আফগানিস্তানে স্কুল ও মাদরাসা: একই মুদ্রার দুপিঠ ও সময়ের চাহিদা
উপনিবেশবাদ বহু বছর ধরে স্কুল ও মাদরাসার মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে রেখেছে। আর এই শব্দগুলোকে যারা নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে চায়, তারা আসলে মুসলিমদেরকে বিভক্তই করে মাত্র।
আফগানিস্তানে এই প্রতারণাপূর্ণ প্রবণতা প্রাথমিকভাবে আমানুল্লাহ খানের যুগ থেকে শুরু হয়ে কমিউনিস্ট শাসন ও প্রজাতন্ত্রের কালো যুগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত এই দূরত্ব ও দ্বন্দ্বের শিকার হয়েছে অগণিত মুসলিম। অথচ তাদের সবার উদ্ভব একই ইসলামি পরিচয় থেকে।
পূর্বতন জহির শাহ ও দাউদ খানের সময়ে, কিছু আফগান যুবক রাশিয়ায় কমিউনিজমের স্কুলে গিয়েছিল। আর ফিরে এসেছিল মিথ্যা বিশ্বাস নিয়ে এবং অনুপ্রবেশ করেছিল আফগানিস্তানের সরকারি অফিসসমূহে। এই দলগুলো স্কুল-ইউনিভার্সিটির প্রতি ছিল অতিমাত্রায় আসক্ত, এবং প্রায়ই তারা ইউনিভার্সিটিতে ধর্মবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করতে শুরু করেছিল। তাই মুসলিম যুবকরা ইউনিভার্সিটি ও অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন।
এই বিপথগামী গোষ্ঠী ধর্মীয় আলেমদেরকে সমাজের জীবাণু বলে ডাকতো, আখ্যায়িত করতো প্রতিক্রিয়াশীল ও পশ্চাৎপদ হিসেবে। এমনকি এই গোষ্ঠীটি পবিত্র ধর্ম ইসলামকে বলতো সমাজের আফিম। ইসলাম তথা আলেম সমাজের প্রতি বিদ্বেষের এই দৃশ্য বর্তমানে প্রায় মুসলিম দেশেই দৃশ্যমান।
যাইহোক কমিউনিস্ট শাসনের উৎখাতের পর, দেশের বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এই ভ্রান্ত বিশ্বাসের আস্তরণ প্রায় মুছে ফেলা হয়। আর ছড়িয়ে পড়ে ইসলামি ভাবধারা।
কিন্তু আফগানিস্তানে প্রজাতন্ত্রের সময়কালে এবং মার্কিন ও ন্যাটো, কমিউনিস্ট, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের আফগানিস্তান দখলের বিশ বছরের মধ্যে এসব বাজে ধারণার আরও একবার উত্থান ঘটে। এই ষড়যন্ত্রমূলক বিভক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রমাগত বিকাশ লাভ করতে শুরু করে সর্বত্র।
এরপর সর্বশক্তিমান আল্লাহর সাহায্যে এবং মুজাহিদগণের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অগণিত ত্যাগের ফলে ইসলামি ইমারত বিজয় লাভ করে পুনরায় এসব অর্থহীন ধারণার পুরোপুরি নির্মূল করেন। ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সকল স্কুল ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়বস্তু এখন ইসলামি ভাবধারার। আর তা অগ্রসর হচ্ছে মানবিক ও ইসলামি মানদণ্ডের আলোকে। উৎকর্ষের এই ধারাকে অন্যান্য মুসলিম ভূখণ্ডে ছড়িয়ে দেওয়াটাও এখন সময়ের দাবি।
বর্তমান আফগানিস্তানে স্কুল, মাদরাসা এবং অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। এদেশের সকল শিশুই মুসলিম, তারাই স্কুল বা মাদরাসা থেকে পড়াশোনা করে শিক্ষিত হচ্ছে। তারা বিশুদ্ধ এবং ইসলামি বিশ্বাসের আলোকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করছে।
এখন স্কুল ও মাদরাসার মধ্যে আর কোনো ব্যবধান নেই, নেই কোনো ঘৃণার স্থান। এই ব্যবধানগুলো দূর করা জরুরি ছিল। এদেশের সন্তানদের উচিত ইসলামি ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসার চেতনা নিয়ে নিজেদের অভিন্ন বাড়িতে একসাথে থাকা।
ইসলামি ইমারতের পাশাপাশি বিশ্বের সকল মুসলিমের দায়িত্ব নিজ নিজ অঞ্চলে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই ব্যবধান মুছে ফেলা; এসব অর্থহীন বাক্যালাপ ও ধারণাগুলোর মূলোৎপাটন করতে সম্ভাব্য সকল উপায়ে কাজ করা। যেন মুসলিমদের সন্তানেরা সর্বত্রই বৈষম্যহীন ভ্রাতৃত্ববোধের একটি পরিপূর্ণ পরিষ্কার আবহাওয়ায় বসবাস করতে পারে। যেন তারা মুসলিম জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত নির্মাণ করতে পার।
