Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১১ জামাদিউল উলা, ১৪৪৪ হিজরী।। ০৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১১ জামাদিউল উলা, ১৪৪৪ হিজরী।। ০৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    মসজিদে ঢোকার চেষ্টা হাজারো উগ্র হিন্দুর: মুসলিমদের উপর হিন্দু ছাত্র সংগঠনের হামলা



    গত রবিবার (৪ ডিসেম্বর)কর্ণাটকের শ্রীরাঙ্গাপাটানায় জামিয়া মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা করে হাজার হাজার হিন্দু কর্মী এবং উগ্র হনুমান ভক্তরা।
    গেরুয়া পোষাক পরিহিত হাজার হাজার পুরুষ ও মহিলা, যারা হনুমান মন্দির থেকে একটি সংকীর্তন যাত্রা করে, তারা উত্তেজক, বিদ্বেষমূলক স্লোগান দিতে থাকে “অযোধ্যায় রাম মন্দির, শ্রীরঙ্গপাটানায় হনুমান মন্দির।”

    মসজিদের কাছে হিন্দুদের বিশাল জমায়েত ব্যারিকেড ভেঙ্গে জামিয়া মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাদেরকে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে উগ্র হিন্দুরা মসজিদের সামনে জড়ো হয়ে মুসলিম বিরোধী স্লোগান দেয়।

    এই যাত্রার আয়োজন করেছিল হিন্দুত্ববাদী দল হিন্দু জাগরণ বেদিক। বেদিক এবং এর সদস্যরা রাজ্য জুড়ে মুসলিম বিরোধী সহিংসতার সাথে জড়িত।

    সোস্যাল মিডিয়া প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, র‌্যালির উগ্র হিন্দু সদস্যরা জোরপূর্বক মুসলিমদের বাড়ি থেকে সবুজ পতাকা সরিয়ে একটি জাফরান রংয়ের গেরুয়া পতাকা লাগিয়ে দিচ্ছে।

    কর্ণাটকের মন্ত্রী কেসি নারায়ণ গৌড়া, জেলা বিজেপি সভাপতি উমেশ এবং অন্যান্য হিন্দু নেতারা সমাবেশে অংশ নেয়। মুসলিম বিদ্বেষের যত ঘটনা ঘটছে সবগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী উগ্র নেতারা।

    এদিকে, দিল্লিতে মুসলিম ছাত্র ও অ্যাক্টিভিস্টদের উপর হামলা চালিয়েছে হিন্দুত্ববাদী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। প্রায় ৩৬ টি সংগঠনের যৌথ ফ্রন্ট ‘ক্যাম্পেইন অ্যাগেইনস্ট স্টেট রিপ্রেশন’-এর সদস্যরা জানিয়েছেন, যে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় তারা অখিল ভারতী বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) – রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ছাত্র শাখার সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

    প্রচারণার পাঁচজন সদস্য সহিংসতায় গুরুতর আহত হয়েছেন। মুসলিম নেতাকর্মীরা জানান, তাদের ওপর পাথর, লাঠিসোঁটা ও রড দিয়ে হামলা করা হয়েছে।

    ভগত সিং ছাত্র একতা মঞ্চের (বিসিইএম) ছাত্র কর্মী জানায়, প্রতিবাদকারী ১৫ জন ব্যক্তিকে আক্রমণ করা হয়।
    “আমরা প্রচারণা চালাচ্ছিলাম, মরিস নগর থানার কাছে প্রথম দিকে দুজন লোককে আসতে দেখেছিলাম, তারপরে তারা মোবাইল দিয়ে কল দেয় এবং প্রায় ৬০-৭০ জনের একটি দল জড়ো করে। এতে কিছু মহিলাও ছিল।”

    ‘ক্যাম্পেইন অ্যাগেইনস্ট স্টেট রিপ্রেশন’ থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কিছুক্ষণ পর এবিভিপি গুন্ডাদের সঙ্গে তিনটি গাড়ি দেখা যায়। আম আদমি পার্টির পতাকা দিয়ে তাঁরা মুখ ঢেকে রেখেছে। আমরা বিপদ টের পেয়ে ক্যাম্পাসের দিকে হাঁটা শুরু করলাম। তারা আমাদের ওপর পাথর ও টমেটো ছুড়তে থাকে। আমরা যখন প্যাটেল চেস্ট ইনস্টিটিউটে পৌঁছলাম, তারা বেল্ট, রড এবং লাঠি দিয়ে আমাদের আক্রমণ করতে শুরু করে।”

