ইসলাম বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়, মসজিদ নির্মাণে বাধা
দক্ষিণ কোরিয়ায় দায়গু শহরে একটি মসজিদ নির্মাণে দীর্ঘ এক বছর ধরে বাধা দিয়ে আসছে স্থানীয় ইসলাম বিদ্বেষী কোরিয়ান বাসিন্দারা। ‘মসজিদ কোরিয়ান সংস্কৃতির বিপরীত’ এ অযুহাতে মসজিদ নির্মাণে বাধা দিয়ে আসছে তারা।স্থানীয় মুসলিম এবং দেশটিতে পড়তে যাওয়া বিদেশী মুসলিমরা বিষয়টিকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত মসজিদ নির্মাণের অনুমতি প্রদান করে।
কিন্তু এরপরও ইসলাম বিদ্বেষী কোরিয়ানরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও মসজিদ নির্মাণের বিরোধীতা অব্যাহত রেখেছে।মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা করে একাধিকবার বিক্ষোভ ও সমাবেশও করেছে ইসলাম বিদেষীরা। এসব সমাবেশ থেকে মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য ও মুসলিমদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া হয়। বলা হয় যে, ‘ইসলাম একটি খারাপ ধর্ম, এটি মানুষকে হত্যা করে।’
এর ফলে দেশটিতে ইসলাম বিদ্বেষ আগের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।সেখানে পড়তে যাওয়া বিদেশী মুসলিম ছাত্ররা জানিয়েছেন, মসজিদ নির্মাণের আগে স্থানীয়দের সাথে তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো ছিলো। কিন্তু এখন তাদেরকে সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে।
সম্প্রতি শুকরের মাথা কেটে মসজিদের সামনে রেখে দিচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষীরা। গত দুই মাসে তিন বার এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। মসজিদের কাছেই শুকরের মাংস ভোজের পার্টি অনুষ্ঠান করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে দেশটিতে।
এছাড়াও নামাজের সময় মসজিদের কাছে লাউড স্পিকারে গান বাজিয়ে নামজে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে তারা।ইসলাম বিদ্বেষ ও মুসলিমদের হত্যায় পশ্চিমা বিশ্ব এগিয়ে থাকলেও, প্রাচ্যের দেশসমূহেও ইসলাম বিদ্বেষের ক্ষেত্রে কোন অংশে কম নয়। ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে ৫ শ’ ইয়েমেনি শরণার্থী আগমনের ফলে সেখানে প্রথম অভিবাসী বিরোধী বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে।
কোরিয়ানরা অভিযোগ তুলে যে, দেশটির সরকার সন্ত্রাসীদের (মুসলিমদের) আশ্রয় দিচ্ছে।দায়গু এলাকায় মসজিদের বিরোধিতাকারী এবং দেশব্যাপী অভিবাসন বিরোধী নেটওয়ার্ক রিফিউজি আউট-এর নেতা লি হিউং-ওহ বলেছে, ‘তাদের (মুসলিমদের) কখনই আমাদের দেশে পা রাখা উচিত নয়।’
এছাড়াও যারা মসজিদ এবং অভিবাসনের বিরোধিতা করেছে তারা প্রায়ই অভিযোগ করছে যে, এসব বিদেশীদের আগমন দক্ষিণ কোরিয়ার ‘বিশুদ্ধ রক্ত’ এবং ‘জাতিগত একতাকে’ হুমকির মুখে ফেলছে।উল্লেখ্য যে, দক্ষিণ কোরিয়াতে মাত্র ২ লাখ মুসলিম বসবাস করেন, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার এক ভাগেরও কম।
এদের মধ্যে ৭০-৮০ ভাগই বিদেশী, যারা দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। এই অল্প সংখ্যক মুসলিম প্রায়শই বর্ণবাদী বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন সেখানে।
তথ্যসূত্র:১। Pig heads, pork barbecues: Islamophobic attacks on a mosque under construction in South Korea – https://tinyurl.com/4tw36z44
