Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৬ জামাদিউল উলা, ১৪৪৪ হিজরী।। ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৬ জামাদিউল উলা, ১৪৪৪ হিজরী।। ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী

    আসামে বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান, বসতি হারাবে ১০০০ পরিবার



    আসামের হিন্দুত্ববাদী সরকার গত ১৯ ডিসেম্বর বাটাদ্রবা থান এলাকার আশেপাশে প্রায় ১০০০ বিঘা জমি থেকে বসতিবাড়ী উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী দলের প্রধান ইস্যু ছিল মুসলিমদের সরিয়ে জমি পরিষ্কার করা।


    এটি আসামের সবচেয়ে বড় উচ্ছেদ অভিযান যা কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার পিটিআই সংবাদ সংস্থাকে বলেছে, উচ্ছেদ অভিযানে ৬০০ এর বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


    এমনিভাবে, গত ০৩ সেপ্টেম্বর শোনিতপুর জেলার বড়সলা বিধানসভা এলাকার চিতলমারী গ্রামের অন্তত ৩০০টি বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর তীরে, বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক হিন্দুত্ববাদী গণেশ কুমার লিম্বুর প্রতিনিধিত্বে চিতলমারি মুসলিম এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। পুলিশ দিয়ে গ্রামবাসীকে ঘিরে রেখে প্রায় ৫০টি এক্সকেভেটর দিয়ে মুসলিমদের বাড়িঘর এবং অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়।


    সেই ভিটেমাটি-হারানো মুসলিমদের দাবি, তাদের কাছে সব ধরনের সরকারি নথি ও পরিচয়পত্র থাকার পরেও কেবল মুসলিম হওয়ার কারণেই তাদেরকে জোর করে উচ্ছেদ করেছে হিন্দুত্ববাদী সরকার। কিছুদিন পরপরই হিন্দুত্ববাদী আসাম সরকার মুসলিম বাসিন্দাদের আবাস স্থলে বিভিন্ন অযুহাতে উচ্ছেদ অভিযান চালায়।



    এর আগে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এরকম উচ্ছেদ অভিযানে সাধারণ জনতা পুলিশকে বাঁধা দিলে, পুলিশের গুলিতে একজন নাবালক সহ দুই মুসলিম মারা যান; আহত হন ২০ জনেরও বেশি। ধলপুর গ্রামে একটি প্রাচীন শিবমন্দিরকে অনেক বড় আকারে গড়ে তোলার জন্য আসাম সরকার সেখানে এই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল।



    হিন্দুত্ববাদীদের স্বপ্ন হচ্ছে ভারতে মুসলিমমুক্ত করে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। আর সেই লক্ষ্যেই তারা মুসলিম নির্মূলের বিভিন্ন পন্থা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।


    তথ্যসূত্র:

    ১। Largest eviction drive began in 4 Assam villages, 1000 families ‘to be cleared’ – https://bit.ly/3PNKYfq

    ২। Assam: Massive eviction drive underway in Sonitpur, Bengali Muslims at the receiving end (Maktoob Media) – https://tinyurl.com/yatk3jxw

    ৩। VIDEO LINK – https://tinyurl.com/yatk3jxw

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    চাঁপাই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি খুন, আহত এক


    চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। ফাইল ছবি।


    ভারতের সন্ত্রাসী বিএসএফ আবারও গুলি করে এক বাংলাদেশিকে খুন করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন। গত ১৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জহুরপুর সীমান্তে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর লালমনিরহাটের শাহাদাত হোসেন নামে এক বাংলাদেশিকে খুন করে সন্ত্রাসী বিএসএফ। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আবারও খুনের এ ঘটনা ঘটলো।

    জানা গেছে, নিহত বাংলাদেশির নাম শামীম রেজা। তার লাশ এখনো ভারতেই রয়েছে। রোববার সন্ধ্যার পর কয়েকজনের একটি দলের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হন শামীম। তারা ভারতে যায় গরু আনতে।

    বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের দুই কিলোমিটার ভেতরে বিএসএফ চাঁদনিচক ক্যাম্পের কাছে মরাগাঙ্গ নদী পার হওয়ার চেষ্টা করে তারা। এসময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। ফলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলই নিহত হন শামীম। এছাড়া হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন শরিফুল ইসলাম।

    ভারতের বিএসএফ অ্যাক্ট ১৯৬৮ অনুযায়ী, পাচারকারী, চোরাকারবারি— কাউকেই কোন আঘাত করার এখতিয়ারও নেই বিএসএফের। তারপরও শুধু বাংলাদেশীদের গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে। অথচ ভারতের অন্য সীমান্তগুলোর দৃশ্যপট ভিন্ন।

    ভারতের সঙ্গে বৈরী চীনেরও সীমানা রয়েছে। সেখানে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করলেও গুলি ছোঁড়া হয় না। গত দুই সপ্তাহ আগেও চীন-ভারতের সেনারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। কিন্তু কেউ কাউকে গুলি করেনি। অথচ বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের মন চাইলেই দখলদার ইসরাইলের মতো গুলি করে বাংলাদেশীদের খুন করছে।

