Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৪ জামাদিউল উলা, ১৪৪৪ হিজরী।। ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৪ জামাদিউল উলা, ১৪৪৪ হিজরী।। ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    ইহুদিদের খুনের নেশা: এক দিনে দুই সহোদরসহ ৪ মুসলিমকে হত্যা


    প্রতিদিনই কোন না কোন ফিলিস্তিনি মুসলিমকে খুন করা যেন নেশায় পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসী ইসরাইলি সেনাদের। চলতি বছর তিন শতাধিক ফিলিস্তিনিকে খুন করেছে। ফের এক দিনে আপন দুই ভাইসহ মোট ৪ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করলো দখলদার ইসরাইলি সন্ত্রাসীরা।

    গতকাল ২৯ নভেম্বর সকালে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় সেনা অভিযান চালিয়ে দুই ভাইসহ ৩ যুবক ও অপর একজনকে রাতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গুলি করে হত্যা করে দখলদার বাহিনী। নিহত দুই ভাইয়ের একজন সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন এবং তার ছোট ভাই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। দুই সন্তানকে একত্রে হারিয়ে ফিলিস্তিনি পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এছাড়াও অভিযানে আরও ২২ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুরো বছর জুড়েই দখলদার বাহিনী দখলদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে পশ্চিম তীরে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনি বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়ে ইহুদিদের জন্য জায়গা খালি করার দুরভিসন্ধি বাস্তবায়নে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। বরাবরের মতো ঐদিন ভোরে সন্ত্রাসী বাহিনী সামরিক জিপে করে রামাল্লা শহরে ঢুকে সন্ত্রাসী অভিযান শুরু করে। এ সময় ফিলিস্তিনি যুবকরা পাথর নিক্ষেপ করে ইহুদি বাহিনীকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। ফলে দখলদার বাহিনীর গুলিতে ৩ জন যুবক নিহত ও অপর ২২ জন আহত হয়।

    এছাড়াও ঐদিন পুরো পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে এক ডজন হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের সময় মুসলিম যুবকদের শারিরিক নির্যাতন ও এক যুবতি মুসলিমাকে টেনে-হিঁচড়ে শরীরের উপর চড়ে বসে দুই নাপাক ইহুদি সেনা। এ সময় ফিলিস্তিনি নারীর মুখে ঘুসি মারতে দেখা যায় সেনাদের।

    সন্ত্রাসী ইসরাইলের এমন আচরণের পরও গোটা পশ্চিমা বিশ্ব ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। আর মুসলিম গাদ্দার শাসকগোষ্ঠীও ফিলিস্তিনিদের ভুলে গেছে। এ অবস্থায় ফিলিস্তিন ও আল-আকসা উদ্বারে মুসলিম জাতিকেই প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেয়া ও হকপন্থী মুজাহিদদের কাতারে শামিল হওয়া একান্ত্য কর্তব্য হয়ে পড়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. 3 Palestinians killed, 22 injured in Israeli raids
    https://tinyurl.com/42umcwxk

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মঞ্চে উঠে হিন্দু লোককে জুতা দিয়ে পেটালেন নারী

    বেটি বাঁচাও মঞ্চের নেতাকেই নিজ মেয়ে অপহরণে জড়িত থাকার দায়ে জুতাপেটা করলেন এক নারী


    দিল্লির ছাতারপুরে হিন্দু একতা মঞ্চের উদ্যোগে মঙ্গলবারে (২৯শে নভেম্বর) আয়োজিত হয়েছে ‘বেটি (মেয়ে) বাঁচাও মহাপঞ্চায়েত’। এই অনুষ্ঠান চলাকালে এক নারী স্টেজে ওঠে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে জুতা দিয়ে আঘাত করেছেন। ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ‘বেটি বাঁচাও মহাপঞ্চায়েত’ অনুষ্ঠান চলাকালে এক নারী মঞ্চে উঠে মাইক হাতে নিয়ে নিজের বক্তব্য দিতে শুরু করেন। তিনি বলেছেন, ‘হিন্দু একতা মঞ্চ বেটি বাঁচাও মহামঞ্চায়েত আয়োজন করেছে। এদিকে আমি বিচার চেয়ে চেয়ে ঘুরছি, কারও কোনো সাহায্য পাচ্ছি না।’

    এরপর তিনি নিজের পায়ের জুতা খুলে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে জুতা দিয়ে আঘাত করতে থাকেন।
    মহিলার অভিযোগ হলো, তিনি যে ব্যক্তিকে জুতা দিয়ে মেরেছেন, তার পুত্র মহিলার কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে বিয়ে করেছে। এ বিষয়ে তিনি পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন, কিন্তু পুলিশও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

