কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-৯।। ডাল-গেট হত্যাকাণ্ড
১৯৯২ সালের ১৪ই অক্টোবর। সকাল ৬ টার দিকে দখলদার বিএসএফ বাহিনী কাশ্মীরে শ্রীনগর শহরের ডাল-গেটে স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। বিএসএফ বাহিনী লাউডস্পিকার দিয়ে ঐ এলাকার সমস্ত মুসলিমদের ডাল-গেটের কাছে অবস্থিত ‘তাংবাগ’ পার্কে জড়ো হবার নির্দেশ দেয়।
এরপর শুরু হয় ‘স্বাধীনতাকামী সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া’। বিএসএফের গুপ্তচরদের গাড়ির সামনে একে একে প্যারেড করানো হয় সবাইকে। প্যারেডের পর যাদের চিহ্নিত করা হয় তাদের একটি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায় বিএসএফ। সে সময় প্রায় ৬০ জন কাশ্মীরি মুসলিমকে আটক করে তারা।
তাংবাগের সেই সনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া অনেকেরই সাক্ষাৎকার নিয়েছে এশিয়া ওয়াচ এবং পিএইচআর। তারা এশিয়া ওয়াচ/পিএইচআর কে বলেন যে, ডাল গেটের কাছেই শঙ্কর চর পাহাড় এলাকা থেকে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৭টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পান তারা।
এইচ. (ছদ্দনাম) নামের এক ব্যক্তি এশিয়া ওয়াচ/পিএইচআর-কে বলেন,“আমি যখন লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম, তখন এক বিএসএফকে জিজ্ঞাসা করলাম যে যাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাদের সাথে কী করা হবে? উত্তরে সে আমাকে বলে, ‘আধা ঘন্টা পরই জানতে পারবে’। আর ঠিক তার আধা ঘণ্টা পরই আমরা সবাই গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পেলাম।”বিএসএফ সেদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের অভিযান শেষ করে।
পরদিন সকালে কাশ্মীরের পুলিশ বাহিনী আটককৃতদের মধ্যে চার জনের পরিবারকে ফোন দিয়ে তাঁদের আত্মীয়দের মৃতদেহ পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ে যেতে বলে। বিএসএফের দ্বারা নিহত মুসলিমরা ছিলেন মুহাম্মদ হোসেন (২৫), শাবির আহমেদ মীর (২০), মুসাদিক আহমেদ, (২০), এবং জাহিদ হোসেন (২৪)।মুহাম্মাদ হোসেন বাদে বাকি সকলেই ছিলেন ছাত্র। তাদের মধ্যে জাহিদ লাঠির উপর ভর করে চলাফেরা করতেন।
এশিয়া ওয়াচ/পিএইচআরকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান যে, আড়াই মাস আগে ফুটবল খেলতে গিয়ে জাহিদের পা ভাঙে। আর ভাঙ্গা পায়ের কারণেই তাঁকে সন্দেহের বন্দী করে বিএসএফ বাহিনী। জাহিদের পরিবারের সদস্যরা এশিয়া ওয়াচ/পিএইচআর-কে তাঁর ১৯৯২ সালের ২রা আগস্ট তারিখের ডাক্তারী রিপোর্টের একটি কপিও দেখায়, যার মাধ্যমে এটা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, জাহিদ খেলা চলাকালীন সময়েই তাঁর আঘাতটি পান।
কাশ্মীর পুলিশের একজন সাবেক কর্মকর্তা এশিয়া ওয়াচ/পিএইচআরকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি তার বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে গোলাগুলির আওয়াজ পান। সে সময় তিনি তাঁর বাড়ির পেছনের একটি জঙ্গলে বিএসএফের গাড়ি যেতে দেখেন। ১৫ই অক্টোবর পিএইচআর/এশিয়া ওয়াচ যখন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তখন সেখানে গাড়ীর টায়ারের চিহ্ন এবং রক্তের দাগ দেখতে পায়।
পরদিন ১৬ই অক্টোবর এই ঘটনা সম্পর্কে দখলদার প্রশাসন বিবৃতি দেয় যে, “শহরের বুচোয়ার এলাকায় জঙ্গি ও নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনকাউন্টারের পর তিনটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন ও কিছু গোলাবারুদ এবং কিছু অপরাধমূলক নথি উদ্ধার করা হয়েছে।”অথচ বাস্তবতা ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ প্রত্যেক কাশ্মীরি যা জানেন তা হল, কথিত নিরাপত্তা বাহিনী একটি সনাক্তকরণ প্যারেডের জন্য পুরো ডাল-লেক এলাকা ঘিরে ফেলে এবং ৬০ জন সন্দেহভাজন মুসলিমকে বন্দী করে।
এরপর তাদের কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর স্থানীয়রা গোলাগুলির আওয়াজ পায়। পরের দিন নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করে যে, জঙ্গিরা (অর্থাৎ স্বাধীনতাকামীরা) নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গুলি চালালে নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা গুলি চালায়। এতে চারজন নিহত হয়।