    এর একটি কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের দালাল শাসকদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি। আর মূল কারণ হচ্ছে হিন্দুত্ববাদী ভারতের প্রবল ইসলামবিদ্বেষ। সীমান্তে এখন পর্যন্ত কোন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে বিএসএফের গুলিতে নিহত হতে দেখা যায়নি।

    ভারতের উদ্ধত ইসলামবিদ্বেষ আর দালাল শাসকশ্রেণীর নতজানু নীতির কারণেই গত জুলাই মাসে ভারতের বিএসএফ প্রধান বাংলাদেশের এসে বড় গলায় বলে গেছে যে, এ যাবতকালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যারা নিহত হয়েছেন, তারা সবাই অপরাধী।

    আর ভারতের দাস বাংলাদেশের বিজিবি প্রধান এসব শুনেও নীরবে সন্ত্রাসী ভারতকে সমর্থন দিয়ে গেছে। সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানিদের পক্ষে সামান্য প্রতিবাদ করার হিম্মত তাদের নেই। গাদ্দার শাসকরা এভাবেই মাজলুম বাংলাদেশি মুসলিমদের রক্ত বিক্রি করে আসছে ক্ষমতার নেশায়। তারা কখনোই দেশ, জাতি ও মুসলিমদের রক্ষায় কাজ করে না।

    তথ্যসূত্র:
    ১। সীমান্তে গুলিতে একজনের মৃত্যু, আহত ১ – https://tinyurl.com/yy6rzf4s

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ২০ দিন ধরে সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গা ট্রলার, উদ্বারের এগিয়ে আসছে না কেউই



      রোহিঙ্গাদের বহনকারী ট্রলার বিকল হয়ে সাগরে দিকবিদিক ঘুরাচ্ছিল। এদের মধ্যে দুটিকে উদ্বার করা হয়। এগুলোর মধ্যে একটি ট্রলার এখনো শতাধিক যাত্রী নিয়ে সাগরে ভাসমান রয়েছে। এটি গত ২০ দিন ধরে সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত উদ্বারে এগিয়ে আসেনি আন্তর্জাতিক বিশ্বের কেউই।

      ট্রলার তিনটির একটি গত ৮ ডিসেম্বর ভাগ্যক্রমে ভিয়েতনামের একটি গ্যাস ও তেল কোম্পানির জাহাজের নজরে আসায় উদ্বার হয়। তবে, ভিয়েতনাম সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দিয়ে সন্ত্রাসী মিয়ানমার জান্তার কাছে তুলে দেয়।

      অন্যদিকে দ্বিতীয় ট্রলারটি আন্দামান সাগর থেকে বাতাসে ভেসে ভারত মহাসাগরের শীলংকার উপকূলের কাছাকাছি আসে গত ১৮ ডিসেম্বর। আর সেখান থেকে ১০৪ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে উদ্ধার করেছে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর সদস্যরা। উদ্বারকৃতদের কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে শ্রীলংকান নৌবাহিনী। পুলিশ তাদের আদালতে তুলে তাদের ব্যাপারে করনীয় ঠিক করবে বলে জানা গেছে।

      অন্যদিকে বর্তমানে তৃতীয় ট্রলারটি ইন্দোনেশিয়ার মালাক্কা প্রণালীতে অবস্থান করছে বলে জানা গিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ট্রলারটিতে পানি ও খাবার ছাড়াই রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এবং ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছে। দ্রুত তাদের উদ্বারের জন্য বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মী আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু কোন দেশ বা সংস্থা এখন পর্যন্ত তাদের উদ্বারে এগিয়ে আসেনি। যে দু’টি ট্রলার উদ্বার হয় সেগুলোও ভাগ্যক্রমে নজরে আসায় উদ্বার হয়।

      এদিকে গত ২০ দিন ধরে রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে উদ্বারের আকুতি জানানোর পরও কথিত উন্নত ও সভ্য বিশ্বের কেউই এগিয়ে আসেনি। তারা মানবাধিকার ও নারী অধিকার নিয়ে আফগানিস্তানসহ মুসলিম দেশগুলোতে হস্তক্ষেপ করে আসলেও, রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের উদ্বারে নেই কোন তৎপরতা।

      অন্যদিকে বর্তমান বিশ্বের নামধারী মুসলিম দেশগুলোর কাছে অত্যাধুনিক সব নৌযান ও উড়োজাহাজ রয়েছে। তারা শুধু নিজেদের জাহির করতে অপ্রয়োজনে মিলিয়ন ডলার ব্যয় করলেও, মাজলুম মুসলিমদের বিপদের তাদের এক ডলারও কাজে লাগছেনা।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. Sri Lanka navy rescues over 100 Rohingya adrift in rough seas-
      https://tinyurl.com/yzvjrztp
      2. Southeast Asian MPs call on ASEAN member states and other countries in the region to rescue boat with up to 200 Rohingya refugees-
      https://tinyurl.com/bdevmbav
      3. রোহিঙ্গা উদ্বারের ভিডিও
      https://tinyurl.com/yckcjtna

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X