Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৮ জামাদিউল উলা, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৮ জামাদিউল উলা, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী

    বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩০তম বার্ষিকী পালন করায় ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা



    গত ৬ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি কর্মসূচি পালন করেছেন। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠানটি করার ‘ঠুনকো’ কারণ দেখিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

    অনুষ্ঠান চলাকালে মুসলিম শিক্ষার্থীরা ৬ ডিসেম্বরকে ব্ল্যাক ডে বা ‘কালো দিবস’ বলে পোস্টারিং করে। অনুষ্ঠানটির পর থেকেই হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম ছাত্রদের বিরুদ্ধে মাঠে নামে। হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর অন্যায় হুমকি বাস্তবায়নে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

    গত ৭ ডিসেম্বর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি শহরে একটি মহাপঞ্চায়েত করে এবং মুসলিম ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। বিজেপির যুব শাখা ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা বলেছিল ১২ ডিসেম্বর, সোমবারের মধ্যে এই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা না হলে তারা আলিগড় পুলিশ সুপারের অফিসে বিক্ষোভ মিছিল করবে।

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ছাত্রদের তৈরি পোস্টার এবং ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের গজল “হাম দেখেঙ্গে” থেকে একটি নির্দিষ্ট শ্লোক ব্যবহার করার বিষয়েও আপত্তি জানায়।

    এফআইআর-এর অনুলিপি অনুসারে জানা যায়, পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 505 (statements conducting to public mischief বা জনসাধারণকে উসকে দেওয়া), 188 (disobedience to order duly promulgated by public servant বা সরকারি কর্মচারী দ্বারা যথাযথভাবে প্রচারিত আদেশের অবাধ্যতা), 295-এ (acts intended to outrage religious feelings বা ক্ষোভের উদ্দেশ্যে ক্রিয়াকলাপ) ধর্মীয় অনুভূতি) এবং 298 (uttering words, etc with deliberate intent to wound the religious feelings of any person বা কোন ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে শব্দ উচ্চারণ করা)।এর অধীনে মামলা করেছে।

    ফরিদ নামে একজন মুসলিম ছাত্র মাকতুব মিডিয়াকে বলেন, “সেদিন আমরা যে ছাত্র সমাবেশ করেছিলাম, সেখানে আপত্তিকর কিছু ছিল না এবং সব অভিযোগই ভিত্তিহীন।…এই ছাত্র সমাবেশ কোন ধর্মের বিরুদ্ধে ছিল না। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২-এ, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মাধ্যমে মুসলিমদের কলিজায় আঘাত দেওয়ার পাশাপাশি সংবিধানকেও উপহাস করা হয়েছিল। এই কারণেই আমরা একত্রিত হয়েছিলাম এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেছি।…আমাদের পরীক্ষার চলছে। এরই মাঝখানে সেই অনুষ্ঠানের কারণে আমাদের মানসিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।

    এমএ প্রথম বর্ষের আরেকজন ছাত্র সালমান গৌরী বলেন, “আমরা কখনই কোনো ধর্মকে আঘাত করিনি।… ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। সালমান তখন প্রশ্ন করেন, ছাত্ররা কি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আলোচনাও করতে পারবে না?”

    আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ওয়াসিম আলি মাকতুব মিডিয়াকে বলেন: “৬ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রতিবাদ হয়নি। মাত্র কয়েকজন ছাত্র তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে জড়ো হয়েছিল। ছাত্রদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর নিয়ে আলাদা তদন্ত চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। আমরা এবং আমাদের ছাত্ররা আমাদের পূর্ণ সম্ভাব্য সহযোগিতার সাথে তদন্তের প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ শান্তি বিরাজ করছে।”

    হিন্দুত্ববাদী ভারতে কথিত গণতান্ত্রিক কথা মেনে কেউ প্রতিবাদ করলেও সেটা সহ্য করা হবে না- এটাই এখন সেখানকার বাস্তবতা। অর্থাৎ, মুসলিমদের বিরুদ্ধে তারা কোন অধিকার বা আইনের তোয়াক্কা করে না, যে অধিকার বা আইনগুলো তারা নিজেরাই নির্ধারণ করেছিল।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Aligarh Muslim University students booked for ‘30 years of Babri’ program
    https://bit.ly/3uMQPrB
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মুসলিম যুবকদের হিন্দুত্ববাদী বজরং সন্ত্রাসীদের হুমকি, মারধর



    গত ১০ ডিসেম্বর শনিবার রাতে মেঙ্গালুরুর উরওয়া স্টেশন সীমানায় দুই মুসলিম যুবককে হয়রানি করে মারধরের হুমকি দিয়েছে উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা। রাত ১১.৩০ মিনিটের দিকে ঘটনাটি ঘটে, যখন তারা রাতের খাবারের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন।

    পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছে, হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সদস্যরা ১০ ডিসেম্বর রাতে শহরে ঘোরাঘুরি করার সময় হয়রানিমূলক বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে। মুসলিম যুবকদের পাশেই কিছু মেয়ে ছিল। হিন্দুত্ববাদীরা এ বিষয়টিকে লাভ জিহাদ আখ্যা দিয়ে মুসলিমযুবকদের হয়রানি ও মারধরের হুমকি দেয়।

    এদিকে সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গরু পরিবহন করায় হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের সন্ত্রাসীরা এক মুসলিম যুবককে মারধর করছে। তার কাছে বিরাট অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে।
    অথচ, বিশ্বে গরুর মাংস রপ্তানিতে ভারত অন্যতম। আর গোটা ভারতে গরুর মাংস রপ্তানিতে আলিগড় প্রথম। গরুর মাংস রপ্তানিত করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার প্রচুর বিদেশী মুদ্রা আয় করে। আর এই ব্যবসায়ের সাথে জড়িয়ে রয়েছে বিজেপি ও আরএসএসের বড় বড় নেতার নাম!

