ইসরাইলের কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিনীদের দুর্ভোগ!
একজন ফিলিস্তিনি নারী বন্দী। ছবিঃ কুদুস নিউজ নেটওয়ার্ক।
ফিলিস্তিনে দখলদার অভিশপ্ত ইসরাইলের নির্যাতন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। সেই সাথে কারাবন্দী মুসলিমদের ওপরও জুলুম অব্যাহত রেখেছে দখলদার সন্ত্রাসী। বন্দীদের নূন্যতম মানবিক অধিকারগুলো পূরণ করছে না তারা। তাদের নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেনা নারী বন্দীরাও।বর্তমানে ইসরাইলের ডেমন কারাগারে ৩০ জন ফিলিস্তিনি নারী বন্দী রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেরই জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন। আযহার আসসাফ নামক এক বন্দী নারী মারাত্মক নিউরো, চোখ ও কানের সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু দখলদার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেছে।এমন আসসাফ ইসরাইলি কারাগারে আরও অনেক রয়েছেন। ইসরা জাবিস তদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে ২০১৫ সালে গ্রেফতার করেছিল অভিশপ্ত ইসরাইলি বাহিনী। রান্নার কাজে ব্যবহৃত একটি সিলিন্ডার গ্যাস বহনের সময় রাস্তায় বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে নিজ সন্তানসহ তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁর শরীরের প্রায় ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এমন পরিস্থিতিতেও বর্বর ইসরাইলি সৈন্যরা তাঁর বিরুদ্ধে কথিত সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিশপ্ত ইসরাইলিরা তাকেও উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে। এতে তার দুই হাতের সবগুলো আঙুল, নাক ও মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায়ও তাঁকে বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রেখেছে ইসরাইল।এভাবেই নির্দোষ ফিলিস্তিনি নারীরা ইসরাইলি কারাগারে চিকিৎসায় অবহেলা ছাড়াও নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পরিবার ও শিশু সন্তানদের সাথেও সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয় না বন্দী নারীদের।এমন সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমা বিশ্ব ও তাদের দালাল জাতিসংঘ সন্ত্রাসী ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। বরং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইসরাইলি বর্বরতাকে সমর্থন দিয়ে আসছে। অবস্থা দৃষ্টে এটা স্পষ্ট যে, দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাইতুল মাকদিসের পাশে না দাঁড়ালে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের দুর্ভোগ বাড়তেই থাকবে।
তথ্যসূত্র:——
একজন ফিলিস্তিনি নারী বন্দী। ছবিঃ কুদুস নিউজ নেটওয়ার্ক।
ফিলিস্তিনে দখলদার অভিশপ্ত ইসরাইলের নির্যাতন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। সেই সাথে কারাবন্দী মুসলিমদের ওপরও জুলুম অব্যাহত রেখেছে দখলদার সন্ত্রাসী। বন্দীদের নূন্যতম মানবিক অধিকারগুলো পূরণ করছে না তারা। তাদের নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেনা নারী বন্দীরাও।বর্তমানে ইসরাইলের ডেমন কারাগারে ৩০ জন ফিলিস্তিনি নারী বন্দী রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেরই জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন। আযহার আসসাফ নামক এক বন্দী নারী মারাত্মক নিউরো, চোখ ও কানের সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু দখলদার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেছে।এমন আসসাফ ইসরাইলি কারাগারে আরও অনেক রয়েছেন। ইসরা জাবিস তদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে ২০১৫ সালে গ্রেফতার করেছিল অভিশপ্ত ইসরাইলি বাহিনী। রান্নার কাজে ব্যবহৃত একটি সিলিন্ডার গ্যাস বহনের সময় রাস্তায় বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে নিজ সন্তানসহ তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁর শরীরের প্রায় ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এমন পরিস্থিতিতেও বর্বর ইসরাইলি সৈন্যরা তাঁর বিরুদ্ধে কথিত সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিশপ্ত ইসরাইলিরা তাকেও উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে। এতে তার দুই হাতের সবগুলো আঙুল, নাক ও মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায়ও তাঁকে বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রেখেছে ইসরাইল।এভাবেই নির্দোষ ফিলিস্তিনি নারীরা ইসরাইলি কারাগারে চিকিৎসায় অবহেলা ছাড়াও নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পরিবার ও শিশু সন্তানদের সাথেও সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয় না বন্দী নারীদের।এমন সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমা বিশ্ব ও তাদের দালাল জাতিসংঘ সন্ত্রাসী ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। বরং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইসরাইলি বর্বরতাকে সমর্থন দিয়ে আসছে। অবস্থা দৃষ্টে এটা স্পষ্ট যে, দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাইতুল মাকদিসের পাশে না দাঁড়ালে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের দুর্ভোগ বাড়তেই থাকবে।
তথ্যসূত্র:——
- Palestinian female detainee in Israeli prisons suffers medical negligence, says PPS – https://tinyurl.com/yc5b4psv