Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১২ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ০৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১২ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ০৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

    গণহত্যার প্রস্তুতি: জয়পুরে শত শত হিন্দুকে বজরং দলের ‘ত্রিশূল দীক্ষা’



    রাজস্থানের শাস্ত্রী নগরে চরম উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী বজরং দলের নেতারা শত শত স্থানীয় হিন্দুকে ত্রিশূল বিতরণ করেছে। তাদেরকে উগ্রবাদী শপথও করানো হয়েছে।

    গত ০৩ জানুয়ারী মঙ্গলবারে প্রকাশিত ভিডিওগুলিতে দেখা যায়, উগ্র হিন্দু বজরং দল জয়পুরে ৩০০ এর বেশি হিন্দু যুবককে ‘ত্রিশূল দীক্ষা’ দিচ্ছে। সংগঠনের দাবি, যারা দীক্ষা নিয়েছে তারা দেশ ও হিন্দুত্ব রক্ষার শপথ নিয়েছে। গেরুয়া গ্রুপটি আরও দাবি করেছে যে যুবসমাজকে সাহসী করে তোলার লক্ষ্যে এই কর্মসূচিটি সারা দেশে পরিচালিত হবে।

    তবে বিশ্লেষকগণ হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা মুসলিমদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন, সন্ত্রাসী দলগুলো হিন্দু যুবকদের অস্ত্র দিয়ে গণহত্যার পরিবেশ তৈরি করছে। এবং তাদের হিংস্র করে তুলছে।

    এই সংবাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, ভারতের বাইরে একটি বিশিষ্ট মুসলিম সংস্থা টুইট করেছে “রুয়ান্ডার গণহত্যার আগে, হুটুসদের মধ্যে একইভাবে টন টন ছুরি বিতরণ করা হয়েছিল।”

    রুয়ান্ডার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক অ্যাটর্নি গ্রেগ গর্ডন বলেছেন, “আমরা সম্প্রতি ভারতে [গণহত্যার জন্য] সরাসরি প্রকাশ্যে আহ্বান জানাতে দেখেছি। এমনকি শর্তসাপেক্ষে মুসলিমদের উপর হামলা চালানোর আহ্বানও শুনেছি যে, -‘যদি তারা এটি করে তবে আমরা তা করব’ – এটিও উসকানি।”

    কম্বোডিয়ার জেনোসাইড ডকুমেন্টেশন সেন্টারের একজন গবেষক মং জার্নি বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি যে, ভারত কেবল দ্বারপ্রান্তে নয়- বরং ইতিমধ্যেই একটি প্রকাশ্য গণহত্যার প্রক্রিয়ায় রয়েছে৷ হিন্দুত্ববাদী হত্যাকারীরা দুর্বল জনগোষ্ঠীকে তাদের ধর্মের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে চিত্রিত করেছে। যখন কোন দেশে এই মানবনির্মূলীকরণ শুরু হয়, তখন ঐ দেশ ইতিমধ্যেই গণহত্যা প্রক্রিয়ার গভীরে চলে যায়। যদিও পূর্ণ মাত্রায় হত্যাকাণ্ড শুরু হতে কিছুটা দেরী হতে পারে।”

    উল্লেখ্য যে, ভারতে আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (আরএসএস-এর ধর্মীয় শাখা), এবং বজরং দল (ভিএইচপি-এর যুব শাখা) সম্মিলিতভাবে মোট প্রায় ১৫ মিলিয়ন সন্ত্রাসী সদস্য আছে। সংগঠনগুলো নতুন করে আরো সদস্য বাড়ানোর কার্যক্রম চালাচ্ছে। কর্মীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।



    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. Bajrang Dal provides ‘Trishul Diksha’ to 300 Hindu men in Jaipur
    https://tinyurl.com/2sxb86pe
    video link: https://tinyurl.com/yckruycm
    2. The Erasure: California Panel Claims Indian Muslims Face Impending Genocide
    https://tinyurl.com/2s468uew
    3. Process of Genocide Already Underway in India: Experts at Global Summit
    https://tinyurl.com/yckjhvrc

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আরাকান || মুসলিমবিরোধী উগ্র সন্ন্যাসীকে জাতীয় সম্মাননা প্রদান




