মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত মুসলমানদের বিষয়ে সাম্প্রতিক উস্কানিমূলক মন্তব্যে করেছে। যা মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতাকে আরো উস্কে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে আরএসএস প্রধান বলেছে, “সরল সত্য হল – হিন্দুস্থানকে হিন্দুস্থানই রাখা উচিত। আজ ভারতে বসবাসরত মুসলমানরা তাদের শৌর্য বীর্য, ইতিহাস ভুলে থাকতে পারবে। তারা যদি তাদের ধর্মে থাকতে চায়, তারা পারে। তারা যদি তাদের হিন্দু পূর্বপুরুষদের বিশ্বাসে ফিরে যেতে চায়, তারা পারবে। এটা সম্পূর্ণ তাদের পছন্দ। তবে এক্ষেত্রে মুসলমানদের অবশ্যই তাদের বিজয় আর শাসনের বীরত্বমাখা বক্তব্য পরিত্যাগ করতে হবে।”
CPI(M) নেতা বৃন্দা কারাত বলেছে, “এখন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত সিদ্ধান্ত নেবে দেশে কে থাকবেন। যদি ভাগবত এবং হিন্দু ব্রিগেড না পড়ে থাকে, তাহলে তাদের অবশ্যই সংবিধান পড়তে হবে, বিশেষ করে অনুচ্ছেদ ১৪ এবং ১৫। ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের দেশে সমান অধিকার রয়েছে।” তাহলে সে কেন মুসলিমদেরকে শর্ত আরোপ করবে? “মোহন ভাগবত সরাসরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা করতে লোকেদের প্ররোচিত করছে।”
এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসিও ভাগবতকে লক্ষ্য করে বলেছেন, “মুসলিমদের ভারতে বসবাস করতে বা তাদের ধর্ম অনুসরণ করতে দিতে মোহন ভাগবত কে? আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা ভারতীয়। ভাগবত আমাদের নাগরিকত্ব দেয়নি। তাহলে তার ‘শর্ত’ আরোপের সাহস হয় কী করে? আমরা এখানে আমাদের বিশ্বাসকে ‘সামঞ্জস্য’ করতে বা নাগপুরে বসে থাকা তথাকথিত ‘ব্রহ্মচারীদের’ একটি দলকে খুশি করতে আসিনি।” ওয়াইসি আরও বলেছিলেন যে আরএসএসের উগ্র আদর্শ ভারতের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক, মোহন ভাগবত, গত কয়েক বছর ধরে মুসলিম বিদ্বেষ বৃদ্ধির পাশাপাশি হিন্দুদেরকে মুসলিমদের উপর উসকে দিচ্ছে।
একটি সাক্ষাত্কারে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছে, “হিন্দু সমাজ ১০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধে লিপ্ত – এই লড়াই বিদেশী আগ্রাসন, বিদেশী প্রভাব এবং বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে চলছে। সঙ্ঘ এই কারণে তার সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছে, অনেকেই এই বিষয়ে কথা বলেছে। আর এসবের কারণেই হিন্দু সমাজ জেগে উঠেছে। যারা যুদ্ধে আছে তাদের পক্ষে আক্রমণাত্মক হওয়া স্বাভাবিক।”
সে “অলস না হয়ে লড়াই করার” জন্য উদ্বুদ্ধ করতে তাদের শাস্ত্রের বিভিন্ন মন্ত্র উল্লেখ করেছে। যেমন বলা হয়েছে (ভাগবতগীতায়), যুধস্য বিগত জ্বর – অলস না হয়ে যুদ্ধ কর। হিন্দুরা এখন সংঘের মাধ্যমে সামাজিক জাগরণের কাজটি নিয়েছে। সামাজিক জাগরণের এই ঐতিহ্যটি বেশ পুরানো – যেদিন আলেকজান্ডার, প্রথম আক্রমণকারী, আমাদের সীমান্তে এসেছিল সেদিন থেকেই এটি শুরু হয়েছিল।”
মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীদের বিদ্বেষী বক্তব্য ও হামলাকে ন্যয্যতা দিতে সে বলেছে, “যেহেতু এটি একটি চলমান যুদ্ধ, মানুষ অতিমাত্রায় উদ্দীপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এটা কাম্য নয়, তবুও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া যায়।”
এই “উস্কানিমূলক” বক্তব্যের প্রভাব চারিদিকে ঘটছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) ডেটা উদ্ধৃত করে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই গত মাসে সংসদকে বলেছিল যে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভারতে মুসলিম বিরোধী বা ধর্মীয় দাঙ্গার ২৯০০টিরও বেশি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আর যা রেকর্ড করা হয়নি তার পরিমাণ উল্লেখিত সংখ্যা থেকেও অনেক বেশি হবে।
ভাগবত বলেছে, “এই যুদ্ধ বিনা শত্রুর বিরুদ্ধে নয়, ভিতরের শত্রুর বিরুদ্ধে। তাই হিন্দু সমাজ, হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু সংস্কৃতি রক্ষার যুদ্ধ চলছে।বিদেশি হানাদাররা আর নেই, কিন্তু বিদেশি প্রভাব ও বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। ভারতীয়রা যত তাড়াতাড়ি প্রকৃত ‘অভ্যন্তরীণ শত্রুদের’ চিনতে পারবে, ততই ভালো।
উল্লেখ্য, ভাগবত ভিতরের শত্রুর দ্বারা ভারতে বসবাসকারী মুসলিমদেরকেই বুঝিয়েছে। আর বিদেশি হানাদার দ্বারা যে সমস্ত মুসলিম শাসক ও ব্যক্তিরা ভারতে অভিযান চালিয়েছিল তাদের বুঝিয়েছে। যদিও মুসলিম শাসকরাই ভারতকে অপসংস্কৃতি ও অন্ধকারাচ্ছন্নতা থেকে সভ্যতা ও আলোর পথ দেখিয়েছিলেন। ভারতকে বিশ্বের বুকে গড়ে তুলেছিলেন জ্ঞান গরিমা, ইতিহাস ঐতিহ্যের বেলাভূমি হিসেবে।
ভাগবত ‘যুদ্ধ’ প্রস্তুতিকে চূড়ান্ত পর্বে নিয়ে যেতে বলেছে, “যখন আমরা পর্যাপ্ত শক্তি অর্জন করেছি, আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অগ্রাধিকার সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া উচিত। চিরকাল লড়াইয়ের মোডে থাকা আমাদের কোন উপকার করবে না।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে মোহন ভাগবত তার একটি বক্তৃতায় বলেছিল, ‘আমাদের ( হিন্দু রাষ্ট্র বিনির্মাণের) গাড়ি যাত্রা শুরু করেছে। এটি একটি ব্রেকহীন গাড়ি। এই গাড়িতে শুধু একটি এক্সিলারেটর আছে। যারা থামানোর চেষ্টা করবে, তারাই ধ্বংস হয়ে যাবে। যারা আমাদের সাথে আসতে চায়, তারা যেন চলে আসে। গাড়ি কারো জন্য থামবে না। যদি আমরা এই গতিতে চলতে থাকি, তাহলে আগামী ২০-২৫ বছরে অখন্ড ভারত বাস্তবে পরিণত হবে। আর যদি আমরা আরেকটু পরিশ্রম করি—যেটা আমরা অবশ্যই করব—তাহলে এ সময়কাল অর্ধেক হয়ে যাবে এবং ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে অখণ্ড ভারত অর্থাৎ পূর্ণ একটি হিন্দু রাষ্ট্র দেখতে পাব।’
হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত আছে বলে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছে। চূড়ান্ত লড়াইয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করছে। কর্মী বাড়ানো ও তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। তবুও কি উপমহাদেশের মুসলিমদের সচেতন হওয়ার সময় হয়নি!?
