Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৭ জামাদিউল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ০১ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৭ জামাদিউল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ০১ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

    উত্তরাখণ্ড: রেলওয়ে সংলগ্ন ৪,৩৬৫টি বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ, শীত মৌসুমে গৃহহীন মুসলিম বাসিন্দারা



    উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট গফুর বস্তি নামে পরিচিত হলদওয়ানি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। রেলওয়ের পাশে ৭৮ একর জমিতে নির্মিত ৪ হাজার ৩৬৫টি ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে হাজারো মুসলিম পরিবার বুধবারে (২৮ ডিসেম্বর) উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের অমানবিক আদেশের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন।
    উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট গত সপ্তাহে “হলদওয়ানির বনভুলপুরায় রেলওয়ের জমিতে নির্মাণ” ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি শরদ শর্মা এবং আরসি খুলবের একটি ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, বসতি স্থাপনকারীদের এক সপ্তাহের নোটিশ দেওয়া হবে যার পরে নির্মাণগুলো ভেঙে ফেলা হবে।

    বনভূলপুরায় রেলওয়ের ২৯ একর জমি জুড়ে রয়েছে মসজিদ, স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসস্থান। হাইকোর্টের এই আদেশ ৪,৩৬৫টি পরিবারকে প্রভাবিত করবে, যাদের বেশিরভাগই মুসলিম।

    রিপোর্ট অনুযায়ী,৭০০০ পুলিশ অফিসার এবং ১৫টি আধাসামরিক বাহিনী ধ্বংস অভিযান চালাবে। হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন 8 জানুয়ারির পরে বসতি ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু করবে, প্রস্ততিস্বরুপ গণপূর্ত বিভাগ ২০টি (জেসিবি)JCB, ২০টি পোকল্যান্ড নিয়োগ দিয়েছে।

    মুসলিম দলগুলো উচ্ছেদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুসলিম বাসিন্দারা কান্নাকাটি করছেন এবং সরকারকে ধ্বংস অভিযান বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

    মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে লেখা একটি চিঠিতে, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তিহাদ উল মুসলিমীন, উত্তরাখণ্ডের (এআইএমআইএম) রাজ্য সভাপতি ডক্টর নায়ার কাজমি বলেছেন যে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে এখানে ৪৫০০ পরিবার বসবাস করছে এবং তারা বিদ্যুৎ সংযোগ, গৃহ কর, জল সংস্থা সংযোগ বিল আদায় করছে এবং তাদের কাছে অন্যান্য আবাসিক শংসাপত্রও আছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মুসলিম পরিবারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাটি ২০১৬ সালে হিন্দু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরএসএস-এর অনুসারী রবি শঙ্কর জোশী দায়ের করেছিল।
    চিঠিতে তিনি বলেন, “এই একতরফা সিদ্ধান্তে হাজার হাজার পরিবারকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে, সরকারের উচিত এই সংক্ষুব্ধ পরিবারের পক্ষকে হাইকোর্টের সামনে তুলে ধরা, যাতে তারা গৃহহীন হওয়া থেকে রক্ষা পায়।” .

    ইতঃপূর্বে হিন্দুরা ২০২১ সাল থেকে আসাম রাজ্যে প্রায় ৪০০০ বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে। এখন উত্তরাখণ্ডেও মুসলিমদের বাড়িঘর গুড়িয়ে দিচ্ছে। মূলত, ইসরায়েলী নীতি অবলম্বন করে মুসলিমদের সমগ্র ভারত থেকে উচ্ছেদ করে একটি হিন্দু রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখছে উগ্র হিন্দুরা। আর হিন্দুদের এই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করতে চাইলে মুসলিমদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ।
    তথ্যসূত্র:
    —–
    1.Uttarakhand: 4,365 families in Muslim locality to become homeless as HC orders demolition of ‘constructions in Railway land’
    https://tinyurl.com/3cpuxjmt
    2.Uttarakhand: Over 4000 houses to be demolished in the name of railway encroachment, majority of inhabitants Muslim ( Muslim Mirror)

    3. video link: https://tinyurl.com/ybkuu2ve

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতের দেওরিয়া জেলে মুসলিম যুবকের মৃত্যু



