Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৭ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৭ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

    আসামে হিন্দুত্ববাদীদের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত: আরও ২৯৯টি পরিবার গৃহহীন



    আসামের হিন্দুত্ববাদী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার রাজ্যের বিভিন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী গত ২১ ডিসেম্বর রাজ্য বিধানসভায় বলেছে, যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে ততদিন উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    এই হিসাবে, লাখিমপুর জেলার পাভা বনভূমি থেকে “অধিগ্রহণকারীদের” উচ্ছেদের অভিযানের মাধ্যমে ২৫০ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত জমি খালি করা হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মোট ২৯৯ টি পরিবার, যাদের বেশিরভাগই বাংলাভাষী মুসলমান, তাদের বাড়িঘর ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে তারা তাদের মূল্যবান জিনিসপত্রও সংগ্রহ করতে পারেননি এবং প্রশাসন তাদের ফসলও ধ্বংস করেছে।

    মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই উচ্ছেদ অভিযান পাভা সংরক্ষিত বনের প্রায় ৪৫০ হেক্টর জায়গা পরিষ্কার করার জন্য রাজ্য সরকার এ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। প্রথম দিনে, হিন্দুত্ববাদী কর্মকর্তারা মোহঝুলি গ্রামে ২০০ হেক্টর জমি পরিষ্কার করেছে, যেখানে ২০১ পরিবারের বাড়ি ছিল।

    একজন সিনিয়র জেলা প্রশাসনের আধিকারিক মিডিয়া রিপোর্টে বলেছে, গতকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান আবার শুরু হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত চলছে। আমরা কোনো প্রতিরোধের সম্মুখীন হইনি।

    আধাসোনা গ্রামে প্রায় ৭০টি বুলডোজার, এক্সকাভেটর ও ট্রাক্টর দিয়ে কাজ করা হয়েছে। প্রায় ৬০০ পুলিশ এবং সিআরপিএফ কর্মীরা উচ্ছেদের তদারকির জন্য পাহারা দিয়েছে। যেন কেউ বাধা দিতে না পারে।

    এলাকাবাসী ও নেতাদের দাবি, তাদের আগে জমির মালিকানার দলিল দেওয়া হয়েছিল।

    “অল আসাম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (AAMSU) এর লাখিমপুর জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল দাবি করেছেন, “এই এলাকার মানুষ কয়েক দশক ধরে এখানে বসবাস করছে। PMAY স্কিমের অধীনে বাড়িগুলি তৈরি করা হয়েছিল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি রাজ্য দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল, MGNREGA কর্মসূচির অধীনে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং রাস্তা সবই তৈরি করা হয়েছে।”

    AAMSU কর্মকর্তা উচ্ছেদ অভিযানকে “অমানবিক এবং একতরফা” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে এই বাসিন্দারা যদি এই এলাকায় অবৈধভাবে বসবাস করে, তবে কীভাবে সরকারী প্রকল্পগুলি দেওয়া হচ্ছে।

    এলাকার এক বাসিন্দা দাবি করেছেন যে রাজ্য সরকার কয়েক দশক আগে তাদের জমির মালিকানা দিয়েছিল। “যখন আমরা এই সরকারের কাছে এটি জমা দিয়েছিলাম, তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা এখন কোথায় যাব?”

    গ্রামবাসীরা আরও অভিযোগ করেছেন যে সংরক্ষিত বনের সীমানা বিশেষত ২০১৭ সাল থেকে বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়েছে।
    মুসলিমদের গৃহহীন করার লক্ষ্যেই তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বনের সীমানা বাড়িয়ে চলেছে।

    মূলত আসাম এখন হয়ে উঠেছে হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিম উচ্ছেদ ও নিধনের পরীক্ষাগার। এই ব্যাপারে তাই বাংলাদেশের মুসলিমদেরকেও বিশেষ দৃষ্টি রাখতে বলেছেন বিশ্লেষকগণ; কেননা আসাম উত্তপ্ত হলেই বাংলাদেশকে গোলযোগপূর্ণ করে গ্রাস করা সহজ হবে হিন্দুত্ববাদীদের জন্য।



    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. Assam Eviction Campaign Continues: 299 More Lakhimpur Families Become Homeless
    https://tinyurl.com/38865mp7

