Announcement

Collapse
No announcement yet.

হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনঃ গুজরাট ও দিল্লীতে মুসলিমদের উপর চলছে বুলডোজার

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনঃ গুজরাট ও দিল্লীতে মুসলিমদের উপর চলছে বুলডোজার

    হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনঃ গুজরাট ও দিল্লীতে মুসলিমদের উপর চলছে বুলডোজার



    গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মুসলিম গণহত্যার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারত। সম্প্রতি গুজরাট ও রাজধানী দিল্লীতে শুরু হয়েছে গণহারে মুসলিমদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করার অভিযান।

    চলতি অক্টোবর মাস জুড়ে গুজরাট রাজ্য সরকার সেখানকার উপকূলীয় মুসলিম এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। গুজরাট মৎস্য বিভাগ ও বিচার বিভাগ অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করেই গোসাবারায় সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ধ্বংস করার আদেশ জারি করে।

    গুজরাটের উপকূলীয় মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী পেশা মাছ ধরা। এই সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীরা অভিযোগ তুলেছে যে, তারা দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত।

    এ অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করেই গত ১ অক্টোবর থেকে পোরবন্দর, বেট দ্বারকা, দেবভূমি দ্বারকায় ওখা উপকূলে অবস্থিত দ্বীপ, জাখাউ প্রভৃতি এলাকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর চড়াও হয়েছে। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে হাজার হাজার স্থাপনা। এতে সেখানকার বেশিরভাগ মুসলিম গৃহহীন হয়ে রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন।



    ধ্বংস করে দেয়া স্থাপনাগুলোর মধ্যে ঘরবাড়ি ছাড়াও বেশ কিছু ধর্মীয় স্থাপনা রয়েছে যেগুলো সরকারি জমিতে নির্মিত বলে দাবি করে হিন্দুত্ববাদী কর্মকর্তারা।

    ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেয়া ছাড়াও, সেখানকার মুসলিমদের আয়রোজগারের পথ বন্ধ করে দিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। বিগত ৫-৬ বছর ধরে তাদের পেশা থেকে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের জেলেদেরকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন করা হচ্ছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং বজরং দলের মত উগ্রপন্থী হিন্দু দলগুলো মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কলকাঠি নাড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

    এখানকার মুসলিম জেলেদের মাছ ধরার লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও, হিন্দু সংগঠন এবং হিন্দু জেলে সমিতির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে মুসলিমদের মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

    পোরবন্দরের গোসাবারার মুসলিম জেলেদের প্রতিনিধি আল্লারাখা ইসলামাইলভাই থিম্মার বলেছেন, “এমন কোন কারণ নেই যার ভিত্তিতে মুসলিদের মাছ ধরার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হবে। এটি সম্পূর্ণরূপে হিন্দুপন্থী দলগুলির দ্বারা সমর্থিত ছয় থেকে সাতটি হিন্দু জেলে সমিতির অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে। অভিযোগের কোনো সত্যতা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখেনি কর্তৃপক্ষ। আমরা যখন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করি, তারা আমাদের বলে যে উপর থেকে আদেশ রয়েছে।”

    হিন্দু জেলেরা কর্তৃপক্ষের কাছে মুসলিম জেলেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল যে, “গোসাবার জেলেদের নতুন বন্দরে মাছ ধরার অনুমতি দিলে সমস্যা হবে। তারা দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত।”

    কোন তদন্ত ছাড়াই এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে, হোম ব্রাঞ্চ, পোরবন্দর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অফিস এবং বিজেপির পোরবন্দর বিধায়ক, বাবু বোখিরিয়া, পোরবন্দরের সহকারী মৎস্য সুপারিনটেনডেন্ট মুসলিম জেলেদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

    সহকারী মৎস্য সুপার পোরবন্দর চলতি বছরের ২ মার্চ গোসাবার জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি অস্বীকার করে। সে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, বিধায়ক এবং লীলাভাই পারমার, বিজেপি সম্পাদক, পোরবন্দরের চিঠি এবং অন্যান্য বিভাগ ও কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রাপ্ত বিভিন্ন অভিযোগের পরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    পরবর্তিতে গোসাবারার সম্প্রদায়ের প্রায় ৬০০ জন লোক গণ আত্মহত্যার অনুমতি চেয়ে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে পুনরায় মাছ ধরার অনুমতি দেয়।