    বিসিইএম-এর ছাত্র কর্মী বাদলের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, অন্যদিকে আইনজীবী এহেনস্ট অ্যাট্রোসিটিসের এহতামাম তার কানে আঘাত পেয়েছেন। আঘাতপ্রাপ্তদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর এবিভিপি সদস্যরা হাসপাতাল ঘেরাও করে হুমকি দিতে থাকে।



    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. Karnataka: Thousands in Hindu rally tried to enter mosque stopped by cops
    https://tinyurl.com/mr2cpufd
    2. video link:
    https://tinyurl.com/ya4v8syw
    3. video link:
    https://tinyurl.com/cp897en8
    4. Delhi: Student, Activists Campaigning for G.N. Saibaba’s Release Allegedly Attacked by ABVP Members https://tinyurl.com/v3h2nz9
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মীরে বেকারত্ব বাড়িয়ে চলেছে হিন্দুত্ববাদীরা: মাসের ব্যবধানে বৃদ্ধি দেড় শতাংশ


    হিন্দুত্ববাদী ভারতের অবৈধভাবে দখলকৃত কাশ্মীরে বেকারত্বের হার বেড়েই চলেছে। গত অক্টোবর মাসেই কাশ্মীরে বেকারত্বের হার ছিলো ২২ দশমিক ৪ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.৯ শতাংশে। ভারতের সেন্টার ফর মনিটরিং ইকোনমি (সিএমআইই) জানিয়েছে, কাশ্মীরে গত অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে দেড় শতাংশেরও বেশি।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্দুত্ববাদী সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন কেঁড়ে নেবার পর থেকেই সেখানে বেকারত্ব বেড়ে চলেছে। স্বায়ত্বশাসন বাতিলের এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে কাশ্মীরে বেকারত্বের হার ১৬ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছিল। অর্থাৎ মাত্র এক মাসের মধ্যেই ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

    স্বায়ত্বশাসন বাতিলের পর করোনা লকডাউনের সময় পর্যন্ত কাশ্মীরের ব্যবসাগুলি ১৮ হাজার কোটি রুপি ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

    কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (কেসিসিআই) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কাশ্মীরের পর্যটন ও মোবাইল সেবা ব্যবসায় নিয়োজিত প্রায় ২ হাজার দোকানের ৫ হাজার জন কর্মী তাদের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন পাননি। এছাড়াও এসময়ের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ ৯৬ হাজার কাশ্মীরি মুসলিম তাদের চাকরি হারিয়েছেন।

    অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, কাশ্মীরে বেকারত্বের হার বাড়িয়ে সেখানের মুসলিমদের আরো দুর্বল করে ফেলতে চায় দখলদার হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। আর যুবসমাজের উপর বেকারত্ব চেপে বসলে অনেকেই তখন বাধ্য হয়ে সামাজিক অপরাধে জড়ায়। এতে নৈতিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি মানুষ প্রতিরোধ স্পৃহাও হারিয়ে ফেলে। আর দখলদার হিন্দুত্ববাদীরা ঠিক এটাই কাশ্মীরি মুসলিমদের সাথে করতে চায়, যেন অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে কাশ্মীরি মুসলিমরা হিন্দুত্ববাদীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়তে না পারে।


    তথ্যসূত্রঃ
    ———
    1. With 23.9%, Jammu Kashmir ranks third in the Unemployment charts
    https://tinyurl.com/56eu9kxa

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নৃশংস গণহত্যা : লাশের স্তুপ গড়লো সন্ত্রাসী মিয়ানমার


      গণহত্যার শিকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের লাশের স্তুপ


      মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নৃশংস গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ১৩ জন রোহিঙ্গা যুবককে গণহত্যা করে লাশ রাস্তায় স্তুপ আকারে ফেলে রাখে বর্বর মিয়ানমার জান্তা বাহিনী।

      গত ৪ ডিসেম্বর মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের পার্শবর্তী একটি এলাকায় স্তুপ আকারে লাশগুলো পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের বরাতে মিয়ানমার গণমাধ্যম খিটখিট মিডিয়া জানায়, লাশগুলোর শরীরে কোন গুলির চিহ্ন নেই। তবে শরীরে আঘাত ও পিঠে পোড়া ক্ষত এবং সামরিক বুট দ্বারা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফলে ধারনা করা হচ্ছে এসব মুসলিমদের নির্মমভাব পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

      মিয়ানমার গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর গণহত্যার শিকার হওয়া ঐ ১৩ রোহিঙ্গা যুবকে গ্রেফতার করেছিল মিয়ানমার সামরিক জান্তা। আর এর পরের দিনই তাদের লাশ মেলে রাস্তায়।



