Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৩রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ২০ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৩রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ২০ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

    হিন্দুত্ববাদী ভারতঃ মিথ্যা মামলায় নাবালক মুসলিমকে ২.৯ লক্ষ রুপি জরিমানা



    মধ্যপ্রদেশের খারগোনে সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে ১২ বছর বয়সী এক মুসলিম ছেলেকে ২.৯ লক্ষ রুপি জরিমানা করেছে হিন্দুত্ববাদী আদালত।

    এই বছরের এপ্রিলে সংঘটিত রাম নবমীতে হিন্দুদের সহিংসতায় মুসলিমদের জান মালের পাশাপাশি অনেক সরকারী সম্পত্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুসলিমদের জান মাল বিনষ্টকারী উগ্র হিন্দুদের বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। অথচ সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করার দায়ভার চাপানো হচ্ছে হামলার শিকার হওয়া মুসলিমদের উপর।

    তারই অংশ হিসেবে, মধ্যপ্রদেশ প্রিভেনশন অ্যান্ড রিকভারি অফ ড্যামেজেস টু পাবলিক প্রপার্টি অ্যাক্টের অধীনে খারগোনের ঐ নাবালক মুসলিমকে জরিমানা করা হয়েছে। তার বাবা কালু খানকেও একই অভিযোগে ৪.৮ লক্ষ রুপি জরিমানা করেছে হিন্দুত্ববাদী আদালত।

    কেউ সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করলে, এই কথিত আইনের অধীনে সরকার অপরাধীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে। জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া এই আইনের আওতায় মুসলিমদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে।

    কালু খান ও তার নাবালক ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলায়, উগ্র হিন্দু প্রতিবেশীরা দাবি করেছে, বাবা ও ছেলে সহিংসতার সময় হিন্দুদের বাড়িতে ডাকাতি ও ভাঙচুর করেছে।

    অথচ, কালু খান বলেছেন, “আমার ছেলে নাবালক। আর সহিংসতার সময় আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। সহিংসতায় আমাদের আত্মীয় স্বজনরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা এই হামলার বিচার চাই।”

    গত ১০ এপ্রিল, খারগোনের তালাব চক এলাকায় রাম নবমী মিছিলের পর হিন্দুরা উচ্চস্বরে উত্তেজক গান বাজাতে থাকে। সেখানকার মুসলিমরা এ ব্যাপারে আপত্তি জানালে উগ্র হিন্দুরা নিরাপরাধ মুসলিমদের উপর চড়াও হয়।

    হিন্দু সন্ত্রাসীদের আক্রমণে একজন মুসলিম নিহত এবং কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন। সেসময় মুসলিমদের দশটি বাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে উগ্র হিন্দুরা। পরদিন ১১ এপ্রিল, একই ঘটনার জেরে মধ্যপ্রদেশ হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ নির্বিচারে খারগোনে বসবাসরত মুসলমানদের বাড়িঘর এবং দোকান ভেঙে দেয়।

    এসকল ঘটনায় ক্ষতিগস্ত হওয়ায় ত্রাণ সহায়তা চেয়ে একটি আবেদনও করেছিলেন কালু খান। তার আইনজীবী মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চের সামনে ঐ আবেদনটি উত্থাপন করেন। হিন্দুত্ববাদী আদালত আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে খানের পরিবারকে ট্রাইব্যুনালে যেতে বলে। ট্রাইব্যুনালও পরবর্তীতে আবেদনটি খারিজ করে দেয়।

    এদিকে খানের নাবালক ছেলেকে ২৭০ জন প্রাপ্তবয়স্কের সাথে একই আইনের অধীনে বিচার করা হচ্ছে। অথচ, ভারতীয় আইনের অধীনে, ১২ বছর বয়সী কাউকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিচার করা যাবে না। যেকোন ভারতীয় অপরাধমূলক কার্যক্রমে আদালত আইন অনুসারে শুধুমাত্র একটি কিশোর বিচার বোর্ড তার বিচার করতে পারে। কিন্তু মুসলিমদের বেলায় সেই আইনের তোয়াক্কা করছে না হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় আদালত।

    ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন থেকে শুরু করে উগ্র হিন্দু জনগণ কারও হাতেই বর্তমানে মুসলিমদের জান-মালের কোন নিরাপত্তা নেই। কেবল মাত্র মুসলিম হওয়ার অপরাধে, একদিকে মিথ্যা অভিযোগে উগ্র হিন্দুরা মুসলিমদের বাড়ি ঘরে সন্ত্রাসী আক্রমণ চালাচ্ছে। অন্যদিকে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনও মুসলিমদেরকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করছে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Khargone: 12-year-old Muslim boy asked to pay Rs 2.9 lakh for property damage
    https://tinyurl.com/37xshwup
    2. मध्य प्रदेश में 12 साल के मुस्लिम बच्चे को 2.9 लाख रुपये की वसूली का नोटिस
    https://tinyurl.com/2jdpfk3b

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতঃ হিজাবের কারণে মুসলিম ছাত্রীকে দেশবিরোধী অ্যাখ্যা দিয়েছে উগ্র হিন্দু শিক্ষক



    কর্ণাটক থেকে হিজাব বিতর্ক শুরু হলেও ধীরে ধীরে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসলিম মহিলাদের প্রতি হিন্দুত্ববাদীদের বৈষম্যের বহু ঘটনা সামনে এসেছে। এবার হিজাবের কারণে হিন্দুদের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বিহারের বেশ কয়েকজন মুসলিম ছাত্রী।

    বিহারের মুজাফফরপুর এলাকায় পরীক্ষা দিতে আসা হিজাব পরিহিত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছে এক উগ্র হিন্দু শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে মহন্ত দর্শন দাস মহিলা কলেজে।

    এক ছাত্রী জানান, কলেজের সেন্ট আপ পরীক্ষার সময় এক হিন্দু শিক্ষক মুসলিম মেয়েদের হিজাব খুলে ফেলতে বলে। মুসলিম মেয়েরা তাকে বলেন, আপনি মহিলা গার্ডকে ডেকে পরীক্ষা করুন। কোনো আপত্তিকর জিনিস বের হলে শাস্তি দিবেন।

    ছাত্রীদের অভিযোগ, মহিলা গার্ড ছাত্রীদের চেক করার সময় শিক্ষক শশী ভূষণ ছাত্রীদের দেশবিরোধী বলে অভিহিত করেছে। উপস্থিত অন্যান্য হিন্দু শিক্ষকরাও মুসলিম ছাত্রীদের ব্যাঙ্গ করেছে। তারা বলেছে, “তোমরা এখানে (ভারতে) থাকো আর ঐখানের (পাকিস্তানের) গান করো। তাহলে পাকিস্তানে চলে যাও।”

    অমুসলিমরা ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে, পক্ষান্তরে মুসলিম নারীরা আল্লাহর দেয়া বিধান পর্দা পালনের জন্য শালীন-পোষাক হিজাব পড়লেই তাদের বিদ্বেষ ফুটে উঠে।

    সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে ইসলামের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীদের বিদ্বেষ চরমে পৌঁছেছে। গত মার্চ মাসে ভারতের কর্ণাটক আদালত রায় দিয়েছে যে, হিজাব ইসলামের অবশ্য পালনীয় কোন বিধান নয়।

    এদিকে গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডে বুরকা নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ হিসেবে দেশটির সরকার মুখ ঢাকা পোশাক পরিধান করলে প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করেছে।

    সার্বিক দৃষ্টিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, পুরো বিশ্বই আজ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে।



    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. मुजफ्फरपुर MDDM कॉलेज में हिजाब हटाने के लिए छात्राओं को किया मजबूर, टीचर ने कहा-चले जाओ पाकिस्तान
    https://tinyurl.com/bddcnbbs

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পূর্ব তুর্কীস্তানঃ নেই উইঘুর-ভাষার জরুরী পরিষেবা; বাড়ছে মৃতের সংখ্যা



      করোনা লকডাউন তুলে নেওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার দরুণ মৃত্যুবরণ করেছেন পূর্ব তুর্কীস্তানের বেশ কিছু মুসলিম। উইঘুর মুসলিমদের অভিযোগ, দখলদার কর্তৃপক্ষ উইঘুর ভাষায় “জরুরি পরিষেবা” না দেয়ায় চিকিৎসার অভাবে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

      পূর্ব তুর্কীস্তানের ঘুলজা শহরের ইমার্জেন্সি রিলিফ কমান্ড সেন্টারের একজন কেরানি রেডিও ফ্রি এশিয়াকে বলেন, “অনেক উইঘুর মুসলিম জরুরী সেবা পেতে ফোন দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সাথে কথা বলার জন্য কোনও উইঘুরভাষী আমাদের এখানে নেই।”

