Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ৬ই মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ২৬ আগস্ট, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ৬ই মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ২৬ আগস্ট, ২০২০ঈসায়ী।

    উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়ল সিটি ব্লক

    কক্সবাজারের টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপে ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এরই মধ্যে অন্তত ১০টি স্থানে জোয়ারের পানির আঘাতে সিসি ব্লক ধসে পড়েছে। এতে নির্মাণাধীন এ বেড়িবাঁধের টেকসই ও স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আর উদ্বোধনের আগেই বেড়িবাঁধে ধস দেখে হতাশ ওই এলাকার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। স্বস্তির বদলে তাদের মাঝে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

    এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দাবি, নকশার কিছুটা ত্রুটি থাকার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নকশা পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

    অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণকাজে তড়িঘড়ি করায় জোয়ারের পানিতে সিসি ব্লকগুলো সরিয়ে মাটি সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে। বাঁধ নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এর মধ্যেই ১০টির বেশি স্থানে সিসি ব্লকগুলো ধসে পড়ছে। ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বাঁধের দক্ষিণ পাশের মাঝের পাড়া, দক্ষিণপাড়ার আধা কিলোমিটার অংশে ডাম্পিং ব্লক কম দেওয়ায় জোয়ারের পানির আঘাতে সিসি ব্লক উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়ছে।

    পাউবো সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২২ জুলাই শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়ার বেড়িবাঁধের ৬৮ নং ফোল্ডারের একাংশ সাগরের জোয়ারের পানির তোড়ে বিলীন হয়ে যায়। সংস্কারের অভাবে প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত বেড়িবাঁধ অরক্ষিত হয়ে শত শত পরিবার বসতঘর-দোকানপাট-মসজিদ-মাদ্রাসা ও রাস্তাঘাট সাগরে বিলীন হয়ে যায়। দীর্ঘ ভোগান্তির পর অবশেষে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় ২ দশমিক ৬৪৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারে ১০৬ কোটির টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে এ প্রকল্পে আরও ৪০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়।

    গত ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করেন নারায়ণগঞ্জের সেনাকান্দায় নৌবাহিনীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াকর্স লিমিটেড। এর পর তারা কাজটি সহযোগী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসটিএ গ্রুপে বরাদ্দ দেন। চলতি ২০২০ অর্থবছরের জুন মাসে নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।

    সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ রক্ষার বেড়িবাঁধটি বঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা। জোয়ারের সময় ঢেউয়ের পানি নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে আছড়ে পড়ছে। পশ্চিমপাড়া, মাঝেরপাড়া থেকে দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধের সাগরের অংশে দুই রকমের সিসি ব্লক বসানো হয়।

    স্থানীয় ফজল আহমদ বলেন, গত বছর বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হলে এলাকার শত শত মানুষ আশার আলো দেখতে পেলেও বাঁধে ধসের খবরে আবারও স্থানীয়রা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

    সাবরাং ইউপির সদস্য নুরুল আমিন বলেন, সাত বছর অরক্ষিত থাকার পর বাঁধ নির্মাণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছিল। কিন্তু বাঁধের কাজ শেষ না হতেই জোয়ারের পানিতে যেভাবে সিসি ব্লকগুলো ধসে যাচ্ছে, তাতে পুরো দ্বীপের মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ভাঙন থেকে রক্ষা করতে হলে এখনই জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    স্থানীয় প্রবীণ শিক্ষক জাহেদ হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রথম দিকে কাজগুলো করতে দেখেছি। কিন্তু দক্ষিণপাড়া অংশে যেখানে সাগরের আগ্রাসন বেশি, সেখানে এসে কাজে তাড়াহুড়া করতে দেখা গেছে। প্রতিরক্ষা ব্লক বসানোর আগে বিছানো বালু পর্যন্ত রোলার গাড়ি দিয়ে ভালোভাবে চেপে দেওয়া হয়নি। তাই জোয়ারের আঘাতে ব্লকগুলো ধসে পড়ছে। নিয়মিত দেখভালের অভাবেই এমন হয়েছে। আমাদের সময়
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সিরিজ নৃশংস ঘটনায় আতঙ্কিত মানুষ

    একের পর এক নৃশংস ঘটনা। জোড়ায় জোড়ায় খুন। কোথাও ভাইবোনের লাশ উদ্ধার, কোথাও মা-ছেলের। একটির রেশ না কাটতেই আরেকটি নৃশংস ঘটনা। মানুষ ক্রমেই অসহিষ্ণু ও নৃশংস হয়ে উঠছে। এমনকি, আপনজনও এই নৃশংসতা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে এমন ঘটনা ঘটছে।

    গত সোমবার দুই জোড়া খুনের ঘটনা মানুষের মনে আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে নিজেদের ঘরের খাটের নিচ থেকে দুই ভাইবোনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশ দুটো উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলো সলিমাবাদ গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলাম (১০) ও মেয়ে শিফা আক্তার (১৪)। শিশু দুটো স্কুলে লেখাপড়া করত। বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর রাজু আহমেদ জানান, নিহতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    একই রাতে চট্টগ্রাম নগরে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা এলাকার রমজান আলী সেরেস্তাদারের বাড়ি থেকে লাশ দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন গুলনাহার বেগম (৩৩) ও তার শিশুসন্তান মো: রিফাত (৯)।