    তবুও যারা গরু নিয়ে আসে তাদের কাছ থেকে বজরংদলের সন্ত্রাসীরা টাকা আদায় করে, টাকা না দিলে তারা তাদের তাড়া করে এবং আক্রমণ করে।

    হিন্দুত্ববাদী পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় এই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে, এই সংস্থার কাছে পিস্তল থেকে শুরু করে রাইফেল পর্যন্ত অস্ত্র রয়েছে। যার লাইসেন্সও সাধারণ মানুষকে দেওয়া হয় না। তাদের কাছে অস্ত্র কোথা থেকে আসে এবং কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না- তা অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়। পুলিশের সহায়তায় অনেক কিছুই ঘটছে, কিন্তু কে ব্যবস্থা নেবে যখন ব্যবস্থা গ্রহণকারীরাই সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে, মুসলিমদেরকে শুধু সন্দেহের বশেই কারাগারে বন্দী করে রাখে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Mangaluru: Bajrang Dal members allegedly attack Muslim men
    https://tinyurl.com/bdcnfxz9
    2. गाड़ी पर जानलेवा हमला करते हुए वीडियो फेसबुक में उपलोड करते हैं, मानो कानून इनकी मुट्ठी में हो,
    https://tinyurl.com/mpr3k3nj
    3. মুসলিম ব্যক্তিকে মারধর করার ভিডিও
    https://tinyurl.com/36zywv86
    4. हिंदू वादी संगठन बजरंगदल का गरीब मुस्लमानों पर कहर,
    https://tinyurl.com/bddcbzdn

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইসরাইলি স্নাইপারের গুলিতে ফিলিস্তিনি কিশোরী নিহত



      ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ফের এক কিশোরীকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। গত ১১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে শহরে সামরিক অভিযানকালে ইসরাইলি স্নাইপাররা ১৬ বছরের ওই কিশরীকে গুলি করে হত্যা করে। কিশোরীর নাম জানা মাজদি জাকারনেহ।

      স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গুলিতে হত্যার শিকার হওয়ার সময় জাকারনেহ তার নিজ বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শিশুটির মাথায় গুলি করা হয়েছে। অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত আরও দুই ফিলিস্তিনি মুসলিম আহত হয়েছে।

      স্থানীয় সময় ১১ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে জেনিন শহর এবং সেখানকার শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালায় সন্ত্রাসী ইসরাইলের বিশেষ বাহিনী। এ সময় সেখানে ধরপাকড় চালায় তারা। এক পর্যায়ে তারা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় দুই ভাইসহ তিন যুবককে অপহরণ করে ইসরাইলি বাহিনী।

      এ বছর প্রতিদিনই কোন না কোন ফিলিস্তিনিকে খুন করছে সন্ত্রাসী ইসরাইল। এরপরও কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বা আরব বিশ্ব কেউই কোন প্রতিবাদ করছে না। ফলে সন্ত্রাসী ইসরাইল দিন দিন আরও বেপরোয়াভাবে আগ্রাসন চালাচ্ছে। ২০২২ সালে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকায় ২২৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। তাদের মধ্যে ৫০ এরও বেশি শিশু। এছাড়াও এ বছর গ্রেফতার করা হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার ফিলিস্তিনিকে। যাদের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য নারী ও শিশুও।

      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. Palestinian child shot dead by Israeli sniper in Jenin
      https://tinyurl.com/rnxyhept

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কাবুলে হোটেলে হামলার ঘটনা ৩ হামলাকারীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সমাপ্ত


        গতকাল ১২ ডিসেম্বর ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের শাহরি নাউ এলাকার একটি হোটেল সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়। হোটেলটিতে মূলত চীনা নাগরিকদের যাতায়াত বেশি ছিল।

        ধারণা করা হচ্ছিল, খারেজি গোষ্ঠী আইএস সদস্যরা এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারেন; তবে সেটি এখনো নিরপেক্ষ সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

        তবে হামলার পরপরই অতি দ্রুত ঘটনাস্থল মুক্ত করতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন ইমারতে ইসলামিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর যানবাজ মুজাহিদগণ। এরপর সফলভাবে ৩ হামলাকারীকে হত্যার মাধ্যমে তাদের অভিযান সমাপ্ত হয় আলহামদুলিল্লাহ্‌।

        ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (হাফি.) ঘোষণা করেছেন, কাবুলের শাহরি নাউ এলাকার একটি হোটেলে হামলার ঘটনাটি ৩ হামলাকারীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।

        হোটেলের সকল অতিথিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং কোনো বিদেশী নিহত হয়নি। তবে উপরের তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে ২ বিদেশি অতিথি আহত হয়েছেন।

        হোটেলে উদ্ধার অভিযানের এই সফলতাকে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের নিরাপত্তা সক্ষমতার জলজ্যান্ত প্রমাণ বলে অভিহিত করেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এই ঘটনা প্রমাণ করেছে যে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী দেশের অভ্যন্তরে স্থানীয় ও বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধান করতে সক্ষম এবং যথেষ্ট দক্ষ।



        তথ্যসূত্র :
        ———
        1. Operation against attack on hotel in Kabul ended with elimination of all attackers; Mujahif
        https://tinyurl.com/ynyehekc

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X