Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ১৫ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ১৫ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

    বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে বৃদ্ধ কৃষককে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী বাহিনী বিএসএফ’এর নির্যাতন




    চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বাংলাদেশি এক বৃদ্ধ মুসলিম কৃষকের দুই হাত ভেঙে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত ১২ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে শিবগঞ্জ থানাধীন মাসুদপুর সীমান্ত ফাঁড়ির পাশে দশবিঘি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নির্যাতনের শিকার ওই কৃষকের নাম এসলাম(৬৫)।গুরুতর আহত এসলাম জানান, বুধবার দুপুর ২টার দিকে দশবিঘি এলাকায় নিজের জমিতে পাট কাটতে গেলে কোনো কারণ ছাড়াই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিএসএফের ৬ থেকে ৭ সন্ত্রাসী সদস্য। এসময় তারা বৃদ্ধ মুসলিম কৃষক এসলামের ওপর চড়াও হয়ে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে ওই কৃষকের দুই হাত ভেঙে দিয়ে চলে যায় বিএসএফ সদস্যরা।পরে স্থানীয়রা আহত এসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

    পরবর্তীতে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য এসলামকে ওই দিনই রাত ৮টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) সেরাজুল ইসলাম বলেন, “বিএসএফ প্রায়ই বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে কৃষকদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার কৃষক এসলামের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। একজন বৃদ্ধ মানুষকে অন্যায়ভাবে মেরে দুই হাত ভেঙে দিয়েছে।”

    পৃথিবীর সবচেয় বেশি মানুষ নিহত হয় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে। এবং নিহতদের মধ্যে ভারতের একজনও না, বরং সবাই বাংলাদেশি। ভারত-পাকিস্তানকে গণ্য করা হয় শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো প্রতিবেশী শত্রু রাষ্ট্রের সাথেও ভারত এমন আচরণ করে না, যা করে কথিত বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের সীমান্তে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, সীমান্তে বিএসএফ এখন পর্যন্ত একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকেও হত্যা বা নির্যাতন করেনি। তাহলে এটা স্পষ্ট- তারা বেছে বেছে মুসলিমদেরকেই ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করছে। আর আমাদের তাবেদার সরকার কিছু তো বলছেই না, উল্টো আরো ভারতের সাফাই গাইছে।এর কারণও বর্তমানে সবারই জানা।

    হিন্দুত্ববাদীদের সেবাদাস দালাল সরকার ভারতকে কোন কিছু বলতেও পারেনা, বলার ক্ষমতাও রাখেনা। উল্টো তাদের কাছে ক্ষমতার চাবি ভিক্ষা চায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন হিন্দুদের পূজায় গিয়ে এ বিষয়টি স্পষ্ট করেও দিয়েছে। আর অপরাপর সেক্যুলার দলগুলো ক্ষমতায় থাকার সময়ও যে সীমান্তের অবস্থা খুব উন্নত ছিল, সেটাও বলার উপায় নেই। সুতরাং, এটা বলাই যায় যে, হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন শুরু হলেও ক্ষমতাসীনরা সাধারণ মুসলিমদের প্রতি এমন উদাসীন আচরণের ধারাই অব্যাহত রাখবে।


    তথ্যসূত্র:
    ——–
    ১। সীমান্তে কৃষকের ওপর বিএসএফ-এর নির্যা-তন
    https://tinyurl.com/yzy8afhz

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বাড়িতে ঢুকে প্রবীণ মুসলিমকে পিটিয়ে খুন : এক মাসেও গ্রেফতার হয়নি কেউ




    ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর, ইউপির বাগপত জেলার বিনাইপুর গ্রামের দাউদ আলি ত্যাগী রাত দশটায় তার বাড়ির রারান্দায় শুয়ে ছিলেন। হঠাৎ ৬-৭টি বাইক তার বাড়িতে আসে। সশস্ত্র হিন্দু যুবকরা কিছু না বলে নেমে হামলা শুরু করে।পরের দেড় মিনিটে তাকে বেলচা, লাঠিসোঁটা ও সাইকেলের শিকল দিয়ে অসংখ্য আঘাত করা হয়। খাট রক্তে লাল হয়ে যায়।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, “জয় শ্রী রাম বলতে ও গুলি করতে করতে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।” জনাব দাউদের মেয়ে লুবনা, এই দৃশ্য দেখেছে পিছনের দরজা থেকে। বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করে বাবার কাছে দৌড়ে যায়। গুরুতর আহত দাউদের মুখ থেকে একটি কথাও বের হয়নি।পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরদিন তার মৃত্যু হয়।

