Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৯ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ০৫ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৯ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ০৫ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    দিল্লী গণহত্যা মামলায় মুসলিমকে খালাস দিতে বাধ্য হয়েছে হিন্দুত্ববাদী আদালত



    দিল্লী দাঙ্গায় একটি পুড়ে যাওয়া বাড়ি। ফাইল ফটো।


    ২০২০ সালের দিল্লী দাঙ্গার সময় উগ্র হিন্দুরা স্থানীয় মুসলিমদের ওপর পরিকল্পিত হামলা, হত্যা, ও লুটপাট চালিয়েছিল। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএস এবং উগ্র হিন্দুরা খুন করেছিল কমপক্ষে ৩৫ জন মুসলিমকে। অথচ, হিন্দুত্ববাদী পুলিশ উল্টো মুসলিমদের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়। মিথ্যে মামলা দিয়ে অনেক মুসলিমকে কারাগারে আটক করে এই মুসলিম বিদ্বেষী বাহিনী।

    মিথ্যে মামলার আসামীদের একজন হচ্ছেন নূর মুহাম্মাদ। দীর্ঘ দু’বছর জেলে থাকার পর প্রমাণ হয় যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের “প্রমাণ নির্ভরযোগ্য নয়।” ফলে আদালত দিল্লির গণহত্যা মামলা থেকে নূর মুহাম্মাদকে খালাস দিতে বাধ্য হয়েছে৷

    দিল্লী দাংগার পর এক উগ্র হিন্দু সীমা অরোরা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল যে, তার শোরুমে উগ্র জনতা আগুন দিয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে খজুরি খাস থানায় নথিভুক্ত করা একটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল এই মুসলিম যুবককে।

    তদন্তের সময় পুলিশ কোন যাচাই বাছাই না করেই শুধুমাত্র মুসলিম হবার কারণে নূরকে “জনতার অংশ” হিসাবে উল্লেখ করে। পরবর্তিতে ঐ মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে।

    এদিকে, আদালত বলেছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রকাশ্য প্রমাণ নেই। তাছাড়া, অভিযুক্তদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সাক্ষীদের ধারাবাহিক কোন সাক্ষ্যও নেই।

    এ কারণে, অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পুলস্ত্য প্রমাচালা নুর মুহাম্মাদকে সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে। ভারতের আইনি ওয়েবসাইটও তা প্রকাশিত হয়েছে।

    এমনিভাবে, গত ২০ অক্টোবর, দিল্লি গণহত্যার একটি মামলায়, আরেক মুসলিম তাহির সহ ১০ জনকে খালাস দিয়েছে একটি আদালত। সেই রায়ে আদালত বলেছে, যাচাই না করেই তাদেরকে গুরুতর অপরাধের ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

    মুসলিমদেরকে ভারত থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বিতাড়িত করতে এমন কোন পদক্ষেপ নেই যা গ্রহণ করেনি গুজরাটের কশাই নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ, মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির নির্মাণ আজ নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এসব খবর শুনতে শুনতে মুসলিমদেরও গা সয়ে গেছে। অথচ সারা বিশ্বের মুসলিমদের উচিৎ নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে নিজ নিজ জায়গা থেকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আওয়াজ তোলা, প্রতিবাদ করা, এবং প্রতিরোধ সৃষ্টি করা।
    তথ্যসূত্র:

    1.“Evidence not reliable”: Court acquits Muslim youth in Delhi pogrom case – https://maktoobmedia.com/2022/11/03/...i-pogrom-case/

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    দখলদার চীনা প্রশাসন উইঘুরদের মৃতদেহ কী করছে জানে না কেউ



    ২০২২ সালের আগস্ট মাসের লকডাউনে উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে একটি বাড়ির সিল করে দেয় দখলদার চাইনিজ প্রশাসন। দরজায় একটি নোটিশ লাগিয়ে দেয়। এতে লেখা আছে, 'এই বাড়িটি নজরদারিতে আছে। প্রবেশ ও প্রস্থান নিষিদ্ধ।' ছবি: রেডিও ফ্রি এশিয়া

