হিন্দুত্ববাদী ভারতঃ মিথ্যা মামলায় নাবালক মুসলিমকে ২.৯ লক্ষ রুপি জরিমানা
মধ্যপ্রদেশের খারগোনে সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে ১২ বছর বয়সী এক মুসলিম ছেলেকে ২.৯ লক্ষ রুপি জরিমানা করেছে হিন্দুত্ববাদী আদালত।
এই বছরের এপ্রিলে সংঘটিত রাম নবমীতে হিন্দুদের সহিংসতায় মুসলিমদের জান মালের পাশাপাশি অনেক সরকারী সম্পত্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুসলিমদের জান মাল বিনষ্টকারী উগ্র হিন্দুদের বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। অথচ সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করার দায়ভার চাপানো হচ্ছে হামলার শিকার হওয়া মুসলিমদের উপর।
তারই অংশ হিসেবে, মধ্যপ্রদেশ প্রিভেনশন অ্যান্ড রিকভারি অফ ড্যামেজেস টু পাবলিক প্রপার্টি অ্যাক্টের অধীনে খারগোনের ঐ নাবালক মুসলিমকে জরিমানা করা হয়েছে। তার বাবা কালু খানকেও একই অভিযোগে ৪.৮ লক্ষ রুপি জরিমানা করেছে হিন্দুত্ববাদী আদালত।
কেউ সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করলে, এই কথিত আইনের অধীনে সরকার অপরাধীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে। জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া এই আইনের আওতায় মুসলিমদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে।
কালু খান ও তার নাবালক ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলায়, উগ্র হিন্দু প্রতিবেশীরা দাবি করেছে, বাবা ও ছেলে সহিংসতার সময় হিন্দুদের বাড়িতে ডাকাতি ও ভাঙচুর করেছে।
অথচ, কালু খান বলেছেন, “আমার ছেলে নাবালক। আর সহিংসতার সময় আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। সহিংসতায় আমাদের আত্মীয় স্বজনরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা এই হামলার বিচার চাই।”
গত ১০ এপ্রিল, খারগোনের তালাব চক এলাকায় রাম নবমী মিছিলের পর হিন্দুরা উচ্চস্বরে উত্তেজক গান বাজাতে থাকে। সেখানকার মুসলিমরা এ ব্যাপারে আপত্তি জানালে উগ্র হিন্দুরা নিরাপরাধ মুসলিমদের উপর চড়াও হয়।
হিন্দু সন্ত্রাসীদের আক্রমণে একজন মুসলিম নিহত এবং কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন। সেসময় মুসলিমদের দশটি বাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে উগ্র হিন্দুরা। পরদিন ১১ এপ্রিল, একই ঘটনার জেরে মধ্যপ্রদেশ হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ নির্বিচারে খারগোনে বসবাসরত মুসলমানদের বাড়িঘর এবং দোকান ভেঙে দেয়।
এসকল ঘটনায় ক্ষতিগস্ত হওয়ায় ত্রাণ সহায়তা চেয়ে একটি আবেদনও করেছিলেন কালু খান। তার আইনজীবী মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চের সামনে ঐ আবেদনটি উত্থাপন করেন। হিন্দুত্ববাদী আদালত আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে খানের পরিবারকে ট্রাইব্যুনালে যেতে বলে। ট্রাইব্যুনালও পরবর্তীতে আবেদনটি খারিজ করে দেয়।
এদিকে খানের নাবালক ছেলেকে ২৭০ জন প্রাপ্তবয়স্কের সাথে একই আইনের অধীনে বিচার করা হচ্ছে। অথচ, ভারতীয় আইনের অধীনে, ১২ বছর বয়সী কাউকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিচার করা যাবে না। যেকোন ভারতীয় অপরাধমূলক কার্যক্রমে আদালত আইন অনুসারে শুধুমাত্র একটি কিশোর বিচার বোর্ড তার বিচার করতে পারে। কিন্তু মুসলিমদের বেলায় সেই আইনের তোয়াক্কা করছে না হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় আদালত।
ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন থেকে শুরু করে উগ্র হিন্দু জনগণ কারও হাতেই বর্তমানে মুসলিমদের জান-মালের কোন নিরাপত্তা নেই। কেবল মাত্র মুসলিম হওয়ার অপরাধে, একদিকে মিথ্যা অভিযোগে উগ্র হিন্দুরা মুসলিমদের বাড়ি ঘরে সন্ত্রাসী আক্রমণ চালাচ্ছে। অন্যদিকে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনও মুসলিমদেরকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করছে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Khargone: 12-year-old Muslim boy asked to pay Rs 2.9 lakh for property damage
– https://tinyurl.com/37xshwup
2. मध्य प्रदेश में 12 साल के मुस्लिम बच्चे को 2.9 लाख रुपये की वसूली का नोटिस
