তাবিদগন তাই অনেক বছর ধরেই হিন্দুত্ববাদী ও পশ্চিমা সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে হটিয়ে শরিয়াহ ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা ফিরিয়া আনার সংগ্রামে আপামর মুসলিম জনসাধারণকে সচেতন ও শরীক করার আহব্বান জানিয়ে আসছেন।



    তথ্যসূত্র:
    ——-
    ১। ‘প্রেমিকার’ ১৫ দিন পর প্রাণ দিলো ‘প্রেমিক’
    https://tinyurl.com/mtfeappu

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সরকারি আবাসিক স্কুলে আরএসএস-এর প্রশিক্ষণ শিবির



      ভারত মানেই এখন হিন্দুত্ববাদ, আর হিন্দুত্ববাদ মানেই আরএসএস। ভারত, হিন্দুত্ববাদ আর আরএসএস এখন একাকার হয়ে গেছে। এই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস এবার রাজ্য সরকার-চালিত আবাসিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা করেছে।

      কর্ণাটক আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোসাইটি বা KREIS নামক একটি সরকার পরিচালিত সংস্থা তাদের নিয়ন্ত্রনাধিন ‘মোরারজি দেশাই আবাসিক স্কুলে’ প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করার জন্য আরএসএস-এর সাথে যুক্ত একটি সংস্থাকে অনুমতি দিয়েছে। সমাজকল্যাণ এবং অনগ্রসর শ্রেণীর কল্যাণ মন্ত্রী কোটা শ্রীনিবাস পূজারির সুপারিশের পর KREIS এই উদ্যোগ নেয়।

      উত্তর কন্নড় জেলার শিরাসি তালুকের কাল্লিতে একটি ক্যাম্প ৭ অক্টোবর শুরু হয় এবং ১৫ অক্টোবর শেষ হবে। ৯ থেকে ১৭ অক্টোবর কোলার জেলার মুলবাগল তালুকের কুটন্দলাহল্লি গ্রামে আরেকটি শিবির পরিচালিত হচ্ছে। সারা ভারতজুড়ে যেন মুসলিমনিধনের প্রশিক্ষণ নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে আরএসএস।

      KREIS-এর নোটে বলা হয়েছে যে ” হিন্দু বালক এবং যুবকরা” প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে যোগ দিবে। কোলারে প্রচারিত একটি পৃথক নোটে আরএসএস জেলা বিভাগ বলেছে যে, অংশগ্রহণকারীদের এই প্রশিক্ষণ শিবিরের জন্য সম্পূর্ণ ‘গণভেশা’ (আরএসএস ইউনিফর্ম) এবং ‘ডান্ডা’ (স্টাফ) সহ আসা উচিত।

      বিশ্লেষকগণ বলেছেন, হিন্দুত্ববাদীরা মুখে বলছে শরীর চর্চার জন্য প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা করছে। কিন্তু তাদের অতীত ও সাম্প্রতিক কার্যক্রমে প্রমাণ করে যে, তারা মুসলিম গণহত্যার জন্যই হিন্দুদের প্রশিক্ষিত করে তুলছে।

      আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যেখানে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন শুধু অস্ত্র রাখার সন্দেহে মুসলিমদের নামে অস্ত্র মামলা দিয়ে আটক করছে, সেখানে হিন্দুরা প্রকাশ্যে অস্ত্রের প্রশিক্ষিণ নিচ্ছে, অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে নাচানাচি করছে আর গণহত্যার শ্লোগান দিচ্ছে- এ ক্ষেত্রে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন তাদের গ্রেফতার না করে উল্টো পাহারার ব্যাবস্থা করছে।

      সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় উপমহাদেশে ইমান ও কুফরের সংঘাতকে তাই খুব দূরবর্তী বিষয় মনে করছেন না বিশ্লেষকরা।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. RSS training camp in government residential schools raises eyebrows (The Hindu)
      https://tinyurl.com/563yvcdb
      https://tinyurl.com/4a9yp4z6



      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        শুকরিয়া আল ফিরদাউস মিডিয়ার মুজাহিদ ভাইদের জন্য!

        Comment


        • #5
          এসব ঘটনায় শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লাহ এর একটা বয়ান খুব মনে পরছে.... সারসংক্ষেপ এমন....
          মুসলিমদের এহেন কঠিন অবস্থার জন্য আমিও দায়ী, আমার একেকটা গুনাহ পুরা উম্মাহর একেকটা অধঃপতন ডেকে আনছে, আমার গুনাহের মাত্রা যত বড় তত বড় অধঃপতন আসছে, আমার গুনাহের পরিমাণ যত বেশি উম্মাহর অধঃপতনের পরিমাণও তত বাড়ছে। :'(
          হে প্রাণ প্রিয় 'উম্মাহর দরদে বেথিত' ভাই! "আমি কি সত্যিই বেথিত?" এ প্রশ্নটা নিজেকে করে দেখুন!
          আমি নিজে অন্তত এ কথায় সত্যবাদি নই (আ'উুজু বিল্লা-হি মিন জা-লিক)
          হে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ! আমাদেরকে সত্যাবাদিদের কাতারে শামিল করুন! আপনার নাফরমানি থেকে আপনি নিজ অনুগ্রহে এ দূর্বল বান্দাদেরকে বাঁচিয়ে রাখুন! হে
          রব্বে কারীম! এসকল ঘটনা গুলো পড়ার সময় ও শুনার সময় আমাদের মনে যে বেদনার উদ্রেক হয় সেটা স্হায়ী করুন এবং সঠিক সীদ্ধান্তটা সত্যবাদিতা ও ইখলাসের সাথে নেয়ার তাওফিক দান করুন আমিন!

          হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

          Comment

          Working...
          X