১৫ই অক্টোবর রাতে বন্দী হওয়া বাকী মুসলিমদেরকে বিএসএফের একটি জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এশিয়া ওয়াচ/পিএইচআর-এর অনুরোধ সত্ত্বেও দখলদার হিন্দুত্ববাদী সরকার বন্দীদের অবস্থান, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং বর্তমানে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে কিছুই জানায় নি।
অনেকেই মনে করছেন যে, হয়তো হিন্দুত্ববাদীরা বন্দী মুসলিমদের খুন করেছে কিংবা পাচার করে দিয়েছে কিংবা অঙ্গ অপসারণের জন্য ব্যবহার করেছে। আবার অনেকেই মনে করেন যে, হয়তো হিন্দুত্ববাদীরা এখনও তাদেরকে বন্দী করেই রেখেছে।
তথ্যসূত্রঃ
বইঃ হিউম্যান রাইটস ক্রাইসিস ইন কাশ্মীর (The Human Rights Crisis in Kashmir) [Pg: 52-55];
প্রথম প্রকাশিতঃ জুন ১৯৯৩
প্রতিবেদনকারীঃ এশিয়া ওয়াচ (হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি বিভাগ) এবং ফিজিশিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটস (পিএইচআর)
অনুবাদক: আবু-উবায়দা
আগের পর্বগুলো পড়ুনঃ
১। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা ।। পর্ব-১।। চিকিৎসা সেবায় ঘাটতি – https://alfirdaws.org/2022/09/24/59437/
২। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-২।। ধর্ষণ যাদের সংস্কৃতি – https://alfirdaws.org/2022/09/25/59476/
৩। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা || পর্ব-৩ || নাসরুল্লাহপুরার হত্যাকাণ্ড – https://alfirdaws.org/2022/09/28/59560/
৪। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-৪।। সাফাকাদাল হত্যাকাণ্ড – https://alfirdaws.org/2022/10/04/59692/
৫। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-৫।। সোপোর হত্যাকাণ্ড – https://alfirdaws.org/2022/10/12/59884/
৬। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-৬।। শ্রাবালা হত্যাকাণ্ড – https://alfirdaws.org/2022/10/21/60088/
৭। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-৭।। আশিক হুসাইন মাসুদি হত্যা – https://alfirdaws.org/2022/10/31/60308/
৮। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-৮।। বিজবেহারা হত্যাকাণ্ড – https://alfirdaws.org/2022/11/11/60647/
১৯৯২ সালের ১৪ই অক্টোবর। সকাল ৬ টার দিকে দখলদার বিএসএফ বাহিনী কাশ্মীরে শ্রীনগর শহরের ডাল-গেটে স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। বিএসএফ বাহিনী লাউডস্পিকার দিয়ে ঐ এলাকার সমস্ত মুসলিমদের ডাল-গেটের কাছে অবস্থিত ‘তাংবাগ’ পার্কে জড়ো হবার নির্দেশ দেয়।
এরপর শুরু হয় ‘স্বাধীনতাকামী সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া’। বিএসএফের গুপ্তচরদের গাড়ির সামনে একে একে প্যারেড করানো হয় সবাইকে। প্যারেডের পর যাদের চিহ্নিত করা হয় তাদের একটি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায় বিএসএফ। সে সময় প্রায় ৬০ জন কাশ্মীরি মুসলিমকে আটক করে তারা।
তাংবাগের সেই সনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া অনেকেরই সাক্ষাৎকার নিয়েছে এশিয়া ওয়াচ এবং পিএইচআর। তারা এশিয়া ওয়াচ/পিএইচআর কে বলেন যে, ডাল গেটের কাছেই শঙ্কর চর পাহাড় এলাকা থেকে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৭টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পান তারা।
এইচ. (ছদ্দনাম) নামের এক ব্যক্তি এশিয়া ওয়াচ/পিএইচআর-কে বলেন,“আমি যখন লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম, তখন এক বিএসএফকে জিজ্ঞাসা করলাম যে যাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাদের সাথে কী করা হবে? উত্তরে সে আমাকে বলে, ‘আধা ঘন্টা পরই জানতে পারবে’। আর ঠিক তার আধা ঘণ্টা পরই আমরা সবাই গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পেলাম।”বিএসএফ সেদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের অভিযান শেষ করে।
পরদিন সকালে কাশ্মীরের পুলিশ বাহিনী আটককৃতদের মধ্যে চার জনের পরিবারকে ফোন দিয়ে তাঁদের আত্মীয়দের মৃতদেহ পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ে যেতে বলে। বিএসএফের দ্বারা নিহত মুসলিমরা ছিলেন মুহাম্মদ হোসেন (২৫), শাবির আহমেদ মীর (২০), মুসাদিক আহমেদ, (২০), এবং জাহিদ হোসেন (২৪)।মুহাম্মাদ হোসেন বাদে বাকি সকলেই ছিলেন ছাত্র। তাদের মধ্যে জাহিদ লাঠির উপর ভর করে চলাফেরা করতেন।
