Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ২৬ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ২৬ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

    আদিবাসী ঘোষণা করার পরেও আসামের মুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রমাণের নির্দেশ


    ৬০ বছর বয়সী সাদের আলির ১২ সদস্যের যৌথ পরিবার নিয়ে জন্ম থেকেই আসামের ধুবরি জেলার রামরাইকুটি গ্রামে বাস করেন। এ গ্রামটি ভারত ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং আসাম-পশ্চিমবঙ্গ আন্তঃরাজ্য সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে অবস্থিত।

    সাদের আলী এবং তার বড় ভাই, ৬৬ বছর বয়সী মুজাম শেখ, কৃষি কাজ করেন। যখন বীজ বপন বা ফসল কাটার মৌসুম থাকে না, তখন তারা দিন মুজুরি করেন। তারা “দেশী” মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। তাদের পূর্বপুরুষরা যুগ যুগ ধরে এখানে বসবাস করায় আসামের “আদিবাসী” হিসাবে তাদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছিল সরকার।

    কিন্তু হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার ভারত থেকে সকল মুসলিম নিশ্চিন্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। ফলশ্রুতিতে শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ায় আসামের “দেশি” মুসলিমদেরকে নাগরিকত্ব প্রমাণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    গত ৩০ জুলাই সাদা পোশাকে দুজন লোক তাদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে জানায়, তারা স্থানীয় আগমনি থানা থেকে এসেছে। সন্দেহভাজন বিদেশী হিসাবে সাদের আলীর পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এই চার জন হচ্ছেন – সাদের আলী ও তার স্ত্রী মোলিনা বিবি এবং মুজাম শেখ ও তার স্ত্রী সালেহা বিবি। অথচ তারা আজন্ম এই এলাকাতেই বসবাস করছেন। তাদের পূর্বপুরুষরাও এখানকার অধিবাসী ছিলেন।

    তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ধুবরি শহরের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে যেতে হয়। (বিতর্কিত বিদেশীদের জাতীয়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধা-বিচারিক সংস্থা।)

    সাদা পোশাকের নিরাপত্তাকর্মীদের বক্তব্য শুনে অবাক হয়ে কাঁদতে কাঁদতে আলী বললেন, “এটা লজ্জার বিষয়। আমরা ভারতীয় এবং এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। আমার বাবার ১৯৪৭ সালের একটি স্কুল সার্টিফিকেট রয়েছে। তিনি ১৯৫০ এর দশকে সরকারী অফিসে কাজ করেছিলেন। তার নাম ১৯৫১ সালের এনআরসিতে রয়েছে। তিনি ১৯৫৮ সালে ভোটও দিয়েছিলেন।”

    এনআরসি বা ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন হল আসামে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের একটি তালিকা। এটি প্রথম ১৯৫১ সালে সংকলিত হয়। তারপর গত ২০১৯ সালে তা আপডেট করা হয়।

    সাদের আলী বলেন, “আমরা জন্মের পর থেকেই এখানে বসবাস করছি। আমার বাবা একটি সরকারী অফিসে কাজ করতেন। মাসে ৭-১০ রুপি বেতন পেতেন। এখন তার ছেলেদের তাদের জাতীয়তা প্রমাণের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের টাকা নেই। সরকার কোনো ভাবেই আমাদের সাহায্য করে না। তার পরিবর্তে আমাদের জাতীয়তা প্রমাণ করতে বলে আমাদেরকে কষ্ট দেয়।”

    শুধু সাদের আলীর পরিবারের এই দুর্দশা তা নয়। আগমনি থানার একজন সীমান্ত পুলিশ কর্মকর্তার মতে, এ বছর তার সীমানার অধীনে বসবাসকারী অন্তত ১৫০ টি পরিবারকে এমন নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এদের বেশিরভাগই দেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের।

    আসামের স্থানীয় হিসাবে বিবেচিত দেশি মুসলমানদের বংশ ধারা ঐতিহাসিক কামরূপ রাজ্য পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায়। তাদের পূর্বপূরুষরা ১৩ শতকের দিকে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।

    আসামের সকল থানায় সীমান্ত পুলিশ ইউনিট রয়েছে। এছাড়া সীমান্ত গ্রামে বসানো হয়েছে ওয়াচ পোস্ট। সীমান্ত পুলিশ এসব মামলা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে পাঠায়। যদি ট্রাইব্যুনাল তদন্তাধীন ব্যক্তিদের বিদেশী বলে মনে করে, তবে তাদের আসামের ডিটেনশন কেন্দ্রে রাখা হতে পারে বা বাংলাদেশে নির্বাসিত করা হতে পারে। বাংলাদেশ খুব কমই তাদেরকে নাগরিক হিসাবে গ্রহণ করে। তাই আসামে ঘোষিত বিদেশিদের অনেককেই ডিটেনশন কেন্দ্রে বছরের পর বছর মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

