কর্ণাটকের জামিয়া মসজিদ সরানোর দাবিতে হাইকোর্টে বজরং দলের পিটিশন
কর্ণাটকের জামিয়া মসজিদ খালি করার অযৌক্তিক দাবিতে হাইকোর্টে একটি পিআইএল জমা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী বজরং দল। পিআইএলএ দাবি করেছে যে, মসজিদটি নাকি একসময় হিন্দু মন্দির ছিল, আর তার প্রমাণও নাকি তাদের কাছে রয়েছে।
পিটিশনে তারা বলেছে, “মান্ডা জেলার ঐতিহাসিক শ্রীরঙ্গপাটনা শহরের জামিয়া মসজিদে হিন্দু দেবতা ও মন্দিরের কাঠামোর চিহ্ন রয়েছে। অতএব, মসজিদটি অবিলম্বে খালি করা উচিত। এছাড়াও, হিন্দু ভক্তদের মসজিদের প্রাঙ্গনে অবস্থিত কল্যাণী (জলাশয়ে) স্নান করার অনুমতি দেওয়া উচিত।
বজরং দলের কর্মীরা আরও দাবি করেছে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের আদলে মসজিদটি পুনরুদ্ধার করা হবে। গত ১৬ নভেম্বর, বুধবার পিআইএল জমা দিয়েছে বজরং দলের রাজ্য সভাপতি মঞ্জুনাথ। মঞ্জুনাথ সহ তাদের কথিত দেবতা হনুমানের ১০৪ ভক্ত উক্ত আবেদন করেছে।
জামিয়া মসজিদ, যাকে মসজিদ-ই-আলা নামেও ডাকা হয়। এটি শ্রীরঙ্গপাটনা দুর্গের ভিতরে অবস্থিত। টিপু সুলতানের শাসনামলে ১৭৮৬-৮৭ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটিতে তিনটি শিলালিপি রয়েছে যাতে নবী মোহাম্মদ ﷺ এর নয়টি নামের উল্লেখ রয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী ভিচার মঞ্চও মসজিদের জরিপের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে পিটিশন জমা দিয়েছিল। তারাও দাবি করে জামিয়া মসজিদটি হনুমান মন্দির ভেঙ্গে ফেলার পরে নির্মিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো মসজিদে পূজা পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চেয়েছিল। বিষয়টি রাজ্যে মুসলিমদের জন্য আতঙ্কের বিষয় হয়ে উঠেছে।
জামিয়া মসজিদকে হিন্দু কর্মীদের হাত থেকে রক্ষা করতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক আবেদন করেছে।
কিন্তু হিন্দুত্ববাদী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Jamia masjid row: Bajrang Dal submits PIL to Karnataka HC, demands to vacate mosque
– https://tinyurl.com/yp67zkx9
কর্ণাটকের জামিয়া মসজিদ খালি করার অযৌক্তিক দাবিতে হাইকোর্টে একটি পিআইএল জমা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী বজরং দল। পিআইএলএ দাবি করেছে যে, মসজিদটি নাকি একসময় হিন্দু মন্দির ছিল, আর তার প্রমাণও নাকি তাদের কাছে রয়েছে।
পিটিশনে তারা বলেছে, “মান্ডা জেলার ঐতিহাসিক শ্রীরঙ্গপাটনা শহরের জামিয়া মসজিদে হিন্দু দেবতা ও মন্দিরের কাঠামোর চিহ্ন রয়েছে। অতএব, মসজিদটি অবিলম্বে খালি করা উচিত। এছাড়াও, হিন্দু ভক্তদের মসজিদের প্রাঙ্গনে অবস্থিত কল্যাণী (জলাশয়ে) স্নান করার অনুমতি দেওয়া উচিত।
বজরং দলের কর্মীরা আরও দাবি করেছে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের আদলে মসজিদটি পুনরুদ্ধার করা হবে। গত ১৬ নভেম্বর, বুধবার পিআইএল জমা দিয়েছে বজরং দলের রাজ্য সভাপতি মঞ্জুনাথ। মঞ্জুনাথ সহ তাদের কথিত দেবতা হনুমানের ১০৪ ভক্ত উক্ত আবেদন করেছে।
জামিয়া মসজিদ, যাকে মসজিদ-ই-আলা নামেও ডাকা হয়। এটি শ্রীরঙ্গপাটনা দুর্গের ভিতরে অবস্থিত। টিপু সুলতানের শাসনামলে ১৭৮৬-৮৭ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটিতে তিনটি শিলালিপি রয়েছে যাতে নবী মোহাম্মদ ﷺ এর নয়টি নামের উল্লেখ রয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী ভিচার মঞ্চও মসজিদের জরিপের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে পিটিশন জমা দিয়েছিল। তারাও দাবি করে জামিয়া মসজিদটি হনুমান মন্দির ভেঙ্গে ফেলার পরে নির্মিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো মসজিদে পূজা পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চেয়েছিল। বিষয়টি রাজ্যে মুসলিমদের জন্য আতঙ্কের বিষয় হয়ে উঠেছে।
জামিয়া মসজিদকে হিন্দু কর্মীদের হাত থেকে রক্ষা করতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক আবেদন করেছে।
কিন্তু হিন্দুত্ববাদী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Jamia masjid row: Bajrang Dal submits PIL to Karnataka HC, demands to vacate mosque
– https://tinyurl.com/yp67zkx9
Comment