Announcement

Collapse
No announcement yet.

“ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানাবো, মুসলিমদের কোন অধিকার থাকবে না”- উগ্র হিন্দুত্ববাদী তোগাড়িয়া

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • “ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানাবো, মুসলিমদের কোন অধিকার থাকবে না”- উগ্র হিন্দুত্ববাদী তোগাড়িয়া

    “ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানাবো, মুসলিমদের কোন অধিকার থাকবে না”- উগ্র হিন্দুত্ববাদী তোগাড়িয়া

    ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণার দাবি তুলেছে আরএসএস এর অঙ্গসংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক বিভাগের সাবেক সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া। গত ১০ ডিসেম্বর, আসামের করিমগঞ্জে সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উগ্র প্রবীণ নেতা তোগাড়িয়া।

    পরে সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞাসা করে, “আপনারা ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র করার জন্য কি কি পরিকল্পনা করেছেন বা হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণার জন্য সরকারকে কোন ধরনের চাপ দিবেন কিনা?”
    সে জবাব দেয়, “আমরা সরকারকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর জন্য এখনই চাপ দিবোনা দু চার বছর পর থেকে সরকারকে চাপ দিব।”

    “আমরা প্রথমে দুইটি কাজ করব। এক নাম্বার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা অর্থাৎ মুসলমানদের সংখ্যা কমিয়ে হিন্দুদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।”
    সে হিন্দুদেরকে ক্ষেপিয়ে দিতে বলেছে,‘ভারতে মুসলমানরা নিরাপদে রয়েছেন, কিন্তু হিন্দুরা নিরাপদে নেই’।

    ভারতের মুসলিমরা প্রতিনিয়ত হিন্দুত্ববাদীদের নির্যাতনে নিপীড়িত হচ্ছে, তা সত্ত্বেও কিভাবে ভালো আছে- সেকথা সে তুলে ধরেনি। মুসলিমদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন হওয়ার পরেও তারা প্রচার করছে মুসলিমরা ভাল আছে। তাদের কথায় এটাই বুঝা যায় মুসলিমরা নির্মূল হওয়া পর্যন্ত ‘মুসলিমরা ভালো আছে’- এই মিথ্যাচার তারা চালিয়েই যাবে।

    অথচ ভারতের প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী আর সংসদ সদস্যদের প্রায় সকলেই হিন্দু; আইন-আদালত প্রশাসন এসপি ডিএসপি সবপদেই বসে আছে হিন্দুরা। তারপরও হিন্দুরা ভালো নেই কোন যুক্তিতে আর মুসলিম ভালো আছেন কোন যুক্তিতে- এটা কোন সচেতন মানুষের বোধগম্য হওয়ার কথা নয়।

    মুসলিম জনসংখ্যা কমাতে সে আরো বলেছে, “আসামে বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। তাদের আসাম থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে।” আর সে সকল হিন্দুরা ক্যাম্পে আছে, তাদের বের করে নাগরিকত্ব দিতে হবে।

    দুই নাম্বার কাজ হবে, সাংবিধানিকভাবে মুসলমানদেরকে সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। তারা প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোটকথা কোন ধরণের পদেই তারা থাকতে পারবে না।

    উল্লেখ্য, উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার আগেই ভারতে মুসলমানদের জান-মাল ইজ্জত-আবরুর কোন ব্যবস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, সংসদ সদস্য কোন ক্ষেত্রেই মুসলমানদের ন্যূনতম প্রভাবও নেই। তারপরেও মুসলমানদের প্রতি তাদের জিঘাংসার শেষ নেই। তাহলে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার পর মুসলমানদের কি অবস্থা হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

    তোগাড়িয়া আরো জানিয়েছে, “বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ; পাকিস্তানের লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডি এবং আফগানিস্তানের কাবুল ও কান্দাহার অখণ্ড ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একদিন পাকিস্তান ও বাংলাদেশেও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের গেরুয়া পতাকা উড়বে।”

    বাংলাদেশ পাকিস্তান আফগানিস্তানের মত স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি ঘোষণা দিয়েছে, সেগুলোতেও তারাও গেরুয়া পতাকা উড়াবে।
    কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে উল্লেখ করে বিজেপির এক উগ্র নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামীও বলেছিল হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ দখল করে নিবে।

    এদিকে, গত ১০ ডিসেম্বর উগ্র হিন্দু নেতা ভাগবত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম সফর করেছে। সেখানে করিমগঞ্জের হাজংবাড়িতে এক সমাবেশে ভাষণ দেয় ভাগবত। সে বলেছে ভারতের প্রায় ৬ লাখের বেশি গ্রাম রয়েছে এর অধিকাংশ গুলোতেই এখনো আরএসএসের শাখা নেই। ভারতের প্রতিটি গ্রামে শাখা খোলার প্রয়োজন। প্রতিটি গ্রামে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের শাখা খোলার মাধ্যমে সমগ্র ভারতে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।