    ভয়ের বিষয় হলো, আসামে মুসলিম জনসংখ্যা হচ্ছে প্রায় দেড় কোটি। হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাস মোদি সরকার ধীরে ধীরে এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে ভারত থেকে বিতাড়িত করার কুট কৌশল অবলম্বন করছে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. They were officially declared ‘indigenous’ to Assam. Then they were asked to prove their citizenship (Scroll)
    https://tinyurl.com/yckzfh6z

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইসরাইলের সন্ত্রসী বাহিনীর হাতে খুন ৬ ফিলিস্তিনি মুসলিম

    নিহত ছয় ফিলিস্তিনি যুবক, সূত্র: টুইটার

    ফিলিস্তিনে থামছেই না মুসলিমদের লাশের মিছিল। একের পর এক প্রিয় মানুষদের লাশ বহন করছেন ফিলিস্তিনিরা। এবার এক দিনে বর্বর ইসরাইলি বাহিনী খুন করেছে ছয় ফিলিস্তিনি মুসলিমকে।

    গত ২৫ অক্টোবর পশ্চিম তীরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬০টি সাঁজোয়া যান এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে বিপুল সংখ্যক দখলদার সেনা নাবলুস শহরে অভিযান চালায়। পরে ইসরাইলি স্নাইপাররা নাবলুসের শহরের বিভিন্ন বাড়ি এবং বিল্ডিংয়ের ছাদে অবস্থান নেয়।

    অভিযানের নামে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে একজন ফিলিস্তিনিকে গাড়িসহ উড়িয়ে দেয় বর্বর ইহুদিরা। এর পর রাস্তায় নেমে আসেন বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা। এ সময় ইসরাইলের উপর্যুপরি হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান তারা।

    বিক্ষোভকারীদের দমাতে গোটা নাবলুস শহরে সন্ত্রাসী ইসরাইল হামলা শুরু করে। ফলে আরও ৫ ফিলিস্তিনি নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসংখ্য বাড়িঘর।


    [ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের গাড়ি, সূত্র: কুদুস নিউজ নেটওয়ার্ক]

    এ ঘটনায় গোটা পশ্চিম তীর ক্ষোভে ফুসে উঠে। নিহতদের জানাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি অংশ নেয়। সেখানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সশস্ত্র মহড়াও ছিল চোখে পড়ার মতো। দখলদার ইহুদিদের প্রতিরোধ করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেন তারা।

    জানাজা পরবর্তী বিক্ষুব্ধ জনতা, সূত্র: কুদুস নিউজ নেটওয়ার্ক।

    জানাজা পরবর্তী বিক্ষুব্ধ জনতার কয়েকজন সশস্ত্র মহড়া, সূত্র: কুদুস নিউজ নেটওয়ার্ক।

    এদিকে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়নি সন্ত্রাসী ইসরাইলি বাহিনী। ফলে আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা সেবা বাঁধাগ্রস্ত হয়।

    উল্লেখ্য যে, নাবলুসে টানা ১৫ দিন ধরে কঠোর অবরোধ আরপ করেছে দখলদার ইসরাইল। শহরটিতে প্রবেশ ও প্রস্থান করার জন্য আশেপাশের আটটি রাস্তা বন্ধ করে চেকপয়েন্ট তৈরি করেছে ইসরাইল। দীর্ঘ ১৫ দিন যাবত শহরটিতে নানা অযুহাতে ফিলিস্তিনিদের হয়রানি ও গুলি করে হত্যা করার মতো ঘটনাও ঘটছে অহরহ।

    দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর এমন অনেক বর্বরতার চিত্র প্রকাশ পেলেও, ইহুদি সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক পশ্চিমা বিশ্ব ফিলিস্তিনিদেরকেই সন্ত্রাসী আখ্যা দিচ্ছে। অবাক করা বিষয় হচ্ছে এর পরও কিছু মুসলিম ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধানের জন্য পশ্চিমাদের দিকেই চেয়ে আছে।



    তথ্যসুত্র:
    ——–
    1. The six Palestinians killed by the lsraeli occupation forces last night
    https://tinyurl.com/n9nn24a7

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ফিলিস্তিনে হোক বা আসামে, কাশ্মীরে হোক বা উইঘুরে; আল-কায়েদাই একমাত্র আশা। বাকি সবার চেহারা দেখা হয়ে গেছে।

      Comment

      Working...
      X