Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৩ জামাদিউল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৩ জামাদিউল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী

    হিন্দুদেরকে বাড়িতে অস্ত্র রাখতে আর “শত্রুদের” মাথা কাটার আহ্বান বিজেপির নারী সাংসদের



    হিন্দুত্বাদী ভারতে উগ্র নেতা নেত্রীরা প্রকাশ্যেই মুসলিমদের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করছে। মুসলিমদের প্রতি তাদের ভিতরে লুকানো চিরাচরিত বিদ্বেষের কিছুটা উগড়ে দিচ্ছে।

    এবার বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর গত ২৫ ডিসেম্বর, রবিবার হিন্দুদের শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য বাড়িতে অস্ত্র প্রস্তুত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। “লাভ জিহাদ” প্রসঙ্গে উল্লেখ করে ঠাকুরের মন্তব্য স্পষ্ট করে দেয়, সে মুসলমানদের শত্রু হিসাবে উল্লেখ করেছে।

    সে বলেছে “অস্ত্র বাড়িতে রাখুন। সেগুলো ধারালো রাখুন। যদি শাকসবজি ভালভাবে কাটা যায়, তবে শত্রুর (মুসলমানদের) মাথাও কাটতে পারবেন। কুখ্যাত সংঘ পরিবারের এই উগ্র মহিলা কর্ণাটকের শিবমোগায় অনুষ্ঠিত হিন্দু জাগরানা বেদিকের দক্ষিণ অঞ্চলের বার্ষিক সম্মেলনে এ বক্তব্য দিয়েছে।

    ভোপালের উগ্র সাংসদ আরো বলেছে, অন্তত সবজি কাটায় ব্যবহৃত ছুরিগুলি রাখতে হবে। “আপনার বাড়িতে অস্ত্র রাখুন, অন্য কিছু না হলেও, অন্তত শাকসবজি কাটতে ব্যবহৃত ছুরি যেগুলো খুব ধারালো সেগুলো রাখুন।

    এই উগ্র বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর মামলার আসামী হয়েও প্রকাশ্যে মুসলিম বিদ্বেষী বক্তৃতা দিচ্ছে। মুসলিদের হত্যা করতে অস্ত্র রাখতে বলছে। তবুও হিন্দুত্ববাদী পুলিশ তাকে আটক করেনি। অন্যদিকে, মুসলিম যুবকদের বিনা কারণে শুধু সন্দেহের বশে আটক করে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে।

    এদিকে, বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন উগ্র বিধায়ক সঙ্গীত সোম গত (৫ অক্টোবর) ইউপির মিরাটের খেদা গ্রামে বিজয়া দশমীতে রাজপুত উত্তর সভা আয়োজিত আয়ুধ পূজা (অস্ত্রের পূজা) অনুষ্ঠানে হিন্দুদের অস্ত্র তুলে নিতে বলেছে।

    সে আরো বলেছে, মুসলমানদের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, এসবের অবসান ঘটাতে ভবিষ্যতে ক্ষমতার পাশাপাশি অস্ত্রেরও প্রয়োজন হবে। আয়ুধ পূজা (অস্ত্রের পূজা) অনুষ্ঠানে সে হিন্দুদের আবারো অস্ত্র তুলে নিতে বলেছে।

    উগ্র সোম ২০১৩ সালের মুজাফফরনগর মুসলিম গণহত্যার অন্যতম আসামী। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা হওয়ায় তার কোন বিচার হয়নি, আর হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তাই সে নতুন করে মুসলিম গণহত্যার মাঠ প্রস্তুত করছে।

    এমনিভাবে, ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে প্রকাশ্যে হিন্দুত্ববাদী গায়ক ধর্মেন্দ্র পান্ডে হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য হিন্দুদেরকে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বলেছে। উত্তরপ্রদেশের ইটওয়াতে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে সে এমন বক্তব্য দেয়।

    উক্ত সমাবেশের ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ধর্মেন্দ্র পান্ডে হিন্দু নারী-পুরুষদেরকে অস্ত্র কাছে রাখতে, অস্ত্র ধার দিয়ে রাখতে বলছে; যেন নরেন্দ্র মোদি যখন ভারতকে ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ ঘোষণা করবে, তখন যারা এর বিরোধিতা করবে তাদেরকে হত্যা করতে পারে হিন্দুরা।

