আমরা তুরস্ক বা সৌদির মেরুদণ্ডহীন ইসলাম চাইনা: নারীদের শিক্ষা বিষয়ে তালিবান
সম্প্রতি ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকার নারীদের শিক্ষার বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের শিক্ষা স্থগিত করা হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পরপরই আন্তর্জাতিক ইসলাম বিরোধী শক্তির সাথে তাল মিলিয়ে কিছু অবুঝ মুসলিমও এনিয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসনের সমালোচনায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছে।
কথিত এই সুশীলদের কখনো দেখা যায় নি যে, আমেরিকা ও তাদের পুতুল সরকার কর্তৃক আফগানিস্তানের শত-শত মাদ্রাসা মসজিদ ধ্বংস ও শিক্ষার্থীদের শহীদ করার বিষয়ে সমালোচনা করতে।
যাইহোক, বিরোধিদের বিরোধিতা ও নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা না করেই ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন তাদের অবস্থানে এখনো দৃঢ় ও অবিচল রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের শিক্ষা স্থগিত করার ৪টি কারণ জানিয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মৌলভি নিদা মুহাম্মাদ নাদিম (হাফি.) আন্তর্জাতিক মহল ও কথিত সুশীলদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে বলেন, “আফগানিস্তান কারও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না, আর আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারও হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়, বিশেষ করে যারা বিগত ২০ বছর ধরে আমাদের মা-বোন ও জনগণের অধিকার লঙ্ঘন করেছে। যখন আমাদের উপর বোমা ফেলা হয়েছিল এবং মাদার-বোমা আমাদের উপর ছোঁরা হয়েছিল, তখন সমালোচনাকারীরা কোথায় ছিল? আমাদের জনগণের প্রতি তাদের এই দরদ কোথায় ছিল?
“…কিন্তু আমরা এই কঠিন মুহুর্তেও আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, আমরা তাদেরকে ভুলে যাই নি। আমরা তাদের জীবন, সম্মান ও অধিকার রক্ষায় আত্মত্যাগ ও কুরবানি দিয়েছি। আমরা শরিয়াহ্ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের জীবন দিয়েছি, তাই আমরা এ বিষয়ে কারো সাথে আপস করবো না।”
গত ২২ ডিসেম্বর উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মৌলভি নাদিম রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরটিএ-এর অতিথি হয়ে এসব মন্তব্য করেন। এসময় তিনি নারীদের শিক্ষা নিয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের নতুন সিদ্ধান্তের কারণ সম্পর্কে বলেন-
“প্রায় ১৫ মাস ধরে আফগানিস্তানে একটি ইসলামি ইমারাত প্রশাসন রয়েছে। এসময় সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে অবশ্যই নিয়মাবলী সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে এবং মৌলিক নীতিগুলি তাদেরকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই নিয়ম পুরোপুরি মেনে চলে না। আর নিয়মগুলি মেনে চলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভূত হয়েছে।”
মৌলভি নেদিম বলেন যে, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রধান যে সমস্যাটি এখনো সমাধান করা হয় নি, তা হল সহশিক্ষা। এই সমস্যাটি এখনও অব্যাহত রয়েছে। আর ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে মিশ্র শিক্ষা একটি বড় সমস্যা।
“আরেকটি সমস্যা হল যে, কিছু মহিলা শিক্ষার্থী তাদের প্রদেশ থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং ছাত্রাবাসে একা থাকেন। এই সময়টাতে অনেকে মাহরাম ছাড়াই অন্য ব্যক্তির সাথে গোপনে ভ্রমণ করছে, যা সুস্পষ্ট হারাম। এবং এটি একটি বড় সমস্যা সৃষ্টি করছে।
“তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অনেক মহিলা শিক্ষার্থীদের পর্দার প্রতি যেমন মনোযোগী হওয়ার কথা ছিলো, তা হচ্ছে না এবং মেনে চলছে না। অনেক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়মগুলি না মেনে চলার কারণে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি আমাদের বোনদের জন্য সম্পূর্ণ অনিরাপদ।
“অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এমন কিছু পাঠ এবং অধ্যায় এখনো মেয়েদের পড়ানো হচ্ছে, যা তাদের জন্য উপযুক্ত এবং নিরাপদ নয়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যসূচী দখলদারিত্বের সময় প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে এমন সব অধ্যায় রয়েছে যা শরিয়া বিরোধী। যেগুলি শিক্ষাকে পশ্চাদপদ এবং দেশকে অগ্রসর হতে বাধা দেওয়ার জন্য যুক্ত করা হয়েছে। তাই একটি উপযুক্ত পাঠ্যক্রম না হওয়া পর্যন্ত এটি বন্ধ করা জ্ঞানের উপর নিষেধাজ্ঞা নয় বরং এটি বিশুদ্ধ জ্ঞানের সুরক্ষা।”
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, “এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের শিক্ষা সারাদেশে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তটি স্থায়ী নয় বরং নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য নেওয়া হয়েছে। উপরোক্ত সমস্যাগুলি দূর হয়ে গেলে আবারও মেয়েদের শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু হবে। আর এজন্য ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন এই সমস্যাটি সমাধান করার জন্য জোরদার প্রচেষ্টা ও গবেষণা চালাচ্ছে। ইসলামী শরিয়ার কাঠামোর মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করা হচ্ছে। তাই এটি সবার জানা উচিত যে, আমরা শিক্ষা কিংবা নারীর বিপক্ষে না। বরং নারীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার জন্যই নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“তাই এই পরিস্থিতি ব্যবহার করে বাহিরের দেশগুলোর নাক গলানো উচিত নয়। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। যার সমাধানে কাজ চলমান রয়েছে। আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছি, যেখানে আমাদের বোন এবং অন্যান্য আফগানদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত হয়।”
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী অন্য এক বার্তায় বলেন, “মহান রব্বুল আলামিন আমাদেরকে ক্ষমতা দিয়েছেন, যেনো আমরা শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন করতে পারি। তাই আমাদের ব্যাপারে কে কি বললো আর কে নাকগলালো তা দেখার এবং ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই। আমরা কাউকে ভয় করে ক্ষমতায় আসি নি। সবার জন্য এটা স্পষ্টভাবে জানা উচিৎ যে, আমরা এখানে খাঁটি ইসলাম চাই। আমরা তুরস্ক বা সৌদি আরবের মতো মেরুদণ্ডহীন ইসলাম চাই না।”
সম্প্রতি ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকার নারীদের শিক্ষার বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের শিক্ষা স্থগিত করা হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পরপরই আন্তর্জাতিক ইসলাম বিরোধী শক্তির সাথে তাল মিলিয়ে কিছু অবুঝ মুসলিমও এনিয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসনের সমালোচনায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছে।
কথিত এই সুশীলদের কখনো দেখা যায় নি যে, আমেরিকা ও তাদের পুতুল সরকার কর্তৃক আফগানিস্তানের শত-শত মাদ্রাসা মসজিদ ধ্বংস ও শিক্ষার্থীদের শহীদ করার বিষয়ে সমালোচনা করতে।
যাইহোক, বিরোধিদের বিরোধিতা ও নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা না করেই ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন তাদের অবস্থানে এখনো দৃঢ় ও অবিচল রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের শিক্ষা স্থগিত করার ৪টি কারণ জানিয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মৌলভি নিদা মুহাম্মাদ নাদিম (হাফি.) আন্তর্জাতিক মহল ও কথিত সুশীলদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে বলেন, “আফগানিস্তান কারও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না, আর আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারও হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়, বিশেষ করে যারা বিগত ২০ বছর ধরে আমাদের মা-বোন ও জনগণের অধিকার লঙ্ঘন করেছে। যখন আমাদের উপর বোমা ফেলা হয়েছিল এবং মাদার-বোমা আমাদের উপর ছোঁরা হয়েছিল, তখন সমালোচনাকারীরা কোথায় ছিল? আমাদের জনগণের প্রতি তাদের এই দরদ কোথায় ছিল?
