ইতিহাস বদলে দিতে ইসলামী স্থাপনাগুলো ধ্বংস করতে চায় সন্ত্রাসী মায়ানমার
রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মায়ানমার প্রশাসন ও উগ্র বৌদ্ধদের পরিচালিত আগ্রাসন কোন নতুন বিষয় নয়। মায়ানমার সেনাবাহিনীর দ্বারা পরিকল্পিত এই জাতিগত নিধন সেই ১৯৬০-এর দশক থেকেই চলে আসছে।১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশের অবসান ঘটলে মায়ানমার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর ১৯৬২ সালে মায়ানমারে সেনা শাসনের শুরু হয়। তখন থেকেই রোহিঙ্গাদের উপর নানা প্রকার অত্যাচার ও নিপীড়ন অব্যাহত থাকে।
পাশাপাশি, ইসলাম বিদ্বেষী মায়ানমারে উগ্র বৌদ্ধরাও হিন্দুত্ববাদীদের মতো মুসলিমদের এলাকা ছাড়া করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। মুসলিমদের উৎখাত করতে তারা সবসময় রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেছে। হোক সেটি সামরিক জান্তা সরকার বা তথাকথিত গণতান্ত্রিক অং সান সুচি সরকার। এরা সবাই মুসলিমদের নিপীড়ন, নির্যাতন করে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের সমর্থন নেয়ার চেষ্টা করেছে। আর রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনকে বৈধতা দেয়ার জন্য বার বার তাদেরকে বহিরাগত ট্যাগ দেয়া হয়েছে।
১৯৭৮ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের জাতিগত বিদ্বেষ ও হামলা চূড়ান্তে পৌছালে প্রায় ২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। এ মুসলিম গণহত্যায় সে সময়ও বিশ্ব সম্প্রদায় নীরবতা পালন করেছে। এতে বর্বর বৌদ্ধরা আরও বেশি উদ্ধত হয়ে উঠে। এরপর ১৯৮২ সালে সরকারিভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে বহিরাগত আখ্যা দিয়ে তাদের নাগরিকত্ব হরণ করে।
মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে ১৮২৩ সালের পূর্বে কারো পূর্বপুরুষ বার্মাতে স্থায়ীভাবে থাকলেই কেবল কেউ নাগরিকত্ব পেতে পারবে। কিন্তু রোহিঙ্গারা আরাকানে ষোড়শ শতাব্দীর আগে থেকে বসবাস করলেও তাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদান করেনি গাদ্দার প্রশাসন।উল্টো দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের সকল চিহ্ন ও পরিচয় মুছে ফেলার জন্য আরাকানের ঐতিহাসিক ইসলামি স্থাপত্যগুলো ধ্বংস করেছে মায়ানমার সরকার। আরাকান ও চিন রাজ্যের কয়েক শতাব্দী পুরাতন ইসলামিক স্থাপত্য ধ্বংস করেছে মায়ানমার সরকার।এত কিছুর পরও আরাকানে এমন কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে যেগুলো বহু শতাব্দী ধরে সেখানে বসবাসকারী মুসলিমদের পরিচয় বহন করে আসছে। এগুলোর মধ্যে ১৮৫৯ সালে নির্মিত একটি মসজিদ উল্লেখযোগ্য। মুসলিমদের পরিচয় মুছে দিতে ২০১২ সালে আরাকানের এই ঐতিহাসিক মসজিদটি ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল মায়ানমার সরকার। বর্তমানে এই মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে সন্ত্রাসী বৌদ্ধরা।
উল্লেখ্য যে, আরাকান রাজ্যটি কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছিল ইসলামী ঐতিহ্য অনুসারে। এখানে মুসলিমদের প্রভাব ছিল উল্লেখযোগ্য। সেসময় কিছু মুসলিম শাসককে পরাজিত করে অমুসলিম শাসকরাও ক্ষমতা দখল করেছিল। তবে সেসময় অনেক অমুসলিম শাসকও মুসলিম উপাধি গ্রহণ করেই শাসন কার্য পরিচালনা করেছেন বলে ইতিহাসে জানা যায়।অথচ মুসলিমরা দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই ধীরে ধীরে উগ্র বৌদ্ধরা এবং দখলদার প্রশাসন আজ রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর চেপে বসেছে – মুসলিম পুরুষদের নির্বিচারে হত্যা করছে, মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করছে, মুসলিমদের পুড়িয়ে মারছে।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মায়ানমার প্রশাসন ও উগ্র বৌদ্ধদের পরিচালিত আগ্রাসন কোন নতুন বিষয় নয়। মায়ানমার সেনাবাহিনীর দ্বারা পরিকল্পিত এই জাতিগত নিধন সেই ১৯৬০-এর দশক থেকেই চলে আসছে।১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশের অবসান ঘটলে মায়ানমার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর ১৯৬২ সালে মায়ানমারে সেনা শাসনের শুরু হয়। তখন থেকেই রোহিঙ্গাদের উপর নানা প্রকার অত্যাচার ও নিপীড়ন অব্যাহত থাকে।