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    হিন্দুত্ববাদী মিডিয়া-সন্ত্রাস: খুনের অভিযুক্ত অনীশ রাজকে ‘মুহাম্মদ আনিস’ নামে প্রচার





    দিল্লিতে এএসআই খুনের অভিযুক্ত অনীশ রাজ, কিন্তু হিন্দুত্ববাদী মিডিয়ার মুসলিম বিদ্বেষের কারণে মুহাম্মদ আনিস নামে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে।

    ৪ জানুয়ারী ২৩, ৫৭ বছর বয়সী দিল্লি পুলিশের সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর (এএসআই), শম্ভু দয়াল, সেই দিনের শুরুতে একটি ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে গিয়ে একাধিকবার ছুরিকাঘাত গ্রস্থ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এবং তাকে দিল্লির বিএলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    8 জানুয়ারী এএসআই সেই আঘাতেই মারা যায়। দিল্লি পুলিশ টুইট করেছে, “৪ জানুয়ারী, মায়াপুরী থানাযর এএসআই শম্ভু দয়াল একজন ছিনতাইকারীকে ধরার সময় ছুরি দিয়ে আক্রমণ করার পরে গুরুতর আহত হয়। আজ বিএলকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে।”

    খুনের অভিযুক্ত অনীশ রাজ হিন্দু হওয়ায় দিল্লি পুলিশ টুইটে তার নাম উল্লেখ করেনি। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী হলুদ মিডিয়াগুলো মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিতে খুনের অভিযুক্ত অনীশ রাজের নামের পরিবর্তে ইচ্ছাকৃতভাবে জিহাদি মুহাম্মদ আনিস হিসেবে প্রচার করে।

    সুদর্শন নিউজ, এটি একটি উগ্র বিজেপি-পন্থী প্রচারণা আউটলেট, 8 জানুয়ারী তার সম্প্রচারের একটি ভিডিও ক্লিপ টুইট করেছে, যেখানে সংবাদ পাঠকারী অ্যাঙ্কর অভিযুক্তকে “জিহাদি মোহাম্মদ আনিস” হিসাবে একাধিকবার উল্লেখ করেছে৷

    প্রভা উপাধ্যায়, যার টুইটার বায়ো বলছে, সে মহিলা মোর্চা জয় ভারত মঞ্চের (উত্তরপ্রদেশ) রাজ্য সভাপতি, সেও সুদর্শন নিউজের সংবাদ বুলেটিন শেয়ার করেছে যেখানে অ্যাঙ্কর বলেছে, “জিহাদি মোহাম্মদ আনিস” এএসআই শম্ভু দয়ালকে হত্যা করেছে’।

    টাইমস নাউ নবভারত তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে মোহাম্মদ আনিস নামে একজন সন্দেহভাজন এএসআই শম্ভু দয়ালকে ছুরিকাঘাত করেছে।

    এনডিটিভি ১০ জানুয়ারি তাদের প্রতিবেদনে সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম “বদমাইশ মোহাম্মদ আনিস” নামে প্রচার করেছে। টুইটের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘#দিল্লি: এএসআই শম্ভুনাথের ওপর হামলার সিসিটিভি প্রকাশ্যে এসেছে, চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়েছে’। ক্যাপশনে প্রয়াত অফিসারকে ‘শম্ভু দয়াল’-এর পরিবর্তে ‘শম্ভুনাথ’ বলা হয়েছে।

    এমনিভাবে, আজ তক মিডিয়ার আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং টুইট করেছে। সেই সম্প্রচারে, উপস্থাপক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ‘মোহাম্মদ আনিস’ বলে ডাকে।

    অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিক যারা ঘটনাটি সম্পর্কে টুইট করেছে, তারা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ‘”জিহাদি মোহাম্মদ আনিস”‘ বা ‘মোহাম্মদ আনিস’ হিসাবে নাম দিয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ভিএইচপি (বিশ্ব হিন্দু পরিষদ) এর জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বনসাল, সুদর্শন নিউজের সাগর কুমার, রবি জলহোত্রা, সিনিয়র সাংবাদিক। এএনআই-এর সঙ্গে, সুদর্শন নিউজের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিক মহেশ কুমার শ্রীবাস্তব, সুদর্শন নিউজের আশিস ব্যাস, দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র খেমচাঁদ শর্মা। রবি ভাদোরিয়া যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুসরণ করছে, সেও এই ঘটনা সম্পর্কে টুইট করেছে। সে তার টুইটে অভিযুক্তের নাম ‘আনিস’ বলে দিয়েছে।

