Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১৮ ই মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ০৭ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১৮ ই মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ০৭ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

    জুম'আর খুতবায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পরামর্শ সুদাইসির

    মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে আরবের গাদ্দার শাসকরা একের পর এক গাদ্দারি করেই যাচ্ছেন। ইহুদিদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে মুসলিম জাতিকে পিছন থেকে চুরি চালাচ্ছেন। বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সম্মুখে যখন এইসব দালাল শাসকদের ঘৃণ্য মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। ঠিক তখনই ইহুদিদের পক্ষে কথা বলছেন আরবের এক শায়েখ।

    তিনি জুম’আর খুতবায় ইহুদি সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পরামর্শ দিয়েছেন।

    আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট এ তথ্য দিয়েছেন।

    খুতবায় কাবার ইমাম আব্দুর রহমান আল-সুদাইস বলেছেন, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম তার ইহুদি প্রতিবেশির প্রতি সদয় ছিলেন। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

    তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মে অমুসলিমদের সন্মান ও তাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে।

    তার বক্তব্য মতে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম এক ইহুদি ব্যক্তির পানির পাত্র থেকে পানি নিয়ে অযু করেছিলেন এবং মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর ঢাল এক ইহুদির কাছে বন্ধক রাখেন।

    সুদাইসি আরও বলেন, ইসলাম সম্পর্কে ভুল ও মিথ্যা সন্দেহ ও বিশ্বাস ত্রুটিমুক্ত করা প্রয়োজন। এর আগে তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।

    কাবার ইমামের এ ধরনের বক্তব্যের পর অনেকেই এটিকে কৌশলে সৌদি নাগরিকদের কাছে ইহুদি সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রস্তাব হিসেবে বিবেচনা করছেন।

    ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে বিরোধিতা না করে উল্টো ইহুদীদের সাথে সুসম্পর্ক করার পরামর্শ মুসলিমদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। উল্লেখ্য সুদাইসি এর আগেও মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করছে বলে বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 09-08-2020, 11:46 AM.
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ৫০ হাজার টাকা ‘ঘুস’ দাবি, বিনিময়ে ঝড়ে গেলো ২৭ টি জীবন

    শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হয়েছেন৷ আরো অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন বার্ন ইউনিটে৷ প্রথমে ধারণা করা হয়েছিলো নামাজের সময় এসি (শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ মসজিদটিতে ৬ টি এসি ছিলো৷ কিন্তু ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে বলেছে, মসজিদ লাগোয়া গ্যাস লাইনই এই দুর্ঘটনার কারণ৷ নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন সংবাদমাধ্যমকে শনিবার বলেছেন, ‘আমরা আগুন নেভানোর জন্য পানি দেয়ার পর সেখানে বুদবুদ দেখতে পেয়েছি৷ এর অর্থ গ্যাস লিকেজ হচ্ছিলো৷ মূলত পাইপটি ছিদ্র হয়ে গ্যাস নির্গত হচ্ছিলো৷ এদিকে পুরো মসজিদ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত হওয়ায় গ্যাস মসজিদের মধ্যেই আটকে ছিল৷’ তিনি আরো বলেন, ‘মসজিদের কোনো ফ্যান চালানোর সময় সুইচবোর্ড থেকে আগুনের ফুলকি বের হয়ে মসজিদের ভেতরে থাকা ছয়টি এসিতে আগুন ধরেছে বলে ধারণা করছি৷’ মসজিদের সামনে গ্যাস লাইনে যে ত্রুটি ছিলো তা স্বীকার করেন মসজিদ কমিটির সভাপতি গফুর মিয়া৷ তিনি বলেন, ‘আমরা মাঝে মাঝেই নামাজ পড়তে গেলে গ্যাসের গন্ধ পেতাম৷ আর এটা মেরামতের জন্য আমরা স্থানীয় তিতাস গ্যাস অফিসে যোগাযোগও করেছিলাম৷ তারপরও কাজ হয়নি৷’ মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি গ্যাসের লাইন মেরামতের জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে গ্যাস কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ করে আসছিলো বলে জানান তিনি৷ ‘এক পর্যায়ে মেরামতের জন্য তিতাস গ্যাসের লোকজন ৫০ হাজার টাকা ঘুস দাবি করে৷ আমরা এই ঘুসের টাকা যোগাড়ের চেষ্টা করছিলাম৷ স্থানীয়দের কাছ থেকে গ্যাস লাইন মেরামতের জন্য চাঁদা তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলাম৷ কিন্তু তার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়,’ বলেন তিনি৷

