শিশু আসিফা ধর্ষণ ও হত্যার পাঁচ বছর: আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিন্দুত্ববাদী হুমকির মুখে
কাশ্মীর! মুসলিম উম্মাহর বুকে এক দগদগে ক্ষতের নাম। আসিফা বানু সেই দগদগে ক্ষতে যেন এক রক্তক্ষরণ; মুসলিম হৃদয়ের এক নতুন আক্ষেপ, এক দীর্ঘশ্বাস।
ভূ-স্বর্গ কাশ্মীরের মতই প্রাণবন্ত আর দুরন্ত সে। কাশ্মীরের পঠুয়ায় ছিল তার নিবাস। বাবা-মায়ের চোখের শীতলতা আর আশা-ভরসার কেন্দ্র সে।
২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি, রোজকার মতোই নিয়ম করে চারণভূমিতে বাবার ঘোড়া চড়িয়ে সে খেলায় মেতে ওঠে সমবয়সীদের সাথে। কিন্তু প্রতিদিনের মতো বিকেল পড়তেই সেদিন আর বাড়ি ফেরেনি আসিফা। বেলা গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই, পিতা-মাতার কপালে তখন চিন্তার ভাঁজ। তন্ন তন্ন করে খোঁজ করা হল, থানা-পুলিশ-প্রতিবেশী – আসিফা বানুর খোঁজ দিতে পারেনি কেউই।
ওদিকে ছোট্ট আসিফা; বাবা-মায়ের কলিজার ধন! নরপশু মুশরিকের দল ছোট্ট আসিফাকে কোনরকম দয়াই দেখায় নি।
প্রথমে তারা নিষ্পাপ আসিফাকে ইশারায় ডেকে নিয়ে যায় জঙ্গলের আড়ালে। এরপর গলা টিপে ধরে জোর করে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দেয় আসিফাকে। আর তারপর নরপশুরা ছোট্ট আসিফার উপর চালায় বুনো উন্মাদনা! একে একে পালাক্রমে ছোট্ট আসিফার উপর ঝাপিয়ে পরে ঐ উগ্র হিন্দুরা।
আসিফাকে তারা আটকে রাখে তাদের “পবিত্র” মন্দিরে; চলে পালাক্রমে ধর্ষণ। ছোট্ট আসিফার কচি মুখের গোঙ্গানি ঐ মুসলিমবিদ্বেষীদের পাশবিকতার দেওয়ালে কোন আঁচড় কাটতে পারেনি, এতটুকু দয়া হয়নি ঐ গো-মূত্রপানকারী সম্প্রদায়ের কুকুরদের। টানা চারদিন ঐ অভিশপ্ত কুকুরের দল ছোট্ট আসিফার উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালায়; ঐ পাষণ্ড বাপ-বেটা-ভাতিজা। তারপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অসহায় উম্মাহর নিষ্পাপ কন্যা আসিফাকে।
হত্যার আগে পর্যন্ত ছেলে তার বাবাকে অনুরধ করে শেষবার ধর্ষণের সুযোগ দেওয়ার জন্য!
