ভারতীয় মুসলিম সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট বরখাস্ত করলো টুইটার!
ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হিন্দুত্ববাদীদের ইসলাম বিদ্বেষের স্বরুপ উন্মোচন ও নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের নির্যাতন নিয়ে লেখালেখি করা এক তরুণ সাংবাদিক আহমদ খবীর। তিনি জামিয়া টাইমস নামক একটি নিউজ ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। নিয়মিতই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লেখালেখি করে আসছেন। টুইটার কর্তৃপক্ষ এসব লেখাকে এটির নীতি বিরুদ্ধ সাব্যস্ত করে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট বরখাস্ত করে দিয়েছে।
আহমদ খবীর জানান, গত ২২ ডিসেম্বর আমাকে টুইটারের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ দেয়া হয় যে, সতর্ক পর্যালোচনার পর আপনার একাউন্টটি স্থগিত করা হয়েছে। অর্থাৎ টুইটার কর্তৃপক্ষ মানবাধিকার ও ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী নির্যাতন প্রচার করাকে তাদের নীতি বিরুদ্ধ বলছে।
অথচ ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। টুইটারে বিজ্ঞাপন দিয়ে অস্ত্র বিক্রি করছে। মুসলিমদের গণহারে হত্যার হুমকি দিয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজন উগ্র হিন্দু নেতার অ্যাকাউন্ট বরখাস্ত করা হয়নি।
২০১৭ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর সময় হিংস্র বৌদ্ধরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে মুসলিমবিরোধী প্রচারণা চালিয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াগুলো বৌদ্ধদের অ্যাকাউন্ট গুলোয় কোন হস্তক্ষেপ করেনি।
সোশাল প্লাটফর্মগুলো ইসলামপন্থীদের লেখা মুছে ফেলা নতুন কিছু নয়। প্রতি বছর হাজারো ইসলামপন্থীদের লেখায় হস্তক্ষেপ করে আসছে সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলো। এর মধ্যে ফিলিস্তিনিদের আইডিগুলোতে সবচেয়ে বেশি হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। গত বছর সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলো ১২০০ এর বেশি বার ফিলিস্তিনিদের আইডিগুলোতে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করেছে।
বর্তমান ইসলামবিরোধী বিশ্ব ব্যবস্থায় শুধুমাত্র ভারত ও ফিলিস্তিনই নয়, সারা বিশ্বের যেখানেই যারাই ইসলাম ও মুসলিমদের পক্ষে আওয়াজ তুলছেন, তাদেরই কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। হোক সেটা সোশ্যাল প্লাটফর্মে কিংবা অন্যান্য মাধ্যমে। সবখানেই কথিত ‘মৌলবাদীদের উসকানি’র অভিযোগ তুলে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। অথচ অন্য ধর্মের উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গণহত্যার ঘোষণা দিলে বা অস্ত্র বিক্রি করলে, কিংবা বোমা তৈরির ভিডিও পোস্ট করলেও তাদের একাউন্টে কোন হস্তক্ষেপ করে না সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলো। এ অবস্থায় মুসলিম জাতিকে এসব সামাজিক মাধ্যমের উপর নির্ভর না করতে, এবং মুসলিম জাতির সত্যাসত্য খবরাখবর জানতে ও জানাতে মুজাহিদদের পরিচালিত বিভিন্ন সাইট ও মিডিয়ার দিকে ঝুঁকতে পরামর্শ দিয়েছেন ইসলামী বিশ্লেষকগণ।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Twitter suspends account of Muslim journalist Ahmed Khabeer
– https://tinyurl.com/2p8sm5vr
2. NGO: 132 violations against Palestinian content on Social Media platforms in May
– https://tinyurl.com/4fv3rj2d
ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হিন্দুত্ববাদীদের ইসলাম বিদ্বেষের স্বরুপ উন্মোচন ও নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের নির্যাতন নিয়ে লেখালেখি করা এক তরুণ সাংবাদিক আহমদ খবীর। তিনি জামিয়া টাইমস নামক একটি নিউজ ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। নিয়মিতই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লেখালেখি করে আসছেন। টুইটার কর্তৃপক্ষ এসব লেখাকে এটির নীতি বিরুদ্ধ সাব্যস্ত করে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট বরখাস্ত করে দিয়েছে।
আহমদ খবীর জানান, গত ২২ ডিসেম্বর আমাকে টুইটারের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ দেয়া হয় যে, সতর্ক পর্যালোচনার পর আপনার একাউন্টটি স্থগিত করা হয়েছে। অর্থাৎ টুইটার কর্তৃপক্ষ মানবাধিকার ও ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী নির্যাতন প্রচার করাকে তাদের নীতি বিরুদ্ধ বলছে।
অথচ ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। টুইটারে বিজ্ঞাপন দিয়ে অস্ত্র বিক্রি করছে। মুসলিমদের গণহারে হত্যার হুমকি দিয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজন উগ্র হিন্দু নেতার অ্যাকাউন্ট বরখাস্ত করা হয়নি।
২০১৭ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর সময় হিংস্র বৌদ্ধরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে মুসলিমবিরোধী প্রচারণা চালিয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াগুলো বৌদ্ধদের অ্যাকাউন্ট গুলোয় কোন হস্তক্ষেপ করেনি।
সোশাল প্লাটফর্মগুলো ইসলামপন্থীদের লেখা মুছে ফেলা নতুন কিছু নয়। প্রতি বছর হাজারো ইসলামপন্থীদের লেখায় হস্তক্ষেপ করে আসছে সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলো। এর মধ্যে ফিলিস্তিনিদের আইডিগুলোতে সবচেয়ে বেশি হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। গত বছর সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলো ১২০০ এর বেশি বার ফিলিস্তিনিদের আইডিগুলোতে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করেছে।
বর্তমান ইসলামবিরোধী বিশ্ব ব্যবস্থায় শুধুমাত্র ভারত ও ফিলিস্তিনই নয়, সারা বিশ্বের যেখানেই যারাই ইসলাম ও মুসলিমদের পক্ষে আওয়াজ তুলছেন, তাদেরই কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। হোক সেটা সোশ্যাল প্লাটফর্মে কিংবা অন্যান্য মাধ্যমে। সবখানেই কথিত ‘মৌলবাদীদের উসকানি’র অভিযোগ তুলে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। অথচ অন্য ধর্মের উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গণহত্যার ঘোষণা দিলে বা অস্ত্র বিক্রি করলে, কিংবা বোমা তৈরির ভিডিও পোস্ট করলেও তাদের একাউন্টে কোন হস্তক্ষেপ করে না সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলো। এ অবস্থায় মুসলিম জাতিকে এসব সামাজিক মাধ্যমের উপর নির্ভর না করতে, এবং মুসলিম জাতির সত্যাসত্য খবরাখবর জানতে ও জানাতে মুজাহিদদের পরিচালিত বিভিন্ন সাইট ও মিডিয়ার দিকে ঝুঁকতে পরামর্শ দিয়েছেন ইসলামী বিশ্লেষকগণ।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Twitter suspends account of Muslim journalist Ahmed Khabeer
– https://tinyurl.com/2p8sm5vr
2. NGO: 132 violations against Palestinian content on Social Media platforms in May
– https://tinyurl.com/4fv3rj2d
Comment