Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১১ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ০৭ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১১ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ০৭ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    তুর্কিস্তান || শুধুমাত্র চিকিৎসা করানোর কারণে হলেন বন্দী, মুক্তির পর রহস্যজনক মৃত্যু




    পূর্ব তুর্কীস্তানে একজন উইঘুর মুসলিম চিকিৎসক আট বছর দখলদার চীনের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে বন্দী থেকে মুক্তি পান। এরপর গত সেপ্টেম্বের রহস্যজনকভাবে মারা যান তিনি।

    পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত কিছু ব্যক্তি এবং স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, তুদাহুন নুরিহেমেত নামের সেই চিকিৎসককে অন্য আরেক উইঘুর মুসলিমের চিকিৎসা করার ‘অপরাধে’ বন্দী করা হয়েছিলো। কারণ তুদাহুন যার চিকিৎসা করেছিলেন, তিনি ছিলেন দখলদার প্রশাসনের দৃষ্টিতে একজন ‘সন্দেহভাজন অপরাধী’।

    তুদাহুন নুরিহেমেত ছিলেন পূর্ব তুর্কীস্তানের আকসু বিভাগের উচতুর্পণ শহরে অবস্থিত আচাতাঘ হাসপাতালের প্রাক্তন প্রধান।

    ২০১৩ সালে আকসুর আইকোল শহরে সংঘর্ষের সময় এক উইঘুর গুলিবিদ্ধ হন। তুদাহুন একজন চিকিৎসক হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেন এবং সেই উইঘুর মুসলিমের চিকিৎসা করেন। আর শুধুমাত্র এই অজুহাতে তুদাহুনকে বন্দী করে আট বছরের কারাদণ্ড দেয় দখলদার চাইনিজ প্রশাসন।

    আকসুর আইকোল শহরে সেদিন যা হয়েছিলো:


    রমাদানের শেষ দিকে সেদিন একটি মসজিদের ‘নিরাপত্তা পরীক্ষার’ নামে মুসলিমদের হয়রানি করতে আসে দখলদারদের পুলিশ বাহিনী। সেসময় উইঘুর মুসলিমদের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এবং এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

    সংঘর্ষের সময় সন্ত্রাসী পুলিশ নিরস্ত্র ও নিরীহ মুসলিমদের উপর গুলি চালায়। এতে তিনজন উইঘুর তাদের প্রাণ হারায়। এছাড়াও আহত হয় ২০ জন উইঘুর। আহতদের পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    সেই আহতদেরই একজনের চিকিৎসা করেছিলেন তুদাহুন। আপাতদৃষ্টিতে তিনি একজন আহতের চিকিৎসা করেছিলেন, একজন ডাক্তার হিসেবে নিজের ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু এটিই তার ‘অপরাধ’ হয়ে দাঁড়ায়। শুধুমাত্র একারণেই পরে তাকে আট বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে বর্বর চাইনিজ প্রশাসন।

    কারাগারে কিডনি রোগ:

    “নুরক্সিনিম উইঘুর” নামের এক ব্যক্তির ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানা যায়, তুদাহুনকে তার স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে তার পরিবারের কাছে ছাড়া হয়। এরপর গত ১৮ই সেপ্টেম্বর কিডনির জটিলতার কারণে তিনি মারা যান। নুরক্সিনিম উইঘুর মূলত পূর্ব তুর্কীস্তানে মৃত উইঘুরদের তথ্য ফেইসবুকে পোস্ট করেন।

    আচাতাঘ শহরের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানায়, তুদাহুন উরুমকির ৬ নম্বর কারাগারে সাজা ভোগ করেছেন। তবে তুদাহুনের মৃত্যুর ব্যপারে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
    আচাতাঘের একটি গ্রামের পুলিশ সদস্য জানায়, দুই সন্তানের পিতা তুদাহুন মাত্র এক বছর আগেই মুক্তি পান। তার কিডনিতে মারাত্মক সমস্যা ছিল এবং তিনি ঠিকমতো হাঁটতেও পারতেন না। অথচ বন্দী হবার আগে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। কারাগারে বন্দী থাকার সময়ই তিনি রহস্যজনকভাবে কিডনির রোগে আক্রান্ত হন এবং এ কারণেই তিনি মারা যান।

    সেই গ্রামেরই আরেক পুলিশ সদস্য বলেন, ঈদের তৃতীয় দিনই তুদাহুনকে বন্দী করা হয়। বন্দীর সময় তার উপর ‘সন্ত্রাসীদের সহায়তা করার’ অভিযোগও আনা হয়।

