Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২৬শে জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ১৭আগস্ট, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২৬শে জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ১৭আগস্ট, ২০২০ঈসায়ী।

    ছেলেকে শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে দেয়ায় বাবার কারাদণ্ড, মেয়ের মায়ের জরিমানা

    ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী বিয়ে দেওয়ার কারণে ছেলের বাবাকে কারাদণ্ড ও কনের মাকে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এই নির্মম ঘটনা ঘটায় আওয়ামী ভারতপন্থী প্রশাসন।

    বিকেল সোয়া ৪টার দিকে সদর উপজেলার দিঘি ইউনিয়নের ছুটি ভাটভাউর এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই দণ্ড প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন।

    তিনি জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে বিবাহের সংবাদ পেয়ে গত ১৩ তারিখ উক্ত স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। আমাদের সময়

    তিনি আরও জানান, বর ও কনের পিতা মাতা বিবাহটি সম্পন্ন করেছেন। বিয়ের পর বর কনে একত্রে আছে। ঘটনাস্থলে মোবাইল কোর্ট উপস্থিত হয়ে স্থানীয় ও স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, বরের পিতা ও কনের মা স্বীকার করেন, তারা জেনেশুনে তাদের সন্তানের বিবাহ সম্পাদন করেছেন। এ ঘটনায় বর আল আমিন (২০) এর বাবা নাগর আলীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং কনে ইশা আক্তার এর মা রুপালি বেগমকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আমিরাতের সঙ্গে চুক্তির পর গাজায় হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তি করেই ফিলিস্তিনে নতুন করে তাণ্ডব শুরু করেছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। রোববার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় উপর্যুপরি বিমান হামলা চালায় দখলদার বাহিনী।

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই গাজায় তাণ্ডব চালিয়ে আসলেও রোববারের হামলার মাত্রা ছিল অপেক্ষাকৃত ব্যাপক। রোববার সকাল থেকে গাজা উপত্যকার জেলেদের মাছ ধরার সুযোগও পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ইহুদিরা।

    ইসরায়লি বাহিনীর দাবি, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল গাজায় হামাসের একটি সামরিক ভবন ও ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো। বরাবরের মতোই এবারও হামলার পক্ষে অজুহাত হিসেবে গাজা উপত্যকা থেকে রকেট ও আগুনবোমা নিক্ষেপের কথা জানিয়েছে দখলদার বাহিনী।

    ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, আজকের হামলার আগে গতো সন্ধ্যায় গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদিন কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি সীমান্তে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে, বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপ করে ও সীমান্ত বেষ্টনীর দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে।

    উল্লেখ্য,২০০৭ সাল থেকেই গাজা উপত্যকা অবরোধ করে রেখেছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। ধরপাকড় আর বিমান হামলা যেন সেখানে নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।

    সূত্র:আল-জাজিরা।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      স্নায়ুযুদ্ধের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র

      বৈশ্বিক পর্যায়ে এ মুহূর্তে যে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটছে, নিঃসন্দেহে সেটার কেন্দ্রে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা। চীনের বিরুদ্ধে একটা ‘নতুন শীতল যুদ্ধ’ সৃষ্টি করার জন্য সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দিন দিন এটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এখনও সেই দুই-মেরু বিশ্ব মানসিকতার মধ্যে আটকে আছে, বর্তমান বিশ্বে যেটার প্রাসঙ্গিকতা বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে। এর কারণ হলো, সোভিয়েত ইউনিয়নকে পশ্চিমা বিশ্বে যেভাবে মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা হতো, চীনকে সেভাবে দেখা হয় না।

      যেটা দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপ চীনের ব্যাপারে তাদের দরজা বন্ধ করা বা তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে আগ্রহী নয়। আবার একই সাথে বেল্ট অ্যাণ্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মাধ্যমে চীন সেই সব দেশ ও অঞ্চলে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছে, যে সব দেশে চীনের বিরুদ্ধে ‘নতুন শীতল যুদ্ধ’ শুরু করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

      এই দেশগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ এবং চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়ার অর্থ হলো নতুন সিল্ক রোড এবং এর সাথে জড়িত বাণিজ্য ও উন্নয়নের সম্ভাবনা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো। কিন্তু সেখানে কোন বিকল্প বাণিজ্য রুট উপস্থাপনের কিছু নেই যুক্তরাষ্ট্রের।

      যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব রাজনীতিকে কোন দিকে নিতে চাচ্ছে, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মাইক পম্পেওর দেয়া সাম্প্রতিক বক্তৃতায় সেটা উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র দেশগুলোকে চীনের মোকাবেলা ও তাদেরকে পিছনে সরিয়ে দেয়ার জন্য ‘আরও সৃজনশীল ও আগ্রাসী’ কৌশল নিতে হবে। অন্যভাবে বললে, ‘নতুন শীতল যুদ্ধের’ অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তারা চীনকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতে চায় না; তারা ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়া ও প্রশান্ত এলাকা থেকে চীনকে জোর করে বের করে দিতে চায় যাতে সেই সব জায়গায় মার্কিন আধিপত্য বজায় থাকে।

      ইউরোপ আর এশিয়ার বাস্তবতায় অবশ্য দেখা যাচ্ছে যে, চীনের বিরুদ্ধে ‘বৈশ্বিক জোট’ গড়া এবং চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়ার মার্কিন আহ্বানে খুব একটা সাড়া মিলছে না। অন্যদিকে, আঞ্চলিক দেশগুলো চীনের সাথে সহযোগিতা এবং ‘গঠনমূলক বিনিময়’ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন মেকানিজম গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।

      এটা বিশেষভাবে দৃশ্যমান হয়েছে যখন আসিয়ান – যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিকভাবে সক্রিয় ভূমিকা রেখে এসেছে – এখন পর্যন্ত দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ চলাচলের স্বাধীনতার জন্য চীনের সাথে একটা দর কষাকষির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আসিয়ান কোন ধরনের মোকাবেলা বা পৃথক হওয়ার মানসিকতায় নেই এবং এর প্রধান কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া নীতির ব্যাপারে তাদের আর বিশ্বাস নেই। গত বছর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আসিয়ানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন এড়িয়ে গেছেন এবং সেটা এই অঞ্চলের নেতাদের স্মৃতিতে এখনও দগদগে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘এশিয়া কেন্দ্র’ এবং প্রায় ৪০টি দেশের সাথে সম্পৃক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে হত্যা করেছেন, সেটা এই দেশগুলোকে চীনের সাথে বিকল্প পথে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বাধ্য করেছে।

      এটা থেকেই বোঝা যায় কেন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিবৃতি দেয়ার পরও সেটার প্রতিক্রিয়ায় পাথরের নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, “এসসিএসকে নিজেদের নৌ সাম্রাজ্য হিসেবে গণ্য করতে চীনকে অনুমতি দেবে না বিশ্ব”। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিশামুদ্দিন হোসেন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী ভাবকে নিভিয়ে দিয়ে বলেছেন যে, এসসিএসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে “বিভিন্ন দেশকে সামরিক তৎপরতা থেকে বিরত থাকতে হবে”।

      তিনি আরও বলেন, “আমাদেরকে সামরিক শক্তি প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে, কারণ সমস্যা সমাধানে এটা কোন সাহায্য করবে না, এবং এই ব্যাপারে আসিয়ান দেশগুলোকে একমত হতে হবে…”।

      এটা স্পষ্ট যে, আসিয়ান চীনের সাথে কোন ধরনের সঙ্ঘাতে যেতে চায় না এবং ‘দ্বি-মেরুর’ কোন রাজনীতিতে কার্যকরভাবে যুক্ত হওয়ারও আগ্রহ তাদের নেই। এর একটা বড় কারণ হলো অনেকগুলো আসিয়ান দেশেরই চীনের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং চীনের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় আগ্রাসী অবস্থান নিলে সেটা তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

      দক্ষিণ এশিয়ার কথা বললে, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্থান যেখানে আসন্ন, যেখানে সিপিইসির গতি বাড়ছে এবং চীনের বিআরআই আরও বিস্তৃত হয়ে ইরানে প্রবেশ করেছে, সেখানে আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক মানচিত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন বনাম যুক্তরাষ্ট্রের শীতল যুদ্ধকালীন সময়ের মতো নয়, এবং চীনের বিরুদ্ধে একটা দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধাবস্থা ধরে রাখার মতো সেখানেই মোটেই বিরাজ করছে না।

      যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে চলে যাচ্ছে বলে মধ্য এশিয়ার উন্নয়নে তাদের প্রভাবও কমে আসছে। ইউরেশিয়ায় সংযোগ বাড়ানোর জন্য রাশিয়ার নিজস্ব কর্মসূচি রয়েছে এবং ‘নতুন শীতল যুদ্ধ’কে সফল গল্পে রূপ দিতে হলে আমেরিকাকে রাশিয়ার কর্মসূচিকেও মোকাবেলা করতে হবে।