    নয়া দিগন্ত
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সেই ভয়ঙ্কর রাতের বর্ণনা দিলেন ইউএনও ওয়াহিদার বাবা

      দিনাজপুর ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের আলমিরা থেকে কিছু একটা নিয়ে গেছে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় চাবি না দিলে তার চার বছরের শিশু ছেলেকে হত্যা করার হুমকিও দিয়েছিলো ওই দুর্বৃত্ত। ঘরে একজনই ছিল দুর্বৃত্ত। যার পরনে ছিল শার্ট ও প্যান্ট, পিপিই নয়। বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। ঘরের ভেতরে ঘটে যাওয়া ওই সময়ের তথ্য জানিয়েছেন হামলায় গুরুতর আহত ইউএনওর বাবা ওমর শেখ।

      গতকাল রোববার বেলা ১টায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের ১৯ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডের ভিআইপি ১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন বীরমুক্তিযোদ্ধা ওমর শেখ নয়া দিগন্তকে বলেন সে রাতের ঘটনার কথা। এ সময় ওয়াহিদা খানমের মা রমিছা বেগম, বড় ভাই ও মামলার বাদি বগুড়ার কাহালু থানার পরিদর্শক শেখ ফরিদ উদ্দিনসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

      রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলের পরিচালক ডা: ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবা এখন অনেকটা সুস্থ। তিনি কথা বলতে পারছেন। নিজ হাতে খেতে পারছেন। তবে তার কোমরের নিচ থেকে এখনো অবশ আছে। তার চিকিৎসাপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তাকে রেফার্ড করার কথা বলা হলে তাকে এই হাসপাতাল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে। পুরো বিষয়টি তার পরিবার দেখভাল করছে।

      তিনি বলেন, আমি প্রতিদিনই রাত সাড়ে ৪টার দিকে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার জন্য উঠি। এরপর নাতিকে ফিডার খাওয়াই। কারণ নাতি বুকের দুধ পায় না। সে দিনও হয়তো আমার মেয়ে ফিডার বানিয়েছিল। ভাবলাম একটু শুই। তাহাজ্জুদ পড়ার পর খাওয়াবো। চোখেও ঘুম ধরে এসেছে। সাড়ে ৩টা মতো বাজে তখন। আমি বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম। ভাবলাম একটু ঘুম হওয়ার পর উঠে তাহাজ্জুদ পড়বো।

      হঠাৎ করে মেয়েটা চিৎকার দিয়ে উঠে বলল, বাবা দেখেন তো কোন বেয়াদব ঘরের ভেতর ঢুকছে। আমি আশ্চর্য হইছি। ঘরের ভেতরে ঢুকতে তো পারবে না। কারণ সব চাবি আমার কাছে আছে। কারণ ৫টা গেট ভেঙে কেউ কি আসতে পারে। আমি চোখে ঘুম থাকা অবস্থাতেই উঠে গেলাম ওর রুমে। দরজা সব সময় খোলা থাকে আমাদের। আমি ঘরে ঢোকামাত্রই আমাকে সঙ্গে সঙ্গে ধাক্কা মেরেছে বদমাইশ। আমি তখন ওকে ধাক্কা মারছি, ঘুষাঘুষি করছি। একপর্যায়ে সে আমারে ঘাড়ে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে বাড়ি মেরে ফ্যাকচার করে ফেলে। আমি তবুও প্রটেকশন দিয়ে গেছি। আবারো বারি মারার পর আমি স্টিলের আলমিরাটার কাছে গিয়ে পড়ে গেছি। তবে তখন আমার সেন্স ছিল।

