কঠোর লকডাউনের কারণে আগুনে পুড়লো ৪৪ জন উইঘুর মুসলিম
গত ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব তুর্কীস্তানের উরুমকি শহরের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে প্রায় ৪৪ জন উইঘুর মুসলিম তাদের প্রাণ হারিয়েছেন।
পূর্ব তুর্কীস্তানে প্রায় তিন মাসেরও অধিক সময় ধরে চলমান কোভিড লকডাউনের কারণে উইঘুর মুসলিমরা নিজেদের ঘরেই এখন বন্দী জীবনযাপন করছে। এমনকি কোভিড লকডাউন বাস্তবায়ন করতে দখলদার প্রশাসন প্রত্যেক উইঘুর মুসলিমের ঘরে তালা লাগিয়ে রেখেছে। যার ফলে আগুন লাগার পর ভবনটি তালাবদ্ধ থাকার কারণে সেখান থেকে বেরোতে পারেনি অসহায় উইঘুররা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন খবর থেকে জানা যায়, ভবনটির মূল গেট সহ প্রতিটি ফ্ল্যাটের দরজা সিল করে রেখেছিলো দখলদাররা। আগুন লাগার পর একে তো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে দেরি করে আসে, উপর দিয়ে আগুন নেভানোর বদলে তারা বেইজিং থেকে দখলদারদের ‘হুকুমের’ অপেক্ষা করে। তাদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে প্রাণহানি আরও বেশি হয়েছে বলে জানায় সেখানকার স্থানীয় উইঘুর মুসলিমগণ।
এদিকে উইঘুর টাইমসের একটি পোস্ট থেকে জানা যায় যে, উরুমকির ভবনে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে লকডাউনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে উইঘুর মুসলিমগণ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভবনে আগুন লাগার পরও উইঘুরদের ঘর থেকে বেরোতে নিষেধ করে বর্বর দখলদার প্রশাসন।
অন্যদিকে চাইনিজ মিডিয়া এ নিয়েও মিথ্যা প্রচার করছে। তারা বলছে যে, আগুন লাগার পর উইঘুরদের ঘর থেকে বের হবার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তালাবদ্ধ থাকার কারণে ফায়ার সার্ভিসের ট্রাক সেই ভবনের আঙ্গিনাতেই প্রবেশ করতে পারে নি। বরং দূর থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর লোক দেখানো ব্যর্থ চেষ্টাই তারা করেছে শুধু।
দখলদারদের এই কথিত ‘জিরো কোভিড নীতির’ কারণে বিগত তিন মাসে অনেক উইঘুর মুসলিম অনাহারে ও চিকিৎসার অভাবে তাদের প্রাণ হারিয়েছে। এমনকি এখনও পর্যন্ত তারা অনেক উইঘুর মুসলিম শিশুকে তাদের স্কুলেই লকডাউনের অজুহাতে বন্দী করে রেখেছে।
উইঘুর মুসলিমদের সাথে এমন কঠোর আচরণ করলেও হান চাইনিজদের সাথে ঠিকই নমনীয় আচরণ করছে দখলদাররা। উইঘুরদের ভবনে সিল লাগালেও, হানদের ভবনগুলো খোলাই ছেড়ে দিয়েছে তারা। ফলে হান’রা ঠিকই এই লকডাউনের সময়েও খোলামেলাভাবে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে।
দখলদার চীনাদের এমন আচরণ থেকে এটা স্পষ্টই যে, কোভিড লকডাউনের নামে মূলত তুর্কীস্তানে উইঘুর মুসলিমদের সংখ্যালঘু করতেই এসব পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
গত ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব তুর্কীস্তানের উরুমকি শহরের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে প্রায় ৪৪ জন উইঘুর মুসলিম তাদের প্রাণ হারিয়েছেন।