আসিফার উপর নৃশংস বর্বরতা
১৭ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে আসিফার ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয় রাসানার জঙ্গলের ঝোপ থেকে।
পুলিশ বলে, ঐ তিনজন এবং কমপক্ষে আরও একজন নির্যাতন চালিয়েছে আসিফার বানুর উপর। এদের প্রকৃত সংখ্যাটা হয়ত আড়ালেই থেকে যাবে কসাই মোদীর ভারতে। তবে পরবর্তীতে দুই পুলিশ সদস্যেরও নাম এসেছে ধর্ষকের তালিকায়।
মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক সঞ্জিরামের উপস্থিতিতে করা হয়েছে সবকিছু। তার নিজের ছেলে বিশাল, এক ভাগিনা/ভাতিজা ও স্পেশাল পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়াও শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে তদন্তে জানা যায়, দু’জন পুলিশ অফিসারসহ আটজন মেয়েটিকে চারদিন ধরে নির্যাতনের পর পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে করে হত্যা করে।
তাকে এমন নির্যাতন করা হয়েছিল যে, তার পা ভেঙ্গে যায়, নখ কালো হয়ে যায় এবং তার হাত ও আঙ্গুলের উপর নীল এবং লাল ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়।
হিন্দুত্ববাদের হিংস্রতা ও নির্লজ্জতা
ভেবে দেখুন, কতটুকু নির্লজ্জতা আর বেহায়াপনার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এরা। এই উগ্র গো-মূত্রপায়ীরা যেমন নিষ্ঠুর, তেমনি বেশরম, আর তেমনি নাপাক। বাপ-ছেলে আর ভাতিজা মিলে ধর্ষণ করলো একটা নিষ্পাপ বাচ্চা মেয়েকে! এদের এতটুকু হায়াবোধ নেই!? এরাতো পশুর চাইতে নিকৃষ্ট! বাপ-বেটা আর ভাতিজা মিলে এমন জঘন্য কাজ করেছে, একটা শিশু মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে! ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ এদেরকে অন্ধ পশুতে পরিণত করেছে; আল্লাহ তাআলাও এদের অন্তর থেকে হায়ার পর্দা উঠিয়ে নিয়েছেন।
উপমহাদেশে হিন্দুত্ববাদের উগ্র অভ্যুত্থান আর মুসলিমদের দুর্বলতা উগ্রবাদী হিন্দুদেরকে দিনে দিনে আরও হিংস্র করে তুলেছে। বেহায়াপনার শত শত উদাহরণ এদের শয়তানী কিতাবগুলতেই বিদ্যমান। এসব এই গো-মূত্রপানকারীদের শিরকি ধর্মেরই অংশ – এদের দেবতাদের তরিকা! এদের ধর্মগ্রন্থেই এমন অশ্লীলতায় ভরা গল্প রয়েছে যে, এদের দেবতারা কয়েক ভাই মিলে এক মহিলাকে বিয়ে করে একত্রে সহবাস করেছে! নাউযুবিল্লাহ! আর এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এখনো এই নাপাক গো-পূজারীরা ভারতের বিভিন্ন স্থানে এসব অশ্লীলতার চর্চা করে চলেছে। আল্লাহ্ তাআলা এদের নাপাকি থেকে আর শিরকি ধর্মের কলুষতা থেকে হিন্দের জমিন ও অধিবাসীদের মুক্ত করুন – আমীন।