    এর আগে গত ৫ অক্টোবর বুধবার নাগপুরে দশেরার সমাবেশে আরএসএস প্রধান বলেছে, “হিন্দু রাষ্ট্র” ধারণাটি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে। কারণ হিসেবে সে বলেছে, সংঘ এখন হিন্দুদের স্নেহ এবং আস্থা পাচ্ছে এবং শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তাই হিন্দু রাষ্ট্রের ধারণাটি আগেও চেয়েও গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে।

    গত ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার কলকাতায় গিয়েও রাজ্যের আরএসএস নেতৃত্বকে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করার দায়িত্ব দিয়েছিল উগ্রবাদী এই সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত। সে বলেছে, ভারতকে গোটা বিশ্বের কাছের আদর্শ হিসাবে গড়ে তুলতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে দায়িত্ব নিতে হবে। সেভাবেই স্বয়ংসেবকদের তৈরি করতে হবে।

    ভারতে হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনকে জোরদার করতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য সফর করছে। অনুষ্ঠানে গিয়ে হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনকে বেগবান করার পাশাপাশি কর্মীদের দক্ষ, প্রশিক্ষিত করার আহ্বান জানাচ্ছে। অন্যান্য নেতাকর্মীরাও চালিয়ে যাচ্ছে অবিরাম প্রচেষ্টা।

    তাদের ভাষণ বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। তরুণ তরুণীদের গড়ে তোলা হচ্ছে মুসলিম গণহত্যার সৈনিক হিসেবে।

    ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর জন্য বহু নেতাকর্মী প্রকাশ্যে ভাষণ বক্তৃতা করে যাচ্ছে। এমনকি উগ্র হিন্দু জনতা থেকে হাত উপরে তুলে প্রতিশ্রুতি নিচ্ছে। উগ্র নেতারা ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানাতে প্রয়োজনে নিজেদের জান-মাল বিলিয়ে দিতে, মুসলিমদেরকে বয়কট করতে নির্দেশ দিয়েছে।

    তাদের শপথের ভাষা এমন –
    “আমরা সবাই শপথ নিচ্ছি, কথা দিচ্ছি ও সংকল্প করছি যে,- আমাদের জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর জন্য, বানিয়ে রাখার জন্য এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য লড়াই করবো। আমরা মরব, প্রয়োজন পড়লে মারব। যেকোনো ত্যাগ শিকার করার জন্য যে কোন মূল্য চুকাতে আমরা সামান্য এতটুকুও পিছপা হব না।
    আমাদের এই সঙ্কল্প পূর্ণ করার জন্য আমাদের গুরুদেব, আমাদের গুরু দেবতা, আমাদের গ্রাম দেবতা, আমাদের ভারত মাতা, আমাদের পূর্বপুরুষেরা আমাদেরকে শক্তি দিক, শক্তি দিক, জয় দিক, বিজয় দিক, বিজয় দিক, বিজয় দিক, বিজয় দিক, বিজয় দিক।
    ভারত মাতার জয়…

    গত ১১ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার হিন্দি পত্রিকা ‘জনসত্তা’ সূত্রে জানা গেছে, সুরেন্দ্র সিংয়ের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সে বলেছিল, ‘ভারতকে শিগগিরি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে এবং দেশের মুসলিমদের হিন্দু বানানো হবে।’

    সুরেন্দ্র সিং বলেছে, ভারত যেকোনো উপায়ে হিন্দু রাষ্ট্র হবে এবং মুসলিমদের হিন্দু করা হবে। এছাড়া সে ভারত মাতা কী জয় এর মত কুফরী স্লোগান যারা না দেয় তাদেরকে ‘শয়তান’ এবং ‘রাবণ’-এর সঙ্গে তুলনা করেছে।

    শুধু তাই নয় মুসলিমদের নীরবতা আর দূর্বলতার সুযোগে তারা এতটাই আত্মঘাতী হয়ে উঠেছে যে, এখন মুসলিমদের সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ‘হিন্দু রাষ্ট্রের’ নতুন ‘সংবিধান’ পর্যন্ত তৈরী কর ফেলেছে তারা।

    হিন্দুত্ববাদী উগ্র সাধুদের একাংশ ভারতের নতুন সংবিধান-এর একটি খসড়া তৈরি করছে। বিষয়টির সাথে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে মাঘ মেলায় অনুষ্ঠেয় ‘ধর্ম সংসদ’-এ খসড়াটি উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মাঘ মেলার ধর্ম সংসদে নিজস্ব ‘সংবিধান’ তৈরি করে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করার প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। সেই মতো খসড়া তৈরির কাজ চলছে বলে জানা গেছে।

