Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৭ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৭ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

    ভারতকে হিন্দু জাতিতে রূপান্তর করতে সহিংসতামূলক গান বাজিয়ে মিছিল




    গুজরাটে পালনপুরের সুরাতে বজরং দল একটি বিশাল সমাবেশ করেছে, যেখানে ভারতকে হিন্দু জাতিতে রূপান্তর করার জন্য সহিংসতার উসকানিমূলক গানগুলি স্পীকার থেকে উচ্চস্বরে বাজানো হয়। কয়েক ডজন পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এই মুসলিম বিরোধী মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়ছে।

    গুজরাটের এই ভিডিওটিতে- হিন্দুত্ববাদী মোদি অমিত শাহ জুটি কী করতে চায়, এবং তারা সংখ্যালঘু মুসলিমদের সাথে ভারতে কী করছে- তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তারা এখন ভারতকে হিন্দু জাতিতে রূপান্তর করার জন্য সহিংসতাকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে প্রকাশ্যে মিছিল করছে।

    এমনিভাবে, মধ্যপ্রদেশ ভোপালের ভেল শহরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের ইভেন্টে এক উগ্র বক্তা আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশকে একত্রিত করে অখণ্ড ভারত তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে। যেমনভাবে ইসরাইল জেরুজালেম দখল করেছে।।”

    এদিকে, বিহারের এক উগ্র বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা দাবি করেছে যে, হিন্দু রাষ্ট্র বানানো অনিবার্য এবং মুসলমানরা ভারতের বর্ণপ্রথার জন্য দায়ী।

    হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা মিথ্যে অপবাদ সাজিয়ে সাধারণ হিন্দুদের মাঝে ব্যাপকভাবে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়েছে। অন্যথায় মুসলিররা কেন বর্ণপ্রথার জন্য দায়ী হতে যাবে। ইসলামে জাতপাতের কোন ভেদাভেদ নেই। এর জন্য বরং তাদের কাল্পনিক মনগড়া রচিত গ্রন্থগুলো দায়ী। তবুও যেন মুসলিম গণহত্যায় হিন্দুদের শামিল করা যায়, সেজন্যে উসকে দেওয়া হচ্ছে।

    এমনিভাবে, ভারতে মুসলিমরা সংখ্যালঘু ও দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও হিন্দুত্ববাদীরা ‘হিন্দুত্ব বিপদের মুখে’ আছে বলে প্রচার করছে। তার কারণ একটাই- ইসলাম ও মুসলিমদের উপস্থিতি তাদের সহ্য হয় না। তাই যেকোন মূল্যে মুসলিমদের নির্মুল করতে তারা উঠে পড়ে লেগেছে। এক্ষেত্রে তার কোন আইন আদালতের তোয়াক্কাও করছে না। কারণ তারা জানে যে, তারা যাই করুক আইন আদালত তাদের পক্ষেই থাকে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Bajrang Dal took out a massive rally in Surat, where songs glamorizing the use of violence to convert India into a Hindu nation were played…
    https://tinyurl.com/yrmmd7ad




    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মীরে ব্যাপক ধরপাকড় চালালো দখলদার ভারত, গ্রেফতার ৫০


    দখলদার ভারত গত কয়েকদিন ধরেই কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় গ্রেফতার আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে গত দুই দিনেই ৫০ এরও অধিক কাশ্মীরি যুবককে গ্রেফতার করে হিন্দুত্ববাদী ভারত।

    গত ৮ জানুয়ারি থেকে এ অভিযান পরিচালনা করেছে ভারত। অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে। ভারতীয় সেনা,(সিআরপিএফ) পুলিশ ও সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হয় রাজৌরি জেলায়। এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে কাশ্মীরি নাগরিকদের পরীক্ষার নামে হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়াও মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মুসলিমদের ফাসানো হচ্ছে। যার ফলে কাশ্মীরি মুসলিমদের মাঝে সর্বক্ষণ গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে।

    রাজৌরির এক পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানায়, ‘অপারেশন ব্যাপকভাবে চলছে। নজরদারি জোরদার করতে কিছু কিছু এলাকায় পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত সিআরপিএফ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা তাদের সাম্প্রতিক রাজৌরি জেলার ধানগরি গ্রামে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার করছি।’