    কুশিনগর জেলার পদরুনা কোতোয়ালি থানা এলাকার দরবার রোডের বাসিন্দা মুহাম্মদ আখতারকে (২৭) গত ২৫ নভেম্বর বাড়ির বিপরীতে একটি বিয়েবাড়ি থেকে বাল্ব চুরির ঠুনকো অভিযোগে আটক করে মারধর করে। পরে লোকজন বিষয়টি কোতয়ালী থানাকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে হেফাজতে নেয়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ে বাড়িতে তাঁবু বসানো কর্মচারীরা পুলিশের সামনেই তাকে নির্মমভাবে মারধর করে। যার কারণে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। ২৬ নভেম্বর পুলিশ তাকে চালান দেয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

    অসুস্থতার কারণে কারা হাসপাতালে ভর্তি

    প্রায় এক সপ্তাহ আগে, প্রচণ্ড মারধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে দেওরিয়া জেলের কর্মীরা আখতারকে জেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আক্তারের মা আয়েশাও দুইবার কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং আখতারের গুরুতর অবস্থা দেখে চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে কারা প্রশাসন চিকিৎসার কথা জানায়। সোমবার রাতে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কারাকর্মীরা আক্তারকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়।

    স্বজনরা আসার পরপরই মৃত্যু ঘটে

    গত ২৫ ডিসেম্বর, সোমবার আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ১১টার দিকে পদরুনা কোতোয়ালীর দুই কনস্টেবল আখতারের অসুস্থতার কথা স্বজনদের জানায়। মঙ্গলবার স্বজনরা জেলা হাসপাতালে পৌঁছালে কিছুক্ষণ পর আখতারের মৃত্যুর খবর পান।

    উল্লেখ্য, এমন ছোটখাটো বিষয়ে মিথ্যে অভিযোগে কখনো কোনো অমুসলিমকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় না। শুধু মুসলিম হওয়ার কারণেই মুহাম্মদ আখতারের উপর অমানবিক জুলুম করা হয়েছে। যার ফলে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। হিন্দুত্ববাদীদের কারাগারে কয়েকদিন পরপরই মুসলিমদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও কোনো অমুসলিম নিহত হওয়ার কথা শোনা যায় না।

    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. देवरिया जेल में बंद कैदी की इलाज के दौरान मौत:26 नवंबर को जिला जेल में दाखिल हुआ था अख्तर, एक सफ्ताह पहले अस्पताल में हुआ था भर्ती
    https://bit.ly/3CfE6BI
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      জয় শ্রীরাম না বলায় পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মুসলিম শিশুকে মারধর



      জয় শ্রীরাম না বলায় ১০ বছরের এক ছেলেকে মারধর করা হয়। শিশুটি একটি বেসরকারি স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে পড়ে। টিউশনি করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। উগ্র হিন্দুরা পথিমধ্যে তাকে থামিয়ে হিন্দুদের কুফরী বাক্য জয় শ্রী রাম বলতে বলে। সে অস্বীকার করায় তারা তাকে চড় মারতে থাকে। অবশেষে, ছাত্রটি যখন জয় শ্রী রাম বলল, তখনই তাকে যেতে দেওয়া হয়।

      ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ার পান্ডানার। শিশুটির পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা মুসলিম। আর মারধরকারী উগ্র হিন্দু অজয় ​​ওরফে রাজুর বাবা লক্ষ্মণ ভিল, একই এলাকায় থাকে।

      শিশুটির মুখ থেকে পুরো ঘটনার বিবরণ-

      আমি প্রতিদিনের মতো বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৪টার দিকে আড়ুদ রোডে কোচিংয়ের জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। পথে কাউন্সিলর মামার মুদি দোকানের কাছে অজয় ​​ভীল আমাকে থামায়। তিনি আমাকে বলেন যে আমি তিন পর্যন্ত গণনা করতে করার আগেই ‘জয় শ্রী রাম’ বলবি। আমি বললাম- না। একথা শুনে অজয় ​​আমাকে দুবার চড় মারে। আমাকে বলেছিল ‘জয় শ্রী রাম’ বল, আমি না বললে আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। তখন আমি ভয়ে ‘জয় শ্রী রাম’ উচ্চারণ করলাম। এর পর তিনি আমাকে যেতে দেন। ভয়ে কোচিং এ না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। এখানে আসার পর বাবা-মাকে পুরো ব্যাপারটা খুলে বললাম।

      শিশুটির বাবা বলেন- বিষয়টি আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত

      শিশুটির বাবা বলেন, আমি সন্ধ্যায় বাসায় ছিলাম। একই সময়ে ছেলে কোচিংয়ে চলে যায়। প্রায় আধঘণ্টার মধ্যে ফিরে এল। বাড়িতে এসে পুরো ঘটনা খুলে বলে। আমরা ইসলাম ধর্ম পালন করি, কিন্তু অজয় ​​ভীল ছেলেকে পথে থামিয়ে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বাধ্য করেছে। দুঃখের বিষয় যে তারা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এছাড়া, আমার ছেলের সাথে ভবিষ্যতে আরো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
      জয় শ্রীরাম না বলায় মুসলিম কিশোরকে লোহার রড দিয়ে মারধর:

      ২০২১সালের জুন মাসে, জয় শ্রীরাম না বলায় মুসলিম কিশোরকে লোহার রড দিয়ে মারধর করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। মুসলিম যুবকের ‘অপরাধ’ সে ‘জয় শ্রী রাম’ শ্লোগান দেয়নি। ব্যস– তাতেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে উঠে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। শুরু হয় ওই যুবককে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর। অত্যাচারকে চরম সীমায় নিয়ে যেতে গায়ে দেওয়া হয় পেরেকের খোঁচা। শত কান্না, অনুনয় বিনয় কিছুতেই মন ভেজেনি আক্রমণকারীদের।

      তোহরিতে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন জীশান। কিছু দূর আসতেই তাঁর পথ আটকায় হামলাকারীরা। এরপরই শুরু হয় তাঁকে টানা হ্যাঁচড়া। জীশান জানিয়েছেন, ‘আমাকে থামিয়ে আমার জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয়। বাইক ভেঙে দেয়। হামলাকারীদের দাবি, আমাকে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে হবে। আমি সেই শ্লোগান না দেওয়াতেই শুরু হয় লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। পেরেক দিয়ে আমার হাতে, পিঠে জোরে জোরে আঘাত করল। যখন তারা দেখল গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে, তখন তারা দৌড়ে পালাল। আর বলল, এবার ওকে মরতে দে।’
      ভারতে থাকতে হলে সবাইকে বলতে হবে ‘জয় শ্রীরাম:


      দিল্লীর বিখ্যাত যন্তর মন্তরে এক বিক্ষোভ মিছিলে মুসলিমবিরোধী চরম উগ্র শ্লোগান দিয়েছে একদল বিজেপি সমর্থক।

      ২০২১সালের আগস্ট মাসে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মুসলিমদের হত্যার স্লোগান দেয় বিজেপি সমর্থকরা। পাশাপাশি ঐ সমর্থকরা আরও দাবি করে যে, ভারতে থাকতে হলে সবাইকে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে হবে।

      উল্লেখ্য, ‘জয় শ্রীরামকে উগ্র হিন্দুরা মুসলিম হত্যার নতুন হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছে। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে মুসলিমদের উপর হামলা চালাচ্ছে। অনেক মুসলিমকে হতাহত করেছে।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. MP में 5वीं के छात्र से जबरन ‘जय श्रीराम’ बुलवाया:आरोपी ने ट्यूशन जा रहे छात्र को मारे थप्पड़; केस दर्ज
      https://tinyurl.com/3v2zp93c

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ইসলাম গ্রহণকারী অ্যান্ড্রু টেটকে গ্রেফতার করেছে রোমানিয়া



        অ্যান্ড্রু ট্রেট ও তাঁর সঙ্গীরা রোমানিয়ায় গ্রেফতারের মুহূর্ত। ছবি: রয়টার্স।


        অতি সম্প্রতি সত্য দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করা ব্রিটিশ-আমেরিকান কিকবক্সার এবং ইন্টারনেট ব্যক্তিত্ব অ্যান্ড্রু টেটকে গ্রেফতার করেছে রোমানিয়ান পুলিশ। ধর্ষণ ও মানব পাচারের কথিত অভিযোগে গত ২৯ ডিসেম্বর রাজধানী বুখারেস্ট থেকে টেট ও তাঁর ভাইকে আটক করা হয়েছে।