    সুদর্শন নিউজ এ ঘটনার একটি সংবাদও প্রকাশ করেছে যেখানে তারা অভিযুক্তকে ‘জিহাদি’ বলে বর্ণনা করেছে। নিউজ ট্র্যাকও অভিযুক্তকে একই নাম দিয়েছে।



    Alt News এর ফ্যাক্ট চেক


    Alt News(অল্ট নিউজ) ৪ জানুয়ারী অর্থাৎ ঘটনার দিন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দিল্লি পুলিশের জারি করা একটি প্রেস রিলিজ যাচাই করেছে। সেই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত অনীশ প্রহ্লাদ রাজের ছেলে।

    “আমরা অনুসন্ধান করেছি এবং ৯ জানুয়ারী প্রকাশিত দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি সংবাদ প্রতিবেদন পেয়েছি। প্রতিবেদন অনুসারে, একজন মহিলা তার ফোন এক ব্যক্তি ছিনিয়ে নেওয়ার পরে সাহায্যের জন্য অফিসার দয়ালের কাছে গিয়েছিল। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে, সে অভিযোগকারীকে অভিযুক্ত অপরাধের স্থানে নিয়ে যায় যেখানে মহিলা অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন। অফিসার দয়াল অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি ছুরি দিয়ে অফিসারকে ছুরিকাঘাত করে।”
    “এই রিপোর্টে সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম মায়াপুরীর বাসিন্দা অনীশ রাজ (২৪) ছিল।”

    তাছাড়া, অল্ট নিউজ মায়াপুরী পশ্চিমের স্টেশন ইনচার্জের সাথে কথা বলেছে। সে-ও নিশ্চিত করেছে যে অভিযুক্ত একজন হিন্দু এবং ঘটনার কোন সাম্প্রদায়িক দিক ছিল না।

    সংক্ষেপে বলা যায়, দিল্লির মায়াপুরীতে একজন অফিসারকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনাটি বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী মিডিয়া হাউস উদ্দেশ্যমূলকভাবে রিপোর্ট করেছে। সুদর্শন নিউজ ও এর সাংবাদিকরা অভিযুক্তকে ‘জিহাদি’ আখ্যায়িত করে অপরাধকে মুসলিম বিদ্বেষী রং দিয়েছে।

    গত বছর, দিল্লির নারাইনায় ঘটে যাওয়া একই রকম ছুরিকাঘাতের ঘটনাকে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারকারী এবং হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিবিদরা মুসলিম বিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক মোড়ক দিয়েছিল।

    যদিও পরে আসল খবর বেরিয়ে যার। যেখানে সাথে মুসলিম ব্যক্তির কোন উপস্থিতি ছিল না। হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো মুসলিম বিদ্বেষের পালে হাওয়া দিতেই এমন প্রোপাগান্ডা চালিয়ে থাকে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Delhi ASI murder accused is Anish Raj, not Mohd Anish, as claimed by media
    https://tinyurl.com/3a7xwtfj

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর কঠোর আইন প্রয়োগ করতে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইল



      ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর কঠোর নীতি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইল। ইহুদিবাদি ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গ্যভির এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

      গত ৬ জানুয়ারি এক দুইটার বার্তায় এ ঘোষণা দেয় সে। বলা হয়, ইসরাইলিদের হত্যা বা হত্যা চেষ্টায় অভিযুক্ত ফিলিস্তিনিদের বন্দীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য একটি নতুন আইন গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলছে তারা।

      বর্তমানে ইসরাইলি কারাগারে ৪৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দী রয়েছেন। এমনিতেই ফিলিস্তিনি বন্দিদের সাথে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে সন্ত্রাসী ইসরাইল। এরপর যদি মৃত্যুদণ্ডের আইন গ্রহন করা হয়, তাহলে এসকল ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর নেমে আসবে আরও ভয়াবহ নির্যাতন।