    সংবিধানটি হবে মোট ৭৫০ পৃষ্ঠার। বারাণসী-ভিত্তিক শঙ্করাচার্য পরিষদের হিন্দুত্ববাদী সভাপতি স্বামী আনন্দ স্বরূপ জানায়, শাম্ভবী পীঠধীশ্বরের পৃষ্ঠপোষকতায় দার্শনিক ও পণ্ডিতের ৩০ জনের একটি দল এই ‘সংবিধান’-এর খসড়া তৈরি করছে। সংবিধানটি হবে ৭৫০ পৃষ্ঠার। এটি নিয়ে ধর্মীয় গুরু ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা ও বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। এর ভিত্তিতে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা মাঘ মেলায় অর্ধেক সংবিধান (প্রায় ৩০০ পৃষ্ঠা) প্রকাশিত হবে।

    হিন্দুত্ববাদী আনন্দ স্বরূপ জানায়, এই হিন্দু রাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী দিল্লির পরিবর্তে বারাণসীই হবে ভারতের রাজধানী। এছাড়া কাশীতে একটি ‘ধর্ম সংসদ’ গড়ে তোলার প্রস্তাব রয়েছে। হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণ সমিতির প্রধান কমলেশ্বর উপাধ্যায়, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী বিএন রেড্ডি, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আনন্দ বর্ধন, সনাতন ধর্মের পণ্ডিত চন্দ্রমণি মিশ্র এবং বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশনের সভাপতি অজয় সিংয়ের মতো উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এই সংবিধান রচনার দায়িত্বে রয়েছে।

    স্বরূপ আরো জানায়, সংবিধানের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘অখণ্ড ভারতের’ মানচিত্র থাকবে। তাতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারের মতো ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন দেশগুলোকে ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হবে। হিন্দু রাষ্ট্রের সংবিধানের খসড়া অনুসারে, অহিন্দুরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর উদ্দেশ্য একটাই। যেকোন উপায়ে মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানো। এর ঘোষণা তারা প্রকাশ্যভাবেই দিয়ে যাচ্ছে। মুসলিমদেরকেও তাই পরিস্থিতির নাজুকতা অনুধাবনপূর্বক সতর্ক প্রস্তুতি নেওয়াটা এখন সময়ের দাবি।

    লিখেছেন : উসামা মাহমুদ



    তথ্যসূত্র:
    1. Each Indian village should have RSS branch: Mohan Bhagwat ( Tribune India )
    https://tinyurl.com/mthsd6e2
    2. ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি
    https://tinyurl.com/52tr5smz
    3. তোগাড়িয়ার ভিডিও সাক্ষাৎকার
    https://tinyurl.com/bdzauyev
    4. Hindu Rashtra concept being taken seriously, there is no risk to minorities: RSS chief Mohan Bhagwat ( Muslim Mirror )
    https://tinyurl.com/5n8ufczp
    5. Hindu Rashtra concept being taken seriously, there is no risk to minorities: RSS chief Mohan Bhagwat
    https://tinyurl.com/3wkes3fu
    6. TimesofIndia : Won’t let minorities vote: ‘Hindu Rashtra statute draft’
    https://tinyurl.com/2t75dnax
    7. Suresh Chavhanke Administers Oath to Make India ‘Hindu Rashtra’, BJP MLA Present
    https://tinyurl.com/4kz8b269
    8. CM Yogi Adityanath’s group took pledge to convert India into a Hindu Rashtra.
    https://tinyurl.com/23sk522e
    9. ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হবে, মুসলিমদের হিন্দু বানানো হবে: বিজেপি বিধায়ক
    https://tinyurl.com/2s47dmkz
    10. হিন্দু রাষ্ট্র হবে ভারত, রাজ্যের স্বয়ংসেবকদের প্রস্তুত হতে বলল ভাগবত
    https://tinyurl.com/5n6n424h
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    তাদের পূর্ণ শক্তি ধূলিসাৎ হবার আগ পর্যন্ত আমাদের প্লান করে যেতে হবে এবং সে অনুযায়ী তাদের শক্তি গুলো খর্ব করে যেতে হবে।
    فَإِذا لَقيتُمُ الَّذينَ كَفَروا فَضَربَ الرِّقابِ حَتّىٰ إِذا أَثخَنتُموهُم فَشُدُّوا الوَثاقَ فَإِمّا مَنًّا بَعدُ وَإِمّا فِداءً حَتّىٰ تَضَعَ الحَربُ أَوزارَها ۚ ذٰلِكَ وَلَو يَشاءُ اللَّهُ لَانتَصَرَ مِنهُم وَلٰكِن لِيَبلُوَا۟ بَعضَكُم بِبَعضٍ ۗ وَالَّذينَ قُتِلوا فى سَبيلِ اللَّهِ فَلَن يُضِلَّ أَعمٰلَهُم

    [4] অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাËেদরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X