সিরিয়া যুদ্ধের ১১ বছর, প্রতিদিন প্রাণ যাচ্ছে ৮৪ জনের
২০২২ বিদায় নিয়েছে, শুরু হয়েছে নতুন বছর ২০২৩। নতুন বছরে ভালো মানুষদের চেষ্টা থাকে আগের ভুল-ভ্রান্তি শুধরে নতুন করে নিজের জীবন পরিচালনার। অবিরাম প্রচেষ্টা থাকে পুরো বছর ভালো হয়ে চলার। কিন্তু জালিমরা যেন নতুন বছরে নতুন নতুন আরও জুলুম নিয়ে হাজির হয়। প্রতি বছর নতুন উদ্যমে চলে তাদের জুলুমের মাত্রা। আরাকান, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, পূর্ব তুর্কিস্তান ও সিরিয়াসহ সর্বত্রই চলছে জালিমদের অবিরাম জুলুম ও আগ্রাসন।
এসবের মধ্যে দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার মুসলিমদের ওপর চলছে নুসাইরি বাশার আল আসাদের শিয়া জোট ও সন্ত্রাসী রাশিয়ার আগ্রাসী হামলা। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালেও তাদের হামলার কোনো কমতি ছিল না। এমনকি হামলা হয়েছে শরণার্থী শিবিরেও।
বছরজুড়ে এসব হামলায় ১৬৫ জন সাধারণ মুসলিম নিহত হবার তথ্য প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস (হুয়াইট হেলমেট)। নিহতদের মধ্যে ৫৫ জন শিশু ও ১৪ জন নারী। এছাড়াও হামলায় নারী ও শিশুসহ গুরুতর আহত হয়েছেন ৪৪৮ জন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এ বছর সামরিক ও বেসামরিকসহ মোট ৩৮২৫ জন নিহত হয়েছে সিরিয়া যুদ্ধে।২০১১ সালে সিরিয়ায় মুসলিমদের ওপর আগ্রাসন শুরু করে নুসাইরি সন্ত্রাসী বাশার আল আসাদ। এরপর সুন্নি মুসলিমদের উপর কয়েক দফা রাসায়নিক হামলা করে চালানো হয় ইতিহাসের বর্বরোচিত গণহত্যা। এক্ষেত্রে তার পিতা সন্ত্রাসী হাফেজ আল আসাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে সন্ত্রাসী বাশার আল আসাদ। তার পিতা হাফেজ আল আসাদ ১৯৮২ সালে সিরিয়ার হামা শহরে গণহত্যা চালিয়ে ৪০ হাজার মুসলিমকে হত্যা করে। একইভাবে সন্ত্রাসী বাশার আল আসাদও তার জোট ও রাশিয়ার সহায়তায় সিরিয়ায় মুসলিমদের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে নির্যাতিত সিরিয়ানরা সন্ত্রাসী বাশার আল আসাদের নির্যাতনের প্রেক্ষিতে এক সময় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ শুরু করে। ফলে সিরিয়ায় শুরু হয় এক মহাযুদ্ধ। যা এখনো চলমান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গোটা পশ্চিমা বিশ্ব আগ্রাসী রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। একই রাশিয়া সিরিয়ায় আগ্রাসী হামলা চালিয়ে লাখ লাখ বেসামরিক মানুষ হত্যা করছে। কিন্তু দালাল জাতিসংঘ ও মানবাধিকারের ধ্বজাধারী পশ্চিমা সন্ত্রাসীরা সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীরা নিজ নিজ স্বার্থে একেক পক্ষে অবস্থা নিয়ে নিজেদের প্রক্সি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। ফলে লাখ লাখ সিরিয়ান মুসলিম আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়ে শাহাদাতবরণ করেছেন, এখনও করছেন।
দেশটিতে দীর্ঘ ১১ বছরের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩০ লাখ ৬ হাজার ৮৮৭ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দীর্ঘ যুদ্ধে সিরিয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। তবে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশিই হবে। কারণ, এ হিসাব করা হয়েছে কেবল যুদ্ধে সরাসরি যারা মারা গেছে, তাদের ধরে। এছাড়াও যুদ্ধের ফলে মিলিয়ন মিলিয়ন সিরিয়াবাসী বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সিরিয়ায় দীর্ঘ ১১ বছর ধরে যুদ্ধে এত প্রাণহানির পরও কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন পর্যন্ত কোনো সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ থেকে এটিই প্রতীয়মান হয় যে, সিরিয়ায় ৩০ লাখ নয় যদি ৩০ কোটি মানুষও নিহত হয় তবুও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও শিয়া জোটের আগ্রাসী মনোভাব কিঞ্চিতও পরিবর্তন হবে না; আর না জাতিসংঘ বা এই ধরনের কোনো সংস্থা মুসলিমদের মুক্তির জন্য কাজ করবে। এ অবস্থায় মুসলিম জাতিকে নববী সুন্নাহ অনুসরণ করে নিজেদের মুক্তির লড়াইয়ে নিজেদেরকেই সামনে বাড়তে হবে। মাজলুম মুসলিমদের মুক্তির জন্য নববী সুন্নাহ অনুসরণের বিকল্প কোনো পন্থা নেই।