    কিন্তু এখন আবার উপকূলীয় নিরাপত্তার নামে মুসলিমদের দোকান, বাড়ি, দরগা, মসজিদসহ অনেক স্থাপনা ভেঙে দিচ্ছে।

    এদিকে হিন্দুত্ববাদের রাজধানী দিল্লীতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী নিয়ে গত ২১ অক্টোবর মুসলিম প্রধান এলাকা সাতবারিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ডিডিএ)। কোনও পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই মুসলিমদের দুই ডজনেরও বেশি বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। মুসলমানরা যখন জুমার নামাজ পড়ছিল তখন হিন্দুত্ববাদীরা এ ধ্বংসলীলা চালায়।

    পুরুষরা মসজিদে থাকায়, ঘরের মহিলারা বাধ্য হয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। তাদের উপর চালানো হয় অমানবিক লাঠিচার্জ। এতে একাধিক মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাছাড়া ঘর ভাঙার সময় মুসলিম বাসিন্দাদের গৃহস্থালির মালামাল উদ্ধারের সময়ও দেয়নি উগ্র প্রশাসন।

    মাকতুব মিডিয়াকে একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, এক মহিলাকে থানায় নিয়ে কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে হয়রানিও করা হয়েছে।

    এর আগে উত্তর প্রদেশের উগ্র মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তার রাজ্যে বুলডোজার দিয়ে মুসলিমদের বাড়িঘর, স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছিল। এবার গুজরাট ও দিল্লীতে তারই অনুকরণ করছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।

    জেনোসাইড ওয়াচ এর মতে, হিন্দুত্ববাদী ভারত মুসলিম গণহত্যার একদম দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। এভাবে গণহারে মুসলিমদের বাড়িঘর ধ্বংস করা সেই গণহত্যার দিকেই ইঙ্গিত করে। এমন প্রেক্ষাপটে ভারতের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধভাবে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কোন বিকল্প নেই।

    লেখক: উসামা মাহমুদ


    তথ্যসূত্র:
    1. More of the Gujarat Model: Thousands of Muslim Homes Demolished Under the Garb of Security –https://tinyurl.com/39w2zx2m
    1. “Political persecution;” Gujarat’s Muslim fishermen move court seeking death– https://tinyurl.com/3wrwaufh
    1. 25 houses demolished in Delhi’s Muslim locality, Muslim women allege police brutality –https://tinyurl.com/rs7aw5pd
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    হিন্দুরা নতুন পলিসি গ্রহণ করেছে। আর তা হল মুসলিমদের ধনসম্পদ নষ্ট করে তাদেরকে অকেজো করে দেওয়া। তাই আমরাও এই পলিসি অবলম্বন করতে পারি । আমরাও বেছে বেছে একে একে হিন্দুদের সম্পদ গুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে তাদের মেরুদন্ড একে বাড়ে ভেঙে ফেলতে পারি। তখন তাদের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে । এর ফলে তাদের নেতাদেরকে এবং সরকার প্রধানদেরকে সহজে হত্যা করা যাবে । আর এই কাজটা খুব সাবধানে করতে হবে যাতেকরে হিন্দুরা বুঝতে না পারে যে এটা মুসলমানদের কাজ। যেমন তাদের পোশাক পরিধান করে এই কাজটা করতে হবে। অন্যথায় তারা মুসলিমদের ধন সম্পদ নষ্ট করবে। এবং এই কাজটা মুসলিমদের ধন সম্পদের স্থান থেকে দূরে কোন স্থানে করতে হবে তাহলে হিন্দুরা এটা মুসলমানদের কাজ বুঝতে পারবে না এবং কোন কারণে হিন্দুরা মুসলমানদের সম্পদ নষ্ট করতে আসবে না।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      এবং তাদের পরস্পরের মাঝে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিয়ে বা দ্বন্দ্ব চলা কালীন সময়ে কাজটা সহজ হবে । বিশেষত তাদের বিলিয়নারদেরকে ধ্বংস করতে পারলেই চলবে।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment

      Working...
      X