Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৯ জামাদিউল উলা, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৯ জামাদিউল উলা, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী

    অপরাধীদের মুক্তির প্রতিবাদে বিলকিস বানুর আবেদন: হিন্দুত্ববাদীদের টালবাহানা



    ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় বিলকিস বানুকে গণধর্ষণ এবং তার পরিবারের একাধিক সদস্যকে খুন করে উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা। সেই ১১ জনের মুক্তির বিরুদ্ধে বিলকিস বানো ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন দায়ের করেন।

    বিলকিস বানু বলেছেন যে, এসমস্ত দোষীর মুক্তি কেবল আবেদনকারীর জন্যই নয়, আমার প্রাপ্তবয়স্ক কন্যাদের জন্য ও আমার পরিবারের জন্য হুমকি স্বরুপ। প্রমাণ থাকার পরেও হিন্দুত্ববাদীদের এমন একপেশে রায়ে সকলকেই হতবাক হয়েছেন।

    এমন অন্যায় রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে বিলকিস বানুর পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট শোভা গুপ্তার মাধ্যমে দায়ের করা পিটিশনে বলেছিলেন, “সমস্ত দোষীর মুক্তি শুধুমাত্র আবেদনকারীর জন্যই নয়, তার প্রাপ্তবয়স্ক কন্যাদের জন্য, তার পরিবারের জন্যই, সমাজের জন্যও ঝুপিপূর্ণ।

    বিলকিস বানু বলেছিলেন যে তিনি অত্যন্ত লজ্জিত, বিচলিত। তার ১১ জন ধর্ষকের আকস্মিক মুক্তি এবং সমাজে তাদের উপস্থিতি নিয়ে তিনি হতাশাগ্রস্ত। কারণ তারা এতটাই পাষাণ যারা তাকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ করেছিল যখন তিনি পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। এবং তার আত্মীয় স্বজনদের খুন করেছে, যার মধ্যে এক ছোট মেয়েকে ইট দিয়ে মাথা থেতলে হত্যা করেছিল এই পাষণ্ডরা।

    তাই বিলকিস বানু অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দায়ের করেছেন। বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বেলা এম ত্রিবেদীর একটি বেঞ্চে ১৩ ডিসেম্বর আবেদনটি পেশ করা হয়।

    সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় গণধর্ষণ এবং তার আত্মীয়দের হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত ১১ জনের অকাল মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে বিলকিস বানোর আবেদনের শুনানি করবে বলে জানিয়ে দেয়। মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি ত্রিবেদী আবেদনের শুনানি থেকে সরে দাঁড়ায়। বিচারপতি ত্রিবেদী তার সিদ্ধান্তের কোনো কারণ জানায়নি।

    বিলকিস বানো, রিট পিটিশনের পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের ১৩ মে এর আদেশের পুনর্বিবেচনার জন্য একটি আবেদন দাখিল করেছিলেন যার মাধ্যমে এটি গুজরাট সরকারকে ১১ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের মওকুফের আবেদন বিবেচনা করতে বলেছিল।

    কিন্তু ভিকটিম মুসলিম হওয়ায় মূলত কোন পদক্ষেপ না নিয়ে বিচারপতি ত্রিবেদী আবেদনের শুনানি থেকে সরে দাঁড়ায়। বিশ্লেষকগণ হিন্দুত্ববাদী আদালত ও বিচারকের এমন সিদ্ধান্তকে বিচারের নামে প্রহসন ও টালবাহানা হিসেবে আখা দিয়েছেন।

    হিন্দুত্ববাদী আদালত কখনো মুসলিমদের পক্ষে কথা বলেনি। বিলকিস বানো দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও ন্যায় বিচার পাননি। উল্টো তাকে করা হয়েছে হয়রানি। গোমূত্র পানকারী হিন্দুত্ববাদীদের থেকে এর অধিক কিছু আশা করাটাই অনুচিত, কারণ এখন তারা মুসলিমদের গণহত্যা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. SC to hear Bilkis Bano’s plea against rapists’ release on Tuesday
    https://tinyurl.com/rkm27wxa
    2. SC to consider early listing of Bilkis Bano’s review plea over remission of 11 convicts
    https://tinyurl.com/bdb3r6j
    3.Supreme Court Justice Bela Trivedi Recuses From Hearing Bilkis Bano’s Plea
    https://bit.ly/3VXAhZI
    https://bit.ly/3UX6aAg

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মসজিদের দেয়াল ও গম্বুজের সাথে সাদৃশ থাকায় রেলওয়ে স্টেশনের রং পরিবর্তন


    কালাবুরাগী রেলওয়ে স্টেশন


    মুসলিমদের মসজিদের সবুজ দেয়াল ও গম্বুজের সাথে রেলস্টেশনের সাদৃশ্য থাকায় আন্দোলনে নামে উগ্র হিন্দু সংগঠন হিন্দু জাগরণ বেদিক।
    উগ্র সংগঠন হিন্দু জাগরণ বেদিকের চাপের পর গত ১৩ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার কালাবুর্গী রেলওয়ে স্টেশন, যা পূর্বে গুলবার্গা রেলওয়ে স্টেশন নামে পরিচিত ছিল, সেটিকে সবুজ থেকে সাদা রং করা হয়।

    তাদের মতে, সবুজ দেয়ালসহ গম্বুজ আকৃতির রেলওয়ে স্টেশনটি একটি ‘মসজিদের’ ছাপ বহন করে। তারা হুমকি দেয় যদি ১৫ দিনের মধ্যে সবুজ রং অপসারণ করা না হয়, তাহলে পুরো রেলস্টেশনটি জাফরান রঙে রাঙানো হবে। হুমকির পরপরই স্টেশনের দেয়াল সাদা রং করা হয়।

    উগ্র হিন্দু কর্মী লক্ষ্মীকান্ত সাধ্বী বলেছে, রেলওয়ে স্টেশন বিল্ডিং “সবুজ ছাড়া অন্য কোনও রঙে আঁকা উচিত। কন্নড় পতাকার হলুদ এবং লাল রংও ব্যবহার করা যেতে পারে। তা না হলে রেল ভবন জাফরান রঙে রাঙানো হবে।

    এর আগে গত ১৪ নভেম্বর, কর্ণাটক মাইসুরুর বাস স্টপ গম্বুজের মতো কাঠামো হওয়ায় পরিবর্তন করেছে৷ উগ্র বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা বলেছে, “যদি দুপাশে দুটি ছোট গম্বুজ সহ একটি বড় গম্বুজ কাঠামো থাকে তবে এটি একটি মসজিদ হিসাবে বিবেচিত হয়।”

    বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা হুমকি দিয়ে বলেছিল যে, যদি সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা তিন থেকে চার দিনে পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সে নিজেই একটি বুলডোজার নিয়ে আসবে এবং মসজিদের মতো দেখতে বাস শেল্টারটি ধ্বংস করবে।

    হিন্দুত্ববাদীদের মাঝে ইসলামবিদ্বেষ এতটাই জঘন্য পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তারা এখন আর ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে কোন না কোনভাবে সম্পৃক্ত বিষয়গুলোকেও সহ্য করতে পারছে না। তারা মুসলিমদের ইতিহাস, অবদান ও চিহ্ন মুছে দিয়ে চায় গোটা ভারত থেকে মুসলিমদের নির্মূল করতে চায়। সেই লক্ষেই তারা কাজ করে যাচ্ছে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Karnataka: Green railway station repainted after Hindutva protests ( Siasat )
    https://tinyurl.com/4k3tf643
    2. রং পরিবর্তনের ভিডিও
    https://tinyurl.com/yr8r6r3s

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X