    আরাকানে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি বিদ্বেষ ছড়িয়েছিল উগ্র বৌদ্ধ সন্যাসীরা। এসব কথিত সন্ন্যাসীরা কয়েক যুগ ধরে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়িয়ে প্রায় গোটা মিয়ানমারকেই ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী বানিয়েছে। মিয়ানমারকে বৌদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে মুসলিমদেরকে প্রধান অন্তরায় ভাবতে শুরু করে বৌদ্ধরা। ফলে, হিংস্র বৌদ্ধরা ‘শান্তি শান্তি’ আর ‘জীব হত্যা মহাপাপ’ বলে স্লোগান দিলেও, রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহারে হত্যা ও দেশান্তর করে মিয়ানমারকে বৌদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে তারা।আর এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক কালে মূখ্য ভূমিকা পালন করে উগ্রবাদী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উইরাথু। উইরাথু দীর্ঘদিন ধরে তার অতি জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামবিরোধী বক্তব্যের জন্য পরিচিত। বিশেষ করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সে বিভিন্ন সভা সেমিনারে প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখে। মুসলিমদের বয়কটের আহ্বান জানিয়ে মুসলিম মালিকানাধীন ব্যবসা ও মুসলিম যুবকদের সাথে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মেয়েদের বিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর ফলে বর্তমান হিন্দুত্ববাদী ভারতের মতো সেখানেও ইসলাম বিদ্বেষ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবং এক সময় তা গণহত্যায় রুপ নেয়।উগ্র উইরাথু ২০১৯ সালে ইয়াঙ্গুনে একটি জাতীয়তাবাদী সমাবেশে মুসলিমবিরোধী বক্তৃতা দিচ্ছে- ছবি: আল-জাজিরা।মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছিল, তার মূলভিত্তি স্থাপন করেছিল এই উগ্রবাদী উইরাথু। এসব কর্মকাণ্ডের জন্য ২০১৩ সালে ‘দ্যা ফেস অব বুদ্ধিস্ট টেরর’ বা বৌদ্ধ সন্ত্রাসের প্রতিচ্ছবি শিরোনামে তাকে নিয়ে টাইম ম্যাগাজিন প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।আর এমন বর্বর সন্ত্রাসীকে মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় সম্মাননা দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। সরকারী মুখপাত্রের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এমআরটিভি। এই সন্ত্রাসীকে সম্মাননা দেয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমার সামরিক জান্তার ভাষ্য, ‘মিয়ানমার ইউনিয়নের কল্যাণের জন্য অসামান্য অবদান রেখেছে সন্ন্যাসী উইরাথু।’ এর প্রতিদান হিসেবে তাকে সম্মানসূচক ‘থিরি প্যানচি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। দেশটির সামরিক শাসক জেনারেল মিন অং হ্লাইং গত ৪ জানুয়ারি সন্ত্রাসী উইরাথুর হাতে “সম্মাননা” তুলে দিয়েছে।উগ্র বৌদ্ধ সন্ত্রাসবাদী উইরাথুকে সম্মাননা প্রদান করছে দেশটির প্রধান মিন অং হ্লাইং- ছবি: আল-জাজিরা।মূলত এর মাধ্যমে আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার ক্ষেত্রে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সম্মিলিত ঘৃণ্য প্রচেষ্টার প্রকাশ্য স্বীকৃতি দিল মিয়ানমার জান্তা সরকার।শুধু মিয়ানমার নয়, পৃথিবীর সর্বত্রই এখন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদে মাধ্যমে মুসলিমদের নিধন করা হচ্ছে। এভাবে কাশ্মীরে চলছে দখলদার ভারতীয় সন্ত্রাস, পূর্ব-তুর্কিস্তানে দখলদার চীনের সন্ত্রাস, ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলের সন্ত্রাস। আর এখন নতুন করে ভারতের অভ্যন্তরে শুরু হচ্ছে হিন্দুত্ববাদের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।এভাবে প্রতিটি ভূ-খণ্ডে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলিমদের ওপর আগ্রাসন চালানো হচ্ছে। আর মুসলিম ভূ-খণ্ডের নামধারী শাসকগোষ্ঠী এসবের প্রতিবাদ না করে উলটো- যেসব আলেম-উলামাগণ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিমদের সতর্ক করছেন, মুসলিমদ জাতিকে জালিমদের প্রতিরোধ করার আহ্বান জানাচ্ছেন- তাদেরকে জঙ্গী-সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করছে। আর এভাবেই প্রতিটি মুসলিম রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী মুসলিমদের বিরুদ্ধাচরণ করে গাদ্দারের তালিকায় নাম লিখাচ্ছে। পাশাপাশি মুসলিমদের ওপর চলমান আগ্রাসনকে আরও দীর্ঘায়িত করছে।এজন্য অমুসলিম জালিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রয়োজনেই নামধারী মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ানোকে জরুরী হিসেবে দেখছেন হকপন্থী আলেম-উলামাগন।


