Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৭ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ১৩ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৭ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ১৩ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    আসামের মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি; শিক্ষকদের বিবরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ


    গত ৩১ আগস্ট আসামে একটি মাদ্রাসা ভেঙে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী আসাম সরকার। ফটোঃ ANI, Maktoob Media


    হিন্দুত্ববাদী ভারতের আসাম সরকার রাজ্যের সমস্ত মাদ্রাসাগুলোকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের দ্বারা নিযুক্ত শিক্ষকদের সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে। কথিত ’সন্ত্রাসী’ যোগসূত্রের অভিযোগে কয়েকজন শিক্ষককে গ্রেফতার করার পর মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে হিন্দুত্ববাদী সরকার।

    গত ৯ নভেম্বর পুলিশ মহাপরিচালক (ডিজিপি) ভাস্করজ্যোতি মহন্তের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে এ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছে, মাদ্রাসাগুলিকে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তুলে মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর একটি কৌশল হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ইসলাম বিদ্বেষী প্রশাসন। একই অভিযোগে আসামের হিন্দুত্ববাদী রাজ্য প্রশাসন তিনটি মাদ্রাসা ভেঙে দিয়েছে। এছাড়াও এ ধরনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে উগ্র হিন্দুরা।

    উল্লেখ্য, ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করার জন্য, এই সন্ত্রাসবাদের গুজব ছড়িয়ে গত ছয় মাসে কয়েকটি মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক সহ ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।

    গত ২১ সেপ্টেম্বর হিন্দুত্ববাদী শিক্ষামন্ত্রী রণোজ পেগু জানিয়েছিল, পর্যায়ক্রমে সকল বেসরকারি মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় সকল মাদ্রাসা শিক্ষককে নজরদারিতে আনার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলাম বিদ্বেষী প্রশাসন।

    হিন্দুত্ববাদী শিক্ষামন্ত্রী রণোজ পেগু।
    কোন ধরনের তদন্ত ও প্রমাণ ছাড়াই মাদ্রাসাগুলো উগ্রবাদের সাথে জড়িত বলে গুজব ছড়াচ্ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। মূলত এ সমস্ত অভিযোগ তুলে তারা মুসলিমদেরকে কোণঠাসা করতে চাইছে। তারা জানে যে, মুসলিমদের দ্বীনি প্রতিরক্ষার প্রধান দুর্গ হচ্ছে মসজিদ ও মাদ্রাসা। তাই এই দুর্গগুলো ধ্বংস ও আলেমদের গ্রেফতার করতে উঠেপরে লেগেছে উগ্রবাদী হিন্দুরা।


    তথ্যসূত্রঃ

    ১। Madrasas in Assam asked to submit details of teachers (Muslim Mirror) – https://tinyurl.com/5n7wbv55

    ২। Assam government demolishes third Madrasa in a month – https://tinyurl.com/2j6mpe9p

    ৩। VIDEO LINK – https://tinyurl.com/msnn6yrn

    ৪। YT link – https://tinyurl.com/4mkha2eh

    ৫। Bulldozer demolishes madrassa in Assam, govt says owner a “terror accused” – https://tinyurl.com/2p8nf9hd

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফের দখলদার ইসরাইলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি যুবক নিহত


    নিহত ফিলিস্তিনি রাফাত আলি ইসা। ছবি: কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক।

    ফিলিস্তিনে অভিশপ্ত ইসরাইলের আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ নভেম্বর আরও এক ফিলিস্তিনিকে খুন করেছে দখলদার সন্ত্রাসী বাহিনী।স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, অধিকৃত ফিলিস্তিনের জেনিন শহরে এ ঘটনা ঘটে। রাফাত আলি ইসা নামের ২৯ বছর বয়সী এ ফিলিস্তিনিকে প্রথমে পায়ে গুলি করে দখলদার সেনারা। গুলিতে গুরুতর আহত হলেও চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে স্থানীয় সেনা কেম্পে নিয়ে যায় বর্বর সেনারা।সন্তানের লাশের পাশে ফিলিস্তিনি পিতা। ছবি: টুইটার।