    চান্দগাঁও থানার ওসি খন্দকার আতাউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, টিন শেডের সেমিপাকা একটি ঘরের ভেতর সংযুক্ত শৌচাগারে পড়ে ছিল গুলনাহারের লাশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর মেঝেতে পড়ে ছিল ৯ বছরের শিশুটির লাশ। তার গলা কাটা। নিহত গুলনাহার এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ওই বাসায় থাকতেন। ঘটনার সময় তার বড়মেয়ে কারখানায় ছিলেন।

    সুনামগঞ্জের ছাতকে আবুল কালাম আজাদ (২৭) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সোমবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের পীরপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    সোমবার নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কামালপ্রতাপ গ্রামে আব্দুর রাজ্জাক মল্লিক (৭০) নামে সাবেক ইউপি সদস্যকে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

    কুমিল্লার মুরাদনগরে মামাতো ভাইয়ের পিটুনিতে মারা গেছেন ডালিম (৩৫) নামের এক যুবক। মো: ডালিম (৩৫) মুরাদনগর উপজেলার আমিননগর গ্রামের মৃত হালিম মিয়ার ছেলে।

    ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুই ভাই নিহত হয়েছেন। নিহত দুই ভাই হলেন- শামীম মাতুব্বর (২৭) ও রকিব মাতুব্বর (১৭)। সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।

    মানবাধিকার সংস্থা এমএনপিএসর নির্বাহী পরিচালক রেজাউল কবির রেজা নয়া দিগন্তকে বলেন, একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে এভাবে একের পর এক নৃশংস ঘটনায় তিনিও শঙ্কিত। সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কের মধ্যে। মহামারী করোনার কারণে এমনিতেই মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে। এরপর একের পর নৃশংস ঘটনা মানুষকে আরো আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

    রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মানবাধিকারকর্মী সাইদুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, আইনের শাসন নেই বলেই মানুষ নৃশংস হয়ে উঠছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। ন্যায়বিচারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে অনেকে যা ইচ্ছে হচ্ছে তা-ই করছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে এমনসব ঘটনা ঘটছে। নয়া দিগন্ত
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      রেললাইনে পাথরের পরিবর্তে দেয়া হলো ইটের সুড়কি

      লক্কড় ঝক্কড় লোকোসেডের লাইন। লাইনের বেশির ভাগ অংশই নিচু। সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে থাকে। এর ফলে কাঠের স্লিপারগুলো পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যূত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ময়মনসিংহের কেওয়াটখালি লোকোসেড থেকে শুরু করে রেলওয়ে স্টেশনের মেইন লাইনের সংযোগ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার লাইনের কাজ করা হচ্ছে পাথরের পরিবর্তে ইটের সুড়কি দিয়ে। এ নিয়ে সকলের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।

      সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেললাইনে বিছানো সুড়কিগুলো নিম্নমানের। জমিয়ে রাখা হয়েছে আরও অনেক সুড়কি। দেখলে যে কেউ বুঝতে পারবে দুই নম্বর। ইতোমধ্যে এই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায় সব মহলে। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বইছে নিন্দার ঝড়।

      অনেকেই এর জন্য ময়মনসিংহ রেলওয়ের গাফিলতি আর দুর্নীতিকেই দায়ী করছেন। বলা হচ্ছে, পাথরের পরিবর্তে ইটের সুড়কি দিয়ে টাকা লোপাট করা হচ্ছে।

      স্থানীয়রা বলছেন, ইটের সুড়কি দিয়ে রেললাইন মেরামতের বিষয়টি দুঃখজনক। এটা কোনো যৌক্তিক কাজ হতে পারে না। কারণ এর আগেও কয়েকবার এই লাইনটিতে ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছে। মাঝখানে কয়েক বছর আগে একবার রেললাইনটি মেরামত করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে লাইনটিতে পাথরের পরিবর্তে ইটের সুড়কি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে করে পরবর্তী সময়ে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

      সুশাসনের জন্য নাগরিক ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, ‘রেললাইনে ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কেউ কখনো এমন অবস্থা কোনদিন দেখেছে বলে আমার মনে হয় না।’

      এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘সরকারিভাবে পাথর কেনার কোনো বরাদ্দ নেই। টেন্ডার করে পাথর কিনে নিয়ে আসতে অনেক সময়ের ব্যাপার। কিন্তু ওই জায়গাটি অনেক নিচু। দুই কিলোমিটার রেললাইনের সম্পূর্ণ অংশে কাঠের স্লিপার লাগানো। পানি জমে সেগুলো যেন পচে নষ্ট না হয় সেজন্য আপদকালীন সময়ে এই ব্যবস্থা করেছি।’