দক্ষিণ কোরিয়ায় দায়গু শহরে একটি মসজিদ নির্মাণে দীর্ঘ এক বছর ধরে বাধা দিয়ে আসছে স্থানীয় ইসলাম বিদ্বেষী কোরিয়ান বাসিন্দারা। ‘মসজিদ কোরিয়ান সংস্কৃতির বিপরীত’ এ অযুহাতে মসজিদ নির্মাণে বাধা দিয়ে আসছে তারা।স্থানীয় মুসলিম এবং দেশটিতে পড়তে যাওয়া বিদেশী মুসলিমরা বিষয়টিকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত মসজিদ নির্মাণের অনুমতি প্রদান করে।
কিন্তু এরপরও ইসলাম বিদ্বেষী কোরিয়ানরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও মসজিদ নির্মাণের বিরোধীতা অব্যাহত রেখেছে।মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা করে একাধিকবার বিক্ষোভ ও সমাবেশও করেছে ইসলাম বিদেষীরা। এসব সমাবেশ থেকে মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য ও মুসলিমদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া হয়। বলা হয় যে, ‘ইসলাম একটি খারাপ ধর্ম, এটি মানুষকে হত্যা করে।’
এর ফলে দেশটিতে ইসলাম বিদ্বেষ আগের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।সেখানে পড়তে যাওয়া বিদেশী মুসলিম ছাত্ররা জানিয়েছেন, মসজিদ নির্মাণের আগে স্থানীয়দের সাথে তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো ছিলো। কিন্তু এখন তাদেরকে সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে।
সম্প্রতি শুকরের মাথা কেটে মসজিদের সামনে রেখে দিচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষীরা। গত দুই মাসে তিন বার এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। মসজিদের কাছেই শুকরের মাংস ভোজের পার্টি অনুষ্ঠান করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে দেশটিতে।
এছাড়াও নামাজের সময় মসজিদের কাছে লাউড স্পিকারে গান বাজিয়ে নামজে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে তারা।ইসলাম বিদ্বেষ ও মুসলিমদের হত্যায় পশ্চিমা বিশ্ব এগিয়ে থাকলেও, প্রাচ্যের দেশসমূহেও ইসলাম বিদ্বেষের ক্ষেত্রে কোন অংশে কম নয়। ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে ৫ শ’ ইয়েমেনি শরণার্থী আগমনের ফলে সেখানে প্রথম অভিবাসী বিরোধী বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে।
কোরিয়ানরা অভিযোগ তুলে যে, দেশটির সরকার সন্ত্রাসীদের (মুসলিমদের) আশ্রয় দিচ্ছে।দায়গু এলাকায় মসজিদের বিরোধিতাকারী এবং দেশব্যাপী অভিবাসন বিরোধী নেটওয়ার্ক রিফিউজি আউট-এর নেতা লি হিউং-ওহ বলেছে, ‘তাদের (মুসলিমদের) কখনই আমাদের দেশে পা রাখা উচিত নয়।’
এছাড়াও যারা মসজিদ এবং অভিবাসনের বিরোধিতা করেছে তারা প্রায়ই অভিযোগ করছে যে, এসব বিদেশীদের আগমন দক্ষিণ কোরিয়ার ‘বিশুদ্ধ রক্ত’ এবং ‘জাতিগত একতাকে’ হুমকির মুখে ফেলছে।উল্লেখ্য যে, দক্ষিণ কোরিয়াতে মাত্র ২ লাখ মুসলিম বসবাস করেন, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার এক ভাগেরও কম।
এদের মধ্যে ৭০-৮০ ভাগই বিদেশী, যারা দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। এই অল্প সংখ্যক মুসলিম প্রায়শই বর্ণবাদী বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন সেখানে।
তথ্যসূত্র:১। Pig heads, pork barbecues: Islamophobic attacks on a mosque under construction in South Korea – https://tinyurl.com/4tw36z44
Comment