    কঠোর লকডাউনের কারণে প্রাণ হারানো উইঘুর মুসলিমদের মৃতদেহ জোর পূর্বক নিয়ে যাচ্ছে দখলদার চাইনিজ প্রশাসন। পূর্ব তুর্কীস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ঘুলজা শহরের স্থানীয়রা ও কিছু কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মৃতদেহগুলি কী করা হচ্ছে সে ব্যাপারে মৃতদের পরিবার পরিজনকে কিছু জানায়নি আগ্রাসী প্রশাসন।

    কথিত লকডাউনের অজুহাতে প্রায় পাঁচ লাখ মুসলিমের শহর ঘুলজাকে আগস্টের শুরু থেকেই অবরুদ্ধ করে রাখে দখলদার চীন। এতে অনাহার ও ঔষধের অভাবে প্রাণ হারায় অনেক মুসলিম।

    এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানানো হয়েছিলো, এই লকডাউনে ঘুলজাতে প্রায় ৯০ জন মুসলিম প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে মনে করেন অনেকে।

    সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দখলদার কর্তৃপক্ষ লকডাউন প্রত্যাহার করে নেয়। তবে “উইঘুর ভাষায় জরুরি সেবা” না থাকার কারণে মৃতের সংখ্যা এত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

    পরিস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞাত কিছু ব্যক্তি জানিয়েছেন, দখলদার কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ সংগ্রহ করতে কিছু বিশেষ কর্মী নিয়োগ দিয়েছিল। কিন্তু তারা ইসলামী রীতি অনুযায়ী মৃতদের কবরস্থ করেনি, আর মৃতদের পরিবারকেও তা করতে দেয়নি। এমনকি কবরস্থ করার আগে মৃতদেহগুলি গোসল করানোর অনুমতিও দেয়নি ইসলাম বিদ্বেষী চাইনিজ প্রশাসন।

    বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেসের নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান তুর্ঘুঞ্জন আলাউদুন বলেন, “কেউ মারা গেলে আমরা তার মৃতদেহ গোসল করাই এবং সঠিকভাবে তাকে কবরস্থ করি। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর থেকে আমরা এই রীতিই অনুসরণ করে আসছি।”

    তিনি আরও বলেন, ইসলামী রীতি অনুযায়ী মৃতদেহ কবরস্থ করার সুযোগ থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করার দ্বারা “উইঘুরদের প্রতি চীনের গণহত্যা নীতির” বিষয়টি স্পষ্ট প্রমাণিত হয়।

    সুইডেনে বসবাসরত উইঘুর নাবিজান আলা বলেন, পূর্ব ঘুলজায় বসবাসরত তার চাচা আবলিমিত জুনুন লকডাউনের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। কঠোর লকডাউনের কারণে হাসপাতালে যেতে না পারায় গত ১ অক্টোবর তিনি মারা যান।

    “সেখানকার কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে মৃতদেহগুলি সংগ্রহ করছে। কিন্তু তারা সেই মৃতদেহগুলি নিয়ে কী করছে তা এখনও প্রকাশ করেনি। এমনকি আমার চাচার মৃতদেহ সম্পর্কেও আমি এখনো কিছু জানতে পারিনি,” বলেন নাবিজান।

    ঘুলজায় করোনা ভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে সহায়তাকারী দলের একজন সদস্য বলেন, শুধু স্থানীয় জননিরাপত্তা ব্যুরোর কাছেই সব তথ্য আছে। তারাই জানে যে মৃতদেহগুলি কী করা হয়েছে।

    কাশগড় শহরের সহায়তাকারী দলের এক কর্মী রেডিও ফ্রি এশিয়াকে জানান, কিছু দিন আগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড শেষে মুক্তি পেয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী এক যুবক। তার নাম আলিমজান আব্দুরিশিত। লকডাউনের সময় অনাহার ও অসুস্থতার কারণে মুক্তি পাওয়ার মাত্র ৪০ দিনের মাথায় ঐ যুবক মারা যান। মৃত্যুর পর তার মৃতদেহ পুলিশ নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার পরিবার জানে না যে আলিমজানের মৃতদেহ কী করা হয়েছে।