      তবে, গুরুত্বপূর্ণ হলো যুক্তরাষ্ট্র এমন সময় তাদের ‘নতুন শীতল যুদ্ধ’ তৈরি করছে, যখন তারা ইউরেশিয়ার কেন্দ্রভূমি থেকে সরে যাচ্ছে। সে কারণে ‘নতুন শীতল যুদ্ধ’ যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করার সুযোগ দেবে না।

      যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার কারণে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের ‘শীতল যুদ্ধের ফ্রন্টটা’ ততটা সক্রিয় হবে না। তবে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কিছু দেশ চীনের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জোট গড়ার আহ্বানে সাড়া না দেয়ার পেছনে একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো তাদের অনেকেই এই আহ্বানকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আহ্বান হিসেবে দেখছে এবং তারা বিশ্বাস করে যে, নির্বাচনে পরাজয়ের পর ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউজ ছাড়তে বাধ্য হবেন, তখন বৈশ্বিক কৌশলগত চেহারা বদলে যাবে।

      মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরই মধ্যে নির্বাচনী জরিপে পিছিয়ে পড়েছেন। তার প্রতিপক্ষ জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন যে, চীনের সাথে মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের তিনি ইতি টানবেন এবং চীনের সাথে তিনি উত্তেজনা বাড়াতে চান না বা একটা ‘শীতল যুদ্ধ’ তিনি তৈরি করতে চান না।

      পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার একটা সম্ভাবনা নজরে পড়ছে যদিও ট্রাম্প এখনও ক্ষমতায় রয়েছেন। তাছাড়া মহামারী-পরবর্তী অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে একটা ‘শীতল যুদ্ধ’ টিকিয়ে রাখাটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যেমন কঠিন হবে, তেমনি এই দুই মেরুর ‘শীতল যুদ্ধের’ পক্ষে ক্ষুদ্র দেশগুলোকে চীনের বিরুদ্ধে একটা জোরালো নীতি গ্রহণ করানোটাও হবে খুবই কঠিন।

      ইউরোপ এরই মধ্যে চীনের ব্যাপারে ক্রমাগত স্বাধীন পথে হাঁটছে এবং এমনকি ইরান প্রশ্নে তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতেও দাঁড়িয়েছে, এ অবস্থায় এটা সুস্পষ্ট যে, বিশ্ব ব্যবস্থা এরই মধ্যে বহুমেরুর হয়ে গেছে। সে কারণে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বকে জোর করে একটা দুই মেরুর রাজনীতিতে ঠেলে দেয়ার জন্য যে সুবিধাজনক পরিবেশ পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেটা এখন আর তারা পাবে না। সাউথ এশিয়ান মনিটর
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কেমন স্বাধানীতা দিবস উদযাপন করছে ভারত ?

        কাশ্মীরে সন্ত্রাসী সরকারি বাহিনীর গুলিতে মাত্র কিছুদিন আগে নিহত পিতামহের বুকের উপর এক ছোট্ট শিশুর বসে থাকার ছবি কারো মন-মমন থেকে সহজে মুছে যাওয়ার নয়। কাশ্মীরী তরুণী ও শিশুদের রক্তমাখা সুন্দর মুখ, পেলেট গানের বুলেটে বিদ্ধ লোকজন, শুধু চরম বেদনা ও আতঙ্কেই পূর্ণ থাকতে পারে। প্রাচীন মসজিদ—বাবরি মসজিদ গুড়িয়ে দিয়ে তার জায়গায় হিন্দুদের রাম মন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধে কোনরকম প্রতিবাদ, এমন কি হতাশা প্রকাশেরও সাহস নেই মুসলমানদের। উত্তরপূর্ব ভারতে বাংলাভাষী জনগণ নিজেদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি পেয়ে থর থর করে কাঁপছে। ভারতের রাজধানী দিল্লীতে নারীরা পর্যন্ত ধর্ষিতা হওয়ার আশঙ্কায় বাসে চড়তে ভয় পায়। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর এই দিল্লী।

        এরই মধ্যে স্বাধীনতা উদযাপন করছে ভারত।

        কেমন স্বাধীনতা? এটা কি স্বাধীনতা?

