Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২০ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২০ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

    টিপু সুলতানকে ‘মৌলবাদী ও নির্দয়’ শাসক উল্লেখ করে হিন্দুত্ববাদীদের বই প্রকাশ



    ভারতকে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুসলিম শাসকরা। কিন্তু নিজেদেরই অবহেলা আর গাফিলতিতে শাসন ক্ষমতা হারিয়ে মুসলিমরা এখন অসহায়। বর্তমানে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা আগ্রাসন চালিয়ে মুসলিম শাসকদের সকল ইতিহাস-ঐতিহ্য বিকৃত করে দিচ্ছে। মুসলিম শাসকদের দখলদার, মৌলবাদী এবং নির্দয় হিসাবে তুলে ধরছে।

    মুসলিম শাসকদের মাঝে অন্যতম একজন হলেন মহীশূরের বাঘ নামে খ্যাত টিপু সুলতান। এবার আরএসএস প্রধান হঞ্চোরা টিপু সুলতানকে মৌলবাদী এবং নির্দয় মুসলিম শাসক হিসাবে তুলে ধরতে একটি বই প্রকাশ করেছে। একজন মুসলিম বিদ্বেষী মি. আদ্দান্ডা সি কারিয়াপ্পা বইটি প্রকাশের সময় তা প্রকাশ্যে আসে।

    ‘টিপু নিজা কানাসুগালু’ নামে বইটি অযোধ্যা পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনাটি একটি মুসলিম-বিদ্বেষী প্রকাশনা হিসেবে কুখ্যাত।

    টিপু সুলতানকে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত ও সম্মান করা হয়। এমনকি ভারতের মধ্যেও টিপু জয়ন্তী (জন্মদিন) উদযাপন করা হয়েছে দীর্ঘদিন।

    গত বছর বেঙ্গালুরুতে টিপু জয়ন্তীর অনুষ্ঠানকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে শ্রীরাম সেনের প্রধান প্রমোদ মুথালিক এবং চরম হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা।

    দক্ষিণ ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় জেলা ওয়াকফ বোর্ড কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান বি এস রফিউল্লার নেতৃত্বে নভেম্বর মাসে উল্লিখিত বইটির প্রকাশনার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করায়, প্রকাশনা এক মাসের জন্য স্থগিত ছিল; বেঙ্গালুরু আদালতে একটি অযৌক্তিক মামলার শুনানির পর, বইটি ‘টিপু নিজা কানাসুগালু’- রিয়েল ড্রিমস অফ টিপু, গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশ ও প্রকাশের জন্য বলা হয়। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি তার বই সিদ্দু নিজা কানাসুগালুগ্ধ লঞ্চ করছে।

    গেরুয়া সন্ত্রাসীরা টিপু সুলতানকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিশিষ্ট কংগ্রেসম্যান সিদ্দারামাইয়ার সাথে তুলনা করেছে। দক্ষিণ ভারতে, বিশেষ করে কর্ণাটকে বিজেপির উত্থান, হিন্দুত্ব ও ঘৃণার রাজনীতির অবিরাম প্রচারণা আরএসএস দ্বারা পরিচালিত হয়।

    জনসংখ্যার দিক থেকে, কেরালার পরে, কর্ণাটকে ভারতের উপদ্বীপীয় রাজ্যগুলির মধ্যে দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ শতাংশ মুসলিম রয়েছে। হিন্দুত্ববাদীরা বিশ্বাস করে যে, এই দক্ষিণ রাজ্যে মুসলমানদের উপস্থিত এবং সংখ্যা বাড়ছে, যা উত্তর-পূর্বে গঙ্গা সমতল রাজ্যগুলির উদ্দীপক।

    টিপু সুলতানের উপর আক্রমণ এবং তাকে মৌলবাদী এবং নির্দয় মুসলিম শাসক হিসাবে প্রোপাগান্ডা চালানো আরএসএসের এজেন্ডার অংশ। বইটি দিয়ে বিতর্ক তৈরি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে মুসলিমবিরোধী অনুভূতিকে উস্কে দেওয়ার লক্ষেই হিন্দুত্ববাদীরা এ চক্রান্ত্র হাতে নিয়েছে।

    ইতিপূর্বেও বিজেপির সন্ত্রাসীরা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, টিপু সুলতান হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছিলেন তাই তাঁর নামে কোনো সৌধ, কোনো পার্ক কিংবা কোনো কিছুরই নামকরণ করা যাবে না।

    এমনিভাবে, ভারতীয় কর্ণাটকের সরকার সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে টিপু সুলতান ও তার বাবা হায়দার আলি সংক্রান্ত অধ্যায়টি বাদ দিয়েছে।
    টিপু সুলতান ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তাতে বিব্রত হয়ে ব্রিটিশরা টিপু সুলতানকে অত্যাচারী শাসক বলে প্রতিপন্ন করতে চেয়েছিল। সেই ধারাই এখন হিন্দুত্ববাদীদের বলতে শোনা যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষক ইতিহাসবিদরা।