এই গো-মূত্রপানকারী সম্প্রদায়ের জিঘাংসা এখানেই শেষ হয়ে যায়নি; মৃত আসিফাকেও তাদের সহ্য হয়নি। আসিফার লাশ কবরস্থ করতে জড়ো হওয়া আত্মীয়-স্বজনদেরও বিজেপি নেতারা সহ স্থানীয় উগ্রবাদীরা হুমকি দিয়েছে। এরা নাকি কোন মুসলিমের অপবিত্র দেহ দিয়ে হিন্দুদের ‘পবিত্র’ জমিকে অপবিত্র করতে দিবেনা! ৪০ কিলোমিটার দূরে কাঠুয়া জেলার একটি গ্রামের জঙ্গলে আসিফাকে কবর দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ভালো কোনো স্থানে কবরস্থ হওয়ার জায়গাও মিলেনি তার। যে গোমূত্র পানকারী সম্প্রদায়কে স্বয়ং আল্লাহ্ তাআলই নাপাক বলে ঘোষণা দিয়েছেন, যাদের ঘরগুলো থেকে ক্রমাগত গো-মূত্র আর গোবরের দুর্গন্ধ আসে, এরা নিজেদের পবিত্র আর পাক নবীর (ﷺ) উম্মতকে অপবিত্র বলছে! যারা এই পৃথিবীবাসীকে সভ্যতা আর পবিত্রতা শিখিয়েছে – সেই মুসলিমদের সন্তানকে গো-পূজারিরা অপবিত্র বলছে! আফসোস এই দিনের জন্য, হয়তো এটা মুসলিমদেরই হাতের কামাই।
আমাদের শিক্ষা
ব্রিটিশদের লেজুড়বৃত্তি করে উগ্র হিন্দুত্ববাদী তথা ব্রাহ্মণ্যবাদীরা আজ হিন্দের ভূমির মালিক সেজে বসেছে। দিনে দিনে উগ্র থেকে উগ্রতর হচ্ছে মুসলিমদের প্রতি তাদের আচরণ। প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে তারা মুসলিম নিধনযজ্ঞ ও অখণ্ড ভারত কায়েমের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মুসলিমদেরকে পিটিয়ে হত্যা, বাড়ি-ঘর-সম্পত্তি ভাংচুর, মসজিদ-মাদ্রাসা ভাংচুর, নারীদের জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করা- এগুলো এখন সেখানে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুলসিম নারী-শিশুদেরকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তারা প্রকাশ্যে, অবিরাম।
ইতিমধ্যে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে উগ্র হিন্দু যুবকরা কাশ্মীরি মুসলিম নারীদের বিয়ে করতে পারবে- এই ভেবে আনন্দ প্রকাশ করছে। তারা এমনকি অনলাইন নিলাম করে মুসলিম নারীদের বিক্রি করার অ্যাপ চালু করেছে।
তাহলে আমদের নারী-শিশুদের সাথে এই উগ্র হিন্দুরা কেমন আচরণ করতে চলেছে, তা সহজেই অনুমেয়।
মরে গিয়ে বেঁচে গেছে ছোট্ট শিশু আসিফা, আর আমাদেরকে ভাবতে শিখিয়ে গেছে এই প্রশ্নগুলো।
আমরা এখন কি করবো?
আমরা কি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হিন্দুত্ববাদীদের সামনে উন্মুক্ত প্রতিরোধহীন ছেড়ে দিব? আমরা কী এই অপেক্ষায় থাকবো যে, আমাদের উঠোনের উত্তর-পশ্চিম-পূর্ব দিক থেকে উগ্র হিন্দুরা আর দক্ষিণ দিক থেকে বর্বর বৌদ্ধরা এসে প্রবেশ করবে?
নাকি আমরা এই পরিস্থিতির সমাধান খুঁজে নেব নবীজির (ﷺ) জীবনাদর্শ থেকে, নবীজির (ﷺ) তরিকা থেকে, নববী মানহাজ থেকে?
আসিফা বানুর পক্ষ থেকে অপ্রিয় প্রশ্নগুলো রয়ে গেল ঘুমন্ত উম্মাহ্র সামনে।
তথ্যসূত্র:
1.Asifa Bano: The child rape and murder that has Kashmir on edge
– https://tinyurl.com/muz6zjn8
2. Sex beast ‘begged to rape eight-year-old Asifa Bano one last time before she was strangled and stoned to death by gang in Hindu temple’
– https://tinyurl.com/2ctz96k5
3. কাশ্মিরের আসিফা বানু
– https://tinyurl.com/yc84n2rp
4. আসিফা বানু ধর্ষণ-হত্যা; কাশ্মিরিরা কি এভাবেই পঁচে মরবে?
– https://tinyurl.com/yc6t2v6v
5. আসিফা বানু: আরও এক পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের বলি, নৃশংসতা কি চলতেই থাকবে?
