Tweet
বজরং দলে যোগ দিন: ভারত জুড়ে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের প্রচারণা
দীর্ঘদিন ধরেই সারা বিশ্বের সাধারণ হিন্দুদেরকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উগ্রবাদী চেতনায় উজ্জীবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হিন্দু্ত্ববাদী সংগঠনগুলো। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আরএসএস সমর্থিত বজরং দল।
এবার তারা কর্মী সংগ্রহে প্রকাশ্যে প্রচারণা শুরু করেছে। লক্ষ লক্ষ হিন্দু যুবকদের উদ্দেশ্য করে এই প্রচারণা শুরু করেছে উগ্রবাদী সংগঠনটি। তারা ঘোষণা দিয়েছে শুধুমাত্র ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী হিন্দুরাই সংগঠনটিতে যোগ দিতে পারবে।
‘Join RSS’ এর আদলে, গত ২০ অক্টোবর থেকে প্রচার শুরু করেছে বজরং দল। তাদের লক্ষ্য, এক মাসে পুরো ভারত জুড়ে তারা কমপক্ষে ১০ লাখ সদস্য সংগ্রহ করবে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব উগ্র মিলিন্দ পারন্দে দিল্লিতে প্রচারাভিযান শুরু করার সময় বলেছে, এই প্রচারণা দেশ-ধর্ম-সংস্কৃতি এর সুরক্ষা, সংরক্ষণ এবং প্রচারে সক্রিয় অবদান রাখতে সহায়তা করবে।
উগ্র পারন্দে আরো বলেছে, আগ্রহী যুবকরা বজরং এর যেকোনো অফিসে গিয়ে বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নাম লিখাতে পারবে। তারপরে সংগঠন থেকে আবেদনকারীদের সাথে যোগাযোগ করা হবে। আগ্রহীদের ক্ষমতা, দক্ষতা এবং তারা কতটা সময় দিতে পারবে তার উপর ভিত্তি করে তাদের জন্য সাংগঠনিক কাজ বরাদ্দ করা হবে।
বজরং দলের জাতীয় আহ্বায়ক হিন্দুত্ববাদী নেতা নীরাজ দনেরিয়া বলে, “বজরং দলের নীতিবাক্য হলো ‘সেবা, সুরক্ষা এবং সংস্কার’।
বজরং দল কীসের সেবা, সুরক্ষা এবং সংস্কারের কথা বলে, তা তাদের সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম থেকেই স্পষ্ট। বজরং দল ভারতজুড়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো এবং মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালানোর কাজে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে।
চলতি বছরের আগস্ট মাসে এক বজরং দল কর্মীর বক্তব্য ভাইরাল হয়। সে বলে, “যদি তোমরা ভারতে বসবাস করতে চাও, তবে বলতে হবে জয় শ্রী রাম। যখন মুসলিমদের জবাই করা হবে, তবে তারা চিৎকার করে বলবে রাম রাম।”
গত জুলাইয়ে কর্ণাটকে ১৯ বছর বয়সী এক মুসলিম তরুণকে খুন করেছিল বজরং দলের একদল সন্ত্রাসী হিন্দু। একই রাজ্যে হালাল মাংস বিক্রির ‘অপরাধে’ একজন মুসলিম ব্যবসায়ীর উপর হামলা করেছিল বজরং দলের সদস্য। হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের এমন অপরাধের তালিকা বহু দীর্ঘ।
হিন্দুত্ববাদীরা ভারতে মুসলিম নিধন করে রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালাতে তারা দেশব্যাপী প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুবক, যুবতীদেরদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। বেসামরিক নাগরিকদেরকেও অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে মুসলিম হত্যার জন্য প্রস্তুত করছে।
তথ্যসূত্র:
1. RSS affiliate Bajrang Dal launches ‘Join Bajrang Dal’ campaign, targets millions of youth (The Hindu)
–https://tinyurl.com/4z3753at
2. video link
– https://tinyurl.com/4rxkkw3c
3. Bajrang Dal Starts 5-day Training Camp For 275 Volunteers In Ayodhya
– https://tinyurl.com/mrmb629t
4. Bajrang Dal organises weapons training for Hindus
– https://tinyurl.com/2p874ryu
দীর্ঘদিন ধরেই সারা বিশ্বের সাধারণ হিন্দুদেরকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উগ্রবাদী চেতনায় উজ্জীবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হিন্দু্ত্ববাদী সংগঠনগুলো। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আরএসএস সমর্থিত বজরং দল।
এবার তারা কর্মী সংগ্রহে প্রকাশ্যে প্রচারণা শুরু করেছে। লক্ষ লক্ষ হিন্দু যুবকদের উদ্দেশ্য করে এই প্রচারণা শুরু করেছে উগ্রবাদী সংগঠনটি। তারা ঘোষণা দিয়েছে শুধুমাত্র ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী হিন্দুরাই সংগঠনটিতে যোগ দিতে পারবে।
‘Join RSS’ এর আদলে, গত ২০ অক্টোবর থেকে প্রচার শুরু করেছে বজরং দল। তাদের লক্ষ্য, এক মাসে পুরো ভারত জুড়ে তারা কমপক্ষে ১০ লাখ সদস্য সংগ্রহ করবে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব উগ্র মিলিন্দ পারন্দে দিল্লিতে প্রচারাভিযান শুরু করার সময় বলেছে, এই প্রচারণা দেশ-ধর্ম-সংস্কৃতি এর সুরক্ষা, সংরক্ষণ এবং প্রচারে সক্রিয় অবদান রাখতে সহায়তা করবে।
