Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৫ জামাদিউল উলা, ১৪৪৪ হিজরী।। ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৫ জামাদিউল উলা, ১৪৪৪ হিজরী।। ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী

    মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ছড়াতে ভারতীয় ANI মিডিয়ার দ্বিচারিতা



    হিন্দুত্ববাদী ভারতে সর্বত্রই জ্বলছে মুসলিম বিদ্বেষের আগুন। হিন্দুত্ববাদী নেতাকর্মী ও ধর্মীয় গুরুরা মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে মুসলিম গণহত্যার মাঠ প্রস্তুত করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, মুসলিম বিদ্বেষের পালে হাওয়া দিয়ে একেরপর এক প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো।
    জনমনে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ গেঁথে দিতে প্রতিনিয়ত সন্দেহের বশে, কোন ধরণের তদন্ত ছাড়াই মুসলিমদের নাম উল্লেখ করে অপরাধী হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো। অন্যদিকে, হিন্দুরা খুন ও ধর্ষণের মত নিকৃষ্ট অপরাধ করলেও তাদের নাম উল্লেখ করছে না। হিন্দুত্ববাদী অপরাধের নিউজগুলো সেভাবে প্রচারও করছে না।
    ভারতীয় ANI (এএনআই) মিডিয়ার দ্বিচারিতা ও তাদের কূটকৌশলের কয়েকটি নমুনা তুলে ধরা হলো:

    এই নিউজে অভিযুক্ত ব্যক্তিটি মুসলিম নয়। তাই ANI অভিযুক্তের নাম এড়িয়ে গেছে, যদিও হিন্দু ব্যক্তির অপরাধ মুসলিম ব্যক্তির থেকেও বেশি। এটাই প্রথম এমন করেছে তা নয়। বরং, সকল নিউজের ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত মুসলিম হলে নাম উল্লেখ করে ব্যাপকভাবে হাইলাইট করে প্রচার করে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো।


    এই নিউজে অভিযুক্ত ব্যক্তিটি মুসলিম। তাই অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেছে ANI।


    এখানেও অপরাধীদের নাম উল্লেখ করে নাই। কারণ, এরা হিন্দু।

    এটা কোন গোপন বিষয় নয় যে, ANI আসলে বিজেপির হয়ে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর জন্য কাজ করা হলুদ মিডিয়ার একটি অংশ। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মুসলিম নাম দেখতে দেখতে এ ধারণা তৈরী হওয়াটা স্বাভাবিক যে, সব অপরাধ মুসলিমরাই করে থাকে। আর হিন্দুরা মারাত্মক অপরাধ করলেও তাদের নাম প্রকাশ করে না হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো। কিছুদিন পর হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন হিন্দু অপরাধীদের ছেড়ে দিলেও সেগুলো মিডিয়াতে আসে না, কেউ টেরও পায় না। এভাবেই হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো সুকৌশলে মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছে।

    তথ্যসূত্র:

    1. Pic 1. Accused Muslim, ANI mentions the name of the accused.
    Pic 2. Accused not Muslim, ANI avoids mentioning the name of the accused.
    https://tinyurl.com/3c9f67s7

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এবার হায়দ্রাবাদে হালাল বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দলগুলো



    হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিমদের জন্য গরু জবাই করা, গরুর গোশত খাওয়া ও বহন করা অনেক আগে থেকেই অঘোষিত নিষেধ হয়ে আছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ‘হালাল জিহাদ’ ট্যাগ লাগিয়ে এসকল বিষয়ে মুসলিম বিদ্বেষী প্রচারণা চালাচ্ছে।

    ইতিপূর্বে কর্ণাটক সহ অনেক রাজ্যে মুসলিমদের হালাল খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উগ্র প্রশাসন ও হিন্দু সন্ত্রাসীরা। এমনকি মুসলিমদের বয়কটের আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

    এবার হায়দ্রাবাদে হিন্দুত্ববাদী দলগুলো ‘হালাল জিহাদ’ বিরোধী প্রচারণা শুরু করেছে।

    ১১ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় কাচিগুড়ার বদরুকা কলেজে এমনই একটি অনুষ্ঠান হবার প্রচারণা প্রকাশিত হয়েছে। ‘H2H বিজনেস’ নেটওয়ার্কিং এবং ‘সনাতন হিন্দু সংঘ’ নামে দুইটি সংগঠন এই আয়োজন করেছে।

    উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো বিশ্বব্যাপী ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনকারী হালাল পণ্য নিয়ে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জনপ্রতিনিধিরা হালাল পণ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ, তারা মনে করে যে এটি হিন্দুদের ব্যবসাগুলিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
    হিন্দু ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর উদ্দেশ্যে প্রচারিত একটি বার্তায় তারা জানিয়েছে, “হালাল আমাদের হিন্দু ব্যবসায়ীদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। এই হালালের বিরুদ্ধে আমাদের ক্রুসেডের ধারাবাহিকতায় আসুন আমরা বুঝার চেষ্টা করি যে, কিভাবে হালাল আমাদের অজান্তেই আমাদের প্রত্যেককে প্রভাবিত করছে। চলুন এই অনুষ্ঠানে যোগদান করি, হালালের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করি এবং হালাল নামক এই দানবকে শেষ করি।”

    হালাল, মুসলমানদের জন্য এমন একটি শব্দ যার দ্বারা বুঝা যায় এটি মুসলিমদের জন্য অনুমোদিত। হালাল গোশত বলতে বোঝায়, যে প্রাণীগুলো আল্লাহ তা’আলা খাওয়া জায়েজ করেছেন। দীর্ঘ মেয়াদে ধীরে ধীরে মুসলিমদের ঈমান ধ্বংস করারর ষড়যন্ত্র থেকেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1.Hyderabad: Hindutva groups to hold awareness program on ‘Halal Jihad’ ( The Siasat )
    https://tinyurl.com/mrysyfm7

