দশ বছর ধরে বন্ধ মসজিদ: রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতিচ্ছবি
উপরের ছবিটি উত্তর আরাকানের মংডুতে অবস্থিত একটি মসজিদের। রোহিঙ্গা মুসলিমদের কাছে এটি বড় মসজিদ নামেই সুপরিচিত। এখানে নিয়মিত জামাতে নামাজ এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার বিশাল জামাত অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু গত ১০ বছর ধরে মসজিদটিতে সকল ধরণের ধর্মীয় কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছে সন্ত্রাসী মিয়ানমার সরকার। শুধু এই মুসজিদটিই নয়, পুরো আরাকান জুড়েই অসংখ্য মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে আগ্রাসী বার্মিজ সরকার। এছাড়াও ২০১৭ সালে মুসলিম গণহত্যার সময় আরও অনেক মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে সন্ত্রাসী মিয়ানমার সরকার।
মিয়ানমারের আরাকানে মুসলিমদের ওপর উগ্রবাদী বৌদ্ধ জাতির বিদ্বেষ বহু পুরোনো। যুগ যুগ ধরেই সেখানকার মুসলিমদের নিপীড়ন করে আসছে উগ্র বৌদ্ধরা। সেখানকার মুসলিমদেরকে ইসলামি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে শত বছর ধরে। এমনকি ইসলামি বিধিবিধান পালনেও বাঁধা এ সন্ত্রাসী বৌদ্ধরা। ইসলামি জ্ঞান অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ স্থান মসজিদগুলোকেও সীমাবদ্ধ করে ইসলামি শিক্ষার প্রসারে বাঁধা দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, মুসলিমদের পুরোপুরি উচ্ছেদ করতে একাধিকবার গণহত্যা চালানো হয়েছে। দেশান্তর করা হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। সাম্প্রতিক সেখানকার মুসলিমদের সাথে পশুর মতো আচরণ করছে সন্ত্রাসী মিয়ানমার। মুসলিমদের নূন্যতম মানবাধিকারটুকুও দিচ্ছে না মিয়ানমার জান্তা সরকার।
মুসলিমদের ওপর চলা চরম নিপীড়ন-গণহত্যা চলা সত্বেও আন্তর্জাতিক বিশ্ব মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বাস্তব কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বরং দেশটির মানবতা বিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে নাস্তিক্যবাদী চীন, হিন্দুতবাদী ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশ। অস্ত্র সহায়তা দিয়ে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রত্যক্ষ সহায়তা করেছে চীন, রাশিয়া, ইউক্রেন, ভারত ও ইসরাইল।
তা সত্বেও মিয়ানমার বা এর পক্ষাবলম্বনকারী দেশ সমূহের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি দালাল জাতিসংঘ। অথচ ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসন শুরু হওয়া মাত্রই দালাল জাতিসংঘ রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে ১১ বছর ধরে সিরিয়ায় আগ্রাসন চালানো সত্বেও মৌখিক বিবৃতি ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোন কাজ করেনি জাতিসংঘ।
এটা এখন স্পষ্ট যে, শুধু আরাকান, কাশ্মীর বা ফিলিস্তিনই নয়, নতুন করে কোন ভূখণ্ডে নতুন কোন জালিম যদি মুসলিমদের ওপর আগ্রাসন চালায় দালাল জাতিসংঘ কিছুই করবে না। এমতাবস্থায়, মুসলিমরা একে অপরের পাশে না দাঁড়ালে নিকট ভবিষ্যতে চরম অস্তিত্ব সংকটে পড়বে পুরো মুসলিম উম্মাহ।
তথ্যসূত্র:
১। Maungdaw Township big Mosque and Eid Prayer yard, which have closed for 10 years by Burmese governments and Military council, testify that Rohingya Muslim (Islam) in Northern Rakine State do not have religious freedom – https://tinyurl.com/hy9pnf7u
উপরের ছবিটি উত্তর আরাকানের মংডুতে অবস্থিত একটি মসজিদের। রোহিঙ্গা মুসলিমদের কাছে এটি বড় মসজিদ নামেই সুপরিচিত। এখানে নিয়মিত জামাতে নামাজ এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার বিশাল জামাত অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু গত ১০ বছর ধরে মসজিদটিতে সকল ধরণের ধর্মীয় কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছে সন্ত্রাসী মিয়ানমার সরকার। শুধু এই মুসজিদটিই নয়, পুরো আরাকান জুড়েই অসংখ্য মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে আগ্রাসী বার্মিজ সরকার। এছাড়াও ২০১৭ সালে মুসলিম গণহত্যার সময় আরও অনেক মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে সন্ত্রাসী মিয়ানমার সরকার।
মিয়ানমারের আরাকানে মুসলিমদের ওপর উগ্রবাদী বৌদ্ধ জাতির বিদ্বেষ বহু পুরোনো। যুগ যুগ ধরেই সেখানকার মুসলিমদের নিপীড়ন করে আসছে উগ্র বৌদ্ধরা। সেখানকার মুসলিমদেরকে ইসলামি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে শত বছর ধরে। এমনকি ইসলামি বিধিবিধান পালনেও বাঁধা এ সন্ত্রাসী বৌদ্ধরা। ইসলামি জ্ঞান অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ স্থান মসজিদগুলোকেও সীমাবদ্ধ করে ইসলামি শিক্ষার প্রসারে বাঁধা দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, মুসলিমদের পুরোপুরি উচ্ছেদ করতে একাধিকবার গণহত্যা চালানো হয়েছে। দেশান্তর করা হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। সাম্প্রতিক সেখানকার মুসলিমদের সাথে পশুর মতো আচরণ করছে সন্ত্রাসী মিয়ানমার। মুসলিমদের নূন্যতম মানবাধিকারটুকুও দিচ্ছে না মিয়ানমার জান্তা সরকার।
মুসলিমদের ওপর চলা চরম নিপীড়ন-গণহত্যা চলা সত্বেও আন্তর্জাতিক বিশ্ব মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বাস্তব কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বরং দেশটির মানবতা বিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে নাস্তিক্যবাদী চীন, হিন্দুতবাদী ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশ। অস্ত্র সহায়তা দিয়ে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রত্যক্ষ সহায়তা করেছে চীন, রাশিয়া, ইউক্রেন, ভারত ও ইসরাইল।
তা সত্বেও মিয়ানমার বা এর পক্ষাবলম্বনকারী দেশ সমূহের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি দালাল জাতিসংঘ। অথচ ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসন শুরু হওয়া মাত্রই দালাল জাতিসংঘ রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে ১১ বছর ধরে সিরিয়ায় আগ্রাসন চালানো সত্বেও মৌখিক বিবৃতি ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোন কাজ করেনি জাতিসংঘ।
এটা এখন স্পষ্ট যে, শুধু আরাকান, কাশ্মীর বা ফিলিস্তিনই নয়, নতুন করে কোন ভূখণ্ডে নতুন কোন জালিম যদি মুসলিমদের ওপর আগ্রাসন চালায় দালাল জাতিসংঘ কিছুই করবে না। এমতাবস্থায়, মুসলিমরা একে অপরের পাশে না দাঁড়ালে নিকট ভবিষ্যতে চরম অস্তিত্ব সংকটে পড়বে পুরো মুসলিম উম্মাহ।
তথ্যসূত্র:
১। Maungdaw Township big Mosque and Eid Prayer yard, which have closed for 10 years by Burmese governments and Military council, testify that Rohingya Muslim (Islam) in Northern Rakine State do not have religious freedom – https://tinyurl.com/hy9pnf7u
Comment