স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণঃ ক্রমবর্ধিষ্ণু অপরাধ প্রবণতার সমাধান কি?
দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। হত্যা, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর খুনের মতো বর্বরোচিত ঘটনাগুলো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশে।এবার খুলনা নগরীতে ঘটেছে এক লোমহর্ষক ঘটনা। পুলিশ পরিচয় দিয়ে একদল যুবক স্বামী-স্ত্রিকে তুলে নিয়ে যায় একটি বাসায়। সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে যুবকরা।
গতকাল ১৪ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে নগরীর আড়ংঘাটা থানার বাইপাস সড়কের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী স্বামী-স্ত্রী আড়ংঘাটা বাজার এলাকায় ঘুরতে বের হয়। সেখানে চার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। পরে দুজনের দেহ তল্লাশি করা হয়।
তাদের কাছে কিছু না পেয়ে নিকটবর্তী একটি বাড়িতে নিয়ে যায় ওই চারজন। সেখানে প্রথমে ওই ব্যক্তিরা স্বামীকে বেঁধে ফেলে এবং তার স্ত্রীকে বাড়ির ছাদে নিয়ে পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতন করে।ভুক্তভোগীর স্বামী জানায়, ধর্ষণের সময় তারা ভিডিও ধারণ করে রাখে। ঘটনাটি কাউকে জানানো হলে ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেবে বলে হুমকি দেয় যুবকরা। এরপর রাত ১২টার দিকে ছাড়া পান ওই স্বামী-স্ত্রী। ভুক্তভোগী ওই নারী বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভারতীয় অপরাধপ্রবণ টিভি সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোল ও সিআইডির প্রভাবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের মানুষ যে অপরাধের কথা কল্পনায় করতে পারতো না, এ ধরনের অপরাধ এখন অহরহ ও মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের উঠতি বয়সের যুবক-যুবতিরা আজ এই সিরিয়াল দেখে আয়ত্ত করছে অপরাধের নিত্য নতুন কৌশল। আর এর ফলেই দেশেজুড়ে আজ এমন ঘটনা ঘটছে। এবং অপরাধীদের বেশ কয়েকজন ভারতীয় সিরিয়ালের কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দীও দিয়েছে।আর শিশুদেরকে এমনকি ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে একেক টুকরো একেক জায়গায় পুঁতে রাখার ঘটনাও এখন নিয়মিত বিরতিতে ঘটে চলেছে।
বাবা-মা আদরের সন্তানের পুরো শরীর না পেয়ে আলাদা আলাদা কয়েকটি অঙ্গ-প্রত্তঙ্গ দাফন করছেন – এই দৃশ্যও এখন দেখতে হচ্ছে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের শিকার এদেশের মুসলিমদেরকে।এছাড়াও সমাজে ব্যাপকহারে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়েছে। অপরাধীরা অপরাধ করার পরও তাদের শাস্তি হচ্ছে না। সর্বোপরি ইসলামি শরিয়াহ শাসন ব্যবস্থা না থাকায় দেশে কোন নিরাপত্তা নেই মানুষের। মানবরচিত আইনের অধিনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতান্ত্রিক এলিট শাসকশ্রেণীর হুকুম তামিলেই ব্যস্ত সময় পার করছে। এজন্য প্রয়োজনে তারা অপরাধিকে বানাচ্ছে নিরপরাধ, আর নিরপরাধকে সাব্বস্ত করছে অপরাধি।অন্যদিকে, সম্প্রতি আফগানিস্তানে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক শাস্তি অপরাধীদের উপর প্রকাশ্যে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
ফলে সেখানে এ ধরনের অপরাধ এখন শুন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এভাবে ইসলামী শরীয়াহ্র ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে আফগান তালিবানরা ৪০ বছরের যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশকে এক বছরের মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও রিরাপত্তার একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন আলহামদুলিল্লাহ্। যদি এভাবে গোটা পৃথিবীতে ইসলামি অনুশাসন প্রয়োগ করা হতো তাহলে অপরাধীরা এ ধরণের অপরাধ করার চিন্তাও করতো না।গোটা মুসলিম উম্মাহ তাই এখন আফগান মুসলিমদের আদলে ইসলামী শরিয়াহ ফিরিয়ে আনার আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে বলে মনে করা হয়।
দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। হত্যা, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর খুনের মতো বর্বরোচিত ঘটনাগুলো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশে।এবার খুলনা নগরীতে ঘটেছে এক লোমহর্ষক ঘটনা। পুলিশ পরিচয় দিয়ে একদল যুবক স্বামী-স্ত্রিকে তুলে নিয়ে যায় একটি বাসায়। সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে যুবকরা।
গতকাল ১৪ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে নগরীর আড়ংঘাটা থানার বাইপাস সড়কের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী স্বামী-স্ত্রী আড়ংঘাটা বাজার এলাকায় ঘুরতে বের হয়। সেখানে চার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। পরে দুজনের দেহ তল্লাশি করা হয়।
তাদের কাছে কিছু না পেয়ে নিকটবর্তী একটি বাড়িতে নিয়ে যায় ওই চারজন। সেখানে প্রথমে ওই ব্যক্তিরা স্বামীকে বেঁধে ফেলে এবং তার স্ত্রীকে বাড়ির ছাদে নিয়ে পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতন করে।ভুক্তভোগীর স্বামী জানায়, ধর্ষণের সময় তারা ভিডিও ধারণ করে রাখে। ঘটনাটি কাউকে জানানো হলে ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেবে বলে হুমকি দেয় যুবকরা। এরপর রাত ১২টার দিকে ছাড়া পান ওই স্বামী-স্ত্রী। ভুক্তভোগী ওই নারী বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভারতীয় অপরাধপ্রবণ টিভি সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোল ও সিআইডির প্রভাবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের মানুষ যে অপরাধের কথা কল্পনায় করতে পারতো না, এ ধরনের অপরাধ এখন অহরহ ও মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের উঠতি বয়সের যুবক-যুবতিরা আজ এই সিরিয়াল দেখে আয়ত্ত করছে অপরাধের নিত্য নতুন কৌশল। আর এর ফলেই দেশেজুড়ে আজ এমন ঘটনা ঘটছে। এবং অপরাধীদের বেশ কয়েকজন ভারতীয় সিরিয়ালের কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দীও দিয়েছে।আর শিশুদেরকে এমনকি ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে একেক টুকরো একেক জায়গায় পুঁতে রাখার ঘটনাও এখন নিয়মিত বিরতিতে ঘটে চলেছে।
বাবা-মা আদরের সন্তানের পুরো শরীর না পেয়ে আলাদা আলাদা কয়েকটি অঙ্গ-প্রত্তঙ্গ দাফন করছেন – এই দৃশ্যও এখন দেখতে হচ্ছে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের শিকার এদেশের মুসলিমদেরকে।এছাড়াও সমাজে ব্যাপকহারে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়েছে। অপরাধীরা অপরাধ করার পরও তাদের শাস্তি হচ্ছে না। সর্বোপরি ইসলামি শরিয়াহ শাসন ব্যবস্থা না থাকায় দেশে কোন নিরাপত্তা নেই মানুষের। মানবরচিত আইনের অধিনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতান্ত্রিক এলিট শাসকশ্রেণীর হুকুম তামিলেই ব্যস্ত সময় পার করছে। এজন্য প্রয়োজনে তারা অপরাধিকে বানাচ্ছে নিরপরাধ, আর নিরপরাধকে সাব্বস্ত করছে অপরাধি।অন্যদিকে, সম্প্রতি আফগানিস্তানে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক শাস্তি অপরাধীদের উপর প্রকাশ্যে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
ফলে সেখানে এ ধরনের অপরাধ এখন শুন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এভাবে ইসলামী শরীয়াহ্র ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে আফগান তালিবানরা ৪০ বছরের যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশকে এক বছরের মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও রিরাপত্তার একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন আলহামদুলিল্লাহ্। যদি এভাবে গোটা পৃথিবীতে ইসলামি অনুশাসন প্রয়োগ করা হতো তাহলে অপরাধীরা এ ধরণের অপরাধ করার চিন্তাও করতো না।গোটা মুসলিম উম্মাহ তাই এখন আফগান মুসলিমদের আদলে ইসলামী শরিয়াহ ফিরিয়ে আনার আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে বলে মনে করা হয়।
লেখক:
মুহাম্মাদ ইব্রাহীম
মুহাম্মাদ ইব্রাহীম
তথ্যসূত্র:
১. পুলিশ পরিচয়ে দেহ তল্লাশির পর স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ
– https://tinyurl.com/2p96zupn
১. পুলিশ পরিচয়ে দেহ তল্লাশির পর স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ
– https://tinyurl.com/2p96zupn