পূর্ব তুর্কীস্তানে প্রায় তিন মাসেরও অধিক সময় ধরে চলমান কোভিড লকডাউনের কারণে উইঘুর মুসলিমরা নিজেদের ঘরেই এখন বন্দী জীবনযাপন করছে। এমনকি কোভিড লকডাউন বাস্তবায়ন করতে দখলদার প্রশাসন প্রত্যেক উইঘুর মুসলিমের ঘরে তালা লাগিয়ে রেখেছে। যার ফলে আগুন লাগার পর ভবনটি তালাবদ্ধ থাকার কারণে সেখান থেকে বেরোতে পারেনি অসহায় উইঘুররা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন খবর থেকে জানা যায়, ভবনটির মূল গেট সহ প্রতিটি ফ্ল্যাটের দরজা সিল করে রেখেছিলো দখলদাররা। আগুন লাগার পর একে তো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে দেরি করে আসে, উপর দিয়ে আগুন নেভানোর বদলে তারা বেইজিং থেকে দখলদারদের ‘হুকুমের’ অপেক্ষা করে। তাদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে প্রাণহানি আরও বেশি হয়েছে বলে জানায় সেখানকার স্থানীয় উইঘুর মুসলিমগণ।
এদিকে উইঘুর টাইমসের একটি পোস্ট থেকে জানা যায় যে, উরুমকির ভবনে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে লকডাউনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে উইঘুর মুসলিমগণ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভবনে আগুন লাগার পরও উইঘুরদের ঘর থেকে বেরোতে নিষেধ করে বর্বর দখলদার প্রশাসন।
অন্যদিকে চাইনিজ মিডিয়া এ নিয়েও মিথ্যা প্রচার করছে। তারা বলছে যে, আগুন লাগার পর উইঘুরদের ঘর থেকে বের হবার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তালাবদ্ধ থাকার কারণে ফায়ার সার্ভিসের ট্রাক সেই ভবনের আঙ্গিনাতেই প্রবেশ করতে পারে নি। বরং দূর থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর লোক দেখানো ব্যর্থ চেষ্টাই তারা করেছে শুধু।
দখলদারদের এই কথিত ‘জিরো কোভিড নীতির’ কারণে বিগত তিন মাসে অনেক উইঘুর মুসলিম অনাহারে ও চিকিৎসার অভাবে তাদের প্রাণ হারিয়েছে। এমনকি এখনও পর্যন্ত তারা অনেক উইঘুর মুসলিম শিশুকে তাদের স্কুলেই লকডাউনের অজুহাতে বন্দী করে রেখেছে।
উইঘুর মুসলিমদের সাথে এমন কঠোর আচরণ করলেও হান চাইনিজদের সাথে ঠিকই নমনীয় আচরণ করছে দখলদাররা। উইঘুরদের ভবনে সিল লাগালেও, হানদের ভবনগুলো খোলাই ছেড়ে দিয়েছে তারা। ফলে হান’রা ঠিকই এই লকডাউনের সময়েও খোলামেলাভাবে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে।
দখলদার চীনাদের এমন আচরণ থেকে এটা স্পষ্টই যে, কোভিড লকডাউনের নামে মূলত তুর্কীস্তানে উইঘুর মুসলিমদের সংখ্যালঘু করতেই এসব পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
তথ্যসূত্রঃ
——–
1. A fire broke out in a building near the main market in Urumqi: China’s siege policy continues to produce tragedies
– https://tinyurl.com/w88va439
2. Protests break out in China against COVID-19 lockdowns after deadly fire kills 10
– https://tinyurl.com/2p99z8ff
3. 10 killed in apartment fire in northwest China’s Xinjiang
– https://tinyurl.com/34wz6m9u
4. A large scale protest broke out in Urumqi against the strict lockdown following the death of 44 Uyghurs in a fire
– https://tinyurl.com/4pvu4juz
5. Dozens killed apt fire in Uyghur residential building last night
– https://tinyurl.com/yey846p4
6. Innocent Uyghur families burned to death today
– https://tinyurl.com/5bahkb85
.