Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ২১ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ২১ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

    গার্ডিয়ান পত্রিকায় আফগান যুবককে সমকামী ও নির্যাতনে নিহত বলে অপপ্রচার, ভিডিও বার্তায় যুবকের প্রতিবাদ



    সাইফুল্লাহ আহমাদি নামে এক যুবককে সমকামিতার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করেছে ইসলামি ইমারত আফগানিস্তান, এমনই একটি রিপোর্ট প্রচার করেছিল ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান। কিন্তু এক ভিডিও বার্তায় দ্য গার্ডিয়ানের এই রিপোর্টকে মিথ্যা প্রমাণ করেছেন সাইফুল্লাহ আহমাদি নিজেই।গার্ডিয়ানের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন তিনি।

    সাইফুল্লাহ আহমাদি বলেছেন, তাকে সমকামী হিসেবে প্রচার করে গার্ডিয়ান পত্রিকা তার মর্যাদাহানী করেছে। তার মর্যাদা পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি গার্ডিয়ান পত্রিকার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করবেন। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান আফগান যুবক সাইফুল্লাহ আহমাদির ছবি প্রকাশ করে লিখেছিল, আহমাদি একজন সমকামী ছাত্র। আর তাকে ইসলামি ইমারত আফগানিস্তান কর্তৃপক্ষ নির্যাতন করে হত্যা করেছে।

    গার্ডিয়ানের এই লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিবিসিসহ অন্য আরও কিছু মিডিয়া সংবাদটি প্রচার করে। ইসলাম এবং ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যে মিডিয়া সন্ত্রাস তারা চালিয়ে যাচ্ছে, এরই ধারাবাহিকতায় তারা সংবাদটি প্রচার করছিল। তারা ইসলামি ইমারতকে নির্যাতনকারী হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিল।

    কিন্তু যাকে ঘিরে তাদের অপপ্রচার, সেই যুবকই ভিডিও বার্তায় তাদের মিথ্যাচারের মুখোশ উন্মোচন করে দিলেন। ভুক্তভোগী যুবক যে জীবিত তা তো ভিডিওতে এসে জানানই দিলেন, আর তিনি সমকামীও নন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন।কথিত এসব আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রগুলো এমন ভিত্তিহীন সংবাদ কীভাবে প্রচার করতে পারলো, তাদের নিকট এমন প্রশ্ন মিডিয়া সন্ত্রাসের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী সাইফুল্লাহ-সহ হাজার হাজার মানুষের।

    অবশ্য এই নির্লজ্জ মিডিয়াগুলো ইতঃপূর্বেও ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে এ ধরনের নানা মিথ্যা তথ্য প্র্রকাশ করেছে। বিবিসি একবার সংবাদ প্রচার করেছিল যে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় গর্ভবতী নারী ও শিশু নিহত। এরপরই ইসরায়েলী ইহুদি নেতার মন্তব্যের পরে বিবিসি সংবাদটি সম্পূর্ণ পাল্টিয়ে প্রচার করে যে, গাজার হামলায় ইসরায়েলে গর্ভবতী নারী ও শিশু নিহত!

    এভাবেই বিশ্বজুড়ে হলুদ মিডিয়াগুলো তাদের মনিবদের স্বার্থ রক্ষায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে এমন কোনো অপপ্রচার নাই, যা তারা করে না।তাদের এসব অপকর্মের কারণে যখন আফগানিস্তান ইসলামি ইমারত তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তখন আবার তারা চেঁচামেচি শুরু করে।

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে জ্ঞান দিতে আসে।দ্য গার্ডিয়ানের সাম্প্রতিক এই অপপ্রচারের প্রেক্ষিতে আফগানিস্তান ইসলামি ইমারতের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সকল দেশীয় ও বিদেশী মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর সংবাদ প্রচার করতে দৃঢ়ভাবে বলে দিয়েছেন।


    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Safiullah Ahmadi Strongly Rejects Guardian Newspaper’s Report About Him, 20 October 2022, Bakhtar News Agency
    https://tinyurl.com/3445rpcb
    2. যুবকের ভিডিও বার্তা
    https://tinyurl.com/yrm2pddj

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সাতক্ষীরায় মসজিদের খতিবকে যাচ্ছেতাই অপমান করেছে উগ্র হিন্দু ইউএনও


    সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের প্রশাসন ও উগ্র হিন্দুরা ইসলাম বিদ্বেষের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সালাম না দেয়ার ঠুনকো অজুহাতে সাতক্ষীরায় এক উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব সাহেবকে যাচ্ছেতাই ভাষায় চরম অপমান করেছে সেই উপজেলার উগ্র হিন্দু মহিলা ইউএনও।