এশিয়া ওয়াচ/পিএইচআরকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান যে, আড়াই মাস আগে ফুটবল খেলতে গিয়ে জাহিদের পা ভাঙে। আর ভাঙ্গা পায়ের কারণেই তাঁকে সন্দেহের বন্দী করে বিএসএফ বাহিনী। জাহিদের পরিবারের সদস্যরা এশিয়া ওয়াচ/পিএইচআর-কে তাঁর ১৯৯২ সালের ২রা আগস্ট তারিখের ডাক্তারী রিপোর্টের একটি কপিও দেখায়, যার মাধ্যমে এটা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, জাহিদ খেলা চলাকালীন সময়েই তাঁর আঘাতটি পান।
কাশ্মীর পুলিশের একজন সাবেক কর্মকর্তা এশিয়া ওয়াচ/পিএইচআরকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি তার বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে গোলাগুলির আওয়াজ পান। সে সময় তিনি তাঁর বাড়ির পেছনের একটি জঙ্গলে বিএসএফের গাড়ি যেতে দেখেন। ১৫ই অক্টোবর পিএইচআর/এশিয়া ওয়াচ যখন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তখন সেখানে গাড়ীর টায়ারের চিহ্ন এবং রক্তের দাগ দেখতে পায়।
পরদিন ১৬ই অক্টোবর এই ঘটনা সম্পর্কে দখলদার প্রশাসন বিবৃতি দেয় যে, “শহরের বুচোয়ার এলাকায় জঙ্গি ও নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনকাউন্টারের পর তিনটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন ও কিছু গোলাবারুদ এবং কিছু অপরাধমূলক নথি উদ্ধার করা হয়েছে।”অথচ বাস্তবতা ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ প্রত্যেক কাশ্মীরি যা জানেন তা হল, কথিত নিরাপত্তা বাহিনী একটি সনাক্তকরণ প্যারেডের জন্য পুরো ডাল-লেক এলাকা ঘিরে ফেলে এবং ৬০ জন সন্দেহভাজন মুসলিমকে বন্দী করে।
এরপর তাদের কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর স্থানীয়রা গোলাগুলির আওয়াজ পায়। পরের দিন নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করে যে, জঙ্গিরা (অর্থাৎ স্বাধীনতাকামীরা) নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গুলি চালালে নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা গুলি চালায়। এতে চারজন নিহত হয়।
১৫ই অক্টোবর রাতে বন্দী হওয়া বাকী মুসলিমদেরকে বিএসএফের একটি জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এশিয়া ওয়াচ/পিএইচআর-এর অনুরোধ সত্ত্বেও দখলদার হিন্দুত্ববাদী সরকার বন্দীদের অবস্থান, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং বর্তমানে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে কিছুই জানায় নি।
অনেকেই মনে করছেন যে, হয়তো হিন্দুত্ববাদীরা বন্দী মুসলিমদের খুন করেছে কিংবা পাচার করে দিয়েছে কিংবা অঙ্গ অপসারণের জন্য ব্যবহার করেছে। আবার অনেকেই মনে করেন যে, হয়তো হিন্দুত্ববাদীরা এখনও তাদেরকে বন্দী করেই রেখেছে।
তথ্যসূত্রঃ
বইঃ হিউম্যান রাইটস ক্রাইসিস ইন কাশ্মীর (The Human Rights Crisis in Kashmir) [Pg: 52-55];
প্রথম প্রকাশিতঃ জুন ১৯৯৩
প্রতিবেদনকারীঃ এশিয়া ওয়াচ (হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি বিভাগ) এবং ফিজিশিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটস (পিএইচআর)
অনুবাদক: আবু-উবায়দা
আগের পর্বগুলো পড়ুনঃ
১। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা ।। পর্ব-১।। চিকিৎসা সেবায় ঘাটতি – https://alfirdaws.org/2022/09/24/59437/
২। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-২।। ধর্ষণ যাদের সংস্কৃতি – https://alfirdaws.org/2022/09/25/59476/
৩। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা || পর্ব-৩ || নাসরুল্লাহপুরার হত্যাকাণ্ড – https://alfirdaws.org/2022/09/28/59560/
৪। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-৪।। সাফাকাদাল হত্যাকাণ্ড – https://alfirdaws.org/2022/10/04/59692/
৫। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-৫।। সোপোর হত্যাকাণ্ড – https://alfirdaws.org/2022/10/12/59884/
৬। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-৬।। শ্রাবালা হত্যাকাণ্ড – https://alfirdaws.org/2022/10/21/60088/
৭। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-৭।। আশিক হুসাইন মাসুদি হত্যা – https://alfirdaws.org/2022/10/31/60308/
৮। কাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-৮।। বিজবেহারা হত্যাকাণ্ড – https://alfirdaws.org/2022/11/11/60647/
Comment