তথ্যসূত্র:
——-
1. Hindu Society Is at War, Natural for People to Be Aggressive: RSS Chief Mohan Bhagwat
– https://tinyurl.com/mv9dtvjx
2. Bhagwat Inciting Violence against Muslims with His Rhetoric, Say Oppn Leaders
– https://tinyurl.com/2r95wxdf
3. ‘Bhagwat inciting violence against Muslims with his rhetoric’, alleges Oppn leaders
– https://tinyurl.com/5h2xdfu2
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত মুসলমানদের বিষয়ে সাম্প্রতিক উস্কানিমূলক মন্তব্যে করেছে। যা মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতাকে আরো উস্কে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে আরএসএস প্রধান বলেছে, “সরল সত্য হল – হিন্দুস্থানকে হিন্দুস্থানই রাখা উচিত। আজ ভারতে বসবাসরত মুসলমানরা তাদের শৌর্য বীর্য, ইতিহাস ভুলে থাকতে পারবে। তারা যদি তাদের ধর্মে থাকতে চায়, তারা পারে। তারা যদি তাদের হিন্দু পূর্বপুরুষদের বিশ্বাসে ফিরে যেতে চায়, তারা পারবে। এটা সম্পূর্ণ তাদের পছন্দ। তবে এক্ষেত্রে মুসলমানদের অবশ্যই তাদের বিজয় আর শাসনের বীরত্বমাখা বক্তব্য পরিত্যাগ করতে হবে।”
CPI(M) নেতা বৃন্দা কারাত বলেছে, “এখন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত সিদ্ধান্ত নেবে দেশে কে থাকবেন। যদি ভাগবত এবং হিন্দু ব্রিগেড না পড়ে থাকে, তাহলে তাদের অবশ্যই সংবিধান পড়তে হবে, বিশেষ করে অনুচ্ছেদ ১৪ এবং ১৫। ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের দেশে সমান অধিকার রয়েছে।” তাহলে সে কেন মুসলিমদেরকে শর্ত আরোপ করবে? “মোহন ভাগবত সরাসরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা করতে লোকেদের প্ররোচিত করছে।”
এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসিও ভাগবতকে লক্ষ্য করে বলেছেন, “মুসলিমদের ভারতে বসবাস করতে বা তাদের ধর্ম অনুসরণ করতে দিতে মোহন ভাগবত কে? আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা ভারতীয়। ভাগবত আমাদের নাগরিকত্ব দেয়নি। তাহলে তার ‘শর্ত’ আরোপের সাহস হয় কী করে? আমরা এখানে আমাদের বিশ্বাসকে ‘সামঞ্জস্য’ করতে বা নাগপুরে বসে থাকা তথাকথিত ‘ব্রহ্মচারীদের’ একটি দলকে খুশি করতে আসিনি।” ওয়াইসি আরও বলেছিলেন যে আরএসএসের উগ্র আদর্শ ভারতের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক, মোহন ভাগবত, গত কয়েক বছর ধরে মুসলিম বিদ্বেষ বৃদ্ধির পাশাপাশি হিন্দুদেরকে মুসলিমদের উপর উসকে দিচ্ছে।
একটি সাক্ষাত্কারে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছে, “হিন্দু সমাজ ১০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধে লিপ্ত – এই লড়াই বিদেশী আগ্রাসন, বিদেশী প্রভাব এবং বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে চলছে। সঙ্ঘ এই কারণে তার সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছে, অনেকেই এই বিষয়ে কথা বলেছে। আর এসবের কারণেই হিন্দু সমাজ জেগে উঠেছে। যারা যুদ্ধে আছে তাদের পক্ষে আক্রমণাত্মক হওয়া স্বাভাবিক।”
সে “অলস না হয়ে লড়াই করার” জন্য উদ্বুদ্ধ করতে তাদের শাস্ত্রের বিভিন্ন মন্ত্র উল্লেখ করেছে। যেমন বলা হয়েছে (ভাগবতগীতায়), যুধস্য বিগত জ্বর – অলস না হয়ে যুদ্ধ কর। হিন্দুরা এখন সংঘের মাধ্যমে সামাজিক জাগরণের কাজটি নিয়েছে। সামাজিক জাগরণের এই ঐতিহ্যটি বেশ পুরানো – যেদিন আলেকজান্ডার, প্রথম আক্রমণকারী, আমাদের সীমান্তে এসেছিল সেদিন থেকেই এটি শুরু হয়েছিল।”
মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীদের বিদ্বেষী বক্তব্য ও হামলাকে ন্যয্যতা দিতে সে বলেছে, “যেহেতু এটি একটি চলমান যুদ্ধ, মানুষ অতিমাত্রায় উদ্দীপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এটা কাম্য নয়, তবুও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া যায়।”
এই “উস্কানিমূলক” বক্তব্যের প্রভাব চারিদিকে ঘটছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) ডেটা উদ্ধৃত করে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই গত মাসে সংসদকে বলেছিল যে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভারতে মুসলিম বিরোধী বা ধর্মীয় দাঙ্গার ২৯০০টিরও বেশি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আর যা রেকর্ড করা হয়নি তার পরিমাণ উল্লেখিত সংখ্যা থেকেও অনেক বেশি হবে।
ভাগবত বলেছে, “এই যুদ্ধ বিনা শত্রুর বিরুদ্ধে নয়, ভিতরের শত্রুর বিরুদ্ধে। তাই হিন্দু সমাজ, হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু সংস্কৃতি রক্ষার যুদ্ধ চলছে।বিদেশি হানাদাররা আর নেই, কিন্তু বিদেশি প্রভাব ও বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। ভারতীয়রা যত তাড়াতাড়ি প্রকৃত ‘অভ্যন্তরীণ শত্রুদের’ চিনতে পারবে, ততই ভালো।
উল্লেখ্য, ভাগবত ভিতরের শত্রুর দ্বারা ভারতে বসবাসকারী মুসলিমদেরকেই বুঝিয়েছে। আর বিদেশি হানাদার দ্বারা যে সমস্ত মুসলিম শাসক ও ব্যক্তিরা ভারতে অভিযান চালিয়েছিল তাদের বুঝিয়েছে। যদিও মুসলিম শাসকরাই ভারতকে অপসংস্কৃতি ও অন্ধকারাচ্ছন্নতা থেকে সভ্যতা ও আলোর পথ দেখিয়েছিলেন। ভারতকে বিশ্বের বুকে গড়ে তুলেছিলেন জ্ঞান গরিমা, ইতিহাস ঐতিহ্যের বেলাভূমি হিসেবে।
ভাগবত ‘যুদ্ধ’ প্রস্তুতিকে চূড়ান্ত পর্বে নিয়ে যেতে বলেছে, “যখন আমরা পর্যাপ্ত শক্তি অর্জন করেছি, আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অগ্রাধিকার সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া উচিত। চিরকাল লড়াইয়ের মোডে থাকা আমাদের কোন উপকার করবে না।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে মোহন ভাগবত তার একটি বক্তৃতায় বলেছিল, ‘আমাদের ( হিন্দু রাষ্ট্র বিনির্মাণের) গাড়ি যাত্রা শুরু করেছে। এটি একটি ব্রেকহীন গাড়ি। এই গাড়িতে শুধু একটি এক্সিলারেটর আছে। যারা থামানোর চেষ্টা করবে, তারাই ধ্বংস হয়ে যাবে। যারা আমাদের সাথে আসতে চায়, তারা যেন চলে আসে। গাড়ি কারো জন্য থামবে না। যদি আমরা এই গতিতে চলতে থাকি, তাহলে আগামী ২০-২৫ বছরে অখন্ড ভারত বাস্তবে পরিণত হবে। আর যদি আমরা আরেকটু পরিশ্রম করি—যেটা আমরা অবশ্যই করব—তাহলে এ সময়কাল অর্ধেক হয়ে যাবে এবং ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে অখণ্ড ভারত অর্থাৎ পূর্ণ একটি হিন্দু রাষ্ট্র দেখতে পাব।’
হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত আছে বলে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছে। চূড়ান্ত লড়াইয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করছে। কর্মী বাড়ানো ও তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। তবুও কি উপমহাদেশের মুসলিমদের সচেতন হওয়ার সময় হয়নি!?
তথ্যসূত্র:
——-
1. Hindu Society Is at War, Natural for People to Be Aggressive: RSS Chief Mohan Bhagwat
– https://tinyurl.com/mv9dtvjx
2. Bhagwat Inciting Violence against Muslims with His Rhetoric, Say Oppn Leaders
– https://tinyurl.com/2r95wxdf
3. ‘Bhagwat inciting violence against Muslims with his rhetoric’, alleges Oppn leaders
– https://tinyurl.com/5h2xdfu2
Comment