মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ছড়াতে ভারতীয় ANI মিডিয়ার দ্বিচারিতা

হিন্দুত্ববাদী ভারতে সর্বত্রই জ্বলছে মুসলিম বিদ্বেষের আগুন। হিন্দুত্ববাদী নেতাকর্মী ও ধর্মীয় গুরুরা মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে মুসলিম গণহত্যার মাঠ প্রস্তুত করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, মুসলিম বিদ্বেষের পালে হাওয়া দিয়ে একেরপর এক প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো।
জনমনে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ গেঁথে দিতে প্রতিনিয়ত সন্দেহের বশে, কোন ধরণের তদন্ত ছাড়াই মুসলিমদের নাম উল্লেখ করে অপরাধী হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো। অন্যদিকে, হিন্দুরা খুন ও ধর্ষণের মত নিকৃষ্ট অপরাধ করলেও তাদের নাম উল্লেখ করছে না। হিন্দুত্ববাদী অপরাধের নিউজগুলো সেভাবে প্রচারও করছে না।
ভারতীয় ANI (এএনআই) মিডিয়ার দ্বিচারিতা ও তাদের কূটকৌশলের কয়েকটি নমুনা তুলে ধরা হলো:
এই নিউজে অভিযুক্ত ব্যক্তিটি মুসলিম নয়। তাই ANI অভিযুক্তের নাম এড়িয়ে গেছে, যদিও হিন্দু ব্যক্তির অপরাধ মুসলিম ব্যক্তির থেকেও বেশি। এটাই প্রথম এমন করেছে তা নয়। বরং, সকল নিউজের ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত মুসলিম হলে নাম উল্লেখ করে ব্যাপকভাবে হাইলাইট করে প্রচার করে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো।

এই নিউজে অভিযুক্ত ব্যক্তিটি মুসলিম। তাই অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেছে ANI।

এখানেও অপরাধীদের নাম উল্লেখ করে নাই। কারণ, এরা হিন্দু।
এটা কোন গোপন বিষয় নয় যে, ANI আসলে বিজেপির হয়ে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর জন্য কাজ করা হলুদ মিডিয়ার একটি অংশ। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মুসলিম নাম দেখতে দেখতে এ ধারণা তৈরী হওয়াটা স্বাভাবিক যে, সব অপরাধ মুসলিমরাই করে থাকে। আর হিন্দুরা মারাত্মক অপরাধ করলেও তাদের নাম প্রকাশ করে না হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো। কিছুদিন পর হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন হিন্দু অপরাধীদের ছেড়ে দিলেও সেগুলো মিডিয়াতে আসে না, কেউ টেরও পায় না। এভাবেই হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো সুকৌশলে মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
1. Pic 1. Accused Muslim, ANI mentions the name of the accused.
Pic 2. Accused not Muslim, ANI avoids mentioning the name of the accused.
–https://tinyurl.com/3c9f67s7

হিন্দুত্ববাদী ভারতে সর্বত্রই জ্বলছে মুসলিম বিদ্বেষের আগুন। হিন্দুত্ববাদী নেতাকর্মী ও ধর্মীয় গুরুরা মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে মুসলিম গণহত্যার মাঠ প্রস্তুত করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, মুসলিম বিদ্বেষের পালে হাওয়া দিয়ে একেরপর এক প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো।
জনমনে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ গেঁথে দিতে প্রতিনিয়ত সন্দেহের বশে, কোন ধরণের তদন্ত ছাড়াই মুসলিমদের নাম উল্লেখ করে অপরাধী হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো। অন্যদিকে, হিন্দুরা খুন ও ধর্ষণের মত নিকৃষ্ট অপরাধ করলেও তাদের নাম উল্লেখ করছে না। হিন্দুত্ববাদী অপরাধের নিউজগুলো সেভাবে প্রচারও করছে না।
ভারতীয় ANI (এএনআই) মিডিয়ার দ্বিচারিতা ও তাদের কূটকৌশলের কয়েকটি নমুনা তুলে ধরা হলো:
এই নিউজে অভিযুক্ত ব্যক্তিটি মুসলিম নয়। তাই ANI অভিযুক্তের নাম এড়িয়ে গেছে, যদিও হিন্দু ব্যক্তির অপরাধ মুসলিম ব্যক্তির থেকেও বেশি। এটাই প্রথম এমন করেছে তা নয়। বরং, সকল নিউজের ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত মুসলিম হলে নাম উল্লেখ করে ব্যাপকভাবে হাইলাইট করে প্রচার করে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো।
এই নিউজে অভিযুক্ত ব্যক্তিটি মুসলিম। তাই অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেছে ANI।

এখানেও অপরাধীদের নাম উল্লেখ করে নাই। কারণ, এরা হিন্দু।
এটা কোন গোপন বিষয় নয় যে, ANI আসলে বিজেপির হয়ে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর জন্য কাজ করা হলুদ মিডিয়ার একটি অংশ। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মুসলিম নাম দেখতে দেখতে এ ধারণা তৈরী হওয়াটা স্বাভাবিক যে, সব অপরাধ মুসলিমরাই করে থাকে। আর হিন্দুরা মারাত্মক অপরাধ করলেও তাদের নাম প্রকাশ করে না হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো। কিছুদিন পর হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন হিন্দু অপরাধীদের ছেড়ে দিলেও সেগুলো মিডিয়াতে আসে না, কেউ টেরও পায় না। এভাবেই হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো সুকৌশলে মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
1. Pic 1. Accused Muslim, ANI mentions the name of the accused.
Pic 2. Accused not Muslim, ANI avoids mentioning the name of the accused.
–https://tinyurl.com/3c9f67s7


বর্তমান ট্রলার দু’টির আনুমানিক অবস্থান- ছবি:টুইটার।রোহিঙ্গা মানবাধিকার কর্মীরা মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন দ্রুত এসকল রোহিঙ্গাদেরকে উদ্বারের পদক্ষেপ নেন। নতুবা তারা নিশ্চিত মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।আর আগে গত ৮ ডিসেম্বর আন্দামান সাগরে ভাসতে থাকা একটি ট্রলার থেকে ১৫৮ জন রোহিঙ্গাকে উদ্বার করে ভিয়েতনামের অফশোর গ্যাস ও তেল কোম্পানি। এরপর তাদেরকে অমানবিকভাবে মিয়ানমার জান্তা সরকারের কাছে তুলে দেয়া হয়। অথচ মিয়ানমার জান্তার নির্যাতন থেকে বাঁচতেই তারা গত পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, জান্তা সরকারের কাছে হস্তান্তরের সময় উদ্বারকৃত রোহিঙ্গা মুসলিমরা হাউমাউ করে কাঁদছেন। এছাড়াও রোহিঙ্গাদেরকে শারিরিক নির্যাতন করার দৃশ্যও ভিডিওতে দেখা গেছে।উল্লেখ্য যে, গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল ট্রলারগুলো। দুর্ভাগ্যবশত গত এক সপ্তাহ আগে ট্রলারগুলোর ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকে। এগুলোর মধ্যে একটি উদ্বার হলেও বাকী দু’টি এখন সাগরে নিখোঁজ রয়েছে।

Comment