– https://tinyurl.com/2edbbber
6. আসিফা বানুঃ সাম্প্রদায়িকতার আরেক শিকার
কাশ্মীর! মুসলিম উম্মাহর বুকে এক দগদগে ক্ষতের নাম। আসিফা বানু সেই দগদগে ক্ষতে যেন এক রক্তক্ষরণ; মুসলিম হৃদয়ের এক নতুন আক্ষেপ, এক দীর্ঘশ্বাস।
ভূ-স্বর্গ কাশ্মীরের মতই প্রাণবন্ত আর দুরন্ত সে। কাশ্মীরের পঠুয়ায় ছিল তার নিবাস। বাবা-মায়ের চোখের শীতলতা আর আশা-ভরসার কেন্দ্র সে।
২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি, রোজকার মতোই নিয়ম করে চারণভূমিতে বাবার ঘোড়া চড়িয়ে সে খেলায় মেতে ওঠে সমবয়সীদের সাথে। কিন্তু প্রতিদিনের মতো বিকেল পড়তেই সেদিন আর বাড়ি ফেরেনি আসিফা। বেলা গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই, পিতা-মাতার কপালে তখন চিন্তার ভাঁজ। তন্ন তন্ন করে খোঁজ করা হল, থানা-পুলিশ-প্রতিবেশী – আসিফা বানুর খোঁজ দিতে পারেনি কেউই।
ওদিকে ছোট্ট আসিফা; বাবা-মায়ের কলিজার ধন! নরপশু মুশরিকের দল ছোট্ট আসিফাকে কোনরকম দয়াই দেখায় নি।
প্রথমে তারা নিষ্পাপ আসিফাকে ইশারায় ডেকে নিয়ে যায় জঙ্গলের আড়ালে। এরপর গলা টিপে ধরে জোর করে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দেয় আসিফাকে। আর তারপর নরপশুরা ছোট্ট আসিফার উপর চালায় বুনো উন্মাদনা! একে একে পালাক্রমে ছোট্ট আসিফার উপর ঝাপিয়ে পরে ঐ উগ্র হিন্দুরা।
আসিফাকে তারা আটকে রাখে তাদের “পবিত্র” মন্দিরে; চলে পালাক্রমে ধর্ষণ। ছোট্ট আসিফার কচি মুখের গোঙ্গানি ঐ মুসলিমবিদ্বেষীদের পাশবিকতার দেওয়ালে কোন আঁচড় কাটতে পারেনি, এতটুকু দয়া হয়নি ঐ গো-মূত্রপানকারী সম্প্রদায়ের কুকুরদের। টানা চারদিন ঐ অভিশপ্ত কুকুরের দল ছোট্ট আসিফার উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালায়; ঐ পাষণ্ড বাপ-বেটা-ভাতিজা। তারপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অসহায় উম্মাহর নিষ্পাপ কন্যা আসিফাকে।
হত্যার আগে পর্যন্ত ছেলে তার বাবাকে অনুরধ করে শেষবার ধর্ষণের সুযোগ দেওয়ার জন্য!
আসিফার উপর নৃশংস বর্বরতা
১৭ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে আসিফার ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয় রাসানার জঙ্গলের ঝোপ থেকে।
পুলিশ বলে, ঐ তিনজন এবং কমপক্ষে আরও একজন নির্যাতন চালিয়েছে আসিফার বানুর উপর। এদের প্রকৃত সংখ্যাটা হয়ত আড়ালেই থেকে যাবে কসাই মোদীর ভারতে। তবে পরবর্তীতে দুই পুলিশ সদস্যেরও নাম এসেছে ধর্ষকের তালিকায়।
মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক সঞ্জিরামের উপস্থিতিতে করা হয়েছে সবকিছু। তার নিজের ছেলে বিশাল, এক ভাগিনা/ভাতিজা ও স্পেশাল পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়াও শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে তদন্তে জানা যায়, দু’জন পুলিশ অফিসারসহ আটজন মেয়েটিকে চারদিন ধরে নির্যাতনের পর পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে করে হত্যা করে।