      তিনি আরও বলেন, “উইঘুর-ভাষীদেরকে প্রথমে আমরা পার্শ্ববর্তী দ্বিভাষিক কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলি। এরপর সেই কমিটির কর্মকর্তারা আমাদের ফোন করলে আমরা পুরো ব্যপারটি বুঝতে পারি।”

      কখনও কখনও ভাষার এই সমস্যার জন্য জরুরী পরিষেবা পেতে ঘন্টার পর ঘন্টাও অপেক্ষা করতে হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় উইঘুর মুসলিমরা। এই ধরনের অসুবিধার কারণে খোরগাস শহরেও বেশ কিছু মুসলিম মৃত্যুবরণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

      উল্লেখ্য, ঘুলজা শহরে প্রায় পাঁচ লাখ উইঘুর মুসলিম বসবাস করেন। সেখানে আগস্টের প্রথম দিক থেকেই লকডাউন জারি করে দখলদার চীন সরকার। উক্ত লকডাউনে প্রশাসনের অবহেলায় অনাহার ও ঔষধের অভাবে মৃত্যু হয়েছে সেখানকার শত শত মুসলিমের।

      দখলদাররা সম্প্রতি সেখানে লকডাউন তুলে নিয়েছে। তা সত্ত্বেও মুসলিমদের মৃত্যুর মিছিল থামেনি। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে যে, “উইঘুর-ভাষার জরুরি পরিষেবার” অভাবে মৃত্যুবরণ করছে সেখানকার মুসলিমরা।

      মূলত, উইঘুর মুসলিমদের উপর জোরপূর্বক চীনা ভাষা চাপিয়ে দিতে উইঘুর ভাষাকে সীমিতকরণ করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে দখলদার চীনা প্রশাসন। একারণেই উইঘুর ভাষায় কোন জরুরি পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়নি।



      তথ্যসূত্রঃ
      ———
      1. Lack of Uyghur-language emergency services leads to more deaths in Xinjiang
      https://tinyurl.com/595rvycp

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        জায়োনিস্ট আগ্রাসনঃ নয় মাসে গ্রেফতার ৫৩০০ ফিলিস্তিনি


        দখলদার ইসরাইলি বাহিনী একজন ফিলিস্তিনি যুবককে আল-আকসা প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে। সূত্রঃ টুইটার


        চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩০০ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে দখলদার সন্ত্রাসী ইসরাইল। ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি (পিপিএস) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

        পিপিএস এর তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১১১ জন নারী এবং ৬২০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু। আর সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে অধিকৃত জেরুজালেম থেকে।



        ধূর্ত ইহুদিরা যখনই কোন গোপন মিশন বাস্তবায়ন করতে চায়, ঠিক তখনই মুসলিমদের ওপর আগ্রাসন শুরু করে। সম্প্রতি জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী বানানোর জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইল। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যায়ভাবে এসব গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে।

        এ লক্ষ্যে বছরের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনি গ্রাম, শহর এবং শরণার্থী শিবিরগুলোতে গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়ে আসছে উগ্র ইসরাইলীরা। এসব অভিযান থেকে বাদ পড়েনি নারী ও শিশুরাও। বিভৎস কায়দায় ফিলিস্তিনি নারীদের ওপর নির্যাতনের চিত্র এখন নিয়মিত ঘটনা। অনেক ফিলিস্তিনিকে তাদের নিজ বাড়িতেই হত্যা করেছে এই জায়নবাদী সন্ত্রাসীরা।

        পশ্চিম তীরে এসব অন্যায় ও অবৈধ অভিযানে এখন পর্যন্ত শতাধিক ও গাজায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত অনেক ফিলিস্তিনিকে কোন বিচার ছাড়াই মাসের পর মাস কারাগারে আটকে রাখছে। সুস্পষ্টভাবেই এগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।

        এমন অমানবিক ঘটনাসমূহের পরও বিশ্ব সম্প্রদায়, কথিত জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো একেবারে চুপ করে আছে। বরং সন্ত্রাসী ইসরাইলের মানবাধিকার বিরোধী কার্যক্রমকে সমর্থন করছে। অথচ তারাই কথিত সন্ত্রাসবাদের অযুহাত তুলে ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে হামলা করেছিল। তাদের হাতে খুন হয়েছে লক্ষ লক্ষ মুসলিম।



        তথ্যসূত্র:
        ——-
        1. Israel’s crimesReport
        ‘Israel’ arrested 5300 Palestinians since start of 2022, says watchdog
        https://tinyurl.com/2p8nnf4m

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X