“…কিন্তু আমরা এই কঠিন মুহুর্তেও আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, আমরা তাদেরকে ভুলে যাই নি। আমরা তাদের জীবন, সম্মান ও অধিকার রক্ষায় আত্মত্যাগ ও কুরবানি দিয়েছি। আমরা শরিয়াহ্ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের জীবন দিয়েছি, তাই আমরা এ বিষয়ে কারো সাথে আপস করবো না।”
গত ২২ ডিসেম্বর উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মৌলভি নাদিম রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরটিএ-এর অতিথি হয়ে এসব মন্তব্য করেন। এসময় তিনি নারীদের শিক্ষা নিয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের নতুন সিদ্ধান্তের কারণ সম্পর্কে বলেন-
“প্রায় ১৫ মাস ধরে আফগানিস্তানে একটি ইসলামি ইমারাত প্রশাসন রয়েছে। এসময় সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে অবশ্যই নিয়মাবলী সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে এবং মৌলিক নীতিগুলি তাদেরকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই নিয়ম পুরোপুরি মেনে চলে না। আর নিয়মগুলি মেনে চলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভূত হয়েছে।”
মৌলভি নেদিম বলেন যে, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রধান যে সমস্যাটি এখনো সমাধান করা হয় নি, তা হল সহশিক্ষা। এই সমস্যাটি এখনও অব্যাহত রয়েছে। আর ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে মিশ্র শিক্ষা একটি বড় সমস্যা।
“আরেকটি সমস্যা হল যে, কিছু মহিলা শিক্ষার্থী তাদের প্রদেশ থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং ছাত্রাবাসে একা থাকেন। এই সময়টাতে অনেকে মাহরাম ছাড়াই অন্য ব্যক্তির সাথে গোপনে ভ্রমণ করছে, যা সুস্পষ্ট হারাম। এবং এটি একটি বড় সমস্যা সৃষ্টি করছে।
“তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অনেক মহিলা শিক্ষার্থীদের পর্দার প্রতি যেমন মনোযোগী হওয়ার কথা ছিলো, তা হচ্ছে না এবং মেনে চলছে না। অনেক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়মগুলি না মেনে চলার কারণে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি আমাদের বোনদের জন্য সম্পূর্ণ অনিরাপদ।
“অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এমন কিছু পাঠ এবং অধ্যায় এখনো মেয়েদের পড়ানো হচ্ছে, যা তাদের জন্য উপযুক্ত এবং নিরাপদ নয়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যসূচী দখলদারিত্বের সময় প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে এমন সব অধ্যায় রয়েছে যা শরিয়া বিরোধী। যেগুলি শিক্ষাকে পশ্চাদপদ এবং দেশকে অগ্রসর হতে বাধা দেওয়ার জন্য যুক্ত করা হয়েছে। তাই একটি উপযুক্ত পাঠ্যক্রম না হওয়া পর্যন্ত এটি বন্ধ করা জ্ঞানের উপর নিষেধাজ্ঞা নয় বরং এটি বিশুদ্ধ জ্ঞানের সুরক্ষা।”
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, “এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের শিক্ষা সারাদেশে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তটি স্থায়ী নয় বরং নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য নেওয়া হয়েছে। উপরোক্ত সমস্যাগুলি দূর হয়ে গেলে আবারও মেয়েদের শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু হবে। আর এজন্য ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন এই সমস্যাটি সমাধান করার জন্য জোরদার প্রচেষ্টা ও গবেষণা চালাচ্ছে। ইসলামী শরিয়ার কাঠামোর মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করা হচ্ছে। তাই এটি সবার জানা উচিত যে, আমরা শিক্ষা কিংবা নারীর বিপক্ষে না। বরং নারীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার জন্যই নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“তাই এই পরিস্থিতি ব্যবহার করে বাহিরের দেশগুলোর নাক গলানো উচিত নয়। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। যার সমাধানে কাজ চলমান রয়েছে। আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছি, যেখানে আমাদের বোন এবং অন্যান্য আফগানদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত হয়।”
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী অন্য এক বার্তায় বলেন, “মহান রব্বুল আলামিন আমাদেরকে ক্ষমতা দিয়েছেন, যেনো আমরা শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন করতে পারি। তাই আমাদের ব্যাপারে কে কি বললো আর কে নাকগলালো তা দেখার এবং ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই। আমরা কাউকে ভয় করে ক্ষমতায় আসি নি। সবার জন্য এটা স্পষ্টভাবে জানা উচিৎ যে, আমরা এখানে খাঁটি ইসলাম চাই। আমরা তুরস্ক বা সৌদি আরবের মতো মেরুদণ্ডহীন ইসলাম চাই না।”
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
Comment