    সার্বিক দৃষ্টিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, দখলদার চাইনিজ প্রশাসন চায় উইঘুর মুসলিমদের জীবন থেকে সকল ধরনের ইসলামি রীতিনীতি একেবারে মুছে দিতে। উইঘুর মুসলিমদের কুরআন শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া, ডিটেনশন সেন্টারে অমানবিক নির্যাতন করা, লকডাউনের নামে অনাহারে ও বিনা চিকিৎসায় মুসলিমদের খুন করা, মুসলিম নারীদেরকে জোরপূর্বক হান পুরুষদের সাথে বিয়ে দেয়া, ধর্ষণ – আগ্রাসী চাইনিজ প্রশাসনের রোমহর্ষক অপরাধের ফিরিস্তি অনেক লম্বা।

    এদিকে নামধারী মুসলিম দেশগুলো চাইনিজ প্রশাসনের সাথে ক্রমাগত ব্যবসায়িক ও কূটনীতিক সম্পর্ক জোরদার করে যাচ্ছে। অথচ, উইঘুর মুসলিমদের ব্যাপারে তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে। পশ্চিমা বিশ্ব ও তাদের দালাল জাতিসংঘও শুধু নিন্দা জানিয়েই দায়িত্ব পালন করছে। এমতাবস্থায় মুসলিম উম্মাহর জাগরণ অপরিহার্য। নচেত দখলদার চাইনিজ প্রশাসন তুর্কিস্তান থেকে ইসলাম ও মুসলিম দুটোই মুছে দিবে।

    তথ্যসূত্রঃ

    ————————–

    Authorities in Xinjiang collect bodies of Uyghurs who died during COVID lockdown – https://tinyurl.com/2p9ackrm


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      অভিশপ্ত ইহুদিদের হাতে মুসলিম শিশু হত্যার শেষ কোথায়


      নিহত চার ফিলিস্তিনি। ছবি: টুইটার


      যত দিন যাচ্ছে, অভিশপ্ত ইহুদিরা ফিলিস্তিনে তত বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গত অক্টোবর মাসেই আগ্রাসী ইহুদিরা খুন করেছে ৩১ জন নিরাপরাধ ফিলিস্তিনি মুসলিমকে। এর রেষ কাটতে না কাটতেই গত ৩ সেপ্টেম্বর একদিনেই দখলদার বাহিনী খুন করেছে শিশু সহ ৪ মুসলিমকে।

      ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস দমনের নামে অভিযান চালায় দখলদার বাহিনী। এসব তথাকথিত অভিযানের নামে এভাবেই শিশু সহ নিরাপরাধ মুসলিমদের খুন করে আসছে সন্ত্রাসী ইসরাইল।

      নিহত শিশুর জানাজা। ছবি: টুইটার।

      পাশাপাশি, চার জন ফিলিস্তিনি শিশুকে গ্রেপ্তারও করেছে সন্ত্রাসী ইসরাইল। সন্ত্রাসী ইসরাইলের আগ্রাসন ও বর্বরতা এতটাই নিচে নেমেছে যে, শিশুদের খুন করার পাশাপাশি পঙ্গু শিশুদেরকেও সন্ত্রাসী ট্যাগ দিয়ে গ্রেপ্তার করছে।
      এক পঙ্গু শিশুসহ ও তিন শিশুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। ছবি: টুইটার।


      নিপীড়িত, নির্যাতিত, নিগৃহীত ফিলিস্তিনি মুসলিমরা আজ শুধু এই ভরসায় আছে যে, আল্লাহ তা’আলা শীঘ্রই তাদের জন্য সাহায্যকারী প্রেরণ করবেন।



      তথ্যসূত্র:

      ——

      In less than 24 hours, the lsraeli occupation forces have killed four Palestinians in separate incidents across the West Bank – https://tinyurl.com/3bpapu4a

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X