    হিন্দু উগ্র ধর্মগুরু জ্যোতি নরসিংহানন্দ হরিদ্বারে ধর্ম সংসদে মুসলিম নিধনে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার ডাক দিয়েছিল।

    ধর্মসভায় অন্যতম আয়োজক সত্যদেব সরস্বতী বলেছে, “আমরা কোনও আইন মানি না। কাউকে ভয় পাই না।” ওই ধর্মসভার অন্যান্য বক্তারাও প্রকাশ্যেই মুসলিম নিধনের উসকানি দিয়েছিল। উগ্র হিন্দুত্ববাদী পুরোহিত স্বামী প্রবোধানন্দ প্রত্যেক হিন্দুকে অস্ত্র তুলে নিতে এবং মিয়ানমারের মতো ক্লিনজিং অপারেশন (জাতিগত নির্মূল) শুরু করতে বলেছে।

    এমনিভাবে, উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের সাংসদ সাক্ষী মহারাজ, বিজেপির এই হিন্দুত্ববাদী নেতা বাড়িতেই অস্ত্র মজুত রাখার আহ্ববান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিল। সে সরাসরি মুসলিমদেরকে আগ্রাসী হিসেবে তুলে ধরেছে। মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিতে সে অমুসলিমদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়ে বলেছে, ‘পুলিশ কাউকে বাঁচাতে পারবে না। তাই নিজেদেরই দায়িত্ব নিয়ে আত্মরক্ষা করতে হবে।’

    সে আরো লিখেছে, “এই অতিথিদের জন্য বাড়িতে কোল্ড ড্রিংক্সের বোতল(ককলেট) জমিয়ে রাখুন। তীরও সংগ্রহ করে রাখুন।”
    এই ধরনের মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্যের ফলে হিন্দুরা মুসলিমদের উপর হামলা করতে উৎসায়িত হবে বলেই মনে করেন বিশ্লেষকগণ।

    এর আগেও বেশ কয়েকবার উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিল সাক্ষী মহারাজ। দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়েও মুখ খুলেছিল সে। সেগুলোতেও সে মুসলিমদের নিয়ে নানা বিদ্বেষমূলক কথা বলেছে।

    উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা তাদের অনুসারিদের অস্ত্র সংগ্রহে রাখতে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি অস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে সাথে অস্ত্র রাখার ফ্রি লাইসেন্স করে দিচ্ছে। অন্যদিকে, মুসলিমরা নিজেদের মাঝে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মতানৈক্যে শতধা দলে বিভক্ত হয়ে আছে। পরিস্থিতির নাজুকতা উপলব্দি করে ইসলামিক চিন্তাবিদগণ হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. BJP MP Pragya Thakur urges Hindus to keep weapons at home, cut enemy’s head
    https://bit.ly/3hUwU7i
    https://bit.ly/3vo766o
    2. ‘মুসলিমদের মারতে অস্ত্র তুলে নিন’, জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ফের ‘ঘৃণা ভাষণ’ বিতর্কিত ধর্মগুরুর
    https://tinyurl.com/2p9yhd2d
    3. ‘Weapons Will Be Needed in Future’: BJP Leader Sangeet Som Issues Call to Arms (The Wire)
    https://tinyurl.com/2h3whs5m
    https://tinyurl.com/3fmftdva
    https://tinyurl.com/y6zhykyw
    4. Swami Prabodhanand calls on Hindus to buy weapons
    https://tinyurl.com/uuzyz6a5
    5. Clean India of Jihadis, Whoever Understands Quran is One’: UP Hate Speech Event
    https://tinyurl.com/yckmb3zu
    6. ‘বাড়িতে তির-ধনুক রাখুন’, এবার ঘুরিয়ে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়ার নিদান সাক্ষী মহারাজের
    https://tinyurl.com/bdezn353

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ‘যদি পশ্চিমা সভ্যতাই চাইতাম, তবে ওসামাকে ওদের হাতে তুলে দিতাম’



    আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের উপযোগী শিক্ষা পরিবেশ ও ব্যবস্থা গড়ে তোলা পর্যন্ত নারী শিক্ষা সাময়িকভাবে বন্ধ করায় বিভিন্ন সুশীল মহল থেকে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের ব্যাপারে কড়া সমালোচনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই অন্ধ ও এক চোখা সমালোচকদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মৌলভি নিদা মোহাম্মদ নাদিম (হাফি.)।

    তিনি বলেন, “আমরা এখানে পরিপূর্ণ খাঁটি ইসলাম চাই, পশ্চিমাদের কথিত আধুনিক সভ্যতার নামে বেহায়াপনা চাই না। আর যদি এমনটা চাইতাম তাহলে ২০ বছরের দীর্ঘ যুদ্ধের প্রয়োজন ছিলো না। আর ওসামা বিন লাদেনকেও নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো মানে ছিলো না।”

    গত ২৬ ডিসেম্বর সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে প্রকাশিত একটি ভিডিওত শাইখ নাদিম (হাফি.) বলেছেন, “কেউ কেউ অভিযোগের সুরে বলছেন, কেন আপনি মেয়েদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছেন না, সহশিক্ষার অনুমতি দিচ্ছেন না, মহিলাদের অবাধে কাজ করার অনুমতি দিচ্ছেন না এবং জাতীয় স্বার্থে মনোযোগ দিচ্ছেন না?

    “এই প্রশ্নগুলো একদিনে তাদের মাঝে তৈরি হয় নি। বরং, দখলদারিত্বের বছরগুলোতে শিক্ষার নামে এসব পশ্চিমা চিন্তাধারা তাদেরকে গেলানো হয়েছে। তাই তাদের এটা ভালোভাবে জানা উচিৎ যে, আমাদের কাছে মহান রব্বুল আলামিনের প্রেরিত ধর্ম ইসলাম অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

    তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা যদি পশ্চিমাদের গেলানো কথিত আধুনিক সভ্যতা চাইতাম এবং তারা যে নগ্নতাকে উন্নতি বলছে তা চাইতাম, তাহলে সেটা আমরা দুই দশক আগেই পারতাম। আমাদের সামনে সুযোগ ছিলো ওসামা বিন লাদেনকে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়ার এবং নারীদের স্বাধীনতার নামে সমাজকে বেহায়াপনার দিকে ঠেলে দেওয়ার। কিন্তু আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’আলা কাফেরদের অনুরোধ গ্রহণ করার অনুমতি আমাদেরকে দেন না।

    “আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’আলা আমাদেরকে ক্ষমতা দিয়েছেন, যেন আমরা শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন করতে পারি। আর এই শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন ও পশ্চিমাদের বিতাড়িত করতে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধে আমাদের অসংখ্য বোন বিধবা হয়েছেন, সন্তানরা এতিম হয়েছেন, বাবা-মা সন্তান হারা হয়েছেন। তারপরও তাঁরা নতি স্বীকার করেননি। তাহলে আমরা এখন কীভাবে পশ্চিমাদের তৈরি কতিপয় মস্তিষ্কের (লোকের) কথায় আল্লাহর শরিয়াহ্ ও জনগণের বিপক্ষে যেতে পারি!?

    “তাই আমরা এখানে পরিপূর্ণ শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন করতে এবং নারীদের নিরাপত্তার জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করতে বাধ্য। এর ফলে পুরো বিশ্বও যদি আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, এমনকি পারমাণবিক বোমাও মারা হয়, তথাপি আমরা শরিয়াহ্ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হবো না।”

    উল্লেখ্য, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন গত সপ্তাহে সাময়িকভাবে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গমন এবং বেসরকারি ও বিদেশি সংস্থার হয়ে কাজ করা নারীদের কিছুদিনের জন্য কর্মবিরতি নেওয়ার বিষয়ে দুটি ডিক্রি জারি করে। এই ডিক্রি থেকে ইমারাতে ইসলামিয়ার প্রশাসনিক দায়িত্বরত নারী, চিকিৎসক ও দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের খারিজ করা হয়।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সত্যি হলো এটাই, আপনি সফল না হওয়া পর্যন্ত আপনার ব্যর্থতার কাহিনী কেউ শুনতে চাইবে না।

      Comment

      Working...
      X