      উল্লেখ্য যে, ইসলাম ও মুসলিম-বিদ্বেষী এই ইতামার বেন গ্যভিরকে কট্টর ইহুদীবাদী হিসেবে পরিচিত। ক্ষমতা নেয়ার আগে থেকেই সে ফিলিস্তিনিদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। বর্তমানে ক্ষমতা নেয়ার পর সে আরও বেশি হিংস্র হয়ে উঠেছে। মন্ত্রীত্বের প্রথম দিনেই পবিত্র আল-আকসায় অনুপ্রবেশ করে মসজিদটির অংশিদারিত্ব দাবি করে। এবং দখলদারিত্ব বৃদ্ধিতে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। ইতোমধ্যে সে প্রকাশ্য ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আইন করেছে। আর এখন ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুদণ্ডের আইন করতে ইসরাইলি মন্ত্রী পরিষদে চাপ দিয়ে যাচ্ছে সে।



      তথ্যসূত্র:
      ——-
      1. Israel National Security Minister announces harsher policy on Palestinian prisoners
      https://tinyurl.com/2p9yju2w

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        দীর্ঘ এক মাস সাগরপথ পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছল একদল মাজলুম মুসলিম




        নিপিড়িত রোহিঙ্গা মুসলিমদের নারী-পুরুষ ও শিশুদের একটি দল নৌকাযুগে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে পৌঁছেতে সক্ষম হয়েছে। গত এক মাসের দীর্ঘ বিপদসংকুল সাগরপথ পাড়ি দিয়ে সেখানে পৌঁছান তারা। তাদের মধ্যে ৬৯ জন পুরুষ, ৭৫ জন নারী এবং ৪০ জন শিশু রয়েছে।

        গত ১০ জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে পৌঁছান তারা। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে রওয়ানা দিয়েছিল রোহিঙ্গাবঝাই নৌকাটি। স্থানীয় গণমাধ্যমকে রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, সেখানে পৌঁছতে পেড়ে তারা খুব খুঁশি অনুভব করছে। কেননা দীর্ঘ যাত্রার ফলে তাদের খাবার, পানীয় ও নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল।

        গত ২০১৭ সালে মিয়ানমারের বর্বর বৌদ্ধগোষ্ঠীর নিপিড়নের শিকার হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও তাদের নিজ দেশের ফিরে যাবার সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে দেশে ফিরিয়ে নেবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বছরের পর বছর পার করছে দালাল জাতিসংঘ।

        এদিকে, গত পাঁচ বছর ধরে বিশাল এ মাজলুম জনগোষ্ঠীর কোন প্রকার আয়-রোজগারের সুযোগ ছাড়াই বাংলাদেশের ক্যাম্পে বসবাস করছে। তাদেরকে ক্যাম্প থেকে বের হওয়া ও কোন রকম কাজের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। এর ফলে ক্যাম্পে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আর এ কারণে কর্মহীন কঠিন এ জীবন থেকে বাঁচতে সাগরের দূর্ঘম পথ পাড়ি দিতেও কার্পণ্য করছে না অসহায় এই রোহিঙ্গা মুসলিমরা।

        এভাবে প্রতি বছরই বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আরাকান থেকে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়শিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন রোহিঙ্গা মুসলিমরা। আর এসব যাত্রা পথে নিহতের সংখ্যাও কম না। গত এক বছরে ৬০০-৭০০ জন মাজলুম রোহিঙ্গা সাগরে ডুবে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা।

        ইসলামি চিন্তাবিদরা আক্ষেপ করে বলছেন, যে জাতি মাত্র একজন মুসলিমকে উদ্বারের জন্য নিজেদের সর্বস্ব উজার করে দিতো, সে জাতির নারীরা আজ পদে পদে লাঞ্চিত-বঞ্চিত হয়ে দেশে দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটু আশ্রয়ের জন্য। তাদের একমাত্র অপরাধ তার মুসলিম। আর তাদের এমন বিপদ সত্বেও মুসলিম জাতি আজ তাদের ভুলতে বসেছে। এ জাতি ভুলে গেছে মাজলুমদের প্রতি তাদের কী দায়িত্ব ও কর্তব্য।


        তথ্যসূত্র:
        ——-
        ১। Nearly 200 Rohingya refugees land in Indonesia in latest boat arrival
        https://tinyurl.com/y3nsb9pc






        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X