    মঙ্গলবার মহিলা জানতে পারেন, তার কন্যাকে অপহরণকারী ছেলের বাবা হিন্দু একতা মঞ্চের আয়োজিত ‘বেটি বাঁচাও মহাপঞ্চায়েত’ অনুষ্ঠানে আসছে। তাই তিনি অনুষ্ঠানে গিয়ে ঐ ব্যক্তিকে জুতা দিয়ে আঘাত করেন।
    হিন্দু সন্ত্রাসীরা এভাবেই একদিকে নারী অধিকারের কথা বলে, অন্যদিকে নিজেরাই নারীদেরকে চরমভাবে নির্যাতন করে। ভারত বর্তমানে ধর্ষণের মহারাজ্য হিসেবে পরিচিত। সেখানে নারীদের কোনো নিরাপত্তা নেই।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Woman hits man with slippers during at an event for shraddha justice in Delhi
    https://tinyurl.com/23d4vhbn
    2. ঘটনার ভিডিও
    https://tinyurl.com/4ykrfvyc


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      উরুমকি অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ আত্মীয় হারানো এক উইঘুর মুসলিমের আর্তনাদ

      গত বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব তুর্কীস্তানের উরুমকি শহরের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে ৪৪ জন উইঘুর মুসলিম তাদের প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও নয়জন উইঘুর। স্থানীয়রা বলছেন, এই ব্যাপক হতাহতের জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী দখলদার চাইনিজ প্রশাসন।স্থানীয় সূত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাতে জানা যায় যে, আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলো নারী ও শিশু।

      উরুমকি অগ্নিকাণ্ডের কারণে অনেক উইঘুর মুসলিমই নিজের সন্তান ও পরিবার হারিয়ে এখন পাগলপ্রায়। তাঁদেরই মধ্যে একজন হলেন নির্বাসিত উইঘুর আব্দুল হাফিজ মাইমাইতিমিন।২৭ বছর বয়সী আব্দুল হাফিজ বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে নির্বাসনে আছেন। তিনি তাঁর ৪৮ বছর বয়সী খালা হাইয়েরনিশাহান আবদুরেহেমান ও তার খালার চার সন্তানের মৃত্যুর খবর এক বন্ধুর কাছ থেকে শোনার পর স্তব্ধ হয়ে যান।

      তাঁর কাজিনরা সকলেই ছিলেন ৪ থেকে ১৩ বছর বয়সী।আব্দুল হাফিজ বলেন, “খবরটি শোনার পর আমার হাত-পা কাঁপছিল। আমার পুরো মাথা ঘুরছিলো। আমার ইচ্ছে হচ্ছিলো যেন নিজেকে কোথাও ছুঁড়ে ফেলে দেই। আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।”২০১৭ সালের মে মাসে আব্দুল হাফিজের সাথে তাঁর খালার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। সেসময় পূর্ব তুর্কীস্তানে দখলদাররা নিরাপত্তার নামে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের সময় দখলদাররা লাখ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দী ও নির্যাতন করে।

      দখলদারদের নির্যাতনের কবল থেকে বাঁচতে অনেকেই তখন নিজেদের ভূখণ্ড ছাড়তে বাধ্য হয়।কান্নাজড়িত কণ্ঠে আব্দুল হাফিজ বলেন, “তিনি একজন গৃহিণী ছিলেন। তিনি পুরো জীবন তার সন্তানদের দেখাশোনা করা ও তাদের পড়াশোনা করানোর কাজে ব্যয় করেন। আমি কখনও কল্পনাও করি নি যে পাঁচ বছর পর তাঁর ব্যাপারে আমাকে এই খবর শুনতে হবে। আমি এখনও এটি মানতে পারছি না।”আব্দুল হাফিজ মনে করেন যে, দখলদার চাইনিজ প্রশাসন তাঁর পরিবারকে সময়মতো উদ্ধার করেনি।

      কারণ তাঁরা সকলেই ছিলেন উইঘুর মুসলিম।“আমি কখনোই দখলদার চীন সরকারকে বিশ্বাস করব না। উইঘুর মুসলিমরা যদি প্রতিবাদ করে তাহলে এই দখলদাররা তাদের শ্বাসরোধ করে খুন করবে,” বলেন আব্দুল হাফিজ।তিনি আরও যোগ করেন, “আমি মনে করি এই দখলদাররা বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”চীন কথিত ‘জিরো কোভিড নীতি’ বাস্তবায়ন করতে গত চার মাস ধরে তুর্কীস্তানের মুসলিমদের গৃহবন্দী করে রেখেছে।