      তিনি জানান, ‘বরাদ্দ না থাকলে আমি কী করব? তাই পাথরের পরিবর্তে অল্প টাকায় ইট দিয়ে মেরামত করার চেষ্টা করেছি। সবাই ভাবছে আমি পাথরের পরিবর্তে ইট দিয়ে কাজ করে হয়তো টাকা আত্মসাৎ করেছি। তবে তারা জানে না এই কাজে আমার কোনো গাফিলতি নেই।’

      এটি রেললাইনের মেইন লাইন না জানিয়ে মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘তবুও পাথর দিয়ে কাজ করার দরকার ছিল।’ এ সময় ইট, বালি দিয়ে এই কাজটি করার ফলে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনার কথা স্বীকার করেন তিনি। তবে যখন বরাদ্দ আসবে তখন পাথর দিয়েই এই রেললাইনের কাজ করা হবে বলে জানান তিনি। আমাদের সময়
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        জনগনের সম্পদ টিবি পুকুর দখল হয়ে যাচ্ছে

        রাজশাহী মহানগরী এক সময় ছিল ‘পুকুরের শহর’। শহরজুড়ে ছিল ছোট-বড় অসংখ্য পুকুর। কিন্তু দিনে দিনে সেসব পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। পুকুরের ওপর গড়ে উঠেছে দালান-কোঠা।

        এখন ভরাট হচ্ছে রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি-সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী ‘টিবি পুকুর’। এই পুকুরের পানিতেই আশপাশের মানুষ গোসলসহ সাংসারিক নানা প্রয়োজন মিটিয়ে থাকেন। কিন্তু এখন পুকুরের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড় ভরাট করে বাড়ি করেছেন কিছু ব্যক্তি। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে চলাচলের রাস্তাও। এ অবস্থায় পুকুর ও রাস্তাকে দখলমুক্ত করার জন্য সম্প্রতি এলাকাবাসী রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেছেন। এর আগে ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট নগরীর ছয় নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু পুকুর দখলকারী কয়েকজনকে নোটিস দেন। এতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

        কিন্তু এখনো পুকুর ও তার পাশের রাস্তা দখল চলছে। দখলকারী কাউকে উচ্ছেদও করা হয়নি। স্থানীয়রা দখলকারীদের উচ্ছেদ করে ঐতিহ্যবাহী এই পুকুরটির সৌন্দর্যবর্ধনের দাবি জানিয়েছেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় প্যারামেডিকেল রোড-সংলগ্ন টিবি পুকুরের পূর্ব দিক দিয়ে আবদুল মতিনের বাড়ি থেকে একটি রাস্তা আছে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৯০ ফুট। রাস্তাটি এক সময় পশ্চিম প্রান্ত থেকে শুরু করে লক্ষ্মীপুর কাঁচাবাজারে ঠেকেছিল।

        কিন্তু পশ্চিম অংশ অবৈধ দখলদারদের কারণে বর্তমানে সরু গলিতে পরিণত হয়েছে। আর পূর্ব দিক পাড় ভাঙতে ভাঙতে টিবি পুকুরের মধ্যে নেমে গেছে।

        আবেদনে আরও বলা হয়, পুকুরের পাড় ভরাট করে স্থাপনা গড়ে তুলে সেখানে মাদকের আসর বসছে। চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ

        দখলকারীরা পুকুরের পানিতে নানান রকমের আবর্জনা ফেলে পুকুরের পানি নষ্ট করছেন। দখলে নেওয়া আধাপাকা বসতবাড়ি, রাস্তার ওপর গড়ে তোলা চার্জারের গাড়ির গ্যারেজ, গরু ছাগলের গোয়ালসহ নির্মাণসামগ্রী পড়ে থাকার কারণে পুকুরের সৌন্দর্য বিলীন হয়েছে।

        সরেজমিন দেখা গেছে, কয়েক বিঘা আয়তনের এ পুকুরটির পাড় ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। চলাচলের সরু রাস্তার ওপরে গবাদিপশু বেঁধে রাখা হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে পায়খানা নির্মাণ করে মলমূত্র সরাসরি পুকুরের পানিতে নামানো হচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তার ধারে গরুর খড়ের পালা রেখে ও নোংরা আবর্জনা ফেলে পুকুরপাড়ের রাস্তাকে আরও সংকীর্ণ করে ফেলা হয়েছে।

        স্থানীয়রা অভিযোগে বলেছেন, সাহাবুদ্দিন, রুহুল আমিন, রতন, মাহাতাব উদ্দীন, মাসুদ, সোহেল, রশিদ, ভাষান, মাইনুল ও মনিরসহ আরও অনেকে এভাবে পুকুরপাড় দখল করে স্থাপনা করেছেন। তাদের অন্য স্থানে বাড়িও আছে। কিন্তু টিবি পুকুরের পাড় দখল করে স্থাপনা করে তারা ভাড়া দিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। তবে এদের দাবি, তারা নিজেদের কেনা কিংবা পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিতে স্থাপনা করেছেন। বিডি প্রতিদিন
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X