    হিন্দুত্ববাদীরা টিপু সুলতান মসজিদ নিয়েও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। হিন্দুত্ববাদীরা মন্দিরের উপর মসজিদ বানানো হয়েছে বলে দাবী করছে।
    টিপু সুলতান মসজিদটি ২৩৬ বছর আগে নির্মিত। ১৭৮২ সালে টিপু সুলতান এটি নির্মাণ করেছিলেন বলে জানা যায়। মসজিদটি জামা মসজিদ বা মসজিদ-ই-আলা নামেও পরিচিত।

    বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সময় নির্মিত শ্রীরঙ্গপাটনাটি পরে টিপু সুলতানের দখলে ছিল, যিনি দুর্গটিকে তার প্রাথমিক প্রতিরক্ষা ঘাঁটি বানিয়েছিলেন বলে জানা যায়। ব্রিটিশ সন্ত্রাসীদের আক্রমণে টিপু সুলতান ঐ দুর্গেই শাহাদাত বরণ করেন।

    ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে আসা মহান বীর হিসেবে ইতিহাসের বইয়ে সম্মানিত টিপু সুলতানকে সাম্প্রতিক সময়ে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো গোঁড়া, মৌলবাদী এবং নির্দয় বলে অভিহিত করছে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    ১. মহীশূরের টিপু সুলতানকে ‘মৌলবাদী ও নির্দয়’ শাসক হিসেবে তুুলে ধরতে ভারতে বই প্রকাশ
    https://tinyurl.com/5zk9s3ft

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, শাসকগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির ফল ভোগ করছে জনগণ




    আবারও গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা দাম ইউনিট প্রতি গড়ে পাঁচ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। নতুন মূল্য অনুযায়ী সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য ইউনিট প্রতি ১৯ পয়সা বেড়েছে। আর বেশি ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে বেড়েছে ৫৪ পয়সা।

    গত ১ জানুয়ারি থেকে এটা কার্যকর করা হয়েছে। অর্থাৎ চলতি মাসের বিদ্যুৎ বিল বাড়তি দামে পরিশোধ করতে হবে জনগণকে। ১২ জানুয়ারি এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

    প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩ টাকা ৯৪ পয়সা, শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ১৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৪০ পয়সা, ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৫ টাকা ৭২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ১ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৩০ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের জন্য ৬ টাকা ৩৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৬৬ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের জন্য ৯ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৪৫ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ওপরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল ১১ টাকা ৪৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৩ পয়সা করা হয়েছে।

    সর্বশেষ গত ২০২০ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছিল। আর এখন আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হলো। তবে এখানেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার কোন সুযোগ নেই। কেননা এখন থেকে প্রতি মাসেই বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

    বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে স্বাভাবিকভাবেই এখন গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়াবে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো। বেড়ে যাবে নিত্যপ্রয়োজনী পন্য, বাড়িভাড়াসহ দেশের সব কিছুর দাম। চলমান দেশের অবস্থায় এমনিতেই জনগণ চরম দুর্গতি পোহাচ্ছে। সেইসাথে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে জনগণের জীবনে নেমে আসবে আরও চরম দুর্গতি।বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি একটি ওপেন সিক্রেট বিষয়।

    দেশের দুর্নীতিগ্রস্থ শাখার অন্যতম হচ্ছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় । কিন্তু দুর্নীতি বন্ধ না করে বরাবরই ‘বিদ্যুৎ খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে, ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে হবে’- এসব কথা বলে দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছে শাসকগোষ্ঠী। আর এর কুফল ভোগ করছে হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে জীবন-যাপন করা সাধারণ মানুষ।লক্ষণীয় যে, শাসকগোষ্ঠী বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য সব সময় শীতকালকে বেছে নেয়।


    কেননা এই সময় ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুৎ খরচ হয় কম, আর বিলও আসে কম। তাই এ সময় দাম বৃদ্ধি করলে সাধারন জনগণের প্রতিক্রিয়াও কম থাকে। আর এভাবেই সুক্ষ্ম প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের উপর শাসন ও শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমাদের নিয়ন্ত্রিত শাসকগোষ্ঠী।


    তথ্যসূত্র:
    ——-
    ১। ৫ শতাংশ বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম-
    https://tinyurl.com/bdevfmb5
    ২। বিদ্যুৎ খাতের ভুল নীতি-দুর্নীতির দায় জনগণের ওপর চাপানো হচ্ছে-
    https://tinyurl.com/mvbu6bm8






    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X