হিন্দুত্ববাদীদের স্বরূপ উদঘাটন করে বই লেখায় মুসলিম লেখক আটক
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র।
আরএসএস, ভিএচপিসহ অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর স্বরূপ উদঘাটন করে একটি বই লিখেছেন মুসলিম লেখক ফারহাত খান। হিন্দুত্ববাদীদের অপকর্ম ও তাদের ভবিষ্যৎ পলিকল্পনার কথা তুলে ধরায় এই মুসলিমের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদের অবমাননা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো।
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সদস্যরা ইন্দোরের গভর্নমেন্ট নিউ ল কলেজে প্রতিবাদ জানানোর পর ৩ ডিসেম্বর খানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এবিভিপি হল উগ্র হিন্দুত্ববাদী আরএসএস এর ছাত্র সংগঠন।
এবিভিপি এর সদস্যরা অভিযোগ করে যে, খানের বইতে হিন্দু এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন যেমন আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বিষয়বস্তু রয়েছে এবং এটি ২০১৭ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী ছাত্র সংগঠনটি আরও অভিযোগ করে, বইটিতে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতাকে একটি ধ্বংসাত্মক আদর্শ হিসাবে দেখানো হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি একটি হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং অন্যান্য সম্প্রদায়কে দাস বানাতে চায় বলে মিথ্যা তথ্য বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফারহাত খান ছাড়াও গভর্নমেন্ট নিউ ল কলেজের অধ্যক্ষ ইনাম উর রহমান ও মির্জা মজিজ বেগ নামে এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ।
মামলাটি ভারতীয় দণ্ডবিধির 153A (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার) এবং 295A (ধর্মীয় অনুভূতিকে ক্ষুব্ধ করার উদ্দেশ্যে কাজ) এর অধীনে দায়ের করা হয়।
গত ৮ ডিসেম্ববর, মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছে, ফারহাত খান যখন পুনেতে একটি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করছিলেন, তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইন্দোর-ভিত্তিক মুসলিম লেখক ফারহাত খান গুরুতর কিডনি রোগে ভুগছিলেন এবং নিয়মিতভাবে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন ছিল। অথচ, উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এমন গুরুতর অসুস্থ মানুষকে ডায়ালাইসিস চলাকালীন আটক করেছে।
‘আমার ল পাবলিকেশন্স’ প্রতিনিধি হিতেশ ক্ষেত্রপাল বলেছেন, বইটির প্রথম সংস্করণ ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। আমরা ২০২১ সালে বইয়ের কিছু অংশ সম্পর্কে হিন্দুত্ববাদীদের অভিযোগ জানতে পারি। তখন আমরা এটির লেখক ডঃ ফারহাত খানের সাথে আলোচনা করি। তারপর সেগুলো পরিবর্তন করেছিলাম যেন হিন্দুত্ববাদীদের রোষানল থেকে বাঁচা যায়। তবুও হিন্দুত্ববাদীদের ক্ষোভ কমেনি।
উল্লেখ্য, ভারতকে একমাত্র হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর ঘোষণা উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতারা বহু আগে থেকেই প্রকাশ্যে দিয়ে আসছে। বাক স্বাধীনতার সবক দেয়া এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র এই লেখককে শুধুমাত্র তার মুসলিম পরিচয়ের কারণেই হয়রানি করছে; সত্য প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে।
তথ্যসূত্র:
১। Madhya Pradesh Police arrest author of book with purported ‘objectionable content’ about Hindus – https://tinyurl.com/ycysnr37
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র।
আরএসএস, ভিএচপিসহ অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর স্বরূপ উদঘাটন করে একটি বই লিখেছেন মুসলিম লেখক ফারহাত খান। হিন্দুত্ববাদীদের অপকর্ম ও তাদের ভবিষ্যৎ পলিকল্পনার কথা তুলে ধরায় এই মুসলিমের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদের অবমাননা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো।
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সদস্যরা ইন্দোরের গভর্নমেন্ট নিউ ল কলেজে প্রতিবাদ জানানোর পর ৩ ডিসেম্বর খানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এবিভিপি হল উগ্র হিন্দুত্ববাদী আরএসএস এর ছাত্র সংগঠন।
এবিভিপি এর সদস্যরা অভিযোগ করে যে, খানের বইতে হিন্দু এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন যেমন আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বিষয়বস্তু রয়েছে এবং এটি ২০১৭ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী ছাত্র সংগঠনটি আরও অভিযোগ করে, বইটিতে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতাকে একটি ধ্বংসাত্মক আদর্শ হিসাবে দেখানো হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি একটি হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং অন্যান্য সম্প্রদায়কে দাস বানাতে চায় বলে মিথ্যা তথ্য বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফারহাত খান ছাড়াও গভর্নমেন্ট নিউ ল কলেজের অধ্যক্ষ ইনাম উর রহমান ও মির্জা মজিজ বেগ নামে এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ।
মামলাটি ভারতীয় দণ্ডবিধির 153A (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার) এবং 295A (ধর্মীয় অনুভূতিকে ক্ষুব্ধ করার উদ্দেশ্যে কাজ) এর অধীনে দায়ের করা হয়।
গত ৮ ডিসেম্ববর, মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছে, ফারহাত খান যখন পুনেতে একটি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করছিলেন, তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইন্দোর-ভিত্তিক মুসলিম লেখক ফারহাত খান গুরুতর কিডনি রোগে ভুগছিলেন এবং নিয়মিতভাবে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন ছিল। অথচ, উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এমন গুরুতর অসুস্থ মানুষকে ডায়ালাইসিস চলাকালীন আটক করেছে।
‘আমার ল পাবলিকেশন্স’ প্রতিনিধি হিতেশ ক্ষেত্রপাল বলেছেন, বইটির প্রথম সংস্করণ ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। আমরা ২০২১ সালে বইয়ের কিছু অংশ সম্পর্কে হিন্দুত্ববাদীদের অভিযোগ জানতে পারি। তখন আমরা এটির লেখক ডঃ ফারহাত খানের সাথে আলোচনা করি। তারপর সেগুলো পরিবর্তন করেছিলাম যেন হিন্দুত্ববাদীদের রোষানল থেকে বাঁচা যায়। তবুও হিন্দুত্ববাদীদের ক্ষোভ কমেনি।
উল্লেখ্য, ভারতকে একমাত্র হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর ঘোষণা উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতারা বহু আগে থেকেই প্রকাশ্যে দিয়ে আসছে। বাক স্বাধীনতার সবক দেয়া এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র এই লেখককে শুধুমাত্র তার মুসলিম পরিচয়ের কারণেই হয়রানি করছে; সত্য প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে।
তথ্যসূত্র:
১। Madhya Pradesh Police arrest author of book with purported ‘objectionable content’ about Hindus – https://tinyurl.com/ycysnr37
Comment