      ওমর শেখ জানান, অনেকক্ষণ পর সে আমাকে বলে, এই সরে আয় ওখান থেকে। তখন আমি বলি বাবা আমার সরার বুদ্ধি নেই। তখন হাত ধরে হারামির বাচ্চাটা আমাকে টেনে নিয়ে এগিয়ে গেলো। নিয়ে গিয়ে ল্যাট্রিনের দিকে আমার মুখ করে আলনা থেকে দু’টি কাপড় নামিয়ে আমাকে ছুড়ে দিয়ে বলল, এই মুখ ঢাক। আমি তখন ওর কথামতো মুখ ঢাকলাম। আমার নাতিটা তখন সারা মেঝেতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চার বছর বয়স ওর। এ দিকে বদমাইশটা বলছে, এই চাবি দে। চাবি দে। তখন আমি বললাম, বাবা চাবি কোথায় আছে আমি তো জানি না। জামাই-বেটির ঘর আমি কী করে জানবো।

      তখন সে আমাকে বলে, চাবি না দিলে তোর নাতিকে মেরে দেবো। তখন আমি তাকে বললাম। আরে বাবা ওকে মারলে কি চাবি পাবা। আমি কি চাবির কথা বলতে পারবো। তখন ও বদমাইশটা সুইচ দিলো এবং ওয়ারড্রবের ওপরে থাকা ওর দু’টি ব্যাগে হাতড়াতে লাগলো। ইউএনও মানুষ। টাকা-পয়সা কত কী থাকে ওর ব্যাগে। ২০/২৫/৪০ হাজার টাকা অনেক সময় ওর ব্যাগে থেকেই যায়। ও কোনো দিন ব্যাগ ড্রয়ারের ভেতরে ঢুকায় না। অফিস থেকে নিয়ে আসে ওভাবেই রাখে। আবার ওভাবেই অফিসে যাওয়ার সময় নিয়ে যায়। এরই মধ্যে শুনি ভটভট শব্দ হচ্ছে। তখন মুখ ঢাকা অবস্থায় চোখ বের করে দেখি বদমাইশটা আলমিরা খুলছে। শব্দ শুনতে পাচ্ছি। ভটভট করতেছে। তবে চাবি খুলে ভেতর থেকে কিছু নিলো, কিছু পাইল কি পাইল না, সেটা ওই সময়ে বুঝতে পারি নাই। তবে আমার ধারণা কিছু একটা নিলো।

      কিছুক্ষণ পরে ল্যাট্রিনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হয়ে চলে গেল। ডান হাতে হাতুড়ি ছিল। একজন ছিল তখন ঘরে, গায়ে শার্ট প্যান্ট ছিলো, লুঙ্গি কিংবা পিপিই ছিল না। তখন আমি দেখি আমার মেয়ে শুয়ে আছে খাটে। আমি তখন মেয়ের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে ডাকলাম মারে, মা। অনেকক্ষণ পর সে জবাব দিলো। তখন সে (ওয়াহিদা) বলল, আমাকে মেরে রেখে গেছে আব্বা। ঘাড়ে মেরেছে। বুকে মেরেছে। আমাকে মেরে ফেলেছে আব্বা। আব্বা আমি ঘাড় ফেরাতে পারতেছি না, কথা বলতে পারছি না। এই টুকুনই আমার মেয়ের সাথে শেষ কথা হয়েছে। আর কোনো কথা বলেনি সে।

      ওরা হয়তো ভেবেছিলো আমার মেয়ে মারা গেছে। সে কারণে তাকে বিছানায় ওরা শুয়েই রেখেছিলো।
      আমাদের সময়
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক বন্ধ্যা ও নির্মম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরলেন এক উইঘুর নারী

        উইঘুর’ চীনের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়। বহু দিন ধরেই নিজ দেশের সরকার কর্তৃক নির্যাতিত তারা। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে নির্যাতনের সংবাদ প্রকাশ হলেও এবার উঠে এল নির্মম নির্যাতনের ভয়ঙ্কর চিত্র।

        চীন সরকারের হাতে জোরপূর্বক বন্ধ্যার শিকার ও শিনজিয়াংয়ে বন্দিশিবিরে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের কথা বর্ণনা করেছেন এক উইঘুর নারী। তার নাম কেলবিনুর সিদিক, যাকে শিনজিয়াংয়ে বন্দিশিবিরে আটকদের ক্লাস নিতে বাধ্য করা হতো। তিনি ৫০ বছর বয়সে চীনা সরকারের হাতে জোরপূর্বক বন্ধ্যা হতে বাধ্য হন।