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ২০০ রোহিঙ্গা বহনকারী দুটি ট্রলার আন্দামান সাগরে নিখোঁজ


      নিখোঁজ ট্রলারের ৩ দিন আগের দৃশ্য- ছবি: টুইটার।


      কমপক্ষে ২০০ রোহিঙ্গা বহনকারী দুটি ট্রলার মালয়েশিয়ার কাছাকাছি আন্দামান সাগরে গত দুই সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ রয়েছে। গত কয়েকদিন আগেই ট্রলারের মাঝি সেটেলাইট ফোনে জানিয়েছিল যে খাবার ও পানীয়ের অভাবে ইতোমধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।বর্তমান ট্রলার দু’টির আনুমানিক অবস্থান- ছবি:টুইটার।রোহিঙ্গা মানবাধিকার কর্মীরা মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন দ্রুত এসকল রোহিঙ্গাদেরকে উদ্বারের পদক্ষেপ নেন। নতুবা তারা নিশ্চিত মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।আর আগে গত ৮ ডিসেম্বর আন্দামান সাগরে ভাসতে থাকা একটি ট্রলার থেকে ১৫৮ জন রোহিঙ্গাকে উদ্বার করে ভিয়েতনামের অফশোর গ্যাস ও তেল কোম্পানি। এরপর তাদেরকে অমানবিকভাবে মিয়ানমার জান্তা সরকারের কাছে তুলে দেয়া হয়। অথচ মিয়ানমার জান্তার নির্যাতন থেকে বাঁচতেই তারা গত পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, জান্তা সরকারের কাছে হস্তান্তরের সময় উদ্বারকৃত রোহিঙ্গা মুসলিমরা হাউমাউ করে কাঁদছেন। এছাড়াও রোহিঙ্গাদেরকে শারিরিক নির্যাতন করার দৃশ্যও ভিডিওতে দেখা গেছে।উল্লেখ্য যে, গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল ট্রলারগুলো। দুর্ভাগ্যবশত গত এক সপ্তাহ আগে ট্রলারগুলোর ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকে। এগুলোর মধ্যে একটি উদ্বার হলেও বাকী দু’টি এখন সাগরে নিখোঁজ রয়েছে।

      তথ্যসূত্র:
      ১। Two more boats are still missing while one was rescued by Off shore gas and oil company and handed over to the Junta of Myanmar – https://tinyurl.com/mr9w7u2s
      ২। Activists appeal for rescue of Rohingya refugees stranded at sea in leaking boat – https://tinyurl.com/dzb9aey3
      ৩। REPORTS THAT VIETNAM(?) HAS HANDED THE RESCUED 158 Rohingya to the Myanmar navy – https://tinyurl.com/mtecsz56
      ৪। News of a boat carrying Rohingya floating in the sea near Thailand – https://tinyurl.com/4dub8de8

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ব্রেকিং || পাক-আফগান সীমান্তে ফের তীব্র সংঘর্ষ: হতাহত ৪৮



        বৃটিশদের তৈরি কল্পিত ডুরান্ড লাইন পাক-আফগান বাহিনীর মাঝে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা সংঘর্ষের ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করছে। আফগানিস্তানে ইমারাতে ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠার হওয়ার পর ডুরান্ড লাইনে এই সংঘর্ষ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে অসংখ্য সৈন্য হতাহত হচ্ছে।

        ১১ ডিসেম্বরও কল্পিত এই ডুরান্ড লাইনের চমন এলাকায় ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান ও বৃটিশদের গোলাম গাদ্দার পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট ৭ জন নিহত এবং আরও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। বিপরীতে ইমারাতে ইসলামিয়ার ১ জন সীমান্তরক্ষী শহিদ এবং বেসামরিক নাগরিক সহ আরও ১২ জন আহত হয়েছেন।

        চমন সীমান্ত ইমারাতে ইসলামিয়ার সামরিক কনভয়

        সূত্র মারফত জানা যায়, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সীমান্তরক্ষীরা চমন সীমান্তে একটি সামরিক পোস্ট বসাচ্ছিলেন। এতে পাকিস্তানের গাদ্দার সামরিক বাহিনী মুজাহিদদের বাঁধা দেয়। এই সূত্র ধরেই উভয় বাহিনীর মাঝে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে গুলাগুলি শুরু হয়। এসময় উভয় পক্ষ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। এই সংঘর্ষ টানা ৪ ঘন্টা ধরে চলতে থাকে।

        সংঘর্ষ শুরু হলে, ইমারাতে ইসলামিয়া সীমান্তে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাকি সেনাদের কঠিন হস্তে দমন করেন। মাটিতে পড়ে থাকা পাকি বাহিনীর বেশ কিছু আহত এবং মৃতদেহের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে সাতটি মৃতদেহ এবং ৩০ জন আহত সেনাকে চমনের সিভিল হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

        স্থানীয়দের মতে, রাতেও ঐ সীমান্ত এলাকায় দুই সামরিক বাহিনীর মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সীমান্ত উভয় দেশের শতশত সেনা ভারী অস্ত্র শস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নিয়ে টহল দিচ্ছে।

        উল্লেখ্য, গত নভেম্বরও সীমান্তে পাকি-বাহিনী কর্তৃক মুসলিম নারীদের অপমান ও সড়ক নির্মাণে বাঁধা দেওয়ায় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে পরপর দুটি সংঘর্ষ হয়েছে। সেসময় পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তত ১৭ সৈন্য নিহত এবং আরও কয়েক ডজন সৈন্য আহত হয়েছিল।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X