    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Myanmar’s military honours anti-Muslim monk, frees prisoners-
    https://tinyurl.com/2edxkv46






    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কর্ণাটকে ‘গোহত্যা’ ও ‘লাভ জিহাদ’ সংক্রান্ত কঠোর আইনের দাবি


      কর্ণাটকে ধর্মান্তরকরণ এবং গোহত্যা ও লাভ জিহাদ সংক্রান্ত আরও কঠোর আইনের দাবী জানিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। রাজ্যটির হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ইতিমধ্যেই বিতর্কিত ধর্মান্তর বিরোধী আইন এবং গোহত্যা বিরোধী আইন প্রণয়নও প্রয়োগ করেছে।

      গত সোমবার হাসানের রাঘবেন্দ্র মঠ পরিদর্শনের সময় প্রভাবশালী পেজাওয়ার দ্রষ্টা অভিযোগ করেছে যে সরকার আইন প্রণয়ন করলেও, দুটি বিষয় সম্পর্কিত ঘটনা এখনও ঘটছে। সে বলেছে, ‘এ বিষয়ে আইন আরও শক্তিশালী করার জন্য সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।’

      সে আরও দাবি করেছে যে রাজ্যে গরু জবাই এখনো অব্যাহত রয়েছে। সে হিন্দুদের উসকে দিতে বলেছে, “অনেক লোক গরুর দুধ বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের গরু জবাইয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার ও পুলিশ বিভাগকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

      এমনিভাবে, গত সোমবার, ভারতীয় জনতা পার্টির কর্ণাটক শাখার প্রধান পার্টির সদস্যদের পয়ঃনিষ্কাশন এবং পরিবহন ব্যবস্থার আগে “লাভ জিহাদের” দিকে মনোনিবেশ করতে বলেছে।

      “লাভ জিহাদ” হল একটি হিন্দুত্ববাদী ষড়যন্ত্র, যেটি অনুসারে তাদের প্রোপাগান্ডা হল, মুসলিম পুরুষরা হিন্দু মহিলাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার জন্য প্রেমে প্ররোচিত করে।

      ম্যাঙ্গালুরু শহরে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় কর্ণাটক বিজেপির সভাপতি ও লোকসভা সাংসদ নলিন কুমার কাতিল এই মন্তব্য করে।

      বিজেপি সাংসদকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে বলতে শোনা গেছে, “সুতরাং আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করছি, রাস্তা এবং পয়ঃনিষ্কাশনের বিষয়ে কথা বলবেন না।”

      সে ভিডিওতে বলেছে, “আপনারা যদি আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হন এবং আপনারা যদি লাভ জিহাদ বন্ধ করতে চান তবে আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টির প্রয়োজন। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি ‘লাভ জিহাদ’ শেষ করতে চাই।”

      উগ্র কাতিল আরো বলেছে, “বিজেপি এমন দল যারা গোহত্যার বিরুদ্ধে একটি আইন পাস করেছিল এবং সেইসাথে ধর্মান্তরকরণ নিষিদ্ধ করে একটি আইন পাস করেছিল। বিজেপিই ‘লাভ জিহাদ’ নিষিদ্ধ করার আইন পাশ করবে।”

      উল্লেখ্য, কর্ণাটক মুসলিম বিদ্বেষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে কথিত ‘আত্মরক্ষার’ প্রস্তুতি নিতে হিন্দুদের আহ্বান জানিয়েছিল কর্ণাটকের কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা প্রমোদ মুথালিক। এর আগে এই কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা ভারতে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়ার দাবি তুলেছিল। এই কর্ণাটকেই ২২ সালের জুন মাসে তিনটি সরকারি কলেজে হিজাব পরা শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া মুসলিমদের হালাল খাবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বয়কটের নির্দেশ দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. Demand for more stringent laws on religious conversion, cow slaughter stirs debate in Karnataka ( Muslim Mirror)
      https://tinyurl.com/5p45uaat
      2. Focus on “love jihad” rather than sewage or roads, the Karnataka BJP MP advises party members
      https://tinyurl.com/yb3eu4j4
      3. Demand for more stringent laws on religious conversion, cow slaughter stirs debate in Karnataka
      https://tinyurl.com/2tmcdt68
      4. Cong slams K’taka BJP President’s ‘focus on love jihad’ remark
      https://tinyurl.com/2m7h4kwx
      5. video link:
      https://tinyurl.com/mttdrp7c
      6. Pramod Muthalik, the chief of Hindu rightwing group, Sri Ram Sena threatened “revenge” against Muslims and called on Hindus to prepare for “self defense”-
      https://tinyurl.com/59kjd9c7

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X