    সেখানে ইসার অবস্থা আরও অবনতি হলে রেড ক্রিসেন্ট এর কাছে হস্তান্তর করে অভিশপ্ত ইহুদি সেনারা। রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান তিনি।শুধুমাত্র চলতি মাসেই ইসা সহ মোট ৮ জন ফিলিস্তিনি মুসলিমকে খুন করেছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই দখলদারদের অবৈধ গ্রেফতার অভিযানের সময় সেনাদের গুলিতে খুন হয়।এছাড়াও পশ্চিম তীরের নাবলুসে সন্ত্রাসী ইসরাইলি সেনাদের ছোঁড়া বিস্ফোরকে এক ফিলিস্তিনি কিশোর গুরুতর আহত হয়েছেন।আহত ফিলিস্তিনি কিশোর। ছবি: টুইটার।

    ২০২২ সালের শুরু থেকে নভেম্বরের ১২ তারিখ পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ ফিলিস্তিনি মুসলিম সন্ত্রাসী ইসরাইলি বাহিনীর হাতে খুন হয়েছেন। দখলদার অভিশপ্ত ইসরাইলিদের উপযুক্ত জবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে না বিধায়, ফিলিস্তিনি মুসলিমদেরকে পাখির মতো গুলি করে মারা হচ্ছে।
    অথচ একজন ফিলিস্তিনি পাথর নিক্ষেপ করলেও তাকে সন্ত্রাসী তকমা লাগিয়ে মুখরোচকভাবে প্রচার করে পশ্চিমা বিশ্ব ও তাদের দালাল মিডিয়াগুলো।পুরো বিশ্বের মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ না হলে, ফিলিস্তিনি মুসলিমদেরকে প্রকৃত অর্থেই স্বাধীন করা সম্ভব নয়; বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয় আরও দূরের বিষয়। তাই, সকল মুসলিমের উচিৎ স্বার্থ ও ভেদাভেদ ভুলে সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো এক উম্মাহ হয়ে যাওয়া।

    তথ্যসূত্র:
    ১। Israeli forces shoot, kill Palestinian near apartheid wall – https://tinyurl.com/2sfxhffv








    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      তুর্কিস্তান, তুরস্ক, আফগানিস্তানের উইঘুরদের নজরদারিতে চীনা স্পাইওয়্যার


      ২০২০ সালের এক রিপোর্টে দেখা যায়, ট্রোজান এপ্স ব্যবহার করে দখলদার চাইনিজরা উইঘুরদের নজরদারি করতো। ট্রোজান এপ্সের মাধ্যমে উইঘুরদের পুঙ্খানুপুঙ্খ লোকেশন ফলো করতে পারে আগ্রাসী চাইনিজ প্রশাসন। ফাইল ফটোঃ ইউটিউব স্ক্রিন শট।


      উইঘুর মুসলিমদের দমনে সাইবার যুদ্ধ শুরু করেছে দখলদার চীন। সম্প্রতি বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, উইঘুর মুসলিমদের নজরদারি করতে বিভিন্ন স্পাইওয়্যার এপ্স ব্যবহার করছে দখলদার চাইনিজরা।সম্প্রতি একদল সাইবার নিরাপত্তা গবেষক একটি স্পাইওয়্যার ক্যাম্পেইন আবিষ্কার করেছে। সেই ক্যাম্পেইনটি মূলত উইঘুরদের উপর নজরদারিতেই ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। এই সাইবার গবেষকদের মতে, দখলদার চাইনিজদের হ্যাকার গ্রুপ বিভিন্ন এপ্স এর হুবহু নকল করে স্পাইওয়্যার এপ্স তৈরি করছে।
      যেসব এপ্সকে নকল করা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো – বার্তা পরিষেবা, সালাতের সময়, অভিধান, ইত্যাদি।গবেষকরা বলছে, বার্তা পরিষেবা, সালাতের সময় ও ভাষানুবাদের এপ্সগুলিকে লক্ষ্য করেই বিভিন্ন স্পাইওয়্যার এপ্স তৈরি করছে চাইনিজ হ্যাকাররা।

      এসকল এপ্সের মাধ্যমে উইঘুর মুসলিমদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, গার্ডিয়ানের সেই প্রতিবেদন মতে, শুধু পূর্ব তুর্কীস্তানে অবস্থানরত উইঘুর মুসলিমরাই নয় বরং তুরস্ক ও ইসলামী ইমারাতে আফগানিস্তানে অবস্থানরত উইঘুর মুসলিমরাও এই নজরদারির অন্তর্ভুক্ত।

