কেমন আছেন ভারতের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা || শেষ পর্ব || শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা
ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জানিয়েছেন, শহরে পুলিশের অভিযানের সময় তারা আতঙ্কে থাকেন। কখন তাদের তুলে নিয়ে যায় এই চিন্তায় তারা রাতে ঘুমাতেও পারেন না।
“অনিশ্চিত সময় পার করছি। আমরা কার কাছে সাহায্য চাইবো তাও জানি না,” বলছিলেন ৩০ বছর বয়সী রোহিঙ্গা রহিম খান। “আমরা সবকিছু হারিয়েছি, আশ্রয় নিয়েছি অন্য এক দেশে। এখন ইউএনএইচসিআর আমাদের অভিভাবকের মতো। কিন্তু তারা (ইউএনএইচসিআর) রোহিঙ্গাদের কথা মোটেও শুনে না। হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন দিলে কেবল রিং হতে থাকে; কখনও কেউ ফোন তুলে না, উত্তর আসে না।”
ইউএনএইচসিআর-এর এক কর্মকর্তা অনানুষ্ঠানিকভাবে ‘আর্টিকেল ১৪’-কে জানিয়েছে যে, তারা সরকারের সাথে সমন্বয় করে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। সে বলেছে, “শরণার্থীদের মাঝে যেকোনো মূল্যে ডিটেনশন সেন্টার থেকে বের হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।”
ইউএনএইচসিআর ২০১৯ সালের নভেম্বরে সমালোচনার মুখে পড়েছিল। তারা তখন চীনকে উইঘুর মুসলিমদের বায়োমেট্রিক্স এবং সব তথ্য বিস্তারিত জানিয়েছিল। এর ফলে মুসলিমদের পরিবার ও বন্ধুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধগ্রহণে পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয় চীন সরকার। এরপর ২০২১ সালের জুন মাসেও, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য বাংলাদেশের কাছে ফাঁস করেছে ইউএনএইচসিআর।
অনুবাদ: সাইফুল ইসলাম
তথ্যসূত্রঃ
১। Rohingya Refugees Recall Desperate Conditions With No Legal Recourse In Delhi Detention Centre – https://tinyurl.com/yvxps73w
আগের পর্বগুলো পড়ুনঃ
https://alfirdaws.org/2022/12/06/61178/
ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জানিয়েছেন, শহরে পুলিশের অভিযানের সময় তারা আতঙ্কে থাকেন। কখন তাদের তুলে নিয়ে যায় এই চিন্তায় তারা রাতে ঘুমাতেও পারেন না।
“অনিশ্চিত সময় পার করছি। আমরা কার কাছে সাহায্য চাইবো তাও জানি না,” বলছিলেন ৩০ বছর বয়সী রোহিঙ্গা রহিম খান। “আমরা সবকিছু হারিয়েছি, আশ্রয় নিয়েছি অন্য এক দেশে। এখন ইউএনএইচসিআর আমাদের অভিভাবকের মতো। কিন্তু তারা (ইউএনএইচসিআর) রোহিঙ্গাদের কথা মোটেও শুনে না। হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন দিলে কেবল রিং হতে থাকে; কখনও কেউ ফোন তুলে না, উত্তর আসে না।”
ইউএনএইচসিআর-এর এক কর্মকর্তা অনানুষ্ঠানিকভাবে ‘আর্টিকেল ১৪’-কে জানিয়েছে যে, তারা সরকারের সাথে সমন্বয় করে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। সে বলেছে, “শরণার্থীদের মাঝে যেকোনো মূল্যে ডিটেনশন সেন্টার থেকে বের হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।”
ইউএনএইচসিআর ২০১৯ সালের নভেম্বরে সমালোচনার মুখে পড়েছিল। তারা তখন চীনকে উইঘুর মুসলিমদের বায়োমেট্রিক্স এবং সব তথ্য বিস্তারিত জানিয়েছিল। এর ফলে মুসলিমদের পরিবার ও বন্ধুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধগ্রহণে পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয় চীন সরকার। এরপর ২০২১ সালের জুন মাসেও, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য বাংলাদেশের কাছে ফাঁস করেছে ইউএনএইচসিআর।
অনুবাদ: সাইফুল ইসলাম
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ ভারতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের হালাত নিয়ে তৈরি “Rohingya Refugees Recall Desperate Conditions With No Legal Recourse In Delhi Detention Centre” এই শিরোনামে article14 এ প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আমরা ধারাবাহিক ভাবে বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করেছি।
তথ্যসূত্রঃ
১। Rohingya Refugees Recall Desperate Conditions With No Legal Recourse In Delhi Detention Centre – https://tinyurl.com/yvxps73w
আগের পর্বগুলো পড়ুনঃ
https://alfirdaws.org/2022/12/06/61178/