সাবরা ও শাতিলায় ৩ দিনে ৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল
১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লেবাননে ফিলিস্তিনিদের ওই দু’টি শরণার্থী শিবিরে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম এ ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হয়েছিল। তিনদিন ধরে চালানো ওই গণহত্যায় বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয় যাদের বেশিরভাগই ছিল নিরীহ নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। নিহতদের মধ্যে ততকালীন যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননের অনেক নাগরিকও ছিলো।
১৯৮২ সালে লেবাননে ইসরায়েলি হামলা এবং তারা বৈরুত দখল করে নেয়ার পর সাবরা ও শাতিলা ফিলিস্তিন শরণার্থী শিবিরে ওই গণহত্যা চালানো হয়। সে সময় এরিয়েল শ্যারন দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলো। শ্যারন লেবাননের সামির জাজা ও ইয়ালি হাবিকের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী খ্রিস্টান ফ্যালাঞ্জিস্ট আধা সামরিক বাহিনীর সহায়তায় সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবির দু’টিতে গণহত্যা চালিয়েছিলো। এ গণহত্যায় নিহত হয় অন্ততঃ ৫ হাজার ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ ও শিশু। নিহতদের মধ্যে ১৪০ জন ছিল লেবাননের নাগরিক।
ওই গণহত্যার পর তৎকালীন যুদ্ধমন্ত্রী সন্ত্রাসী এরিয়েল শ্যারন মানুষের কাছে সাবরা ও শাতিলার কষাই হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করে। অবশ্য ওই গণহত্যার ঘটনা ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রথম কিংবা শেষ অপরাধযজ্ঞ ছিলো না। সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবিরে গণহত্যার আগেও ইহুদিবাদী ইসরাইল দেইর ইয়াসিন ও গ্বাফ্*ফর কাসেম এলাকায়ও ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্মম গণহত্যা চালিয়েছিল। সাবরা ও শাতিলার ঘটনার পরও ইসরায়েলের অপরাধযজ্ঞ অব্যাহত থাকে। ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের কানা এলাকার নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা ছাড়াও ফিলিস্তিনে জেনিন ও রাফা এলাকায়ও ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিলো।
লেবাননের সাবরা ও শাতিলা ফিলিস্তিন শরণার্থী শিবিরে মাত্র তিন দিনে প্রায় ৫০০০ লোককে হত্যা করা হলেও এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতার তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিশ্বের সাধারণ জনগণ। জনগণের ব্যাপক প্রতিবাদ সমাবেশের পরিপ্রেক্ষিতে পাশ্চাত্যসহ বিভিন্ন দেশের আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবিরে গণহত্যার জন্য তারা ইহুদিবাদী ইসরাইলকে দায়ী করে। প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে মানবতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করে বলা হয় এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আন্তর্জাতিক সমাজ ইসরায়েলের ও তার অনুচরদের শাস্তির দাবি জানালেও আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা বা পাশ্চাত্যের দেশগুলো আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কোন মুসলিম রাষ্ট্র এগিয়ে আসেনি এর বিচার বা প্রতিশোধ নিতে। এ কারণে দখলদার ইসরায়েল আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং ফিলিস্তিনসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে একই ধরনের অপরাধযজ্ঞের পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছে।
১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লেবাননে ফিলিস্তিনিদের ওই দু’টি শরণার্থী শিবিরে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম এ ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হয়েছিল। তিনদিন ধরে চালানো ওই গণহত্যায় বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয় যাদের বেশিরভাগই ছিল নিরীহ নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। নিহতদের মধ্যে ততকালীন যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননের অনেক নাগরিকও ছিলো।
১৯৮২ সালে লেবাননে ইসরায়েলি হামলা এবং তারা বৈরুত দখল করে নেয়ার পর সাবরা ও শাতিলা ফিলিস্তিন শরণার্থী শিবিরে ওই গণহত্যা চালানো হয়। সে সময় এরিয়েল শ্যারন দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলো। শ্যারন লেবাননের সামির জাজা ও ইয়ালি হাবিকের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী খ্রিস্টান ফ্যালাঞ্জিস্ট আধা সামরিক বাহিনীর সহায়তায় সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবির দু’টিতে গণহত্যা চালিয়েছিলো। এ গণহত্যায় নিহত হয় অন্ততঃ ৫ হাজার ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ ও শিশু। নিহতদের মধ্যে ১৪০ জন ছিল লেবাননের নাগরিক।
ওই গণহত্যার পর তৎকালীন যুদ্ধমন্ত্রী সন্ত্রাসী এরিয়েল শ্যারন মানুষের কাছে সাবরা ও শাতিলার কষাই হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করে। অবশ্য ওই গণহত্যার ঘটনা ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রথম কিংবা শেষ অপরাধযজ্ঞ ছিলো না। সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবিরে গণহত্যার আগেও ইহুদিবাদী ইসরাইল দেইর ইয়াসিন ও গ্বাফ্*ফর কাসেম এলাকায়ও ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্মম গণহত্যা চালিয়েছিল। সাবরা ও শাতিলার ঘটনার পরও ইসরায়েলের অপরাধযজ্ঞ অব্যাহত থাকে। ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের কানা এলাকার নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা ছাড়াও ফিলিস্তিনে জেনিন ও রাফা এলাকায়ও ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিলো।
লেবাননের সাবরা ও শাতিলা ফিলিস্তিন শরণার্থী শিবিরে মাত্র তিন দিনে প্রায় ৫০০০ লোককে হত্যা করা হলেও এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতার তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিশ্বের সাধারণ জনগণ। জনগণের ব্যাপক প্রতিবাদ সমাবেশের পরিপ্রেক্ষিতে পাশ্চাত্যসহ বিভিন্ন দেশের আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবিরে গণহত্যার জন্য তারা ইহুদিবাদী ইসরাইলকে দায়ী করে। প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে মানবতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করে বলা হয় এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আন্তর্জাতিক সমাজ ইসরায়েলের ও তার অনুচরদের শাস্তির দাবি জানালেও আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা বা পাশ্চাত্যের দেশগুলো আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কোন মুসলিম রাষ্ট্র এগিয়ে আসেনি এর বিচার বা প্রতিশোধ নিতে। এ কারণে দখলদার ইসরায়েল আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং ফিলিস্তিনসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে একই ধরনের অপরাধযজ্ঞের পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছে।
Comment