    অপমানের শিকার সম্মানিত খতিব মোঃ মতিউর রহমান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা পরিষদ মসজিদের দায়িত্ব পালন করছেন গত তিন বছর যাবত। অপরদিকে উগ্র হিন্দু ইউএনও হচ্ছে রুলি বিশ্বাস।

    মো. মতিউর রহমান অভিযোগ করেন, “গত ১২ রবিউল আওয়াল মহানবী হযরত মোহাম্মদ (ﷺ)-এর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কীভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যায়, সেটি জানার জন্য গত ৮ অক্টোবর ইউএনও স্যারকে ফোন দেই। কিন্তু বেখেয়ালে সালাম দিতে ভুলে যাই। কিছুক্ষণ পর সে আমাকে আবার ফোন ব্যাক করে বলে, আমাকে সালাম করলেন না কেন? আমার স্বাক্ষরে আপনার বেতন হয়। তখন আমি বলেছি, সামনে খেয়াল রাখবো। তখন সে বলেছে, আপনি তো বেয়াদব মানুষের মতো আচরণ করছেন। আপনি নিজে বেয়াদব মানুষকে কী শেখাবেন, বলে বকাবকি করে। তখন আমি আবারও বলি, স্যার সামনে থেকে খেয়াল রাখবো। আমি একটু বেখেয়াল হয়ে গিয়েছিলাম।”

    তিনি আরও বলেন, বুধবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন চিঠি দিয়ে আমাকে মিটিংয়ে আমন্ত্রণ জানালে আমি সেখানে উপস্থিত হই। সেখানে ইউএনও স্যার আমাকে পূর্বের দিনের সালাম না দেয়ার কথা তোলে। তখন আমি বলি, স্যার আমি একটু বেখেয়াল হয়ে গিয়েছিলাম। এছাড়া আমি সবসময় সালাম দেই। তখন সে বলেছে, আমার চেহারা কি এতো ভালো যে আমার চেহারা দেখলে আপনি বেখেয়াল হয়ে যান? অন্যরা তো কেউ বেখেয়াল হয় না। আপনি বেখেয়াল হয়ে যান। বেয়াদব কোথাকার। বের হন, বের হয়ে যান এখান থেকে। যান, বের হয়ে যান। এর আগে বলেছে, ছাগলটা এখনও বের হয়নি! এই বলে সেখান থেকে আমাকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় আমি জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”

    তিনি বলেন, সুনামের সঙ্গে আমরা দায়িত্বপালন করছি। কিন্তু এর আগে কখনও কোনো ইউএনও স্যার এভাবে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি।

    আলেমদের অপমান করার বিষয়ে এই উগ্র হিন্দু মহিলার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। মাস খানেক আগেও একই মসজিদের মোয়াজ্জেম হাফেজ মাসুদুর রহমানকে ঐ উগ্র মালাউন মহিলা বলেছে, “আপনি কি গাঁজা খান?”

    সালামের ক্ষেত্রে ইসলামী বিধান অনুযায়ী আদব হলো, কোন বালেগ পুরুষ কোন বালেগা নারীকে সালাম দিবে না। তার উপর সেই ইউএনও হচ্ছে হিন্দু মুশরিক। কোন কাফের বা মুশরিককে সালাম দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।

    মুসলিমদের রক্ত পানি করা ট্যাক্সের টাকায় বিরাট অঙ্কের সরকারি বেতন পায় এই উগ্র মালাউন মহিলা। অথচ সে একজন সম্মানিত খতিবকে বেতনের খোঁচা দেয়, যাচ্ছেতাই বলে অপমান করে, ছাগল-বেয়াদব বলে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেয়।

    সকল ধর্মের সমান অধিকার, সকল মানুষের মর্যাদা সমান – এ ধরনের ন্যায়ের বুলি আওড়ানো দুমুখো প্রশাসন এই উগ্র হিন্দু মহিলার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিবে না হয়তো। কারণ এই প্রশাসন স্বয়ং নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননার সময় চুপ করে ছিল। এর আগেও হিন্দুত্ববাদী প্রিয়া সাহার দেশদ্রোহী বক্তব্য দিলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

    সার্বিক ভাবে এটি স্পষ্ট যে, বর্তমান প্রশাসন নামে মুসলিম হলেও আসলে হিন্দুত্ববাদের রাম রাজ্য এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    ১. সালাম দিতে ভুল, খতিবকে ‍‍‍ছাগল-বেয়াদব বলে অফিস থেকে তাড়ালেন ইউএনও!
    https://tinyurl.com/yhm4cx5v


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X