– https://tinyurl.com/2jdpfk3b
মধ্যপ্রদেশের খারগোনে সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে ১২ বছর বয়সী এক মুসলিম ছেলেকে ২.৯ লক্ষ রুপি জরিমানা করেছে হিন্দুত্ববাদী আদালত।
এই বছরের এপ্রিলে সংঘটিত রাম নবমীতে হিন্দুদের সহিংসতায় মুসলিমদের জান মালের পাশাপাশি অনেক সরকারী সম্পত্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুসলিমদের জান মাল বিনষ্টকারী উগ্র হিন্দুদের বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। অথচ সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করার দায়ভার চাপানো হচ্ছে হামলার শিকার হওয়া মুসলিমদের উপর।
তারই অংশ হিসেবে, মধ্যপ্রদেশ প্রিভেনশন অ্যান্ড রিকভারি অফ ড্যামেজেস টু পাবলিক প্রপার্টি অ্যাক্টের অধীনে খারগোনের ঐ নাবালক মুসলিমকে জরিমানা করা হয়েছে। তার বাবা কালু খানকেও একই অভিযোগে ৪.৮ লক্ষ রুপি জরিমানা করেছে হিন্দুত্ববাদী আদালত।
কেউ সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করলে, এই কথিত আইনের অধীনে সরকার অপরাধীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে। জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া এই আইনের আওতায় মুসলিমদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে।
কালু খান ও তার নাবালক ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলায়, উগ্র হিন্দু প্রতিবেশীরা দাবি করেছে, বাবা ও ছেলে সহিংসতার সময় হিন্দুদের বাড়িতে ডাকাতি ও ভাঙচুর করেছে।
অথচ, কালু খান বলেছেন, “আমার ছেলে নাবালক। আর সহিংসতার সময় আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। সহিংসতায় আমাদের আত্মীয় স্বজনরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা এই হামলার বিচার চাই।”
গত ১০ এপ্রিল, খারগোনের তালাব চক এলাকায় রাম নবমী মিছিলের পর হিন্দুরা উচ্চস্বরে উত্তেজক গান বাজাতে থাকে। সেখানকার মুসলিমরা এ ব্যাপারে আপত্তি জানালে উগ্র হিন্দুরা নিরাপরাধ মুসলিমদের উপর চড়াও হয়।
হিন্দু সন্ত্রাসীদের আক্রমণে একজন মুসলিম নিহত এবং কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন। সেসময় মুসলিমদের দশটি বাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে উগ্র হিন্দুরা। পরদিন ১১ এপ্রিল, একই ঘটনার জেরে মধ্যপ্রদেশ হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ নির্বিচারে খারগোনে বসবাসরত মুসলমানদের বাড়িঘর এবং দোকান ভেঙে দেয়।
এসকল ঘটনায় ক্ষতিগস্ত হওয়ায় ত্রাণ সহায়তা চেয়ে একটি আবেদনও করেছিলেন কালু খান। তার আইনজীবী মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চের সামনে ঐ আবেদনটি উত্থাপন করেন। হিন্দুত্ববাদী আদালত আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে খানের পরিবারকে ট্রাইব্যুনালে যেতে বলে। ট্রাইব্যুনালও পরবর্তীতে আবেদনটি খারিজ করে দেয়।
এদিকে খানের নাবালক ছেলেকে ২৭০ জন প্রাপ্তবয়স্কের সাথে একই আইনের অধীনে বিচার করা হচ্ছে। অথচ, ভারতীয় আইনের অধীনে, ১২ বছর বয়সী কাউকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিচার করা যাবে না। যেকোন ভারতীয় অপরাধমূলক কার্যক্রমে আদালত আইন অনুসারে শুধুমাত্র একটি কিশোর বিচার বোর্ড তার বিচার করতে পারে। কিন্তু মুসলিমদের বেলায় সেই আইনের তোয়াক্কা করছে না হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় আদালত।
ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন থেকে শুরু করে উগ্র হিন্দু জনগণ কারও হাতেই বর্তমানে মুসলিমদের জান-মালের কোন নিরাপত্তা নেই। কেবল মাত্র মুসলিম হওয়ার অপরাধে, একদিকে মিথ্যা অভিযোগে উগ্র হিন্দুরা মুসলিমদের বাড়ি ঘরে সন্ত্রাসী আক্রমণ চালাচ্ছে। অন্যদিকে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনও মুসলিমদেরকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করছে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Khargone: 12-year-old Muslim boy asked to pay Rs 2.9 lakh for property damage
– https://tinyurl.com/37xshwup
2. मध्य प्रदेश में 12 साल के मुस्लिम बच्चे को 2.9 लाख रुपये की वसूली का नोटिस
– https://tinyurl.com/2jdpfk3b
Comment