বাংলাদশি জেলেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা, ইলিশ ধরছে ভারতীয় জেলেরা
বাংলাদেশে ৭-২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশ রক্ষা অভিযান শুরু করেছে সরকার। এ সময় পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি ও মজুত নিষিদ্ধি থাকবে। তবে বাংলাদেশে মাছ ধরা নিষিদ্ধ হলেও, ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে টনকে টন মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলেরা।
বাংলাদেশি জেলেদের বেশিরভাগই গরিব। তাদের অনেকেই দিনে আনে দিনে খায়, এবং অন্য কোন পেশাও তাদের জানা নেই। দালাল সরকার অসহায় এই জেলেদের কোন চিন্তা না করেই প্রতি বছর মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। ফলে মাছ শিকারের নিষিদ্ধ এ সময়গুলোতে জেলেরা পরিবার নিয়ে পড়েন ভোগান্তিতে। তবে লোকদেখানো কিছু ত্রান দিয়ে জেলেদের ওপর দায়িত্ব আদায় করছে সরকার, কিন্তু ত্রানের নামে চাল ছাড়া আর কিছু দেয় না দালাল সরকার। আর এই চালও সবাইকে না দিয়ে, শুধুমাত্র নিবনন্ধনকৃত পছন্দের কিছু জেলেকে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা এলাকার জেলে সেলিম মাঝি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অবরোধে মোগো মাছ সব ভারতীয়রা ধইরা লইয়া যায়। মোগো মাছ মোরা ধরতে পারি না। সরকাররে কই, মোগো চাউল লাগবে না, ভারতীয়গো মাছ ধরা ঠ্যাকান। অবরোধ শুরু হওয়ার পর বেকার বসে আছি। মৌসুমের শুরুতে ৬৫ দিন ও মৌসুমের শেষের দিকে আরো ২২ দিন মোট ৭৭ দিন বইসে থাকতে হয় আমাদের।’
সেলিমের মতো উপকূলের হাজার হাজার জেলের বেকার সময় কাটে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময়ে। এসময় সরকারি খাদ্য সহায়তার আওতায় থাকে নিবন্ধিত জেলেরা। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় প্রান্তিক জেলেরা অন্য কাজ করলেও, গভীর সমুদ্রগামী জেলেরা বসে থাকেন।
উল্লেখ্য যে, দালাল সরকার প্রতি বছর হিন্দুদের পূজা উপলক্ষে লাখ লাখ টন ইলিশ ভারতকে উপহার দেয়। ফলে প্রতি বছর ইলিশের মৌসুমে বাংলাদেশের বাজারগুলোতে ইলিশ না থাকলেও, ভারতের বাজারে থাকে বাংলাদেশি ইলিশে সয়লাভ। দালাল সরকার একদিকে গরিব জেলেদের আয় রজগারের পথ বন্ধ করে নিপিড়ন করছে, অন্যদিকে ইলিশের মৌসুমে ইলিশ দেশের মানুষকে না দিয়ে ভারতে পাচার করে দেশের মানুষকে ইলিশ থেকে বঞ্চিত করছে।
তথ্যসূত্র:
——-
১। ‘মোগো চাউল লাগবে না, ভারতীয়গো মাছ ধরা ঠ্যাকান’-
– https://tinyurl.com/s34b2h5c
বাংলাদেশে ৭-২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশ রক্ষা অভিযান শুরু করেছে সরকার। এ সময় পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি ও মজুত নিষিদ্ধি থাকবে। তবে বাংলাদেশে মাছ ধরা নিষিদ্ধ হলেও, ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে টনকে টন মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলেরা।
বাংলাদেশি জেলেদের বেশিরভাগই গরিব। তাদের অনেকেই দিনে আনে দিনে খায়, এবং অন্য কোন পেশাও তাদের জানা নেই। দালাল সরকার অসহায় এই জেলেদের কোন চিন্তা না করেই প্রতি বছর মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। ফলে মাছ শিকারের নিষিদ্ধ এ সময়গুলোতে জেলেরা পরিবার নিয়ে পড়েন ভোগান্তিতে। তবে লোকদেখানো কিছু ত্রান দিয়ে জেলেদের ওপর দায়িত্ব আদায় করছে সরকার, কিন্তু ত্রানের নামে চাল ছাড়া আর কিছু দেয় না দালাল সরকার। আর এই চালও সবাইকে না দিয়ে, শুধুমাত্র নিবনন্ধনকৃত পছন্দের কিছু জেলেকে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা এলাকার জেলে সেলিম মাঝি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অবরোধে মোগো মাছ সব ভারতীয়রা ধইরা লইয়া যায়। মোগো মাছ মোরা ধরতে পারি না। সরকাররে কই, মোগো চাউল লাগবে না, ভারতীয়গো মাছ ধরা ঠ্যাকান। অবরোধ শুরু হওয়ার পর বেকার বসে আছি। মৌসুমের শুরুতে ৬৫ দিন ও মৌসুমের শেষের দিকে আরো ২২ দিন মোট ৭৭ দিন বইসে থাকতে হয় আমাদের।’
সেলিমের মতো উপকূলের হাজার হাজার জেলের বেকার সময় কাটে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময়ে। এসময় সরকারি খাদ্য সহায়তার আওতায় থাকে নিবন্ধিত জেলেরা। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় প্রান্তিক জেলেরা অন্য কাজ করলেও, গভীর সমুদ্রগামী জেলেরা বসে থাকেন।
উল্লেখ্য যে, দালাল সরকার প্রতি বছর হিন্দুদের পূজা উপলক্ষে লাখ লাখ টন ইলিশ ভারতকে উপহার দেয়। ফলে প্রতি বছর ইলিশের মৌসুমে বাংলাদেশের বাজারগুলোতে ইলিশ না থাকলেও, ভারতের বাজারে থাকে বাংলাদেশি ইলিশে সয়লাভ। দালাল সরকার একদিকে গরিব জেলেদের আয় রজগারের পথ বন্ধ করে নিপিড়ন করছে, অন্যদিকে ইলিশের মৌসুমে ইলিশ দেশের মানুষকে না দিয়ে ভারতে পাচার করে দেশের মানুষকে ইলিশ থেকে বঞ্চিত করছে।
তথ্যসূত্র:
——-
১। ‘মোগো চাউল লাগবে না, ভারতীয়গো মাছ ধরা ঠ্যাকান’-
– https://tinyurl.com/s34b2h5c
Comment