তাকে এমন নির্যাতন করা হয়েছিল যে, তার পা ভেঙ্গে যায়, নখ কালো হয়ে যায় এবং তার হাত ও আঙ্গুলের উপর নীল এবং লাল ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়।
হিন্দুত্ববাদের হিংস্রতা ও নির্লজ্জতা
ভেবে দেখুন, কতটুকু নির্লজ্জতা আর বেহায়াপনার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এরা। এই উগ্র গো-মূত্রপায়ীরা যেমন নিষ্ঠুর, তেমনি বেশরম, আর তেমনি নাপাক। বাপ-ছেলে আর ভাতিজা মিলে ধর্ষণ করলো একটা নিষ্পাপ বাচ্চা মেয়েকে! এদের এতটুকু হায়াবোধ নেই!? এরাতো পশুর চাইতে নিকৃষ্ট! বাপ-বেটা আর ভাতিজা মিলে এমন জঘন্য কাজ করেছে, একটা শিশু মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে! ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ এদেরকে অন্ধ পশুতে পরিণত করেছে; আল্লাহ তাআলাও এদের অন্তর থেকে হায়ার পর্দা উঠিয়ে নিয়েছেন।
উপমহাদেশে হিন্দুত্ববাদের উগ্র অভ্যুত্থান আর মুসলিমদের দুর্বলতা উগ্রবাদী হিন্দুদেরকে দিনে দিনে আরও হিংস্র করে তুলেছে। বেহায়াপনার শত শত উদাহরণ এদের শয়তানী কিতাবগুলতেই বিদ্যমান। এসব এই গো-মূত্রপানকারীদের শিরকি ধর্মেরই অংশ – এদের দেবতাদের তরিকা! এদের ধর্মগ্রন্থেই এমন অশ্লীলতায় ভরা গল্প রয়েছে যে, এদের দেবতারা কয়েক ভাই মিলে এক মহিলাকে বিয়ে করে একত্রে সহবাস করেছে! নাউযুবিল্লাহ! আর এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এখনো এই নাপাক গো-পূজারীরা ভারতের বিভিন্ন স্থানে এসব অশ্লীলতার চর্চা করে চলেছে। আল্লাহ্ তাআলা এদের নাপাকি থেকে আর শিরকি ধর্মের কলুষতা থেকে হিন্দের জমিন ও অধিবাসীদের মুক্ত করুন – আমীন।
এই গো-মূত্রপানকারী সম্প্রদায়ের জিঘাংসা এখানেই শেষ হয়ে যায়নি; মৃত আসিফাকেও তাদের সহ্য হয়নি। আসিফার লাশ কবরস্থ করতে জড়ো হওয়া আত্মীয়-স্বজনদেরও বিজেপি নেতারা সহ স্থানীয় উগ্রবাদীরা হুমকি দিয়েছে। এরা নাকি কোন মুসলিমের অপবিত্র দেহ দিয়ে হিন্দুদের ‘পবিত্র’ জমিকে অপবিত্র করতে দিবেনা! ৪০ কিলোমিটার দূরে কাঠুয়া জেলার একটি গ্রামের জঙ্গলে আসিফাকে কবর দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ভালো কোনো স্থানে কবরস্থ হওয়ার জায়গাও মিলেনি তার। যে গোমূত্র পানকারী সম্প্রদায়কে স্বয়ং আল্লাহ্ তাআলই নাপাক বলে ঘোষণা দিয়েছেন, যাদের ঘরগুলো থেকে ক্রমাগত গো-মূত্র আর গোবরের দুর্গন্ধ আসে, এরা নিজেদের পবিত্র আর পাক নবীর (ﷺ) উম্মতকে অপবিত্র বলছে! যারা এই পৃথিবীবাসীকে সভ্যতা আর পবিত্রতা শিখিয়েছে – সেই মুসলিমদের সন্তানকে গো-পূজারিরা অপবিত্র বলছে! আফসোস এই দিনের জন্য, হয়তো এটা মুসলিমদেরই হাতের কামাই।
আমাদের শিক্ষা