উগ্র পারন্দে আরো বলেছে, আগ্রহী যুবকরা বজরং এর যেকোনো অফিসে গিয়ে বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নাম লিখাতে পারবে। তারপরে সংগঠন থেকে আবেদনকারীদের সাথে যোগাযোগ করা হবে। আগ্রহীদের ক্ষমতা, দক্ষতা এবং তারা কতটা সময় দিতে পারবে তার উপর ভিত্তি করে তাদের জন্য সাংগঠনিক কাজ বরাদ্দ করা হবে।
বজরং দলের জাতীয় আহ্বায়ক হিন্দুত্ববাদী নেতা নীরাজ দনেরিয়া বলে, “বজরং দলের নীতিবাক্য হলো ‘সেবা, সুরক্ষা এবং সংস্কার’।
বজরং দল কীসের সেবা, সুরক্ষা এবং সংস্কারের কথা বলে, তা তাদের সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম থেকেই স্পষ্ট। বজরং দল ভারতজুড়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো এবং মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালানোর কাজে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে।
চলতি বছরের আগস্ট মাসে এক বজরং দল কর্মীর বক্তব্য ভাইরাল হয়। সে বলে, “যদি তোমরা ভারতে বসবাস করতে চাও, তবে বলতে হবে জয় শ্রী রাম। যখন মুসলিমদের জবাই করা হবে, তবে তারা চিৎকার করে বলবে রাম রাম।”
গত জুলাইয়ে কর্ণাটকে ১৯ বছর বয়সী এক মুসলিম তরুণকে খুন করেছিল বজরং দলের একদল সন্ত্রাসী হিন্দু। একই রাজ্যে হালাল মাংস বিক্রির ‘অপরাধে’ একজন মুসলিম ব্যবসায়ীর উপর হামলা করেছিল বজরং দলের সদস্য। হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের এমন অপরাধের তালিকা বহু দীর্ঘ।
হিন্দুত্ববাদীরা ভারতে মুসলিম নিধন করে রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালাতে তারা দেশব্যাপী প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুবক, যুবতীদেরদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। বেসামরিক নাগরিকদেরকেও অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে মুসলিম হত্যার জন্য প্রস্তুত করছে।
তথ্যসূত্র:
1. RSS affiliate Bajrang Dal launches ‘Join Bajrang Dal’ campaign, targets millions of youth (The Hindu)
–https://tinyurl.com/4z3753at
2. video link
– https://tinyurl.com/4rxkkw3c
3. Bajrang Dal Starts 5-day Training Camp For 275 Volunteers In Ayodhya
– https://tinyurl.com/mrmb629t
4. Bajrang Dal organises weapons training for Hindus
– https://tinyurl.com/2p874ryu
নিহতের পাশে ফিলিস্তিনি মায়ের কান্না।অন্যদিকে জেরুজালেম ও নাবলুসে অন্য দুজনের হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিতে অভিযোগ করে যে, এই দুই ফিলিস্তিনি নাকি ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। তবে ছুরি নিয়ে আক্রমণ ও গাড়ি ধাক্কা দেয়ার কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি মিথ্যাবাদী ইসরাইল।এছাড়াও দখলকৃত জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় অনেকগুলো হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরাইল। এমনকি নিয়মিতই হামলা হচ্ছে পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণেও।ফিলিস্তিনে নিয়মিত এসব আগ্রাসন ঘটলেও হলুদ মিডিয়া বরাবরই বিশ্ববাসী থেকে আড়াল করে রাখে এসব ঘটনা। গত কয়েক মাস আগে ইসরাইলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা কয়েকটি বিচ্ছিন্ন হামলা চালায়। সেসময় দালাল মিডিয়া এসব খবর জোরেসোরে প্রচার করেছে। কয়েকদিন পর্যন্ত সেসব ঘটনা প্রচার করেছে তারা।এসব অতি প্রচারনার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্ববাসীর সামনে ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করা। অথচ সন্ত্রাসী ইসরাইল নিজেই অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনে।চলতি বছর মাত্র ৯ মাসে ১৭৬ জন ফিলিস্তিনিকে অকারণে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইল। এসকল সন্দেহাতীত যুদ্ধাপরাধ করা সত্ত্বেও ইসরাইলের বিরুদ্ধে দালাল মিডিয়ার কোন প্রতিবেদন থাকে না। উলটো ফিলিস্তিনিদেরই দোষারোপ করে আসছে দালাল মিডিয়াগুলো।মিডিয়া সন্ত্রাস বর্তমান বিশ্বে ইসলামের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাস। মুসলিমদের হত্যা করার চাইতে গুরুতর হচ্ছে এই মিডিয়া সন্ত্রাস। কেননা একটি মিথ্যা বারংবার প্রচার করতে থাকলে মানুষ সেটাকেই সত্য ভাবতে শুরু করে।
Comment