উপনিবেশবাদ বহু বছর ধরে স্কুল ও মাদরাসার মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে রেখেছে। আর এই শব্দগুলোকে যারা নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে চায়, তারা আসলে মুসলিমদেরকে বিভক্তই করে মাত্র।
আফগানিস্তানে এই প্রতারণাপূর্ণ প্রবণতা প্রাথমিকভাবে আমানুল্লাহ খানের যুগ থেকে শুরু হয়ে কমিউনিস্ট শাসন ও প্রজাতন্ত্রের কালো যুগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত এই দূরত্ব ও দ্বন্দ্বের শিকার হয়েছে অগণিত মুসলিম। অথচ তাদের সবার উদ্ভব একই ইসলামি পরিচয় থেকে।
পূর্বতন জহির শাহ ও দাউদ খানের সময়ে, কিছু আফগান যুবক রাশিয়ায় কমিউনিজমের স্কুলে গিয়েছিল। আর ফিরে এসেছিল মিথ্যা বিশ্বাস নিয়ে এবং অনুপ্রবেশ করেছিল আফগানিস্তানের সরকারি অফিসসমূহে। এই দলগুলো স্কুল-ইউনিভার্সিটির প্রতি ছিল অতিমাত্রায় আসক্ত, এবং প্রায়ই তারা ইউনিভার্সিটিতে ধর্মবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করতে শুরু করেছিল। তাই মুসলিম যুবকরা ইউনিভার্সিটি ও অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন।
এই বিপথগামী গোষ্ঠী ধর্মীয় আলেমদেরকে সমাজের জীবাণু বলে ডাকতো, আখ্যায়িত করতো প্রতিক্রিয়াশীল ও পশ্চাৎপদ হিসেবে। এমনকি এই গোষ্ঠীটি পবিত্র ধর্ম ইসলামকে বলতো সমাজের আফিম। ইসলাম তথা আলেম সমাজের প্রতি বিদ্বেষের এই দৃশ্য বর্তমানে প্রায় মুসলিম দেশেই দৃশ্যমান।
যাইহোক কমিউনিস্ট শাসনের উৎখাতের পর, দেশের বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এই ভ্রান্ত বিশ্বাসের আস্তরণ প্রায় মুছে ফেলা হয়। আর ছড়িয়ে পড়ে ইসলামি ভাবধারা।
কিন্তু আফগানিস্তানে প্রজাতন্ত্রের সময়কালে এবং মার্কিন ও ন্যাটো, কমিউনিস্ট, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের আফগানিস্তান দখলের বিশ বছরের মধ্যে এসব বাজে ধারণার আরও একবার উত্থান ঘটে। এই ষড়যন্ত্রমূলক বিভক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রমাগত বিকাশ লাভ করতে শুরু করে সর্বত্র।
এরপর সর্বশক্তিমান আল্লাহর সাহায্যে এবং মুজাহিদগণের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অগণিত ত্যাগের ফলে ইসলামি ইমারত বিজয় লাভ করে পুনরায় এসব অর্থহীন ধারণার পুরোপুরি নির্মূল করেন। ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সকল স্কুল ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়বস্তু এখন ইসলামি ভাবধারার। আর তা অগ্রসর হচ্ছে মানবিক ও ইসলামি মানদণ্ডের আলোকে। উৎকর্ষের এই ধারাকে অন্যান্য মুসলিম ভূখণ্ডে ছড়িয়ে দেওয়াটাও এখন সময়ের দাবি।
বর্তমান আফগানিস্তানে স্কুল, মাদরাসা এবং অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। এদেশের সকল শিশুই মুসলিম, তারাই স্কুল বা মাদরাসা থেকে পড়াশোনা করে শিক্ষিত হচ্ছে। তারা বিশুদ্ধ এবং ইসলামি বিশ্বাসের আলোকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করছে।
এখন স্কুল ও মাদরাসার মধ্যে আর কোনো ব্যবধান নেই, নেই কোনো ঘৃণার স্থান। এই ব্যবধানগুলো দূর করা জরুরি ছিল। এদেশের সন্তানদের উচিত ইসলামি ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসার চেতনা নিয়ে নিজেদের অভিন্ন বাড়িতে একসাথে থাকা।
ইসলামি ইমারতের পাশাপাশি বিশ্বের সকল মুসলিমের দায়িত্ব নিজ নিজ অঞ্চলে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই ব্যবধান মুছে ফেলা; এসব অর্থহীন বাক্যালাপ ও ধারণাগুলোর মূলোৎপাটন করতে সম্ভাব্য সকল উপায়ে কাজ করা। যেন মুসলিমদের সন্তানেরা সর্বত্রই বৈষম্যহীন ভ্রাতৃত্ববোধের একটি পরিপূর্ণ পরিষ্কার আবহাওয়ায় বসবাস করতে পারে। যেন তারা মুসলিম জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত নির্মাণ করতে পার।
অনুবাদক ও সংকলক : সাইফুল ইসলাম
Comment