ব্রিটিশদের লেজুড়বৃত্তি করে উগ্র হিন্দুত্ববাদী তথা ব্রাহ্মণ্যবাদীরা আজ হিন্দের ভূমির মালিক সেজে বসেছে। দিনে দিনে উগ্র থেকে উগ্রতর হচ্ছে মুসলিমদের প্রতি তাদের আচরণ। প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে তারা মুসলিম নিধনযজ্ঞ ও অখণ্ড ভারত কায়েমের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মুসলিমদেরকে পিটিয়ে হত্যা, বাড়ি-ঘর-সম্পত্তি ভাংচুর, মসজিদ-মাদ্রাসা ভাংচুর, নারীদের জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করা- এগুলো এখন সেখানে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুলসিম নারী-শিশুদেরকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তারা প্রকাশ্যে, অবিরাম।
ইতিমধ্যে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে উগ্র হিন্দু যুবকরা কাশ্মীরি মুসলিম নারীদের বিয়ে করতে পারবে- এই ভেবে আনন্দ প্রকাশ করছে। তারা এমনকি অনলাইন নিলাম করে মুসলিম নারীদের বিক্রি করার অ্যাপ চালু করেছে।
তাহলে আমদের নারী-শিশুদের সাথে এই উগ্র হিন্দুরা কেমন আচরণ করতে চলেছে, তা সহজেই অনুমেয়।
অখণ্ড ভারত বাস্তবায়ন বা হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার আগেই তারা এতোটা বেপরোয়া, তাহলে নিধনযজ্ঞ শুরু হয়ে গেলে কি আমাদের নারী-কন্যা-শিশুরা তাদের হাত থেকে নিরাপদ থাকবে? বা এখনো কি এই উপমহাদেশে আমাদের নারী-শিশুরা উগ্র হিন্দুদের হাত থেকে নিরাপদ কি না- নিজেদের এই প্রশ্ন করার সময় এখন এসে গেছে। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কেমন ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে চাই, বা তাদের জন্য কেমন পরিবেশ রেখে যেতে চাই- সেটাও ভাবার সময় এসেছে।
মরে গিয়ে বেঁচে গেছে ছোট্ট শিশু আসিফা, আর আমাদেরকে ভাবতে শিখিয়ে গেছে এই প্রশ্নগুলো।
আমরা এখন কি করবো?
আমরা কি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হিন্দুত্ববাদীদের সামনে উন্মুক্ত প্রতিরোধহীন ছেড়ে দিব? আমরা কী এই অপেক্ষায় থাকবো যে, আমাদের উঠোনের উত্তর-পশ্চিম-পূর্ব দিক থেকে উগ্র হিন্দুরা আর দক্ষিণ দিক থেকে বর্বর বৌদ্ধরা এসে প্রবেশ করবে?
নাকি আমরা এই পরিস্থিতির সমাধান খুঁজে নেব নবীজির (ﷺ) জীবনাদর্শ থেকে, নবীজির (ﷺ) তরিকা থেকে, নববী মানহাজ থেকে?
আসিফা বানুর পক্ষ থেকে অপ্রিয় প্রশ্নগুলো রয়ে গেল ঘুমন্ত উম্মাহ্র সামনে।
লেখক : আব্দুল্লাহ বিন নজর
তথ্যসূত্র:
1.Asifa Bano: The child rape and murder that has Kashmir on edge
– https://tinyurl.com/muz6zjn8
2. Sex beast ‘begged to rape eight-year-old Asifa Bano one last time before she was strangled and stoned to death by gang in Hindu temple’
– https://tinyurl.com/2ctz96k5
3. কাশ্মিরের আসিফা বানু
– https://tinyurl.com/yc84n2rp
4. আসিফা বানু ধর্ষণ-হত্যা; কাশ্মিরিরা কি এভাবেই পঁচে মরবে?
– https://tinyurl.com/yc6t2v6v
5. আসিফা বানু: আরও এক পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের বলি, নৃশংসতা কি চলতেই থাকবে?
– https://tinyurl.com/2edbbber
6. আসিফা বানুঃ সাম্প্রদায়িকতার আরেক শিকার