    বিবিসির সাথে কথা বলার সময় লুবনা বলেন, “আমার বাবা ফোনে কথা বলছিলেন। হঠাৎ ৬-৭টি বাইক এসে হাজির। তারা কোন প্রশ্ন না করে সোজা লাঠি দিয়ে মারতে লাগলো। তারা মাথায় লাঠি দিয়ে অসংখ্য আঘাত করে এবং পালিয়ে গেল।…আমি চিৎকার করছিলাম ‘বাবাকে বাঁচাও, বাবাকে বাঁচাও।’ রক্ত ঝরছিল। সে কিছু বলতেও পারেনি, পরের দিন মারা গেল।”

    লুবনা আরও বলেন, “আমি জানি না কেন তারা হামলা করেছে। আমার বাবার কারো সাথে কোনো শত্রুতা ছিল না। এমনকি তিনি বাড়ির বাইরেও তেমন বের হতেন না।”খুনের একমাস পার হয়ে গেলেও হিন্দুত্ববাদী পুলিশ এখন পর্যন্ত হত্যাকারীদের আটক করেনি।জনাব দাউদ ত্যাগী ছিলেন একজন কৃষক এবং তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তিনি তার তিন ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। তার বড় ছেলে শাহরুখ ত্যাগী এই বছর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া থেকে এমএসসি টেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।


    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. On September 2, 2022, Dawood Ali Tyagi of Vinaipur village in Baghpat district of UP was lying outside his house at ten o’clock in the night. Suddenly, 6-7 bikes stopped. Armed Hindu youth got down and started attacking without saying anything.
    https://tinyurl.com/3e8hv4m9
    2. bbc hindi news:
    https://tinyurl.com/35k4euca
    3. video link:
    https://tinyurl.com/45pyd4hw
    4. “We still don’t know why he was killed,” says children of Muslim man lynched in UP
    https://tinyurl.com/yjmrax48


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বোরকা পরলে লাখ টাকা জরিমানার বিধান করছে ইসলাম বিদ্বেষী সুইজারল্যান্ড



      জনসাধারণের নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে এক চরম ইসলাম বিদ্বেষী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সুইজারল্যান্ড। প্রকাশ্যে চলাফেরা করার সময়ে কেউ যদি মুখ ঢেকে রাখা পোশাক পরে, তাহলে তাকে এক লাখ ডলার জরিমানা দিতে হবে, এমন আইন প্রণয়ন করার জন্য খসড়া জমা দিয়েছে সুইজারল্যান্ডের সরকার।

      কাগজে কলমে মুখ ঢেকে রাখার বিষয়টিকে অপরাধ হিসেবে দেখানো হলেও, বাস্তবে আসলে এটি হচ্ছে বোরকা নিষিদ্ধ করার হাতিয়ার। গত বছরই প্রকাশ্যে বোরকা পরা নিয়ে গণভোট করেছিল সুইজারল্যান্ড। তথাকথিত সভ্য ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী দেশটির ৫১.৬ শতাংশ মানুষ বোরকা নিষদ্ধ করার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই খসড়া পারলামেন্টে জমা দিয়েছে দেশটির সরকার।

      যদিও তখন ইসলাম বিদ্বেষী হিসাবে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিল দেশটি, তা সত্বেও বোরকা নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করে সুইজারল্যান্ড। দীর্ঘ আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, হিজাব ও বোরকা পরাকে অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করে দণ্ডবিধির আওতায় আনা হবে। সেই সঙ্গে মোটা অংকের জরিমানাও স্থির করা হয়।

      দৈনিক ইনকিলাবের তথ্যমতে, সুইস সরকারের তরফে বলা হয়েছে, শাস্তি দেওয়া তাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই এই পোশাকগুলি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী হামলার সময়ে দেখা গিয়েছে, আততায়ীরা নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখার জন্য বোরখা পরেছে। সুইস সরকারের একাংশের দাবি, বোরখা-হিজাবের মতো পোশাক নিষিদ্ধ করে দিলে নারী-পুরুষের মধ্যে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে অনেকেরই অনুমান, সুইজারল্যান্ডের সরকার অতি দক্ষিণপন্থী। সে দেশে বসবাসকারী মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয় বলেই অভিযোগ রয়েছে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে।

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X