    কাশ্মীরে দখলদার ইসরাইলের হুবহু কৌশল প্রয়োগ করছে দখলদার ভারত। যেকোন অযুহাতে কাশ্মীরি যুবকদের স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমিয়ে দিতে চায় দখলদার ভারত। এলক্ষ্যে বছরের পর বছর ভারত কাশ্মীরে নারী-পুরুষ ও শিশুদের মানবাধির লঙ্ঘন করে যাচ্ছে; অথচ এ বিষয়ে দালাল জাতিসংঘ এবং কথিত বিশ্ব-সম্প্রদায়ের ভূমিকা একদম নীরব।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Over 50 youth arrested in ongoing CASOs in Rajouri
    https://tinyurl.com/2p8ht6ct


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      খনি ধসে আটকে পড়া উইঘুর শ্রমিকদের উদ্ধার করেনি আজও



      গত ২৪শে ডিসেম্বর চীনের সুদূর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত জিনজিয়াংয়ে তথা পূর্ব-তুর্কিস্তানের একটি সোনার খনি ধসে পড়ায় ফাঁদে আটকা পড়েন ১৮ জন খনিশ্রমিক। আটকে পড়া শ্রমিকদের অধিকাংশই উইঘুর মুসলিম। দুই সপ্তাহের অধিক সময় হয়ে গেলেও এই উইঘুর শ্রমিকদের কাউকেই এখনও উদ্ধার করা যায়নি, জানা যায়নি তাদের অবস্থাও।

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেছে, “উদ্ধার কার্যক্রম চলছে বলে আমি জানি, তবে এই উদ্ধার কাজের ফলাফল কী তা আমার জানা নেই।”

      আরেকজন বলেছে, “খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের ভাগ্য এবং এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে, এগুলো গোপনীয় তথ্য। এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমাদের কাছে নেই।” খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঐ লোক বলে যে, এ তথ্যগুলো জনসম্মুখে প্রচার করার অনুমতি তার নেই।

      তবে রেডিও ফ্রি এশিয়ার তথ্য মতে, দুর্ঘটনার সময় খনিতে ৪০জন শ্রমিক কাজ করছিলেন, যাদের মধ্যে ২২জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর এখনও অবধি বাকি ১৮ জনের কোনো সন্ধান নেই।

      এই দুর্ঘটনা নিয়ে নতুন কোনো তথ্য জানায়নি দখলদার চীনা কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত তারা কেবল একটি প্রেস কনফারেন্স করেছে। এটিতেও কেবল কতগুলো সংগঠন উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে, সেই তথ্যকে গুরুত্ব দিয়েছে। কেন দুর্ঘটনা ঘটলো, যারা ফাঁদে আটকা পড়েছে তাদের কী অবস্থা, কী তাদের পরিচয়, এমন কোনো তথ্য জানায়নি কমিউনিস্ট চীন কর্তৃপক্ষ।

      রেডিও ফ্রি এশিয়ার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে, আটকে পড়া শ্রমিকদের অধিকাংশই উইঘুর মুসলিম।

      আজ প্রায় ১৭ দিন যাবৎ তাদের কোনো খোঁজ নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন পর্যন্ত তাদের খোঁজ না পাওয়ায় ধরে নেওয়া যায় যে, তারা মারা গেছেন। কারণ, খনিতে আটকে পড়া শ্রমিক সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৫ দিন আন্ডারগ্রাউন্ডে বেঁচে থাকতে পারেন।

      এদিকে, চীনা কর্তৃপক্ষ এই দুর্ঘটনার তথ্য গোপনের চেষ্টা করছে। অফিসাররা সরাসরিই বলছে, তারা যদি তথ্য জানেও, তবুও এগুলো প্রকাশ্যে বলার অনুমতি নেই তাদের। তারা কেবল বলছে, উদ্ধার কাজ চলছে। কিন্তু আজ অবধি উদ্ধার কাজের কোনো আপডেট তারা জানায়নি। উইঘুর মুসলিম একটিভিস্টরা চীনা কর্তৃপক্ষের এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন।

      আটকে পড়া শ্রমিকরা উইঘুর হওয়ায় তাদের প্রতি চীনা সরকারের দায়িত্বহীনতাও কাজ করছে বলে মনে করেন অনেকে।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. Fate of Uyghur miners trapped in gold mine collapse uncertain after nearly 2 weeks
      https://tinyurl.com/yc33vwtv