        কেলবিনুর সিদিক জানান, শুধু সন্তানসম্ভাবা নারীদের জোর করে বন্ধ্যা করা হয় না, যাদের সন্তান জন্মদানের বয়স পেরিয়ে গেছে তাদেরও বন্ধ্যা করা হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকের কাছ থেকে তিনি যে বার্তা পেয়েছেন সে সম্পর্কে বলেন, ১৯ থেকে ৫৯ বছর বয়সী নারীদের জরায়ুতে আইইউডি (অস্থায়ী দীর্ঘমেয়াদি গর্ভনিরোধক উপকরণ) স্থাপন করা হয় বা জোরপূর্বক বন্ধ্যা করতে বাধ্য করা হয়।

        সিদিক জানান, ২০১৭ সালে যখন তার বয়স ৪৭ তার একমাত্র মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো তখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাকে আইইউডি নিতে বাধ্য করে। এরপর ৫০ বছর বয়সে তাকে ব’ন্ধ্যা করতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া এই উইঘুর নারী জানান, বন্দিশিবিরে এবং পুরো অঞ্চলে যা ঘটছে তা সত্যি ভয়ানক। তিনি বলেন, আমি চুপ থাকতে পারি না।

        তিনি আরও বলেন, আমি অবাক হই কেন পশ্চিমা দেশগুলো এখনও ওইসব শিবিরের মধ্যে কী ঘটছে তা বিশ্বাস করতে পারে না, কেন তারা নিশ্চুপ। কেলবিনুর সিদ্দিক দুটি ক্যাম্পে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জানান, সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পর্যাপ্ত খাবার নেই, শৌচাগার ও পানির অভাব। তিনি বন্দিশিবিরে আটকদের নির্যাতনের চিৎকারও শুনেছেন বলে জানান। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে মুসলিমদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছে ভাইরাস-কেন্দ্রিক মিথ্যা অভিযোগ

          ৬৩ বছর বয়স্ক আব্দুল্লাহ হারিস যখন মার্চ মাসে তাবলিগের সম্মেলনে অংশ নিতে মালয়েশিয়া থেকে ভারতে আসেন, তখন তার কল্পনাতেও ছিল না যে, তার সফর কয়েক মাসের একটা কঠিন পরীক্ষায় রূপ নিতে যাচ্ছে।

          ভারতে সেটা তার দীর্ঘতম সফরে পরিণত হয়।

          প্রায় ছয় মাস চলে গেছে এবং ভিসার মেয়াদ লঙ্ঘনের জন্য বিহার রাজ্যে মামলার মুখে পড়েছেন হারিস। এখন তিনি অপেক্ষায় আছেন, কবে তিনি দেশে ফিরতে পারবেন।

          আনাদোলু এজেন্সিকে তিনি বলেন, “ছয় মাসের মধ্যে ৫৭ দিনই আমাকে জেলে থাকতে হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই ফিরতে পারবো”।

          অরাজনৈতিক ইসলামি মিশনারী সংগঠন তাবলিগ জামাতের ইজতেমায় অংশ নিতে ভারতে এসেছিলেন হারিস।

          কিন্তু কোভিড-১৯ ছড়াতে শুরু করে, এবং নয়াদিল্লীতে মার্চে অনুষ্ঠিত তাবলিগ জামাতের ইজতেমা থেকে ভাইরাস ছড়ানোর খবর প্রকাশের পর মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযোগ তোলা শুরু হয়।

          সরকার নিজেও তাবলিগের প্রধান মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভির বিরুদ্ধে মামলা করে। তাবলিগের ইজতেমায় অংশ নেয়া দেশি বিদেশী নাগরিকদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়।

          সমস্যা এখনও চলছে

          তবে এই সমস্যায় হারিস একাই ভুগছেন না।

          বিদেশী ও ভারতীয় অনেক নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে আদালত। তবে অনেকের দুর্ভোগ এখনও জারি রয়েছে।

