উইঘুর মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করতে হান চাইনিজদের সাথে জোরপূর্বক মুসলিম নারীদের বিয়ে
উইঘুর মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করতে মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক হান চাইনিজদের সাথে বিয়ে দিচ্ছে পূর্ব তুর্কীস্তানের দখলদার প্রশাসন। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ভিত্তিক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘উইঘুর হিউম্যান রাইটস প্রজেক্ট (ইউএইচআরপি)’-এর একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই ঘটনাটি।
উইঘুর হিউম্যান রাইটস প্রজেক্টের সেই প্রতিবেদন মতে, হান চাইনিজদের সাথে জোরপূর্বক উইঘুর মুসলিম নারীদের বিয়ে দিচ্ছে দখলদার প্রশাসন। সেই সাথে দিচ্ছে কিছু লোক দেখানো ‘আর্থিক প্রণোদনাও’।
পূর্ব তুর্কীস্তানে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী হান পুরুষদের বিয়ে করতে উইঘুর মুসলিম নারীদের নগদ অর্থ, আবাসন, শিক্ষা ভর্তুকি, চাকরি এবং চিকিৎসা সেবা সরবরাহের আশা দিচ্ছে সেখানকার দখলদার প্রশাসন। সেই সাথে প্রশাসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ফলাফল স্বরূপ উইঘুর মুসলিম নারীদের বন্দী শিবিরে পাঠানোর হুমকিও দিচ্ছে তারা।
ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটেছে তুর্কীস্তানের আকসু বিভাগের কালাসা গ্রামে। সেখানে দখলদার কর্মকর্তারা কথিত “জাতীয় ঐক্য, এক পরিবার” প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে দুই উইঘুর-হান দম্পতিকে ৪০ হাজার ইউয়ান প্রস্তাব করেছে। অন্যদিকে কাশগড়েও “জাতিগত আন্তঃবিবাহ পুরষ্কারের” জন্য বার্ষিক ২০ হাজার ইউয়ান বাজেট রাখা হয়েছে।
বিদেশে অবস্থানরত এক উইঘুর মুসলিম নারী জানিয়েছেন, তার এক মুসলিম প্রতিবেশী বন্দী শিবিরে যাবার ভয়ে তাদের ১৮ বছর বয়সী মেয়েকে এক হান চাইনিজের সাথে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
টিকটকের চীনা সংস্করণ ‘ডাউয়িনে’-তে এবং বিদেশে অবস্থানরত উইঘুর বুদ্ধিজীবীদের সংরক্ষণ করা উইঘুর-হান বিবাহের অনুষ্ঠানগুলির ভিডিও বিশ্লেষণ করলে সেখানে উইঘুর মুসলিম নারীদের নিপীড়িত হবার বিষয়টি স্পষ্টভাবে দেখা যায়। আর মুসলিম নারীদের জন্য ইসলামে অবিশ্বাসী পুরুষদের বিয়ে করা সম্পূর্ণ নিষেধ; ধর্মে নিষেধ এই কাজটিই করতে বাধ্য করা হচ্ছে উইঘুর মুসলিম নারীদেরকে।
দখলদার প্রশাসন কর্তৃক ব্যবহৃত এমনই এক উইঘুর-হান বিবাহের প্রচারণামূলক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, একটি ‘মিশ্র দম্পতি’ চীনের ইসলাম বিদ্বেষী কমিউনিস্ট পার্টিকে তাদের ‘সুন্দর জীবনের’ জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছে। পাশাপাশি ভিডিওতে উইঘুর ভাষার ভয়েসওভারে ঘোষণা করা হচ্ছে যে, “সরকার উইঘুর-হান বিবাহের বৃদ্ধি ঘটাতে জরুরিভাবে ১০০ জন উইঘুর মুসলিম নারী খুঁজছে।”
পূর্ব তুর্কীস্তানে উইঘুর মুসলিমদের জনসংখ্যা হ্রাস করতে উইঘুর নারীদের জোরপূর্বক বিয়ের পাশাপাশি দখলদার চীন মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক নির্বীজকরণ (বন্ধ্যা), নির্যাতন এবং গণ-বন্দীকরণের মতো ঘৃণিত কাজও করে যাচ্ছে। যদিও এতসব প্রমাণ চীনের সামনে পেশ করার পরেও বর্বর চীন এসব কিছুকে অস্বীকার করেছে। এবং উইঘুর মুসলিমদের বন্দীকরণকে তারা কথিত ‘পুনঃশিক্ষা কার্যক্রম’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তথ্যসূত্র :
1. Chinese being ‘paid to marry Muslims in plan to wipe out Uyghurs’
