উত্তরাখণ্ড: রেলওয়ে সংলগ্ন ৪,৩৬৫টি বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ, শীত মৌসুমে গৃহহীন মুসলিম বাসিন্দারা
উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট গফুর বস্তি নামে পরিচিত হলদওয়ানি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। রেলওয়ের পাশে ৭৮ একর জমিতে নির্মিত ৪ হাজার ৩৬৫টি ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে হাজারো মুসলিম পরিবার বুধবারে (২৮ ডিসেম্বর) উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের অমানবিক আদেশের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন।
উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট গত সপ্তাহে “হলদওয়ানির বনভুলপুরায় রেলওয়ের জমিতে নির্মাণ” ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি শরদ শর্মা এবং আরসি খুলবের একটি ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, বসতি স্থাপনকারীদের এক সপ্তাহের নোটিশ দেওয়া হবে যার পরে নির্মাণগুলো ভেঙে ফেলা হবে।
বনভূলপুরায় রেলওয়ের ২৯ একর জমি জুড়ে রয়েছে মসজিদ, স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসস্থান। হাইকোর্টের এই আদেশ ৪,৩৬৫টি পরিবারকে প্রভাবিত করবে, যাদের বেশিরভাগই মুসলিম।
রিপোর্ট অনুযায়ী,৭০০০ পুলিশ অফিসার এবং ১৫টি আধাসামরিক বাহিনী ধ্বংস অভিযান চালাবে। হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন 8 জানুয়ারির পরে বসতি ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু করবে, প্রস্ততিস্বরুপ গণপূর্ত বিভাগ ২০টি (জেসিবি)JCB, ২০টি পোকল্যান্ড নিয়োগ দিয়েছে।
মুসলিম দলগুলো উচ্ছেদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুসলিম বাসিন্দারা কান্নাকাটি করছেন এবং সরকারকে ধ্বংস অভিযান বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে লেখা একটি চিঠিতে, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তিহাদ উল মুসলিমীন, উত্তরাখণ্ডের (এআইএমআইএম) রাজ্য সভাপতি ডক্টর নায়ার কাজমি বলেছেন যে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে এখানে ৪৫০০ পরিবার বসবাস করছে এবং তারা বিদ্যুৎ সংযোগ, গৃহ কর, জল সংস্থা সংযোগ বিল আদায় করছে এবং তাদের কাছে অন্যান্য আবাসিক শংসাপত্রও আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মুসলিম পরিবারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাটি ২০১৬ সালে হিন্দু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরএসএস-এর অনুসারী রবি শঙ্কর জোশী দায়ের করেছিল।
চিঠিতে তিনি বলেন, “এই একতরফা সিদ্ধান্তে হাজার হাজার পরিবারকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে, সরকারের উচিত এই সংক্ষুব্ধ পরিবারের পক্ষকে হাইকোর্টের সামনে তুলে ধরা, যাতে তারা গৃহহীন হওয়া থেকে রক্ষা পায়।” .
ইতঃপূর্বে হিন্দুরা ২০২১ সাল থেকে আসাম রাজ্যে প্রায় ৪০০০ বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে। এখন উত্তরাখণ্ডেও মুসলিমদের বাড়িঘর গুড়িয়ে দিচ্ছে। মূলত, ইসরায়েলী নীতি অবলম্বন করে মুসলিমদের সমগ্র ভারত থেকে উচ্ছেদ করে একটি হিন্দু রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখছে উগ্র হিন্দুরা। আর হিন্দুদের এই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করতে চাইলে মুসলিমদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ।
তথ্যসূত্র:
—–
1.Uttarakhand: 4,365 families in Muslim locality to become homeless as HC orders demolition of ‘constructions in Railway land’
– https://tinyurl.com/3cpuxjmt
2.Uttarakhand: Over 4000 houses to be demolished in the name of railway encroachment, majority of inhabitants Muslim ( Muslim Mirror)
3. video link: https://tinyurl.com/ybkuu2ve
উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট গফুর বস্তি নামে পরিচিত হলদওয়ানি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। রেলওয়ের পাশে ৭৮ একর জমিতে নির্মিত ৪ হাজার ৩৬৫টি ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে হাজারো মুসলিম পরিবার বুধবারে (২৮ ডিসেম্বর) উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের অমানবিক আদেশের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন।
উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট গত সপ্তাহে “হলদওয়ানির বনভুলপুরায় রেলওয়ের জমিতে নির্মাণ” ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি শরদ শর্মা এবং আরসি খুলবের একটি ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, বসতি স্থাপনকারীদের এক সপ্তাহের নোটিশ দেওয়া হবে যার পরে নির্মাণগুলো ভেঙে ফেলা হবে।
বনভূলপুরায় রেলওয়ের ২৯ একর জমি জুড়ে রয়েছে মসজিদ, স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসস্থান। হাইকোর্টের এই আদেশ ৪,৩৬৫টি পরিবারকে প্রভাবিত করবে, যাদের বেশিরভাগই মুসলিম।
রিপোর্ট অনুযায়ী,৭০০০ পুলিশ অফিসার এবং ১৫টি আধাসামরিক বাহিনী ধ্বংস অভিযান চালাবে। হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন 8 জানুয়ারির পরে বসতি ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু করবে, প্রস্ততিস্বরুপ গণপূর্ত বিভাগ ২০টি (জেসিবি)JCB, ২০টি পোকল্যান্ড নিয়োগ দিয়েছে।
মুসলিম দলগুলো উচ্ছেদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুসলিম বাসিন্দারা কান্নাকাটি করছেন এবং সরকারকে ধ্বংস অভিযান বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে লেখা একটি চিঠিতে, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তিহাদ উল মুসলিমীন, উত্তরাখণ্ডের (এআইএমআইএম) রাজ্য সভাপতি ডক্টর নায়ার কাজমি বলেছেন যে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে এখানে ৪৫০০ পরিবার বসবাস করছে এবং তারা বিদ্যুৎ সংযোগ, গৃহ কর, জল সংস্থা সংযোগ বিল আদায় করছে এবং তাদের কাছে অন্যান্য আবাসিক শংসাপত্রও আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মুসলিম পরিবারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাটি ২০১৬ সালে হিন্দু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরএসএস-এর অনুসারী রবি শঙ্কর জোশী দায়ের করেছিল।
চিঠিতে তিনি বলেন, “এই একতরফা সিদ্ধান্তে হাজার হাজার পরিবারকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে, সরকারের উচিত এই সংক্ষুব্ধ পরিবারের পক্ষকে হাইকোর্টের সামনে তুলে ধরা, যাতে তারা গৃহহীন হওয়া থেকে রক্ষা পায়।” .
ইতঃপূর্বে হিন্দুরা ২০২১ সাল থেকে আসাম রাজ্যে প্রায় ৪০০০ বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে। এখন উত্তরাখণ্ডেও মুসলিমদের বাড়িঘর গুড়িয়ে দিচ্ছে। মূলত, ইসরায়েলী নীতি অবলম্বন করে মুসলিমদের সমগ্র ভারত থেকে উচ্ছেদ করে একটি হিন্দু রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখছে উগ্র হিন্দুরা। আর হিন্দুদের এই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করতে চাইলে মুসলিমদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ।
তথ্যসূত্র:
—–
1.Uttarakhand: 4,365 families in Muslim locality to become homeless as HC orders demolition of ‘constructions in Railway land’
– https://tinyurl.com/3cpuxjmt
2.Uttarakhand: Over 4000 houses to be demolished in the name of railway encroachment, majority of inhabitants Muslim ( Muslim Mirror)
3. video link: https://tinyurl.com/ybkuu2ve
Comment