      উইঘুর মুসলিমরা যেন ঘর থেকে বের হতে না পারে, সেজন্য তাদের ঘরের দরজা সহ বিভিন্ন আবাসিক ভবনেও তালা মেরে রেখেছে। ফলস্বরূপ আগুন লাগার পর ঘর থেকে বের হতে না পেরে অনেকেই নিজেদের প্রাণ হারিয়েছে।অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও তাদের দায়িত্বে অবহেলা করেছে।

      যার ফলে আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় উইঘুর মুসলিমরা। স্থানীয়রা বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে বেইজিংয়ের ‘হুকুমের অপেক্ষায়’ ছিলো। তারা আরও বলেন, কথিত ‘জিরো কোভিড নীতির’ কারণে তারা দ্রুত কাজ শুরু করেনি।


      তথ্যসূত্রঃ
      ———
      1. Uyghur man’s agony after five relatives died in Urumqi fire
      https://tinyurl.com/5y56je72


      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মুসলিমদের নির্যাতনের নিউজগুলো পড়লে মনের অজান্তেই কান্না এসে পড়ে! আল্লাহ, মুসলিম ভাইবোনদের হেফাজত করুন আমিন।
        আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
        আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

        Comment


        • #5
          ইউপি ও রাজস্থানে উগ্র হিন্দুদের গুলিতে দুই মুসলিম খুন



          হিন্দুত্ববাদী ভারতে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় উগ্র হিন্দুদের গুলিতে দুই মুসলিম খুন হয়েছেন। এর মধ্যে উগ্র হিন্দুত্ববাদের জন্য কুখ্যাত ইউপিতে বিজেপির যুব সংগঠনের এক হিন্দুত্ববাদী নেতার গুলিতে একজন এবং রাজস্থানে উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন মুসলিম প্রাণ হারিয়েছেন।

          উত্তর প্রদেশে, ভারতীয় জনতা পার্টির যুব সংগঠন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা (BJYM) নেতা রামজি গুপ্তা তার ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য এলোপাথারি গুলি চালায়। এতে ৩২ বছর বয়সী সাদিক কুরেশির গত ২৫ নভেম্বর নিহত হন।

          পিটিআই নিউজ এজেন্সির সংবাদ অনুযায়ী, ঘটনাটি কানপুর শহরের ‘রয়্যাল গার্ডেন’ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত রামজির ভাই রজত গুপ্তার বিয়ের অনুষ্ঠানে ঘটেছে।

          এদিকে, গত ২৪ নভেম্বর, রাজস্থানের ভিলওয়াড়ায় অজ্ঞাত হামলাকারীরা এক মুসলিম যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাইও গুরুতর আহত হয়েছেন।



          এএসপি জ্যেষ্ঠ মৈত্রেয়ী জানিয়েছে, মুন্সি খান পাঠানের দুই ছেলে ইব্রাহিম পাঠান (৩৪) এবং কামরুদ্দীন বাদলা মোড় থেকে হারনি মহাদেবের দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চারজন অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারী দুটি বাইকে এসে কামরুদ্দীন ও ইব্রাহিম পাঠানকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে ইব্রাহীম নিহত হন ও কামরুদ্দীন আহত হয়েছেন।

          পুলিশের মতে, ছয় মাস আগে সংঘটিত আদর্শ তাপাডিয়ার হত্যার প্রতিশোধ নিতে হিন্দুরা মুসলিম যুবকদের উপর গুলি চালিয়েছে।

          উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে, দুই গ্রুপের মধ্যে পুরানো শত্রুতার জের ধরে মারামারির সময় তাপাদিয়া ছুরিকাঘাতে নিহত হয়। কোন তদন্ত ছাড়াই সে ঘটনার দোষ মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। এখন তার প্রতিশোধ নেওয়ার নাম করে এই মুসলিমকে খুন করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।





          তথ্যসূত্র:
          ——–
          1. UP: Muslim man killed in ‘celebratory firing’ by BJP leader
          https://tinyurl.com/49bmvay4
          2. Unidentified Assailants Shot Dead a Muslim Youth, Injured Another in Rajasthan’s Bhilwara; 2 Detained
          https://tinyurl.com/4px6d95u

          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X