      মুসলিম বিশ্বের নিরবতায় বর্বর বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের সাথে পশুর মতো আচরণ করছে। মুসলিম নারীদের পাশবিক নির্যাতন ও পুরুষদের হত্যা করছে। সেনাদের নির্যাতনে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। তাদের এখন বিভিন্ন দেশের শরনার্থী ক্যাম্পে অমানবিকভাবে জীবন-যাপন করছে।

      অন্যদিকে এখনো প্রতিদিনই নিরাপদ জীবনের জন্য আরাকান ছেড়ে পালাচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা। আর পালনোর সময় মিয়ানমার বাহিনীর গ্রেফতারের শিকার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। গত ৫ ডিসেম্বর এমনি ৭৮ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে মিয়ানমার জান্তা। চলতি বছর এ পর্যন্ত ১৬০০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাসী মিয়ানমার। এসব গ্রেফতারকৃতদের নুন্যতম ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে থাকে সামরিক জান্তা সরকার।



      রোহিঙ্গাদের ওপর এমন বর্বরোচিত গণহত্যা এটিই প্রথম নয়, ২০১৭ সালে গণহত্যা চালানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘ রোহিঙ্গা মুসলিদের জন্য কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এছাড়াও কথিত আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) এখনো ‘রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার কোন অপরাধ করেছে কিনা’- তা তদন্ত করছে বলে এক রিপোর্টে জানিয়েছে সংস্থাটি। জানা যায়, নিপিড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অনলাইনে আলোচনার মাধ্যমে সাধারণ তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রমাণাদি সংগ্রহের কাজও নাকি চালিয়ে যাচ্ছে আইসিসি।

      এভাবেই বার বার রোহিঙ্গা মুসলিমদের সাথে তামাশা করে যাচ্ছে দালাল জাতিসংঘ ও কথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলো। আর এক শেণির মুসলিমও জাতিসংঘ ও পশ্চিমাদের কাছেই রোহিঙ্গাদের সমস্যার সমাধান খুঁজে ফিরছে, যা কোন দিনও সম্ভব নয়। তাই বহুদিন ধরেই নিপিড়িত উম্মাহকে উদ্বারে নববী সুন্নাহ অনুসারে সার্বিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আসছেন হকপন্থী আলেম-উলামাগণ।



      তথ্যসূত্র :
      ———
      1. BREAKING: 13 Rohingya dead bodies found
      https://tinyurl.com/5xwazffh
      2. 78 Rohingya Arrested
      https://tinyurl.com/bdvkckep
      3. মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চলছে: আইসিসি
      https://tinyurl.com/4jwes2vm

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মুসলিম ড্রাইভারকে ঘর থেকে তুলে নিল হিন্দুত্ববাদী পুলিশ, শিশু-মহিলাদেরও নির্যাতন



        মুহাম্মাদ ঘোস পাশা


        ভারতের হায়দ্রাবাদের নওয়াব সাহেব কুন্তার বাসিন্দা মুহাম্মাদ ঘোস পাশাকে গতকাল বিকাল ৪:৩০ এর দিকে তুলে নিয়ে গেছে ১৫-২০ জনের একদল সাদা পোশাকধারী লোক।

        ঘোস পাশার স্ত্রী সুরাইয়া সুলতানা বলেন, তার স্বামী ঘোস পাশা একজন ড্রাইভার। তিনি ভাড়ায় গাড়ি চালান। পূর্বে তাকে কিছু মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের মধ্যেই সকল মামলা থেকেই মুক্তি পান ঘোস পাশা। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই বলে জানান সুরাইয়া সুলতানা।

        এক ভিডিও বার্তায় সুরাইয়া সুলতানা বলেন, গতকাল আসরের সময় ১৫-২০ জনের সাদা পোশাকধারী লোকেরা (পুলিশ সদস্য) ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এসময় সাদা পোশাকধারীরা ঘরের ছোট ছোট বাচ্চা ও মহিলাদের উপর হাত তুলেছে এবং নির্যাতন করেছে। সুরাইয়া সুলতানা সাদা পোশাকধারী পুলিশদের তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললেও হিন্দুত্ববাদী পুলিশ সেদিকে কর্ণপাত করেনি।

        মুহাম্মাদ ঘোস পাশার বড় ভাই হায়দ্রাবাদ পুলিশ কমিশনারের কাছে তাঁর ভাইদের মুক্তির আবেদন করেছেন। আর তাঁর ঘরের স্ত্রী-সন্তান এবং বয়স্ক মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করার জন্য পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।



        তথ্যসূত্র:
        ——–
        ১. ভিডিও বার্তা:
        https://tinyurl.com/muwy2sjt


        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X