– https://tinyurl.com/25h9p4aw
উইঘুর মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করতে মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক হান চাইনিজদের সাথে বিয়ে দিচ্ছে পূর্ব তুর্কীস্তানের দখলদার প্রশাসন। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ভিত্তিক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘উইঘুর হিউম্যান রাইটস প্রজেক্ট (ইউএইচআরপি)’-এর একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই ঘটনাটি।
উইঘুর হিউম্যান রাইটস প্রজেক্টের সেই প্রতিবেদন মতে, হান চাইনিজদের সাথে জোরপূর্বক উইঘুর মুসলিম নারীদের বিয়ে দিচ্ছে দখলদার প্রশাসন। সেই সাথে দিচ্ছে কিছু লোক দেখানো ‘আর্থিক প্রণোদনাও’।
পূর্ব তুর্কীস্তানে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী হান পুরুষদের বিয়ে করতে উইঘুর মুসলিম নারীদের নগদ অর্থ, আবাসন, শিক্ষা ভর্তুকি, চাকরি এবং চিকিৎসা সেবা সরবরাহের আশা দিচ্ছে সেখানকার দখলদার প্রশাসন। সেই সাথে প্রশাসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ফলাফল স্বরূপ উইঘুর মুসলিম নারীদের বন্দী শিবিরে পাঠানোর হুমকিও দিচ্ছে তারা।
ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটেছে তুর্কীস্তানের আকসু বিভাগের কালাসা গ্রামে। সেখানে দখলদার কর্মকর্তারা কথিত “জাতীয় ঐক্য, এক পরিবার” প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে দুই উইঘুর-হান দম্পতিকে ৪০ হাজার ইউয়ান প্রস্তাব করেছে। অন্যদিকে কাশগড়েও “জাতিগত আন্তঃবিবাহ পুরষ্কারের” জন্য বার্ষিক ২০ হাজার ইউয়ান বাজেট রাখা হয়েছে।
বিদেশে অবস্থানরত এক উইঘুর মুসলিম নারী জানিয়েছেন, তার এক মুসলিম প্রতিবেশী বন্দী শিবিরে যাবার ভয়ে তাদের ১৮ বছর বয়সী মেয়েকে এক হান চাইনিজের সাথে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
টিকটকের চীনা সংস্করণ ‘ডাউয়িনে’-তে এবং বিদেশে অবস্থানরত উইঘুর বুদ্ধিজীবীদের সংরক্ষণ করা উইঘুর-হান বিবাহের অনুষ্ঠানগুলির ভিডিও বিশ্লেষণ করলে সেখানে উইঘুর মুসলিম নারীদের নিপীড়িত হবার বিষয়টি স্পষ্টভাবে দেখা যায়। আর মুসলিম নারীদের জন্য ইসলামে অবিশ্বাসী পুরুষদের বিয়ে করা সম্পূর্ণ নিষেধ; ধর্মে নিষেধ এই কাজটিই করতে বাধ্য করা হচ্ছে উইঘুর মুসলিম নারীদেরকে।
দখলদার প্রশাসন কর্তৃক ব্যবহৃত এমনই এক উইঘুর-হান বিবাহের প্রচারণামূলক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, একটি ‘মিশ্র দম্পতি’ চীনের ইসলাম বিদ্বেষী কমিউনিস্ট পার্টিকে তাদের ‘সুন্দর জীবনের’ জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছে। পাশাপাশি ভিডিওতে উইঘুর ভাষার ভয়েসওভারে ঘোষণা করা হচ্ছে যে, “সরকার উইঘুর-হান বিবাহের বৃদ্ধি ঘটাতে জরুরিভাবে ১০০ জন উইঘুর মুসলিম নারী খুঁজছে।”
পূর্ব তুর্কীস্তানে উইঘুর মুসলিমদের জনসংখ্যা হ্রাস করতে উইঘুর নারীদের জোরপূর্বক বিয়ের পাশাপাশি দখলদার চীন মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক নির্বীজকরণ (বন্ধ্যা), নির্যাতন এবং গণ-বন্দীকরণের মতো ঘৃণিত কাজও করে যাচ্ছে। যদিও এতসব প্রমাণ চীনের সামনে পেশ করার পরেও বর্বর চীন এসব কিছুকে অস্বীকার করেছে। এবং উইঘুর মুসলিমদের বন্দীকরণকে তারা কথিত ‘পুনঃশিক্ষা কার্যক্রম’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
প্রতিবেদক : ওবায়দুল ইসলাম
তথ্যসূত্র :
1. Chinese being ‘paid to marry Muslims in plan to wipe out Uyghurs’
– https://tinyurl.com/25h9p4aw