        অ্যান্ড্রু টেট ইসলাম গ্রহণ করার আগে থেকেই পশ্চিমা সংস্কৃতিতে নারীদের ফ্রি মিক্সিং-এর সমালোচনা এবং ইসলাম নারীকে যে সম্মান দিয়েছে, এর পক্ষে প্রশংসা করে কথা বলতেন। তিনি মনে করেন নারীর প্রতি যৌন সহিংসতার দায় নারীর নিজের। এ মন্তব্যের কারণে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক এবং টুইটারের (ইলন মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পর টুইটার একাউন্ট সচল করা হয়েছে) মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাঁকে।
        তাঁর গ্রেফতারের ঘটনায় ইসলামবিদ্বেষী পশ্চিমা নারীবাদীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে।
        উল্লেখ্য, গত ২৪ অক্টোবর অ্যান্ড্রু টেট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘গেটর’-এ নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। এ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নামাজের একটি ভিডিও-ও ভাইরাল হয়।
        দুবাইতে একটি মসজিদে প্রথমবারের মতো নামাজ আদায় করছেন অ্যান্ড্রু টেট- ছবি: সংগৃহীত।
        টেট পাঁচ বছর আগে ব্রিটেন ছেড়ে রোমানিয়ায় বসবাস করে আসছেন। ইসলাম গ্রহণ করার আগে থেকেই তিনি পশ্চিমা সংস্কৃতির সমালোচনা করে আসছিলেন। কিন্তু এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিলেও ইসলাম গ্রহণের পর পরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে পশ্চিমারা। তাঁর বিরুদ্ধে রোমানিয়ার এ পদক্ষেপ ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের প্রতিফলন বলেই মনে করা হচ্ছে।

        তথ্যসূত্র:
        ——
        1. Andrew Tate Detained in Romania on Suspicion of Rape, Human Trafficking-

        2. ব্রিটিশ-আমেরিকান কিক-বক্সার অ্যান্ড্রু টেটের ইসলাম গ্রহণ-
        https://tinyurl.com/b7z56acp

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গত বছর ৬০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে গৃহবন্দী করেছে ইসরাইল



          শিশুদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা স্বভাবজাত। কিন্তু কুখ্যাত ইহুদি জাতি এর ব্যতিক্রম। শিশু নির্যাতনে বরাবরই রেকর্ড সৃষ্টি করছে সন্ত্রাসী ইসরাইলি ইহুদিরা। ফিলিস্তিনি শিশুদের খুন ও গ্রেফতারের পর এবার নতুন এক নির্যাতনের খবর বেরিয়ে এলো।

          ২০২২ সালে জেরুজালেমে ৬০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে গৃহবন্দী করে রেখেছিল দখলদার ইসরাইল। গত ২৬ ডিসেম্বর ফিলিস্তিনের বন্দী ও প্রাক্তন বন্দী বিষয়ক কমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানিয়েছেন।

          জানা যায়, দখলদার ইসরাইল জেরুজালেমের ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের শাস্তির মাধ্যম হিসাবে এ নীতি চালু করেছে। গৃহবন্দী অবস্থায় ফিলিস্তিনি শিশুদের পায়ের গোড়ালিতে জিপিএস মনিটর পরতে বাধ্য করা হচ্ছে। বন্দী অবস্থায় তাদের স্কুল, এমনকি ক্লিনিকেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

          কিছু শিশুকে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে জেরুজালেম শহরের বাইরে ভাড়া করা বাড়িতে গৃহবন্দী করা হয়েছে। আর বন্দী শিশুদের পরিবারকে এসব বাড়ির ভাড়া পরিশোধের জন্য বাধ্য করছে সন্ত্রাসী ইসরাইল। এছাড়া জরিমানা তো রয়েছেই। ফলে ফিলিস্তিনিরা তাদের সন্তানদের মুক্তির জন্য দখলদার ইসরাইলের আদালত কর্তৃক আরোপিত অত্যধিক জরিমানা পরিশোধ ও বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করতে তাদের সম্পত্তি পর্যন্ত বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

          ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলের এমন বর্বরোচিত নির্যাতন সত্ত্বেও জাতিসংঘসহ কথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। মানবাতাবিরোধী সন্ত্রাসী ইসরাইলের বিপক্ষে তাদের নীরবতা, মুসলিমদের ব্যাপারে তাদের মানবাধিকারের দ্বিমুখী নীতিকেই নির্দেশ করে। প্রকৃতপক্ষে তারা কখনোই মুসলিমদের স্বার্থে কাজ করবে না। মুসলিমদের নিজেদের সমস্যাগুলো নিজেরাই মেটানোর জন্য সচেষ্ট হতে হবে।

          তথ্যসূত্র:
          ——
          1. Israel courts issued 600 house arrest orders against Palestinian children in 2022-
          https://tinyurl.com/nkakwkc2

          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X