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        জাতিসংঘে ভোটের জেরে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরাইলের কঠোরতা, দালাল সংস্থা্টি এবার নীরব



        ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে একাধিক আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দখলদার ইসরাইল। সম্প্রতি পশ্চিম তীরে ইসরাইলি দখলদারিত্ব নিয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বিশেষজ্ঞ মতামতের আহ্বান জানিয়েছিল সংস্থাটি৷ ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে রায় আসে৷

        তবে ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে রায় এলেও ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোন রকম পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা নেই সংস্থাটির। আর এমন ধোঁকাপূর্ণ ভোটের মঞ্চ তৈরি করে ফিলিস্তিনের ওপর দখলদার ইসরাইলি আগ্রাসনকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে জাতিসঙ্ঘ নামক দালাল সংস্থাটি। আর এর পরপরই এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এ ঘোষণা দেয়।

        দখলদার প্রধানমন্ত্রীর ফেসবুকে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘে আবেদনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘ইসরাইল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও আইনী যুদ্ধে জড়িয়েছে। বর্তমান সরকার এই যুদ্ধের মুখে বসে থাকবে না বরং প্রয়োজনমত ব্যবস্থা নিবে৷’

        আর এ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এরইমধ্যে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলার শিকার ইসরাইলি পরিবারকে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের তহবিল থেকে প্রায় চার কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল৷ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই অর্থ কর হিসাবে সংগ্রহ করেছিল দখলদার ইসরাইল৷ দখলকৃত পশ্চিম তীরের ‘এরিয়া সি’তে ফিলিস্তিনের একটি নির্মাণ প্রকল্পকেও নিষেধাজ্ঞায় আওতায় আনা হয়েছে৷ এই অঞ্চলটি পুরোটাই এখন ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে৷

        পাশাপাশি ফিলিস্তিনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথাও উল্লেখ করেছে তারা৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধ রাজনৈতিক ও আইনী লড়াই চালানো কোন ভিআইপিকে’ ইসরাইল সরকার কোনো সুযোগ প্রদান করবে না৷’

        এছাড়াও উন্মুক্ত স্থানে ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ইসরাইল। ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গ্যভির পাবলিক স্পেস থেকে ফিলিস্তিনি পতাকা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে।

        নতুন সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর থেকেই বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন বাড়ি। হত্যা করা হয়েছে এক ডজন ফিলিস্তিনিকে। ধরপাকড় চালিয়েছে জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে।

        উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি শপথ নেয়া নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোটকে ইসরাইলের এ যাবৎকালের সবচেয়ে কট্টরপন্থি সরকার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে৷ গোলান মালভূমি, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের বিতর্কিত অঞ্চলে স্থাপনা গড়ে তোলার কাজ সম্প্রসারিত করা হবে বলে জানিয়েছে তারা৷

        অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলের স্থাপনা গড়ে তোলাকে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বেআইনী হিসেবে দেখে থাকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ও জাতিসংঘ; কিন্তু এখন পর্যন্ত ইসরাইলের এসব কাজে বাধা দেয়নি তারা। বরং দখলদারিত্বের প্রথম দিন থেকেই অবৈধ রাষ্ট্রটিকে স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে সকল জুলুম-আগ্রাসনকে বৈধতা দিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি।

        মুসলিমরা যাতে নববী সুন্নাহ মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণের দিকে পা না বাড়ায়, এজন্যই মূলত এই দালাল সংস্থাটি কয়েকদিন পর পরই নতুন নতুন কৌশল নিয়ে হাজির হয়। জাতিসংঘ হয় ইসরাইলের নিন্দা জানাচ্ছে নতুবা ইসরাইলের কাজ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বৈধ নয় বলে বিবৃতি দিচ্ছে। আর এভাবে বিবৃতি ও নিন্দা জ্ঞাপনের মাধ্যমে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহ যেন কোন পদক্ষেপ নিতে না পারে এ ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। আর মুসলিমদের অনেকের মনেই এখনো এই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে আছে যে, জাতিসংঘই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে; যা আদতে কোন দিনও সম্ভব নয় বলেই প্রতীয়মান হয়।



        তথ্যসূত্র:
        ——–
        ১। জাতিসংঘে ভোটের জেরে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ব্যবস্থা-
        https://tinyurl.com/yy448585
        ২। ben gvirs ban on palestinian flag racist behavior-
        https://tinyurl.com/58db56bj



        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X