    তুদাহুন ছিলেন একজন দক্ষ চিকিৎসক। এমনকি অন্যান্য গ্রাম ও শহরেও ছিলো তার ব্যাপক পরিচিতি। আর এমনই একজন চিকিৎসককে বিনা কারণে আট বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে দখলদার চাইনিজ প্রশাসন। আর কারাগারে বিভিন্ন অজানা কারণে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় দুই সন্তানের বাবা তুদাহুন নুরিহেমেতের।


    লেখক : ওবায়দুল ইসলাম



    তথ্যসূত্র:
    1. Uyghur doctor jailed for treating a ‘terrorist’ dies after release from prison
    https://tinyurl.com/5cnphkrj

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2

    শরণার্থী শিবিরে রাশিয়া-রাফেজি জোটের গণহত্যাঃ বিমান ও রকেট হামলায় হতাহত শতাধিক মুসলিম

    বিমান হামলায় নিহত নিষ্পাপ মুসলিম শিশুরা
    সিরিয়ায় অসহায় মুসলিমদের উপর আবারও সন্ত্রাসী রাশিয়া ও বাশার আল-আসাদের শিয়া নুসাইরি জোট বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে। গতকাল (৬ নভেম্বর) দিনভর ইদলিব প্রদেশের গ্রামাঞ্চলে শরনার্থী শিবির লক্ষ করে বিমান হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় ১০ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং ৭৭ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। আহতদের অবস্থা গুরুতর, ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশংকা রয়েছে।
    স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ০৬ নভেম্বর শনিবার ইদলিবের পশ্চিমে অবস্থিত মারাম, ওয়াতান, ওয়াদি হাজি খালিদ, কাফর রুহিন, মোরিন এবং বা’বা – এই এলাকাগুলোতে একযোগে বিমান হামলার পাশাপাশি রকেট হামলাও চালিয়েছে কুখ্যাত আসাদ বাহিনী।
    হামলা পরবর্তি দৃশ্য – ছবি: হোয়াইট হেলমেটস।একেতো শরনার্থী শিবিরে হামলা, অন্যদিকে হামলায় ব্যবহার করা হয় আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা। ফলশ্রুতিতে শিবিরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১৩৫টি তাবু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে ৪৫ টি তাবু পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এতে ২৫০০ এর বেশি বাস্তুচ্যুত সিরিয়ানরা আবারও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা স্পুটনিকও হামলার বিষটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
    এত প্রাণহানিতেও ক্ষান্ত না হয়ে কসাই আসাদ বাহিনী এরপর আরিহা, বায়াননিন, ফাতিরাহ সহ আরো অন্তত ২০টি পৃথক স্থানে আর্টিলারি হামলা চালায়; যাতে আরও অনেক মুসলিম হতাহতের শিকার হয়েছেন। সব মিলিয়ে হতাহতের সংখ্যা শত ছাড়িয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
    হামলা পরবর্তি দৃশ্য – ছবি: হোয়াইট হেলমেট।স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, এই বর্বরোচিত গণহত্যা চালাতে ক্লাস্টার বোমার পাশাপাশি বিএম-২৭ রকেট শেল ব্যবহার করা হয়েছে। যার একটি রকেটের ভিতর আরো বহুসংখ্যক সাবমিউনিশন বা ক্ষুদ্রাকৃতির বিস্ফোরক থাকে, যার ফলে বিস্ফোরণের পরিধি অনেক বেড়ে যায় ও জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
    হামলা পরবর্তি দৃশ্য।তবে, রাশিয়া-রাফেজি জোটের হামলার জবাবে কয়েকটি সুন্নি বিদ্রোহী গ্রুপও কয়েকটি স্থানে আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করেছেন বলে জানা গেছে।


    যৌথ প্রতিবেদক
    ত্বহা আলী আদনান
    ইউসুফ আল-হাসান


    তথ্যসূত্র:
    ১। Syria: Government ‘cluster bombs’ kill at least 10 civilians, including children https://tinyurl.com/5ahcuc2w
    ২। হামলার ভিডিও লিংক https://tinyurl.com/5ahcuc2w