২০২২ বিদায় নিয়েছে, শুরু হয়েছে নতুন বছর ২০২৩। নতুন বছরে ভালো মানুষদের চেষ্টা থাকে আগের ভুল-ভ্রান্তি শুধরে নতুন করে নিজের জীবন পরিচালনার। অবিরাম প্রচেষ্টা থাকে পুরো বছর ভালো হয়ে চলার। কিন্তু জালিমরা যেন নতুন বছরে নতুন নতুন আরও জুলুম নিয়ে হাজির হয়। প্রতি বছর নতুন উদ্যমে চলে তাদের জুলুমের মাত্রা। আরাকান, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, পূর্ব তুর্কিস্তান ও সিরিয়াসহ সর্বত্রই চলছে জালিমদের অবিরাম জুলুম ও আগ্রাসন।
এসবের মধ্যে দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার মুসলিমদের ওপর চলছে নুসাইরি বাশার আল আসাদের শিয়া জোট ও সন্ত্রাসী রাশিয়ার আগ্রাসী হামলা। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালেও তাদের হামলার কোনো কমতি ছিল না। এমনকি হামলা হয়েছে শরণার্থী শিবিরেও।
বছরজুড়ে এসব হামলায় ১৬৫ জন সাধারণ মুসলিম নিহত হবার তথ্য প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস (হুয়াইট হেলমেট)। নিহতদের মধ্যে ৫৫ জন শিশু ও ১৪ জন নারী। এছাড়াও হামলায় নারী ও শিশুসহ গুরুতর আহত হয়েছেন ৪৪৮ জন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এ বছর সামরিক ও বেসামরিকসহ মোট ৩৮২৫ জন নিহত হয়েছে সিরিয়া যুদ্ধে।২০১১ সালে সিরিয়ায় মুসলিমদের ওপর আগ্রাসন শুরু করে নুসাইরি সন্ত্রাসী বাশার আল আসাদ। এরপর সুন্নি মুসলিমদের উপর কয়েক দফা রাসায়নিক হামলা করে চালানো হয় ইতিহাসের বর্বরোচিত গণহত্যা। এক্ষেত্রে তার পিতা সন্ত্রাসী হাফেজ আল আসাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে সন্ত্রাসী বাশার আল আসাদ। তার পিতা হাফেজ আল আসাদ ১৯৮২ সালে সিরিয়ার হামা শহরে গণহত্যা চালিয়ে ৪০ হাজার মুসলিমকে হত্যা করে। একইভাবে সন্ত্রাসী বাশার আল আসাদও তার জোট ও রাশিয়ার সহায়তায় সিরিয়ায় মুসলিমদের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে নির্যাতিত সিরিয়ানরা সন্ত্রাসী বাশার আল আসাদের নির্যাতনের প্রেক্ষিতে এক সময় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ শুরু করে। ফলে সিরিয়ায় শুরু হয় এক মহাযুদ্ধ। যা এখনো চলমান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গোটা পশ্চিমা বিশ্ব আগ্রাসী রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। একই রাশিয়া সিরিয়ায় আগ্রাসী হামলা চালিয়ে লাখ লাখ বেসামরিক মানুষ হত্যা করছে। কিন্তু দালাল জাতিসংঘ ও মানবাধিকারের ধ্বজাধারী পশ্চিমা সন্ত্রাসীরা সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীরা নিজ নিজ স্বার্থে একেক পক্ষে অবস্থা নিয়ে নিজেদের প্রক্সি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। ফলে লাখ লাখ সিরিয়ান মুসলিম আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়ে শাহাদাতবরণ করেছেন, এখনও করছেন।
দেশটিতে দীর্ঘ ১১ বছরের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩০ লাখ ৬ হাজার ৮৮৭ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দীর্ঘ যুদ্ধে সিরিয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। তবে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশিই হবে। কারণ, এ হিসাব করা হয়েছে কেবল যুদ্ধে সরাসরি যারা মারা গেছে, তাদের ধরে। এছাড়াও যুদ্ধের ফলে মিলিয়ন মিলিয়ন সিরিয়াবাসী বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সিরিয়ায় দীর্ঘ ১১ বছর ধরে যুদ্ধে এত প্রাণহানির পরও কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন পর্যন্ত কোনো সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ থেকে এটিই প্রতীয়মান হয় যে, সিরিয়ায় ৩০ লাখ নয় যদি ৩০ কোটি মানুষও নিহত হয় তবুও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও শিয়া জোটের আগ্রাসী মনোভাব কিঞ্চিতও পরিবর্তন হবে না; আর না জাতিসংঘ বা এই ধরনের কোনো সংস্থা মুসলিমদের মুক্তির জন্য কাজ করবে। এ অবস্থায় মুসলিম জাতিকে নববী সুন্নাহ অনুসরণ করে নিজেদের মুক্তির লড়াইয়ে নিজেদেরকেই সামনে বাড়তে হবে। মাজলুম মুসলিমদের মুক্তির জন্য নববী সুন্নাহ অনুসরণের বিকল্প কোনো পন্থা নেই।
প্রতিবেদক: ইউসুফ আল-হাসান
তথ্যসূত্র:
—
১. Statistics of the number of victims of attacks by the regime, Russia, and their loyal militias, during the year 2022 in Syria- https://tinyurl.com/hh5ftm2u
২. Syria records lowest deaths in 2022 since war began; 3,825 dead including 321 kids, says war monitor-https://tinyurl.com/36hm4p9z
৩. UN Human Rights Office estimates more than 306,000 civilians were killed over 10 years in Syria conflict-https://tinyurl.com/3xj5rejk
Comment