পাশাপাশি, ইসলাম বিদ্বেষী মায়ানমারে উগ্র বৌদ্ধরাও হিন্দুত্ববাদীদের মতো মুসলিমদের এলাকা ছাড়া করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। মুসলিমদের উৎখাত করতে তারা সবসময় রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেছে। হোক সেটি সামরিক জান্তা সরকার বা তথাকথিত গণতান্ত্রিক অং সান সুচি সরকার। এরা সবাই মুসলিমদের নিপীড়ন, নির্যাতন করে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের সমর্থন নেয়ার চেষ্টা করেছে। আর রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনকে বৈধতা দেয়ার জন্য বার বার তাদেরকে বহিরাগত ট্যাগ দেয়া হয়েছে।
১৯৭৮ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের জাতিগত বিদ্বেষ ও হামলা চূড়ান্তে পৌছালে প্রায় ২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। এ মুসলিম গণহত্যায় সে সময়ও বিশ্ব সম্প্রদায় নীরবতা পালন করেছে। এতে বর্বর বৌদ্ধরা আরও বেশি উদ্ধত হয়ে উঠে। এরপর ১৯৮২ সালে সরকারিভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে বহিরাগত আখ্যা দিয়ে তাদের নাগরিকত্ব হরণ করে।
মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে ১৮২৩ সালের পূর্বে কারো পূর্বপুরুষ বার্মাতে স্থায়ীভাবে থাকলেই কেবল কেউ নাগরিকত্ব পেতে পারবে। কিন্তু রোহিঙ্গারা আরাকানে ষোড়শ শতাব্দীর আগে থেকে বসবাস করলেও তাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদান করেনি গাদ্দার প্রশাসন।উল্টো দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের সকল চিহ্ন ও পরিচয় মুছে ফেলার জন্য আরাকানের ঐতিহাসিক ইসলামি স্থাপত্যগুলো ধ্বংস করেছে মায়ানমার সরকার। আরাকান ও চিন রাজ্যের কয়েক শতাব্দী পুরাতন ইসলামিক স্থাপত্য ধ্বংস করেছে মায়ানমার সরকার।এত কিছুর পরও আরাকানে এমন কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে যেগুলো বহু শতাব্দী ধরে সেখানে বসবাসকারী মুসলিমদের পরিচয় বহন করে আসছে। এগুলোর মধ্যে ১৮৫৯ সালে নির্মিত একটি মসজিদ উল্লেখযোগ্য। মুসলিমদের পরিচয় মুছে দিতে ২০১২ সালে আরাকানের এই ঐতিহাসিক মসজিদটি ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল মায়ানমার সরকার। বর্তমানে এই মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে সন্ত্রাসী বৌদ্ধরা।
উল্লেখ্য যে, আরাকান রাজ্যটি কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছিল ইসলামী ঐতিহ্য অনুসারে। এখানে মুসলিমদের প্রভাব ছিল উল্লেখযোগ্য। সেসময় কিছু মুসলিম শাসককে পরাজিত করে অমুসলিম শাসকরাও ক্ষমতা দখল করেছিল। তবে সেসময় অনেক অমুসলিম শাসকও মুসলিম উপাধি গ্রহণ করেই শাসন কার্য পরিচালনা করেছেন বলে ইতিহাসে জানা যায়।অথচ মুসলিমরা দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই ধীরে ধীরে উগ্র বৌদ্ধরা এবং দখলদার প্রশাসন আজ রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর চেপে বসেছে – মুসলিম পুরুষদের নির্বিচারে হত্যা করছে, মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করছে, মুসলিমদের পুড়িয়ে মারছে।
প্রতিবেদক : মুহাম্মাদ ইব্রাহীম
তথ্যসুত্র:
Arakan mosque symbolising Muslim-Buddhist unity was destroyed to rewrite Myanmar history-
– https://tinyurl.com/43e66m8z
2. This is one of largest and oldest (built in 1859) architecture religious infrastructure as well cultural heritage of Rohingya in Rakhine-
– https://tinyurl.com/mthy2t35
3. ‘No Such Thing as Rohingya’: Myanmar Erases a History-
– https://tinyurl.com/3nhr3adw
4. Muslim Structures Are Being Threatened With Demolition in Burma’s Arakan State-
– https://tinyurl.com/22d5z34n
5. রোহিঙ্গাদের আরাকান রাজ্যের ইতিহাস: রাজ্যসভাকবি দৌলত কাজী ও মহাকবি আলাওলের গৌরবময় স্বর্ণযুগ-
– https://tinyurl.com/3mp6sh9r
– https://tinyurl.com/43e66m8z
2. This is one of largest and oldest (built in 1859) architecture religious infrastructure as well cultural heritage of Rohingya in Rakhine-
– https://tinyurl.com/mthy2t35
3. ‘No Such Thing as Rohingya’: Myanmar Erases a History-
– https://tinyurl.com/3nhr3adw
4. Muslim Structures Are Being Threatened With Demolition in Burma’s Arakan State-
– https://tinyurl.com/22d5z34n
5. রোহিঙ্গাদের আরাকান রাজ্যের ইতিহাস: রাজ্যসভাকবি দৌলত কাজী ও মহাকবি আলাওলের গৌরবময় স্বর্ণযুগ-
– https://tinyurl.com/3mp6sh9r
Comment