    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3

      হিন্দুত্ববাদী ভারত: বাবরির পর জ্ঞানবাপি; এবার টার্গেট শ্রীরঙ্গপাটনা



      বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল সহ বেশ কয়েকটি উগ্রপন্থী দল দাবি করছে যে মসজিদটি একটি হনুমান মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপর নির্মিত হয়েছিল এবং হিন্দুদের অধিকার রয়েছে এই মসজিদের ভিতর প্রার্থনা করার। ফাইল ফটো।
      হাজার বছর ধরে মুসলিম শাসনের অধীনে থাকা ভারত থেকে মুসলিমদের নিশানা মুছে দেয়ার জন্য উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা বারবার একটি সস্তা কৌশল অবলম্বন করে। প্রাচীন মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে একের পর এক ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলো ভাঙ্গার পটভূমি তৈরি করছে গেরুয়া সন্ত্রাসীরা।
      বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে এই একই কৌশলের পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মুঘল আমলে নির্মিত বাবরি মসজিদ এই কৌশলে ভেঙ্গে দিয়েছিল হিন্দুত্ববাদীরা। কিছুদিন আগে উত্তর প্রদেশের জ্ঞানবাপি মসজিদের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ করে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এবারে টার্গেট করেছে কর্ণাটকের শ্রীরঙ্গপাটনা জামিয়া মসজিদকে।
      কর্ণাটকের উগ্র হিন্দুপন্থী গোষ্ঠীগুলি কর্ণাটক হাইকোর্টে ১০৮টি পিটিশন দাখিল করবে যেন মান্ডিয়া জেলার শ্রীরঙ্গপাটনায় জামিয়া মসজিদের ভিতরে তাদের পূজা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
      বজরং এর রাজ্য সভাপতি, বি মঞ্জুনাথ, গত ৩ নভেম্বর, বার্তা সংস্থা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছে, পিটিশনগুলি প্রস্তুত আছে। কিছু দিনের মধ্যে সেগুলো দায়ের করা হবে৷ ১০৮ কে হিন্দুদের জন্য একটি শুভ সংখ্যা দাবি করে এই উগ্র হিন্দু নেতা বলেছে, “এ কারণেই আমরা এতগুলো পিটিশন ফাইল করছি।”
      বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল সহ বেশ কয়েকটি উগ্র হিন্দুপন্থী দল দাবি করছে যে, মসজিদটি একটি হনুমান মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপর নির্মিত হয়েছে। এ কারণে হিন্দুদের অধিকার রয়েছে সেখানে পূজা প্রার্থনা করার।
      অথচ, ১৭৮২ সালের দিকে নির্মিত মসজিদটি ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (ASI) দ্বারা রক্ষিত একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান।
      উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের অভিযোগ, জেলা কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকার অতীতে তাদের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এদিকে মসজিদটির নিরাপত্তার জন্য মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে হিন্দুত্ববাদী সরকারের আবেদন জানানো হয়েছে। আর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, হিন্দুত্ববাদী ভারত প্রশাসন সব সময়ই হিন্দুদের পক্ষে রায় দেয়।
      উগ্র হিন্দু মঞ্জুনাথের দাবি, “এটি একটি হিন্দু মন্দির। এটা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যে কেউ ফটো এবং প্রমাণগুলি দেখে একমত হবেন যে এটি একটি হিন্দু কাঠামো। আমরা এই সব আদালতে উপস্থাপন করব। তারা পুরো মন্দির ভেঙে দেয়নি। তারা শুধুমাত্র উপরের কাঠামো ভেঙ্গে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছে। বাকি বিল্ডিং অক্ষত আছে।”
      সে অভিযোগ করেছে, মুসলিমরা নাকি সেখানকার মন্দিরের সকল প্রমাণ নষ্ট করছে। তাই ঐ মসজিদ থেকে মুসলিমদের বের করে দেয়ার জোর দাবি জানিয়েছে এই মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দু নেতা।
      গত কয়েক মাসে, বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এই মসজিদের জরিপ চেয়ে জেলা কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। তাদের দাবি সত্য প্রমাণিত হলে মন্দিরটি পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে উগ্র হিন্দুরা।
      মঞ্জুনাথ আরো বলেছে, “আমরা নিশ্চিত যে, এখন না হলেও ভবিষ্যতে কোনো না কোনো সময় মন্দিরটি হিন্দুদের পূজার জন্য ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”
      মঞ্জুনাথের বক্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার যে, প্রমাণিত হোক বা হোক এই মসজিদ তারা এক সময় দখল করবেই।
      নাপাক হিন্দুত্ববাদীরা উদ্দেশ্যমূলক ভাবেই মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোকে বিতর্কিত করে হিন্দুত্ববাদী আদালতে মামলা করছে। তারা জানে, আজ না হোক কাল হিন্দুত্ববাদী আদালত তাদের দাবির পক্ষেই রায় দিবে। যেমনটা হয়েছে বাবরী মসজিদের ক্ষেত্রে।
      উগ্র হিন্দুত্ববাদীতের দৌরাত্ম্য এখনই রুখে না দিতে পারলে ভারতে মুসলিমদের গণহত্যা অনিবার্য। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সকল পর্যায়ে ভেদাভেদ ভুলে এক মুসলিম অপর মুসলিমের পাশে দাঁড়াতে হবে; হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে। তবেই রচিত হবে গাজওয়াতুল হিন্দের মারহালা।
      তথ্যসূত্র:
      ——
      ১। Hindu groups to move Karnataka high court for nod to pray at Jamia Masjid – https://tinyurl.com/yc278pt2







      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X