বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে বৃদ্ধ কৃষককে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী বাহিনী বিএসএফ’এর নির্যাতন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বাংলাদেশি এক বৃদ্ধ মুসলিম কৃষকের দুই হাত ভেঙে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত ১২ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে শিবগঞ্জ থানাধীন মাসুদপুর সীমান্ত ফাঁড়ির পাশে দশবিঘি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার ওই কৃষকের নাম এসলাম(৬৫)।গুরুতর আহত এসলাম জানান, বুধবার দুপুর ২টার দিকে দশবিঘি এলাকায় নিজের জমিতে পাট কাটতে গেলে কোনো কারণ ছাড়াই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিএসএফের ৬ থেকে ৭ সন্ত্রাসী সদস্য। এসময় তারা বৃদ্ধ মুসলিম কৃষক এসলামের ওপর চড়াও হয়ে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে ওই কৃষকের দুই হাত ভেঙে দিয়ে চলে যায় বিএসএফ সদস্যরা।পরে স্থানীয়রা আহত এসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পরবর্তীতে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য এসলামকে ওই দিনই রাত ৮টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) সেরাজুল ইসলাম বলেন, “বিএসএফ প্রায়ই বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে কৃষকদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার কৃষক এসলামের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। একজন বৃদ্ধ মানুষকে অন্যায়ভাবে মেরে দুই হাত ভেঙে দিয়েছে।”
পৃথিবীর সবচেয় বেশি মানুষ নিহত হয় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে। এবং নিহতদের মধ্যে ভারতের একজনও না, বরং সবাই বাংলাদেশি। ভারত-পাকিস্তানকে গণ্য করা হয় শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো প্রতিবেশী শত্রু রাষ্ট্রের সাথেও ভারত এমন আচরণ করে না, যা করে কথিত বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের সীমান্তে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, সীমান্তে বিএসএফ এখন পর্যন্ত একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকেও হত্যা বা নির্যাতন করেনি। তাহলে এটা স্পষ্ট- তারা বেছে বেছে মুসলিমদেরকেই ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করছে। আর আমাদের তাবেদার সরকার কিছু তো বলছেই না, উল্টো আরো ভারতের সাফাই গাইছে।এর কারণও বর্তমানে সবারই জানা।
হিন্দুত্ববাদীদের সেবাদাস দালাল সরকার ভারতকে কোন কিছু বলতেও পারেনা, বলার ক্ষমতাও রাখেনা। উল্টো তাদের কাছে ক্ষমতার চাবি ভিক্ষা চায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন হিন্দুদের পূজায় গিয়ে এ বিষয়টি স্পষ্ট করেও দিয়েছে। আর অপরাপর সেক্যুলার দলগুলো ক্ষমতায় থাকার সময়ও যে সীমান্তের অবস্থা খুব উন্নত ছিল, সেটাও বলার উপায় নেই। সুতরাং, এটা বলাই যায় যে, হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন শুরু হলেও ক্ষমতাসীনরা সাধারণ মুসলিমদের প্রতি এমন উদাসীন আচরণের ধারাই অব্যাহত রাখবে।
তথ্যসূত্র:
——–
১। সীমান্তে কৃষকের ওপর বিএসএফ-এর নির্যা-তন
– https://tinyurl.com/yzy8afhz
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বাংলাদেশি এক বৃদ্ধ মুসলিম কৃষকের দুই হাত ভেঙে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত ১২ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে শিবগঞ্জ থানাধীন মাসুদপুর সীমান্ত ফাঁড়ির পাশে দশবিঘি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার ওই কৃষকের নাম এসলাম(৬৫)।গুরুতর আহত এসলাম জানান, বুধবার দুপুর ২টার দিকে দশবিঘি এলাকায় নিজের জমিতে পাট কাটতে গেলে কোনো কারণ ছাড়াই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিএসএফের ৬ থেকে ৭ সন্ত্রাসী সদস্য। এসময় তারা বৃদ্ধ মুসলিম কৃষক এসলামের ওপর চড়াও হয়ে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে ওই কৃষকের দুই হাত ভেঙে দিয়ে চলে যায় বিএসএফ সদস্যরা।পরে স্থানীয়রা আহত এসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পরবর্তীতে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য এসলামকে ওই দিনই রাত ৮টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) সেরাজুল ইসলাম বলেন, “বিএসএফ প্রায়ই বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে কৃষকদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার কৃষক এসলামের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। একজন বৃদ্ধ মানুষকে অন্যায়ভাবে মেরে দুই হাত ভেঙে দিয়েছে।”
পৃথিবীর সবচেয় বেশি মানুষ নিহত হয় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে। এবং নিহতদের মধ্যে ভারতের একজনও না, বরং সবাই বাংলাদেশি। ভারত-পাকিস্তানকে গণ্য করা হয় শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো প্রতিবেশী শত্রু রাষ্ট্রের সাথেও ভারত এমন আচরণ করে না, যা করে কথিত বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের সীমান্তে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, সীমান্তে বিএসএফ এখন পর্যন্ত একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকেও হত্যা বা নির্যাতন করেনি। তাহলে এটা স্পষ্ট- তারা বেছে বেছে মুসলিমদেরকেই ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করছে। আর আমাদের তাবেদার সরকার কিছু তো বলছেই না, উল্টো আরো ভারতের সাফাই গাইছে।এর কারণও বর্তমানে সবারই জানা।
হিন্দুত্ববাদীদের সেবাদাস দালাল সরকার ভারতকে কোন কিছু বলতেও পারেনা, বলার ক্ষমতাও রাখেনা। উল্টো তাদের কাছে ক্ষমতার চাবি ভিক্ষা চায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন হিন্দুদের পূজায় গিয়ে এ বিষয়টি স্পষ্ট করেও দিয়েছে। আর অপরাপর সেক্যুলার দলগুলো ক্ষমতায় থাকার সময়ও যে সীমান্তের অবস্থা খুব উন্নত ছিল, সেটাও বলার উপায় নেই। সুতরাং, এটা বলাই যায় যে, হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন শুরু হলেও ক্ষমতাসীনরা সাধারণ মুসলিমদের প্রতি এমন উদাসীন আচরণের ধারাই অব্যাহত রাখবে।
তথ্যসূত্র:
——–
১। সীমান্তে কৃষকের ওপর বিএসএফ-এর নির্যা-তন
– https://tinyurl.com/yzy8afhz
Comment