          তাবলিগ জামাতের সদস্য ২৭ বছর বয়সী ভিয়েতনামের নাগরিক হাসান বাসরিও মার্চে ভারতে এসেছিলেন। এক মাস পরেই তার ফেরার কথা ছিল। কিন্তু হায়দ্রাবাদে অন্যান্যদের সাথে এখনও মসজিদেই বাস করতে হচ্ছে তাকে।

          তিনি বলেন, “নয়াদিল্লীর নিজামুদ্দিনে দুই দিন থাকার পরেই আমরা হায়দ্রাবাদে চলে আসি। দেশে যখন লকডাউন শুরু হয়, তখন আমাদের বিরুদ্ধে ভিসা লঙ্ঘনের মামলা করায় বিস্মিত হয়েছি”।

          গত মাসে, স্থানীয় আদালত তাকে গ্রেফতারের দাবি খারিজ করে দেয়, তাকে জরিমানা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। বাসরি বলেন, “সৌভাগ্যজনকভাবে, আমাকে জেলে পাঠানো হয়নি। এপ্রিল থেকে আমরা মসজিদেই আছি। বাড়ি যেতে চাই আমি, কিন্তু ভিসা নিয়ে সমস্যায় আছি। যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি যেতে চাই আমি”।

          ভারতীয়দের বিরুদ্ধেও মামলা দিয়েছে পুলিশ। বেশ কয়েক মাস আটক থাকার পর অনেকেই এখন জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

          ঝাড়খাণ্ডে আরও ১১ জনের সাথে আটক ছিলেন এক ব্যক্তি। মুক্তির পর তিনি বলেন, “আমি খুশি যে আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে কোভিড-১৯ ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছিলো। খুবই মানসিক আঘাতের ছিল বিষয়টা”।

          সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ফুজাইল আহমেদ আইয়ুবি আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, “তাবলিগ সদস্যদের বিরুদ্ধে জীবন হরণকারী রোগ ছড়ানোর অভিযোগ আনা দেখে বিস্মিত হয়েছি, যেখানে তাদের অধিকাংশেরই কোভিড-১৯ পরীক্ষায় কোন রোগ ধরা পড়েনি”।

          আরও অভিযোগ খারিজ হয়েছে

          আইয়ুব বলেন, বিষয়টা যখন আদালতে গেছে, তখন প্রসিকিউশান তাদের অবস্থান প্রমাণ করতে পারেনি।

          তিনি বলেন, “সে জন্য, বহু মামলায় আদালত বিবেচনায় নেয়নি। কিছু জায়গায় আদালত তাদেরকে মুক্তি দিয়েছে। আওরঙ্গবাদের হাই কোর্ট বেঞ্চ অপরাধী মামলা খারিজ করে দিয়ে সরকার ও মিডিয়াকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে দিয়েছে। তবে অধিকাংশ মামলার এখনও আদালতে নিষ্পত্তি হয়নি, কারণ আদালত এখন পুরোদমে কাজ করতে পারছে না”।

          “ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি আর বিহারের প্রতি নির্দেশ দিয়ে যাতে মামলার প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয় এবং আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে সব মামলার নিষ্পত্তি করা হয়। উত্তর প্রদেশকেও চলতি সপ্তাহে এ ধরণের আদেশ দেয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে”।

          বোম্বে হাই কোর্ট গত মাসে শুধু মামলাই খারিজ করেনি, বরং আরও বেশ কিছু আদালত তাবলিগি সদস্যদের বিরুদ্ধে এ ধরণের মামলা বন্ধ করে দিতে শুরু করেছে। মুম্বাইয়ের একটি আদালত বৃহস্পতিবার আটজন ফিলিপাইনের নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে, যাদেরকে ভিসা লঙ্ঘনের আইনে আটক করা হয়েছিলো।

          বোম্বে আদালত বলেছে, “সম্ভাবনা রয়েছে যে, এই বিদেশীদের বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে”। আদালত বলেছে যে, এমন একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যে, ভারতে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য বিদেশী মিশনারীগুলো দায়ি।

          ভারতীয় এক তাবলিগ জামাতের সদস্য বলেন, “আমি এখনও বুঝতে পারিনি ভারতে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য কেন শুধু একটি সম্প্রদায়কেই দায়ি করা হচ্ছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা”।

          আনাদোলু এজেন্স
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X