        এটা কি স্বাধীনতা যেখানে মিডিয়ার গলা টিপে ধরা হয়েছে অথবা অনুগত বা মোদির মেশিন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে? যেখানে রাস্তায় নারীর নিরাপত্তা নেই? যেখানে কোন পুরুষ যদি অবিচারের প্রতিবাদ করে তাহলে তাকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়?

        অবশ্যই না।

        ভারত যদি সত্যিকারের স্বাধীনতা উদযাপন করতো তাহলে এর দারিদ্রপীড়িত রাজ্যগুলোর নাগরিকরা কি বাংলাদেশে যোগ দিতে চাইতো, যেখানে তারা কিছুটা উন্নয়নের ছটা দেখতে পায়? কাশ্মীর কি তার রাজ্য মর্যাদা হারিয়ে দিনের পর দিন রক্তে হাবুডুবু খেতো? কোভিডের জন্য মুসলমানদের উপর দায় চাপানো হতো, নিম্নবর্ণের হিন্দুরা এখনো অচ্ছুৎ বিবেচিত হতো?

        এই হলো ভারত। এই সেই ভারত যে তার স্বাধীনতার ৭৩ বছর উদযাপন করছে।

        ভারতে এখনো রিপোর্টার ও অন্যান্য ভিন্নমতাবলম্বী কণ্ঠের জন্য নিপীড়নের ক্রমবর্ধমান ভয়। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের প্রেস ফ্রিডম সূচকে ২০১৫ সালের ১৩৬তম থেকে ভারতের অবস্থান ২০২০ সালে ১৪২তম স্থানে নেমে গেছে। মাত্র ৫ বছরে এই অবনতি।

        এটা স্বাধীনতা নয়।

        এর বদলে নেতা, রাজনীতিক ও সরকারযন্ত্র তাদেরকে নীচে টেনে নামিয়েছে। লজ্জা ও ঘৃণায় তাদের মাথা হেট হয়ে গেছে, যখন তারা দেখছে আঞ্চলিক সম্পর্কে অগ্রগতি না হয়ে অধোগতি সৃষ্টি হয়েছে।

        তারা ‘আমান কি আশা’ বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো। ‘শান্তির আশা’য় উদ্যোগ নিয়েছিলো দুটি মিডিয়া হাউজ—পাকিস্তানের জং গ্রুপ ও ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া। সেই উদ্যোগ বাতাসে মিলিয়ে গেছে এবং দিব্যি দেয়া শত্রুরা তেমন শত্রুই থেকে গেছে। কারণ ক্ষীণদৃষ্টিসম্পন্ন লোকরঞ্জনবাদী নেতারা গেরুয়া কুজ্ঝটিকা ভেদ করে কিছু দেখতে পাননা।

        জনগণ এই ভারত চায়নি। তারা চেয়েছিলো নেপাল তাদের বন্ধু হবে, বেপরোয়া প্রতিবেশী হবে না, যে কিনা তাদের মানচিত্র নতুন করে এঁকেছে, আর ভারত শুধু চেয়ে দেখছে।

        ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে ওঠা চীন যখন বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাসহ সব প্রতিবেশী এবং এর বাইরের দেশগুলোর মন জয় করতে ব্যস্ত তখন দীপ্তি হারাচ্ছে ‘শাইনিং ইন্ডিয়া’।

        তাই ভারত যখন স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপন করছে, তখন দেশটির জনগণ এক মুহূর্তের জন্য হলেও ভাবছে স্বাধীনতা যাকে বলে এগুলোই কি সেই?

        কাশ্মীরীরা স্বাধীনতা চায়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজগুলোকে বলপ্রয়োগ করে দমিয়ে রাখা হয়েছে। তাই বলে তাদের মধ্যে কি স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা নেই, যেখানে তাদের সম্পদ তাদেরই উন্নয়নের কাজে লাগবে, দিল্লীতে পাচার হয়ে যাবে না?

        জনগণ শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখের সঙ্গে বাঁচতে চায়, যেগুলোর প্রতিশ্রুতি তাদের দেয়া হয়েছিলো। তাদের মধ্যে যারা অনেক বেশি হকিশ, ভারত পরাশক্তি হবে বলে যাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে, তারাও বুঝতে পেরেছে যে পরাশক্তি হতে গেলে শক্তির চেয়েও বেশি কিছু প্রয়োজন। মার্ভেল কমিক সুপার হিরো স্পাইডারম্যানের ভাষায়: ‘মহা শক্তির সঙ্গে মহা দায়িত্বও আসে।’ আর, মোদি মেশিনের ব্যর্থতা এখানেই। সাউথ এশিয়ান মনিটর
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X