Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২১ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২১ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    কর্ণাটকের জামিয়া মসজিদ সরানোর দাবিতে হাইকোর্টে বজরং দলের পিটিশন



    কর্ণাটকের জামিয়া মসজিদ খালি করার অযৌক্তিক দাবিতে হাইকোর্টে একটি পিআইএল জমা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী বজরং দল। পিআইএলএ দাবি করেছে যে, মসজিদটি নাকি একসময় হিন্দু মন্দির ছিল, আর তার প্রমাণও নাকি তাদের কাছে রয়েছে।

    পিটিশনে তারা বলেছে, “মান্ডা জেলার ঐতিহাসিক শ্রীরঙ্গপাটনা শহরের জামিয়া মসজিদে হিন্দু দেবতা ও মন্দিরের কাঠামোর চিহ্ন রয়েছে। অতএব, মসজিদটি অবিলম্বে খালি করা উচিত। এছাড়াও, হিন্দু ভক্তদের মসজিদের প্রাঙ্গনে অবস্থিত কল্যাণী (জলাশয়ে) স্নান করার অনুমতি দেওয়া উচিত।

    বজরং দলের কর্মীরা আরও দাবি করেছে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের আদলে মসজিদটি পুনরুদ্ধার করা হবে। গত ১৬ নভেম্বর, বুধবার পিআইএল জমা দিয়েছে বজরং দলের রাজ্য সভাপতি মঞ্জুনাথ। মঞ্জুনাথ সহ তাদের কথিত দেবতা হনুমানের ১০৪ ভক্ত উক্ত আবেদন করেছে।

    জামিয়া মসজিদ, যাকে মসজিদ-ই-আলা নামেও ডাকা হয়। এটি শ্রীরঙ্গপাটনা দুর্গের ভিতরে অবস্থিত। টিপু সুলতানের শাসনামলে ১৭৮৬-৮৭ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটিতে তিনটি শিলালিপি রয়েছে যাতে নবী মোহাম্মদ ﷺ এর নয়টি নামের উল্লেখ রয়েছে।

    নরেন্দ্র মোদী ভিচার মঞ্চও মসজিদের জরিপের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে পিটিশন জমা দিয়েছিল। তারাও দাবি করে জামিয়া মসজিদটি হনুমান মন্দির ভেঙ্গে ফেলার পরে নির্মিত হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এর আগে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো মসজিদে পূজা পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চেয়েছিল। বিষয়টি রাজ্যে মুসলিমদের জন্য আতঙ্কের বিষয় হয়ে উঠেছে।

    জামিয়া মসজিদকে হিন্দু কর্মীদের হাত থেকে রক্ষা করতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক আবেদন করেছে।
    কিন্তু হিন্দুত্ববাদী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Jamia masjid row: Bajrang Dal submits PIL to Karnataka HC, demands to vacate mosque
    https://tinyurl.com/yp67zkx9

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফের বাংলাদেশি এক কৃষককে ধরে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় খুন করলো সন্ত্রাসী বিএসএফ


    সন্ত্রাসী বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত কৃষক মেজবাহ উদ্দিন


    ভারতীয় সীমান্ত সন্ত্রাসী বিএসএফ সদস্যরা ফের বাংলাদেশি এক কৃষককে অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। জানা যায়, গত তিন দিন আগে ওই কৃষককে বাংলাদেশ অংশ থেকে ধরে নিয়ে যায় সন্ত্রাসী বিএসএফ। এরপর গতকাল বুধবার (১৬ নভেম্বর) সীমান্ত এলাকার ভারতীয় অংশে ৬৪নং পিলারের ১০০ গজ ভেতরে কৃষকের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। নিহতের পরিবার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি বিজিবিকে জানায়, কিন্তু তার লাশ এখনো উদ্ধার করা হয়নি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর রোববার বিকেলে উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশের অংশে নিজের জমিতে ধান কাটছিলেন কৃষক মেজবাহ উদ্দিন(৪৫)। বিএসএফ-এর একটি দল সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিদের ধাওয়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ অংশে ঢুকে পড়ে। তারা চোরাকারবারিদের না পেয়ে কৃষক মেজবাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যায়।

    মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার এবং পরিবারের অন্যরা বিষয়টি ঘটনার দিনই (১৩ নভেম্বর) স্থানীয় বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনকে জানায়। পরদিন (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১টা, দুপুর ২টা এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় পরপর তিনবার বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কৃষককে ধরে নেওয়ার বিষয়টি বিএসএফ সন্ত্রাসীরা অস্বীকার করে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন সুমন জানান, বিএসএফ মেজবাহকে ধরে নিয়ে যায়। কিন্তু বিজিবির সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি অস্বীকার করে তারা। আজ তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

    এ প্রসঙ্গে গুথুমা বিজিবি ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুধবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেছে, ‘কৃষক মেজবাহর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সোমবার বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছি। তারা কাউকে ধরে নেওয়া বা হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। আপাতত আমরা মরদেহ উদ্ধারে বা বুঝে নিতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছি না।’

    বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশিদের যে হারে নির্বিঘ্নে খুন করে চলেছে, বিশ্বে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। এমনকি ভারতের সঙ্গে তাদের শত্রুরাষ্ট্র চীন, মিয়ানমার, ভুটান, নেপাল ও আরেক শত্রুরাষ্ট্র পাকিস্তান সীমান্তে রয়েছে, কিন্তু সেখানে এমন নির্বিচার হত্যাকাণ্ড নেই।

    কথিত গণতন্ত্রপন্থী দালাল শাসকগোষ্ঠীর নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণেই বিএসএফ সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের হত্যা করে যাচ্ছে। এমনকি দিনের পর দিন ভারতের অংশে লাশ পড়ে থাকলেও উদ্বার করতে পারে না দালাল সরকার।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    ১। কাঁটাতারের ওপারে পড়ে আছে লাশ, ধানখেত থেকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ
    https://tinyurl.com/hw78m47b

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X