      এদিকে পূর্ব তুর্কীস্তানে উইঘুরদের উপর নজরদারি বৃদ্ধিতে পঞ্চম প্রজন্মের স্টেশন নির্মাণ করেছে দখলদাররা। এ পর্যন্ত পুরো তুর্কীস্তানে ৩০ হাজার ফাইভ-জি স্টেশন নির্মাণ করেছে দখলদার চাইনিজরা। এছাড়াও এবছর তারা ২৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে আরও ১০ হাজার স্টেশন নির্মাণ করছে। এর পুরোটাই মূলত ব্যবহার হচ্ছে উইঘুর মুসলিমদের উপর নজরদারিতে।

      উইঘুর মুসলিমদের চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছে দখলদার চীন। পূর্ব তুর্কীস্তানে দখলদাররা তাদের যেকোন প্রযুক্তিগত স্থাপনাকে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করলেও তা আসলে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহৃত হয়।
      বর্তমান পরিস্থিতিতে উইঘুর মুসলিমদের উচিত, এন্ড্রয়েড ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া। পাশাপাশি, বিশ্বের সকল মুসলিমদের উচিৎ দখলদার চীনের বিরুদ্ধে নিজেদের সাধ্যমত প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

      তথ্যসূত্রঃ

      ১। Spyware targets Uyghurs by ‘masquerading’ as Android apps – report – https://tinyurl.com/yc2vhbmh২। China’s rollout of 5G base stations in Xinjiang will boost surveillance, experts say – https://tinyurl.com/ncthcmza







      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        রাফাত আলি ইসা নামের ২৯ বছর বয়সী এ ফিলিস্তিনিকে প্রথমে পায়ে গুলি করে দখলদার সেনারা। গুলিতে গুরুতর আহত হলেও চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে স্থানীয় সেনা কেম্পে নিয়ে যায় বর্বর সেনারা। সেখানে ইসার অবস্থা আরও অবনতি হলে রেড ক্রিসেন্ট এর কাছে হস্তান্তর করে অভিশপ্ত ইহুদি সেনারা। রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান তিনি।
        রেড ক্রিসেন্ট অভিশপ্ত ইহুদিদের জন্য জুলুমের একটি যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না- প্রশ্ন থেকে যায়!! রেড ক্রিসেন্ট যদি সত্যিই নিজেদের নিরপেক্ষ ও মানবতাবাদী সেবা সংগঠন দাবী করে থাকে তবে তাঁদের সেবার নীতিমালাও হতে হবে আহত রোগীবান্ধব; তাদের দায়িত্ব শুধু চিকিৎসা সেবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হতে পারবে না বরং আহত রোগীর পূর্ব অবস্থার উপরও ক্ষমতায়ন ও জবাবদিহীতা কায়েম থাকতে হবে অর্থাৎ এমন হবে না যে ইসরায়েলী বাহিনী আহতদের ঘন্টার পর ঘন্টা সেনা কেম্পে আটকে রেখে মৃত্যুর কাছাকাছি অবস্থায় উপনীত করল অতঃপর রেড ক্রিসেন্টের হাতে তুলে দিল... বরং, রেড ক্রিসেন্টের কর্তব্য হল এব্যাপারে ইহুদি প্রশাসনকে প্রতিবাদি জবাবদিহিতার মুখোমুখি দাঁড় করানো। নচেৎ তাদের নিরপেক্ষতা বা মানবিকতা মিথ্যা বৈ কিছু নয়। নিশ্চিতভাবে যারা জালিমের জুলুমের দায়ভার মোচন বা লঘুকরণে কোনপ্রকারে অংশ নেয় তাঁরাও জালিম।

        Comment


        • #5
          আঘাতে আঘাতে কত
          হয় ক্ষতবিক্ষত
          মুসলিম উম্মাহর দেহ প্রতিদিন

          তুমি যদি হয়ে থাকো
          এ দেহের অংশ
          তবু কেন তুমি আজও অনুভূতিহীন

          Comment

          Working...
          X